শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

আমিও তাই মনে করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি শরণার্থী শিবির দেখতে গিয়েছিলেন। দেখ তিনি গাছের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমার মনে হয়েছে যারা ভিড়ের মধ্যে পেছন থেকে তাকে দেখতে পাচ্ছিলনা তারা গাছের উপর উঠেছে তাকে দেখার জন্য। তিনি গাছের দিকে তাকিয়ে ওদেরকে দেখে হাসছেন। আমার নিজেও ছবিটি তুলে প্রাণ জুড়িয়ে গেছে।

অঞ্জন ক্যামেরা বুকে জড়িয়ে ধরে। বলে, তিনি শরণার্থীদের বাঁচিয়ে রাখার আনন্দে আছেন। আমি অনেককে বলি, তিনি আমাদের মা। মায়ের আদর ভেসে উঠেছে তার হাসিমুখে।

অঞ্জন ক্যামেরার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখের পলক পড়ে না। ভাবে, শরণার্থীদের নিয়ে এ এক অসাধারণ ছবি। রঘু রাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে ওর চোখ ছলছল করে। তারপরও মৃদু হেসে বলে, এই ছবি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের প্রধান দিক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।

-তুমি বেশ আবেগাড়িত হয়ে গেছ অঞ্জন।

-হবইতো। আমি তোমার বন্ধু। এমন একটা সুন্দর ছবি তুলেছ তুমি। তিনি কত সুন্দরভাবে হাসিমুখে গাছের ডালের দিকে তাকিয়ে আছেন। শরণার্থীরা তাঁর গলায় ফুলের মালা দিয়েছে।

-বাব্বা,তুমি খুব নিখুঁতভাবে ছবিটা দেখছ। আস তোমার একটা ছবি তুলি। তুমি আর তোমার বাবা গাছের নিচে পড়ে আছ। পেছনে শরণার্থীদের তাঁবু।

-হ্যাঁ, ত্যাঁ, তোল বন্ধু। এটাও তোমার আর এক ধরনের ছবি হবে।

রঘু রাই হা-হা করে হাসে। হাসতে হাসতে বলে, শরণার্থীদের জীবন আমার ছবির রূপরেখা। এই শরণার্থী শিবির আমি নানা মাত্রায় দেখতে থাকি। তারপর যেটা পছন্দ হয় তখন সেই ছবিটি তুলি।

-তুমি যে একটি শিশুর মুখ আর বুক নিয়ে হা করে কান্নার ছবিটি তুলেছ সেটা দেখতে আমার মনে হয়েছিল ও শুধু একা না, শরণার্থী শিবির জুড়ে পড়ে থাকা মানুষের মুখ। এই কান্না বেঁচে থাকার সত্য। ছবিটা দেখার সময় আমার মনে হয়েছিল ওটা আমার মুখ। হাজার হাজার মানুষের মুখ।

-বাব্বা, তোমার ভাবনার সীমা নাই। এখন ছবি তুলব।

অঞ্জন প্রথমে বাবার মাথার চুল এলোমেলো করে দেয়। তারপর নিজের মাথার চুল এলোমেলো করে গাছের নিচে চিৎ হয়ে পড়ে। রঘু রাই ছবি তোলে। অঞ্জনকে ছবি দেখিয়ে চলে যায়।

অঞ্জন বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন তাঁবুতে যায়। কার কি খাবার আছে সেসব খোঁজ করে। একজন তীক্ষ্ণ গলায় বলে, খোঁজ করে কী করবে? চাল-ডাল দিতে পারবে?

-চেষ্টা করে দেখব।

-থাক, এতকিছুর দারকার নাই। ঢং দেখানোর জায়গা নাই। শুধু ডাক্তারী কর। কেউ যেন বিছনায় পড়ে চিল্লায়না। ওষুধের ব্যবস্থা কর।
-আচ্ছা যাই।

অঞ্জন আর দাঁড়ায় না। চলে যাবার জন্য ঘুরে দাঁড়াতেই মুখোমুখি হয় হাসনা বানুর।

-কি খুঁজতে এসেছেন ডাক্তার সাহেব?

-দেখতে এসেছি সবাই কেমন আছে?

-এই দেখাতো শুধু চোখের দেখা হবে। আপনিতো ওষুধ আনতে পারবেন না।

-আমি ঠিক করেছি ওষুধ জোগাড় করার চেষ্টা করব।

-হ্যাঁ, ভালো চিন্তা করেন। আমিও জোগাড় করার জন্য আপনার সঙ্গে থাকব। যখনই বলবেন আমি আপনার সঙ্গে কাজ করব। শরণার্থী হওয়ার কষ্ট পাচ্ছি বলে কাজ না করে শুধু বসে থাকব, এটা আমি ভাবিনা।

-আপনি তো অসুস্থ মানুষকে সেবা করেন।

-তাতো করবই। অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলা আমাদের দায়িত্ব না? সবাইকে সুস্থ করে আমরা একসঙ্গে স্বাধীন দেশে ঢুকব। আর যুদ্ধে শহীদ হওয়া সবাইকে মাথায় রেখে স্বাধীন দেশের কারুশিল্পী হব।

-বাব্বা হাসনা বানু, আপনিতো অনেক কথা বললেন।

-শুধুই কথাই বললাম। যুদ্ধ করতে তো পারলাম না।

-আপনি অসুস্থদের সেবা করেন, এটাও যুদ্ধ। কেউ যদি পড়ে থেকে মরে যায় সেটা হবে যুদ্ধের খারাপ দিক। আমাদের চোখের সামনে কেউ পড়ে থাকতে পারবেনা। আমরা অসুস্থতার মতো শত্রুপক্ষকে মেরে কাহিল করব। নইলে যুদ্ধ অসুস্থতা আমাদের জীবন নিয়ে দৌড়াবে।

শব্দ করে হাসে হাসনা বানু। হাসতে হাসতে বলে আপনিতো বেশ গুছিয়ে সুন্দর কথা বললেন।

-আমরাতো আর বেশি দিন এখানে থাকবনা। আমাদের স্বাধীন দেশে ফিরে যেতে হবে। চারদিক থেকে যুদ্ধের খাবর পাই। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ভালোভাবে যুদ্ধ করছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মেরে দাবড়াচ্ছে। আমাদের ইন্দিরা গান্ধী মা সবরকম সহযোগিতা দিচ্ছেন। আমার মনে হয় আমাদের আর বেশিদিন লাগবেনা।

হাসনা বানু সঙ্গে সঙ্গে বলে, আমিও তাই মনে করি। ছেলেমেয়ে দুটোকে রাতদিন এই গল্পই করি। ওরা রাতে ঘুমুতে পারেনা। মাঝে মাঝে কাঁদতে শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ কেঁদে তারপর আবার ঘুমায়। একজনের বয়স ছয়, একজনের বয়স তিন।
-ওদের বাবাতো যুদ্ধ করছে।

-হ্যাঁ, যুদ্ধ করছে। এজন্য আমি খুব কৃতজ্ঞ। আমার স্বামীকে মুক্তিযোদ্ধা ভাবলে আমার গৌরব হয়। আমার এই দুই বাচ্চাকে যদি দেশে রেখে আসতে পারতাম, তাহলে আমিও প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করতাম। শুরু তাঁবুর মধ্যে বসে থেকে দিন কাটাতাম না।

-আপনিতো বসে থেকে দিন কাটাচ্ছেন না।

-হ্যাঁ, তা কাটাচ্ছিনা। সাধ্যমতো যা করতে পারছি, তা করছি। করাতো কর্তব্য।

-হ্যাঁ, আমিও তাই মনে করি। দেখি ভারতীয় ভাইদের কাছে যাই। কিছু চাল জোগাড় করতে পারি কিনা। পারলে যাদের ঘরে চাল নাই ,তাদেরকে দেব। আমি বাচ্চাদের কান্না শুনতে পারিনা।

-খুব ভালো কথা। তাড়াতাড়ি যান।

 

 

চলবে...

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

 
Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত