শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান

তার চুল কাটার ধরনে নানির জন্য অবশ্যই চমক একটা ছিল বটে। নানি তাকে আপাদমস্তক এক নজর দেখে তার ওই অপূরণীয় বিপর্যয় সম্পর্কে এক মুহূর্ত চিন্তা করে জ্যাকের সামনেই তার মাকে উদ্দেশ্য করে শুধু বললেন, তোকে এখন আস্ত একটা বেশ্যার মতো দেখাচ্ছে। কথাগুলো বলেই নানি রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন। ক্যাথরিন করমারির মুখ থেকে হাসি উবে গেল।

সমস্ত পৃথিবীর দুঃখ আর ক্লান্তি এসে জমা হলো তার মুখে। জ্যাকের প্রকাশ-উদ্যত মুখের দিকে তাকিয়ে একটুখানি হাসার চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার ঠোঁট কাঁপতে থাকায় মা যেন নিভে গেলেন। কাঁদতে কাঁদতে নিজের শোয়ার ঘরের দিকে দৌড়ে চলে গেলেন। ওটাই তার বিশ্রামের জায়গা, নৈঃসঙ্গের জায়গা, দুঃখ বিলাসের আশ্রয়।

হতবিহ্বল জ্যাক মায়ের পিছে পিছে শোয়ার ঘরে গিয়ে দেখল, মা বালিশে মুখ ডুবিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। তার হালকা পলকা পিঠ কান্নার দমকে দমকে ওঠানামা করছে। চুল ছোট করে ফেলার কারণে মায়ের ঘাড়ের অনেকখানি অনাবৃত।

মাকে হাত দিয়ে আলতো করে ছুঁয়ে জ্যাক ডাক দিল, মামণি, মা। তুমি চুল কাটলেও খুব সুন্দর, মা।

কিন্তু মা মনে হলো শুনলেন না। হাতের ইশারায় তাকে চলে যেতে বললেন। জ্যাক ফিরে এসে দরজার বাজুতে হেলান দিয়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসা আর নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে নীরবে কাঁদতে শুরু করল।

পরবর্তী কয়েক দিন নানি তার মেয়ের সঙ্গে একটা কথাও বললেন না। আঁতোই লোকটাকেও কেউ আর তেমন উষ্ণতায় গ্রহণ করল না। আর্নেস্ট মামা সদানন্দ স্বভাবের এবং বাচাল হলেও আঁতোইয়ের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলল। আঁতোই লোকটা কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিল হয়তো: কী হচ্ছে? জ্যাক বেশ কয়েকবার তার মায়ের সুন্দর চোখ জোড়ায় অশ্রু দেখতে পেয়েছে। আর্নেস্ট সব সময় চুপচাপ নীরবতায় ডুবে রইল এবং কারণে অকারণে ব্রিলিয়ান্টকে মারপিট করতে লাগল। গ্রীষ্মের এক বিকেলে জ্যাক খেয়াল করল, মামা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কী যেন দেখার চেষ্টা করছে।

বালক জ্যাক জিজ্ঞেস করল, ডানিয়েল আসছে না কি?

মামা মুখে কিছু না বলে রাগে ঘোঁৎ ঘোঁৎ করতে লাগল। জ্যাক দেখতে পেল, আঁতোই আসছে। বেশ কয়েকদিন আসেনি লোকটা। আর্নেস্ট দ্রুত বের হয়ে গেল এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সিঁড়ির দিক থেকে ধ্বস্তাধ্বস্তির শব্দ আসতে লাগল। জ্যাক তাড়তাড়ি এগিয়ে গিয়ে দেখল, দুজন অন্ধকারের মধ্যে মারামারি করছে। নিজের দিকে কীভাবে কেমন আঘাত আসছে সেদিকে বিন্দুমাত্র নজর না দিয়ে আর্নেস্ট তার লোহাদণ্ডের মতো শক্ত মুষ্টিতে সমানে ঘুষি চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরই আঁতোই সিড়ি দিয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ে গেল। সে উঠে দাঁড়াতেই দেখা গেল, তার সারা মুখে রক্ত। পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছে নিল সে।

তবে এতক্ষণ আর্নেস্টের ওপর থেকে এক পলকের জন্যও দৃষ্টি সরানোর সাহস পায়নি লোকটা। তখনও আর্নেস্ট উন্মাদের মতো রাগে ফেটে পড়ছে। ভেতরে গিয়ে জ্যাক দেখল, মা নিথর মুখে খাবার টেবিলে বসে আছেন। জ্যাকও চুপ করে বসে রইল তার পাশে। জোরে জোরে গালিগালাজ ঝাড়তে ঝাড়তে আর্নেস্ট ভেতরে চলে এল। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বোনের দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে গেল শুধু। মুখে কিছু বলল না। রাতের খাবার যথারীতি শেষ হয়ে গেল। মা কিছুই খেলেন না। নানি তাকে খেতে বললে মা শুধু বললেন, আমার ক্ষিধে নেই। সবার খাওয়া শেষ হয়ে গেলে মা উঠে শোয়ার ঘরে চলে গেলেন। রাতে ঘুম ভেঙে গেলে জ্যাক বুঝতে পারল, মা নির্ঘুম বিছানায় এপাশ ওপাশ করছেন। পরদিন সকালেই মা কালো পোশাক পরে নিলেন, শুধু গরীবের পোশাক, আর কিছু নয়। জ্যাকের মনে হলো, মায়ের সৌন্দর্যে ঘাটতি পড়েনি; বরং গরীবের পোশাকে তার সৌন্দর্য আরো বেশি করে ফুটে উঠেছে। কারণ মা আরো দূরবর্তী হয়ে গেছেন, নিজের আত্মার ভেতর গুটিয়ে গেছেন। দারিদ্র, নৈঃসঙ্গ আর আসন্ন বার্ধক্যে থিতু হয়ে গেছেন মা।

আর্নেস্ট মামার প্রতি জ্যাক বেশ কিছুদিন অসন্তোষ পুষে রেখেছিল; তবে কেন পুষে রেখেছিল তার উত্তর জানা ছিল না। আবার এরকমও মনে হয়েছে, মামাকে কিছুতেই দোষ দেয়া যায় না। তাদের পরিবার দারিদ্র, দুর্বলতা আর অতীব প্রয়োজনীয়তার ভেতর জীবন অতিবাহিত করত। সেগুলো যদি কোনো কিছুর সঙ্গেই আপোষ না করত তাহলে পরিবারের যে ব্যক্তিটি ওই অসুবিধাগুলোর শিকার হতো তাকে তারা নিশ্চয়ই বিচারাধীন করতে পারত না কিছুতেই।

তাদের পরিবারের লোকেরা একে অন্যকে আঘাত দিতে বাধ্য হয়েছে নিরুপায় হয়েই। তারা প্রত্যেকেই অন্যকে কষ্ট দিয়েছে শুধু যখন আপাত দায়ী ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব দেখতে পেয়েছে জীবনের অতীব প্রয়োজনীয়তার ভেতর। প্রথমত নানির প্রতি, তারপর তার মায়ের প্রতি এবং তাদের প্রতি মামার গভীর অনুরক্তিতে জ্যাক কখনওই সন্দেহ পোষণ করতে পারেনি। তার প্রতি মামার গভীর অনুরক্তি দেখতে পেয়েছে বিশেষ করে যেদিন মামার কারখানায় সে একটা দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল সেদিন। জ্যাক প্রতি বৃহষ্পতিবার মামার কারখানায় যেত। অন্যান্য দিন রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলার জন্য জ্যাক উৎফুল্ল হয়ে ছুটে যেত।

বৃহষ্পতিবার বাড়ির কাজ থাকলে সেগুলো তাড়াতাড়ি গুছিয়ে রেখে মামার কারখানাতেও সেরকম উৎফুল্ল হয়ে ছুটে যেত সে। কারখানাটা ছিল প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশেই। কারখানাটা উঠোনের মতো একটা ফাঁকা জায়গায়। ময়লা আবর্জনা, পুরনো চাকার বলয়, ধাতুমল আর নিভিয়ে ফেলা আগুনের ছাইয়ে ভরা। একদিকে সমান দূরত্বের বড় বড় পাথরের থামের মাথার ওপরে তৈরি ইটের ছাদ। পাঁচ ছয়জন কারিগর ওই ছাদের নিচে কাজ করত।

ওইটুকু জায়গার মধ্যেই প্রত্যেকের কাজের আলাদা আলাদা সীমানা ছিল: দেয়াল ঘেঁষা একটা বেঞ্চ, তার সামনে ফাঁকা জায়গা, সেখানে পিপা কিংবা মদের জালা জড়ো করে রাখা যেত এবং পাশের কারিগরের এলাকা থেকে আলাদা করা যায় এমনভাবে খাঁজকাটা বেঞ্চের মতো ছিল। সেটার মধ্যে পিপার মাথা ঢুকিয়ে দেওয়া যেত। তারপর চাকুর মতো একটা অস্ত্র দিয়ে হাতে সেটার আকার দেওয়া হতো।

তবে এর ধারালো পাশটা থাকত কারিগরের দিকে মুখ করা এবং এর হাতল ধরা থাকত কারিগরের হাতে। আসলে এরকম বিন্যাস প্রথম দর্শনে চোখে পড়ার মতো ছিল না। প্রথম থেকে পরিকল্পনা অবশ্য এরকমই ছিল। তবে আস্তে আস্তে বেঞ্চগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। বেঞ্চের মাঝখানের জায়গা ভরে উঠেছে চাকার বলয় জমা হয়ে। এখানে ওখানে নাটবল্টুর কেনেস্তারা পড়ে আছে। প্রত্যেক কারিগর নিজ নিজ জায়গার মধ্যে যে সব কাজকর্ম সম্পাদন করছে সেগুলো খুটিয়ে দেখতে গেলে অনেক সময়ের দরকার। মামার খাবার নিয়ে তার কাছে পৌঁছনোর আগে দূর থেকেই জ্যাক চাকার বলয়ের ড্রাইভারের ওপরে হাতুড়ির শব্দ শুনে চিনতে পারত।

কাঠের টুকরোটা ঠিক জায়গায় বসানোর পরে ড্রাইভার যন্ত্রটা দিয়ে ধাতব বলয় পিপার গলায় নামিয়ে দেওয়া হতো এবং কারিগর ড্রাইভার যন্ত্রটির এক প্রান্তে বাড়ি মারতে থাকত এবং অন্য প্রান্ত দক্ষতার সঙ্গে বলয়ের চারপাশে ঘোরাতে থাকত। দূর থেকে আরো বেশি ভারী এবং ধীর পৌনঃপুনিকতার শব্দ শুনে জ্যাক আরো বুঝতে পারত, হয়তো কোনো কারিগর দোকানের বাইসের সঙ্গে আটকানো কোনো বলয়ের সঙ্গে নাটবল্টু সেট করছে। হাতুড়ির কোলাহলের মধ্যে জ্যাক ওখানে গিয়ে পৌঁছনোর সময় তাকে সানন্দে গ্রহণ করা হতো এবং এরপর হাতুড়িগুলোর নাচ আবার শুরু হতো। আর্নেস্টের পরনে থাকত পুরনো তালি মারা নীল ট্রাউজার, ঘুণঢাকা কাপড়ের তৈরি দড়ির তলাঅলা জুতা, হাতাছাড়া ধূসর রঙের শার্ট আর একটা রঙচটা পুরনো কিনারাবিহীন টুপি। টুপিটা তার সুন্দর চুলকে ধূলি আর চাঁচনি থেকে রক্ষা করত।

ওখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে মামা জ্যাককে বুকে জড়িয়ে নিত আর মামার কথাবার্তায় জ্যাক বুঝতে পারত, মামার কাজে হাত লাগালে ভালোই হয়। মাঝে মাঝে জ্যাক নেহাইয়ের ওপরে বলয়টাকে ধরে থাকত। আর মামা সেটার সঙ্গে বল্টু লাগানোর জন্য জোরে জোরে বাড়ি মারত। বলয়টা জ্যাকের হাতের মধ্যে কেঁপে কেঁপে উঠত। হাতুড়ির প্রত্যেকটা বাড়ির সঙ্গে সেটা তার তালুতে বসে যেত। কখনও কখনও মামা বেঞ্চের এক প্রান্তে দুপা দুদিকে ছড়িয়ে দিয়ে বসে পড়ত। জ্যাকও একই ভঙ্গিতে অন্য প্রান্তে বসত। জ্যাক পিপার নিচের পাশটা ধরত। আর মামা সেটার আকার দিতে থাকত।

তবে জ্যাকের সবচেয়ে মজা লাগত কাঠের টুকরোগুলো উঠোনের মাঝখানে এনে জড়ো করতে যাতে মামা সেগুলো মোটামুটি চাকার একটা বলয়ের কাছাকাছি সাজিয়ে রাখতে পারে। দুপাশ খোলা পিপার মধ্যে আর্নেস্ট একগাদা চাঁচনি ঢুকিয়ে দিত। আর জ্যাকের দায়িত্ব ছিল সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া। আাগুনের তাপে লোহা আকারে আরো বেশি বিস্তৃতি লাভ করত এবং আর্নেস্ট সে সুযোগে হাতুড়ির সজোর আঘাতে বলয়টাকে বসিয়ে দিত।

এই কাজে ধোঁয়ার কারণে দুজনেরই চোখ জুড়ে অশ্রু নামতে থাকত। বলয়টা জায়গা মতো বসিয়ে দেওয়া হয়ে গেলে জ্যাক উঠোনের কোণের কল থেকে পানি ভরে রাখা কাঠের বালতি নিয়ে আসত। বালতি নামিয়ে দিয়ে জ্যাক খানিকটা সরে দাঁড়াত এবং আর্নেস্ট পিপার ওপরে সজোরে পানি ঢেলে দিত। বলয় ঠাণ্ডা হতে হতে সংকুচিত হয়ে কাঠের ভেতরে ঢুকে পড়ত। সঙ্গে সঙ্গে ওপরের দিকে বাষ্পের কুণ্ডলী উঠে আসত।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত