শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

-আমার হাঁড়িতে ছিল বলে দিতে পেরেছি। নইলেতো পারতাম না।
-যাক, আমাদের বাচ্চা দুটোকে খাওয়াতে পারলাম এটা আমাদের ভাগ্য। ওদেরকে খাওয়াতে পেরে আমাদের মনের কষ্ট কমেছে। আপনাকে সালাম জানাই।
-থাক, এত কথা বলবেন না। বাচ্চা দুটোকে খাওয়ানোর দায়তো আমারও ছিল। কিছুতেই ওদের কান্না শুনতে পারতাম না।
-আমরা সবাই এমন চিন্তায় শরণার্থী শিবিরে থাকব।
-হ্যাঁ, তাই থাকব। থাকতেই হবে। আমরা সবাই স্বাধীনতার জন্য এসেছি।

স্বাধীনতা শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বনি ওঠে চারদিকে স্বাধীনতা-স্বাধীনতা-বঙ্গবন্ধু-বঙ্গবন্ধু।
অঞ্জন নিজেও বলতে থাকে। ওর মন-প্রাণ ভরে যায় স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শব্দে। বঙ্গবন্ধু ছাড়াতো স্বাধীনতার সূচনা রচিত হতোনা। এক বিপুল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন তিনি। সেই কর্মযজ্ঞে শামিল পুরো দেশবাসী। অনেকে আবার উল্টো কর্মে আছে। ওদের বিবেক নাই। ওদেরকে অবশ্যই মুখ থুবড়ে পড়তে হবে স্বাধীনতাকামী মানুষের পায়ের নিচে।

আকরাম তখন বলে, চলো যে যার তাঁবুতে চলে যাই।
সবাই উঠে পড়ে। বাচ্চা দুটোর হাত ধরে ওদের বাবা। ওরা হাঁটতে শুরু করে।
অঞ্জন আকরামকে বলে, দেখেন ওদের শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন আপনি।
-আহারে, এতটুকু ভাত দেয়া খুব বড় কাজ হয়েছে নাকি?
-হয়েছেতো বটেই। দেখছেন না ওদেরকে। দু’ভাই কেমন লাফালাফি করছে। ওরা প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছে। ওরা বলেনি যে আমরা একটুখানি ভাত খেয়েছি। আমাদের আরও ভাত দাও।

আকরাম হাসতে হাসতে বলে, ওরা বুদ্ধিমান ছেলে। বুঝে গেছে যে ভাত চাইলেই রাস্তায় ভাত পাওয়া যায় না।
অঞ্জন হা-হা করে হেসে ওঠে। হাসতে হাসতে বলে, আপনার ব্যাখ্যা খুব সুন্দর। আপনি ওদেরকে বড় মানুষ বানিয়ে দিলেন।
-এই শরণার্থী জীবনের পরে স্বাধীনতা পেলে ওরা বড় মানুষ হবে।
ছেলেদুটোর বাবা-মা হাততালি দিয়ে বলে, আপনি ওদের জন্য দোয়া করবেন আকরাম ভাই।
-হ্যাঁ, দোয়াতো করবই। আল্লাহর রহমত থাকবে ওদের উপর। আমি যাই।
-আমরাও যাই।

যে যার মতো হাঁটতে শুরু করে। ধুলোমলিন রাস্তায় হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না অঞ্জন। এপাশে ওপাশে পা ফেলে হাঁটতে গিয়ে বিরক্ত হয়। দেখতে পায় অন্যরা একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ওদের দিকে তাকিয়ে নিজের বিরক্তি কাটিয়ে নেয়। তারপর এলোমেলো পথে দ্রুতপায়ে হাঁটতে থাকে। ধুলোয় ধুসরিত এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা জীবনের সরলরেখা নয়। জীবনযাত্রার এলোপাতাড়ি নানা সংকটের চিহ্ন তুলে ধরেছে। প্রত্যেককেই এমন পথ বুঝে চলতে হবে। কখনো স্বপ্ন, কখনো কষ্ট, কখনো শান্তি, কখনো জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে হেঁটে যাওয়া বেঁচে থাকার সত্যের মাত্রা। অঞ্জন চারদিকে তাকায়। কত তাঁবু মানুষের দিনযাপনের জন্য। প্রত্যেকের সামনে স্বপ্ন একটাই। স্বাধীনতা। এভাবে ব্যক্তির ঊর্ধ্বে সমষ্টির স্বপ্ন এক হয়। নিজের ভাবনায় আলোড়িত হয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়ায় অঞ্জন। কেউ একজন ডাক্তার সাহেব বলতে বলতে ছুটে আসছে তার দিকে। কাছাকাছি এলে ও নিজেই বলে, কি হয়েছে আশরাফ?
-আমার ছেলেটার খালি পায়খানা হচ্ছে। কলেরা হলো নাকি? আপনি ওকে দেখতে চলেন।
-হ্যাঁ, চলেন।

দুজনে হাঁটতে শুরু করে। নানা তাঁবু থেকে শোনা যায় কান্নার শব্দ। অঞ্জন চারদিকে চারদিকে তাকিয়ে মুষড়ে পড়ে। তাঁবুতে তাঁবুকে কি অসুস্থতা শুরু হয়েছে। বুকের ভেতর টনটনিয়ে উঠে অঞ্জনের। আশরাফের তাঁবুর দিকে দ্রুতপায়ে হেঁটে যায়। তাঁবুতে পৌঁছে বাচ্চাটিকে পরীক্ষা করে বলে, হ্যাঁ, ও কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে ওষুধের ব্যবস্থা করব।

আশরাফ কাঁদতে শুরু করে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, ওষুধের জোগাড় করতে তো সময় লাগবে।
অঞ্জন ওর ঘাড়ে হাত রেখে বলে, ধৈর্য ধরেন। আপনাকে কাঁদতে দেখলে ছেলেটার মন খারাপ হবে।
আশরাফ দুহাতে চোখ মুছে চুপ করে যায়। অঞ্জন বলে, যাই, অন্য তাঁবুতে কারা কাঁদছে দেখে আসি।
কয়েকটি তাঁবুতে গিয়ে টের পায় সবাই কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। ওর শরীর কাঁপে থরথর করে। শরণার্থী শিবিরে কলেরার মহামারি শুরু হয়েছে এটা দেখে ও স্থির থাকতে পারে না। মেঘভরা আকাশ থেকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। যশোর রোডের কাঁচা রাস্তা বৃষ্টির পানিতে কাদামাখা হয়ে যায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অঞ্জন কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে। মনে মনে ভাবে, শরণার্থী শিবিরে বাস করার এটা একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এর আগে কখনো এভাবে বৃষ্টিতে হাঁটেনি। বৃষ্টি পড়তে দেখলে ঘরে ঢুকেছে। তারপর বারান্দায় বসে বৃষ্টি পড়া দেখেছে। আজ ও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে গুনগুন করে গায়, ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’..।

হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে আসে অঞ্জন। ভেজার আনন্দ বুকের ভেতর জমে থাকে। কোনোরকম ভয় আসে না মনে। তাঁবুতে ফিরলে বাবা-মা বকবে এমন ধারণা পেয়ে বসে ওকে। ও আর এগোয়না। ফিরে আসে তাঁবুতে। বাবা ওর ভিজে থাকা অবস্থা দেখে চেঁচিয়ে বলে, এত ভিজেছিস কেন? যদি জ্বর আসে মার খাবি।
মা গামছা এগিয়ে দিয়ে বলে, ভেতরে যা। গা মুছে তাড়াতাড়ি কাপড় বদলে ফ্যাল।

অঞ্জন মায়ের হাত থেকে গামছা নিয়ে তাঁবুর ভেতর ঢুকে পড়ে। শরীরজুড়ে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির পানির ছোঁয়া তখনো বুকের ভেতর আনন্দের ঢেউ তুলছে। ও বুকের উপর গামছা চেপে ধরে গুনগুনিয়ে বলে বৃষ্টি আমার স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সোনার পানিতে ভিজে ভিজে মৃত্যুর দরজায় যাব। মৃত্যুকে বলব, মৃত্যু তুমি আমাকে বৃষ্টির পানিতে ভিজিয়ে রাখ। আমি স্বাধীনতা বুকে নিয়ে মরে যেতে চাই।
ওর মা মাথা বাড়িয়ে বলে, কি রে তুই কার সঙ্গে কথা বলছিস?
-বৃষ্টির সঙ্গে।

শব্দ করে হেসে উঠে ওর মা। হাসতে হাসতে বলে, ছেলেটাকে ডাক্তার বানিয়েছি। ওর নিজে নিজে কবি হয়েছে। বাড়িতে থাকতে জারুল গাছের ফুলের দিকে তাকিয়ে থাকত। এখন বৃষ্টি ওর কবিতা হয়েছে। ভালোইতো ফুল আর বৃষ্টি নিয়ে আমার ছেলে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছে।

মায়ের কথা শুনে শব্দ করে হাসতে থাকে অঞ্জন। হাসতে হাসতে বলে, মাগো স্বাধীনতার স্বপ্ন এমনই। সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে স্বাধীনতা সবার মনে থাকবে। আমরা কখনোই স্বাধীনতার অমর্যাদা করবনা।
-তাঁবুতে যে চারদিকে কলেরা শুরু হয়েছে এটা কি সৌন্দর্য?
-মাগো এটাও সৌন্দর্যের আর এক দিক। এটা হবে মানবিক সৌন্দর্য। কলেরা রোগীদের আমরা কীভাবে দেখাশোনা করব সেটাই সৌন্দর্য। কাউকে আমরা অবহেলা করব না। এই সৌন্দর্য আমাদের বানাতে হবে।
-বুঝলাম। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তবে এটাও জানি মহামারি সাবইকে সাবধান থাকতে দেয়না। সবাধান থাকলেও গায়ে চেপে বসে। রক্ষা পাওয়া যায়না।
-থাক, এসব কথা। আমাদের এখন এত কথা বলার দরকার নাই।
-তুই যে বৃষ্টিতে ভিজলি এটা নিয়ে আমার চিন্তার ঝড় উঠেছে রে ছেলে। কেন তুই বৃষ্টিতে ভিজলি?
-মাগো এটাকে আমার একটা খেলা মনে হয়েছিল। কোনো ভয় ছিলনা মনে।
-সবই বুঝলাম। এখন জ্বর না আসলে আল্লাহর রহমত হবে।
অঞ্জন হাসতে হাসতে বলে, দেখা যাক কি হয়। মায়ের দোয়ায় সুস্থ থাকব।

মা ছেলের মাথায় হাত রেখে বলে, আল্লাহ তোকে সুস্থ রাখবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
অঞ্জন মায়ের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে। দূর থেকে ভেসে আসে কান্নার শব্দ। দুজনে স্তব্ধ হয়ে যায়। কেউ আর কোনো কথা বলেনা। শরণার্থী শিবিরে দিন কাটানোর কষ্ট বুকে নিয়ে বেদনায় ম্রিয়মান হয়ে থাকে।

চলবে…..

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত