শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

অঞ্জন দ্রুত পায়ে হেঁটে এগোতে থাকে। চাল জোগাড়ের চিন্তা মাথার ভেতর গমগম শব্দ করে। অনুভবে দিশেহারা লাগে। নিজেকে শক্ত করার জন্য ভাবনার মোড় ঘোরায় চাল পাবে। পাবেই। শরণার্থী শিবিরের বড় জায়গা ধরে নিজের শক্তি বাড়ায় যুদ্ধ ও স্বাধীনতার পটভূমি শরণার্থী শিবির। বেঁচে থাকার সত্যকে ধারণ করে জীবনের জয়গান গায়। এসব ভাবতে ভাবতে যখন চাল দেয়ার ক্যাম্পে আসে দেখতে পায় কেউ নেই। ক্যাম্প বন্ধ। প্রবল মন খারপ নিয়ে ক্যাম্পের পাশের নিম গাছটা জড়িয়ে ধরে মাথা ঠোকে। কিছুক্ষণ পর ফিরে যায়। কেউ একজন জিজ্ঞেস করে, গাছে মাথা ঠুকলেন কেন?


-চাল পেলামনা। মন খারাপ হয়ে গেল।
-না খেয়ে থাকতে হবে আপনাকে?
-আমাকে না। বিভিন্ন তাঁবুতে চাল নাই। ভাত রান্না হয়নি। শিশুরা কাঁদছে।
-আসেন আমার সঙ্গে। আমি তিন কেজি চাল কিনে দিচ্ছি দোকান থেকে।
-কিনে দেবেন?
-দিবইতো। না খেয়ে থাকবে কেন আমার দেশের শরণার্থীরা। যতটুকু পারি অতটুকু সাহায্য তো করবই।
অঞ্জন লোকটির দুহাত জড়িয়ে ধরে। বলে, মানুষকে ভালোবেসে আপনি একজন মহৎ মানুষ। আপনাকে শ্রদ্ধা করি।
লোকটি কথা বলেনা। অঞ্জনের হাত ধরে দোকানে যায়। তিন কেজি চালের তিনটি পোটলা নেয় দোকান থেকে। অঞ্জনকে দিয়ে বলে, যার যার লাগবে তাকে এক কেজি করে দিয়েন।

-হ্যাঁ, তা দেব। আপনাকে অনেক ভালোবাসা জানাই। দেশ স্বাধীন হলে আমি আপনাকে আমাদের দেশে বেড়াতে নিয়ে যাব।

-আপনার কষ্ট করতে হবেনা। আমি নিজেই যাব আপনার দেশে বেড়াতে। আমার জনম সার্থক হবে। আমাদের চেনাজানা পূর্ববঙ্গ একবার পূর্ব পাকিস্তান হলো। এখন স্বাধীন বাংলাদেশ হবে। ভাবলে আমার মাথা তোলপাড় করে ওঠে। বাঙালি জাতির একটা স্বাধীন দেশ। আপনারা জীবন উৎসর্গ করে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। ভাবলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি কলেজে পড়াই। ছাত্র-ছাত্রীদের দরকার মতো ভাষা আন্দোলনের কথা বলি। এখন ওরা নিজেরাই দেখবে দেশটি স্বাধীন হয়েছে।

-আপনাদের সহযোগিতা না পেলে আমরা দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না।

-আমিও আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি যেভাবে সহযোগিতা দিচ্ছেন সেটা একটি অতুলনীয় সিদ্ধান্ত। এটা বাঙালির একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য জরুরি ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার সামনে একজন অসাধারণ মানুষ। তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আমি নিজেও খুব অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাঁকে ছাড়াতো বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র হতো না।

অঞ্জন উদ্দীপিত হয়ে বলে, ঠিক বলেছেন, ঠিক বলেছেন। তিনি আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। আমি ভেবে রেখেছি যে দেশ স্বাধীন হলে আমি তাঁর পায়ে মাথা ঠেকাব।

-পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেই হবে, না?

-তাও ঠিক। আপনাদের দেয়া চাল নিয়ে যাই। শিশুদের কান্নার শব্দ পাচ্ছি।

-হ্যাঁ, যান, যান।

অঞ্জন দ্রুতপায়ে হাঁটতে শুরু করে। যিনি এত সুন্দর করে কথা বললেন তাকে দেখার জন্য ঘাড় ঘুরায়। দেখতে পায় তিনি ওর দিকে তাকিয়ে আছেন। অঞ্জন মৃদু হেসে হাত নেড়ে টা-টা বলে। লোকটিও হাত নেড়ে টা-টা বলে। গাঢ় হয় স্বপ্নের সেতু। ও আবার দ্রæতপায়ে হাঁটতে শুরু করে। কান্নার শব্দ ধরে সেই তাঁবুতে যায়। চাল দিয়ে চলে আসে। চাল জোগাড় করা গেছে ভেবে স্বস্তি বোধ করে। মানুষের চারপাশে এমনই মানুষই থাকে এটাই বেঁচে থাকার সত্য-সুন্দর। বর্বরতাকে ডিঙিয়ে মানুষের বেঁচে থাকা সত্যের সুন্দরতা। অঞ্জন খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। সীমান্তের দিকে তাকালে দেখতে পায় একদল শরণার্থী আসছে। এগিয়ে যায় সেদিকে। দেখতে পায় রঘু রাই দাঁড়িয়ে আছে। মুহূর্তের মধ্যে অমিয়ার চিন্তায় মাথা ভরে যায়। ভাবে, ও কি ঠিক আছে! কোনো পাক সেনার কবলে পড়েনি তো? বুকের ভেতর হাহাকার ধ্বণিত হয়। ও সীমান্তের একপাশে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকে এগিয়ে আসা নারী-পুরুষের দিকে। না, এই দলে অমিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে নাই। বোঝা যাচ্ছে, ওরা ঢাকা ছাড়বে না। অঞ্জন মন খারাপ করে চারদিকে তাকায়। সামনে বিরাট প্রান্তর নিঃশব্দে পড়ে আছে। তারপর ও নিজেকে ধমকায়। মাটি নিঃশব্দে পড়ে থাকবে কেন? এই মাটি বুক পেতে রেখেছে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য। একদিন এই মাটির উপর উড়বে বাঙালির স্বাধীনতার পতাকা। তখন ও গুনগুন করে গাইতে থাকে ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’। শরণার্থীরা ঢুকে যাচ্ছে সীমান্ত পেরিয়ে। ও তাকিয়ে থাকে, তারপর কাছে এসে দাঁড়ায়। একজনকে জিজ্ঞেস করে, দেশের অবস্থা কি?

-পাকিস্তানি শয়তানরা যতই মারুক আমাদেরকে, ওরা টিকতে পারবেনা এই দেশে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ওদেরকে মেরে ভাগাবে।

-হ্যাঁ, তা ঠিক। যান, আপনারা এগিয়ে যান।

-তাতো যাবই। নইলে আসলাম কেন?

অঞ্জন কথা বাড়ায়না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে একপাশে। সারিবদ্ধ লোকেরা বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। মাথায় পোটলা-পুটলি। ক্লান্ত দেখাচ্ছে ওদের। অঞ্জন পরক্ষণে নিজেকে ধমকায়, কতদূর পথ হেঁটে এসেছে। ক্লান্ততো হবেই। কোথায় ঠাঁই পাবে ওরা? এতকিছু ভাবনার মাঝে সীমান্ত অতিক্রম করে লোকেরা। কেউ কেউ বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে গাছের নিচে বসে পড়ে। সীমান্ত রক্ষীরা জানাচ্ছে, আপনাদের যশোর রোডে জায়গা হবেনা। আপনারা কলকাতার দিকে এগিয়ে যান। অঞ্জন তাকিয়ে থাকে। দেখে যশোর রোড ধরে এগিয়ে যাচ্ছে শরণার্থীরা। ওরা কোথায় ঠিকানা পাবে ভাবতে ওর কষ্ট হয়। পরমুহুর্তে আশ^স্ত হয় এই ভেবে যে কোথাও না কোথাও ব্যবস্থা হবে। শরণার্থীদের জন্য ভারতের অনেক মায়া আছে। অঞ্জন হঁটতে হাঁটতে কিছুদূর এসে দাঁড়িয়ে থাকে। একসময় দেখে দুটো নয়-দশ বছরের ছেলে দৌড়াতে দৌড়াতে এসে মুখ থুবড়ে পড়ে যায় রাস্তার ওপর। ওরা ওঠে না। পড়েই থাকে। অঞ্জন দ্রুত গিয়ে ওদের ওঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওঠাতে পারেনা। ওরা নিজেরাও ওঠার চেষ্টা করেনা। অঞ্জন বুঝতে পারে ওরা জ্ঞান হারিয়েছে। ও ওদেরকে রাস্তার পাশে টেনে আনে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওদের বাবা-মা এসে হাজির হয়।

- কি হয়েছে আমাদের ছেলে দুটোর? ওরা পড়ে গেল কেন?

মা কাঁদতে কাঁদতে বলে, পড়বেনা কেন? কাল দুপুরে আর রাতে ভাত খেতে পায়নি। ডাক্তার সাহেব আপনি দেখেন ওদের।

অঞ্জন বুঝতে পারে, ওরা জ্ঞান হারিয়েছে। ওদেরকে তাঁবুতে নিয়ে যেতে হবে। হাত ঈশারায় ওদের বাবাকে ডেকে বলে, ওরা জ্ঞান হারিয়েছে। আপনি একজনকে কোলে নিন, আমি একজনকে নিব। ওদেরকে তাঁবুর ভেতর নিয়ে বিছানায় শোয়াতে হবে। ওরা জ্ঞান হারিয়েছে।

ওদের বাবা দুহাতে চোখ মুছে একজনকে কোলে তোলে। অঞ্জন আর একজনকে। হাঁটতে শুরু করে দুজনে। ওদের মা কাঁদতে কাঁদতে হাঁটে। কান্নার শব্দ শুনে চারদিক থেকে লোকজন বেরিয়ে আসে। আকরাম জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে?

অঞ্জন বলে, ছেলেদুটো জ্ঞান হারিয়েছে। পড়ে গিয়েছিল রাস্তায়। পেটে খিদা। ভাত খেতে পায়নি।

-আমার ঘরে অল্প ভাত আছে। আনব?
-আনেন, আনেন।

আকরাম ভাত আনার জন্য তাঁবুতে ঢোকে। অঞ্জন ওদের নিয়ে গাছতলায় বসে। ওরা জ্ঞান ফিরে পেয়েছে। ওদের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। একজন বলে, ভাত খাব। ভাত খাব। অন্যজন বলে, মা কোথায় ভাত পাবে?
কাঁদতে শুরু করে চিৎকার করে দুজনেই। অঞ্জন চুপচাপ থাকে। ভাবে, কাঁদুক, কেঁদে শান্ত হোক। ওদের বাবা ওর কোলে শুয়ে থাকা ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে। তারপরও ওর কান্না থামে না। তখন ওরা দেখতে পায় থালায় করে ভাত নিয়ে আসছে আকরাম। ওদের কান্না শুনে দ্রæত এগোয়। কাছে এসে ওদের মাকে থালা দিয়ে বলে, আপনি ওদেরকে খাইয়ে দেন। এই যে পানিও আনছি। আমি শুধু ভাতের মধ্যে ডাল দিয়েছি। কারণ আমাদের তরকারিতে খুব ঝাল থাকে। ওরা খেতে পারবেনা।

-আচ্ছা দেন।

ওদের মা থালাভরা ভাত ডাল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ওদের মুখে দেয়। ছেলেরা দ্রæত চাবিয়ে গিলে ফেলে। আবার হাঁ করে। দুজনকে ভাত খাওয়াতে পেরে পরিতৃপ্ত হয়ে যায় সবাই। আকরামও ওদের সঙ্গে বসে থাকে। অঞ্জনের মনে হয় শরণার্থী শিবিরে এ একটা অন্যরকম দৃশ্য। ও যে কয় মাস থাকল এতদিনে এখানে এমন দৃশ্য দেখেনি। এই দেখাটা আজকে ওর সামনে স্বাধীনতার স্বপ্নের ফুল হয়ে ফোটে। মানুষের সঙ্গে মানুষের এমন সম্পর্কইতো বেঁচে থাকার সত্য। ও আকরামের ঘাড়ে হাত রেখে বলে, আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই ভাই। আপনি বাচ্চাদুটোর পেট ভরে দিয়েছেন।

 

চলবে...

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত