শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

জিনি নানি, জ্যাকের নানির বোন, তিনিও মারা গেছেন। রবিবারের কনসার্টে তাদের গান শুনতে আসতেন তিনি। অনেকদিন তিনি একটা খামার বাড়িতে বসবাস করে গেছেন তার তিনজন যুদ্ধ-বিধবা মেয়েকে নিয়ে। সব সময় তার স্বামীর কথা বলতেন। অনেকদিন আগেই তার স্বামী মারা যান। যোসেফ মামার কথা মনে আছে–তিনিই শুধু মহুন উপভাষায় কথা বলতেন। তার সুদর্শন গোলাপী মুখের ওপরে সাদা চুল। অননুকরণীয় আভিজাত্যের একটা ভাব ছড়িয়ে থাকত তার চেহারায়। এমনকি খাবার টেবিলেও উচু কিনারাঅলা কালো টুপি পরতেন তিনি। সত্যিকারের একজন কিষাণ পুরুষ।

তবু তিনি মাঝে মাঝে খাবার টেবিলে নিজেকে একটুখানি ঋজু করে তুলতেন বেখাপ্পা একটা শব্দ ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তার জন্য তার স্ত্রীর বকুনির সামনে অতি মার্জিত কোনো অজুহাত খুঁজতেন। নানির প্রতিবেশিরা, রাজমিস্ত্রির পরিবারের লোকেরা, তারাও মারা গেছে। প্রথমে বৃদ্ধা মহিলা, তারপরে তার বড় বোন। দীর্ঘদেহী আলেক্সান্দ্রা এবং তার কান লম্বা বাজিকর ভাইও আর নেই। সে আলকাজার সিনেমা হলে ম্যাটিনি শোতে গান গাইত। তারা সবাই এমনকি তাদের পরিবারের ছোট মেয়েটাও নেই। জ্যাকের ভাই হেনরির তার সঙ্গে প্রেম ছিল, একেবারে আপাদমস্তক ডুবে যাওয়া প্রেম।

কেউ তাদের কথা বলে না; তার মা, তার মামা, কেউই আর বিদেহী আত্মীয় স্বজনদের কথা বলে না। যে বাবার খোঁজ খবর বের করার চেষ্টা করছে জ্যাক সে বাবা সম্পর্কেও না, অন্যদের সম্পর্কেও না। তাদের এখন অভাব নেই। তবু তাদের চাল-চলন গরীবের মতোই। গরীবের মতো জীবন যাপন করতে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। জীবনটা সন্দেহবাদী দৃষ্টিতে দেখতেই তারা অভ্যস্ত। জীবনের প্রতি তাদের ভালোবাসা পশুদের ক্ষেত্রে যেমন ঠিক তেমনটাই।

তবে অভিজ্ঞতা থেকে তাদের জানা হয়েছে, জীবন ব্যতিক্রমহীনভাবেই কোনো রকম ইঙ্গিত না দিয়ে বিপর্যয় বয়ে আনবে। আর জ্যাকের সঙ্গে এই দুজন যেভাবে নিজেদের মধ্যে গুটিয়ে আছে, তাদের স্মৃতি যেন শূন্যের কোঠায়। অতীতের সবকিছু যেন ঝাঁপসা হয়ে গেছে তাদের মন থেকে। এটাই তাদের জীবন। এখন তারা মৃত্যুর খুব কাছাকাছি। তাদের কাছে বর্তমানটা চিরকাল এরকমই। তাদের কাছ থেকে জানার সুযোগ নেই তার বাবা কে ছিলেন। জ্যাকের সমানে তাদের উপস্থিতির কারণে জ্যাকের মনের ভেতর একটা ঝরনার পুনরুন্মোচন ঘটছে, তার দারিদ্রক্লিষ্ট আনন্দময় ছেলেবেলায় ফিরে যেতে পারছে সে। তবু সে নিশ্চিত নয়, তার নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা স্মৃতির বলিষ্ঠ প্রবাহ এখন যেমন মনে হচ্ছে তার বালকবেলার বাস্তবতা সত্যিই সেরকম ছিল কি না।

তার সন্দেহ হয়। তারপরও অনেকখানি নিশ্চিত হতে পারে সে, অবশিষ্ট দুতিনটা প্রিয় চিত্র তাকে স্মৃতিতে জেগে ওঠা ঘটনাগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থাপন করছে, সেগুলোর সঙ্গে তাকে একাকার করে দিচ্ছে। এত বছর ধরে এরকম অস্তিত্বে ফিরে আসার কত চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু পারেনি। সামনের ছবিগুলো মুছে গেছে। পরিবারের সঙ্গে এত বছর যে সত্তায় সে বড় হয়েছে সেরকম বেনামী এক সত্তায় সংকুচিত হয়ে থেকেছে মাত্র। তাতেই অবশ্য সে স্বতন্ত্র হতে পেরেছে।

গরমের সময়ের সন্ধ্যার ছবিটার কথা বলা যেতে পারে–রাতের খাবারের পরে পরিবারের সবাই চেয়ার নিয়ে বাড়ির সামনের ফুটপাতে গিয়ে বসত। ধূলি-ধূসরিত ডুমুর গাছ থেকে নেমে আসা বাতাসে থাকত ধূলির মিশেল। তাদের সামনে দিয়ে পাড়ার লোকেরা যাওয়া আসা করত। জ্যাক নিজের চেয়ার থেকে পেছনের দিকে কাত হয়ে মায়ের হালকা কাঁধের ওপরে মাথা রেখে ডুমুর গাছের ডালের ফাঁক দিয়ে গ্রীষ্মের আকাশের তারাদের দিকে তাকিয়ে থাকত। কিংবা বড়দিনের রাতের আরেকটা ছবির কথা বলা যায়–আর্নেস্ট ছাড়া পরিবারের অন্যরা মধ্যরাতে একবার মার্গারিটে খালার বাড়ি থেকে ফেরার সময় তাদের বাড়ির পাশের রেস্তোরাঁর সামনে একটা লোককে শুয়ে থাকতে দেখেছিল।

আরেকটা লোক তাকে ঘিরে নাচানাচি করছিল। দুজনই মদ পানে মত্ত। আরও একটু পান করতে চেয়েছিল। কিন্তু মালিক লোকটা তাদেরকে চলে যেতে বললে তারা মালিকের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে। মালিক তাদেরকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। গুলিটা লোকটার কপালের ডান পাশে বিদ্ধ হয়। তখন ওই লোকটাই শুয়েছিল ফুটপাতের ওপর। মদ আর মারামারিতে মাতাল হয়ে সঙ্গী লোকটা তখন নাচানাচিতে মত্ত। রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেলে সেখানে যারা ছিল পুলিশ আসার আগেই তারা দ্রুত সরে পরে। সেদিন পাড়ার ওই নির্জন কোণে তারা সবাই একে অন্যের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিল। সঙ্গের দুজন মহিলা দুজন বালককে তাদের শরীরের সঙ্গে জাপটে ধরেছিলেন।

কিছুক্ষণ আগের বৃষ্টির ফলে ভেজা রাস্তায় চলমান গাড়ির আলো পড়ে চক চক করছিল। গাড়িঘোড়ার দীর্ঘ ভেজা রাস্তা, মাঝে মধ্যে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিল উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত ট্রলিগাড়িগুলো, ভেতরে উৎফুল্ল ভ্রমণকারীর দল। ওখানকার দৃশ্যের সঙ্গে তারা সংশ্রবহীন, যেন অন্য গ্রহের বাসিন্দা তারা। জ্যাকের ভয়ার্ত হৃদয়ে ওই ঘটনা স্থায়ী একটা ছবির ছাপ তৈরি করে। অন্য ঘটনাবলী মুছে গেলেও স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি ওই ঘটনাটি। নিষ্পাপ এবং উৎসুক বালক জ্যাকের সারাদিনের রাজত্ব ছিল পাড়ার রাস্তা এবং আশপাশের এলাকা।

তবে দিনের শেষে রাতের বেলা রহস্যজনক এবং বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ত। তখন রাস্তায় নেমে আসত কিছু কিছু ছায়াশরীর, কিংবা কখনও কখনও নাম-পরিচয়হীন একটি কোনো ছায়াশরীর, সঙ্গে হালকা পদশব্দ এবং অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর। তারপর সবই পাশের একটা ফার্মেসির গোলাকার রক্তের মতো লাল আলোয় যেন সিক্ত হতো। বালক জ্যাকের হৃদয় আতঙ্কে ভরে উঠলে সে ছুটে আসত তার নিজের জায়গায়, হতভাগ্য বাড়িটাতে।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত