রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

আর্নেস্ট মামার রাগের আরেকটা ঘটনা মনে আছে জ্যাকের: সেটা খুব বেশি গুরুতর। কারণ আর্নেস্ট মামা আর যোসেফিন মামার বাগবিতণ্ডা শেষ পর্যন্ত ঘুষোঘুষিতে গড়িয়েছিল। যোসেফিন মামা রেলওয়েতে কাজ করত। সে রাতে কোনোদিন বাড়িতে ঘুমাত না। অবশ্য কোথায় ঘুমাত তা সে-ই জানে। পাড়ায় কোথায় যেন একটা রুম ছিল তার। বাড়ির কাউকে সেখানে কোনোদিন নেয়নি। জ্যাকও দেখেনি সে জায়গাটা। খাবার খেত বাড়িতেই এবং সেজন্য সামান্য কিছু টাকা তার মাকে দিত। ভাই হিসেবে যতখানি আলাদা হওয়া যায় ঠিক ততটাই আলাদা ছিল সে আর্নেস্টের থেকে। আর্নেস্টের চেয়ে বয়সে সে দশ বছরের বড় ছিল। ঠোঁটের ওপরে হালকা একগাছি গোঁফ আর নাবিকদের মতো করে কাটা চুলের যোসেফিন মামা ছিল ধীর-স্থির মেজাজের, চাপা এবং হিসেবি। আর্নেস্ট বলত তার ধনসম্পদের প্রতি লোভ বেশি। তার দোষ ধরার ধরনটা ছিল আরো সোজাসাপটা; বলত, ও একটা মোজাবাইট।

তার ব্যাখ্যায় মোজাবাইট মানে হলো, পাড়ার মুদি দোকানদার যারা মোজাব থেকে এসে বহু বছর এই এলাকায় দোকানদারী করত। থাকত তেল আর দারুচিনির গন্ধে ভরা দোকানের পেছনে। তাদের বউ বাচ্চা কেউ থাকত না এখানে। তাদের এই নির্বাসনের মতো জীবনের একটাই উদ্দেশ্য ছিল: এভাবে একাকী জীবন যাপন করে পরিবার পরিজনের জন্য টাকা পয়সা যোগাড় করা। তাদের পরিবার পরিজন সব বাস করত মোজাব এলাকার পাঁচটা শহরে। মরুভূমির যেখানে ওইসব খারেজি গোঁড়া ইসলামপন্থীরা বাস করত সেখানে ধর্মীয় কারণে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির প্রচলন ছিল। সেখানে তাদের আগমন ঘটে বহু শত বছর আগে। ওই এলাকাটাকে তারা নিজেদের বলে বেছে নেয়। কারণ তারা জানত, ওই পাথুরে এলাকায় তাদের কাছ থেকে জমিজমা কেড়ে নেওয়ার জন্য যুদ্ধ করতে আসবে না কেউ। পৃথিবী থেকে গর্তে ভরা প্রাণহীন অন্য কোনো গ্রহ যত দূরে ওই জায়গাটা উপকূলীয় আধা সভ্য এলাকা থেকে ঠিক ততেটাই দূরে। সেখানে তারা বসতি স্থাপন করে এবং অগভীর টোলের পাশে অল্প জায়গায় শহর গড়ে তোলে। অদ্ভূত কৃচ্ছব্রতী বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে তাদের সবল শরীরের পুরুষদের উপকূলবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে যাতে তারা একমাত্র আত্মিক লাভালাভের জগৎ তৈরি করতে পারে। এরপর আরেক দল যখন আসে তাদের ব্যবসায় কর্ম চালাতে তখন শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে আসে তাদের মাটি আর কাদা ঘেরা শহরে যাতে এতদিনের বিশ্বাসে অর্জিত রাজত্বে ভালোভাবে থাকতে পারে। এভাবেই তাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবন যাপন এবং মিতব্যয়িতাকে তাদের গভীর বিশ্বাসের আলোকে বিচার করা হতো। কিন্তু পাড়ার শ্রমজীবি শ্রেণির কেউ ইসলাম ধর্ম এবং এর নবতন্ত্র সম্পর্কে তেমন কিছু জানত না বলে শুধু তাদের ওপরের অবস্থাটাই দেখত।

অন্য সবার মতো আর্নেস্টও যখন তার ভাইকে মজাবাইট বলে দোষারোপ করত তখন তাকে হারপাগোনের সঙ্গেও যেন তুলনা করা হয়ে যেত। যোসেফিন মামা ছিল টাকা পয়সার ব্যাপারে ব্যয়কুণ্ঠ। অন্যদিকে আর্নেস্ট মামা নানির মতে ছিল ‘উদারহস্ত’। আর্নেস্টের ওপর নানি কখনও ক্ষিপ্ত হলে অভিযোগ করে বলতেন, ওর আঙুলের ফাঁক দিয়ে টাকাপয়সা বের হয়ে যায়। দুজনের মধ্যে অমিলের বাইরে আরো একটা বিষয় হলো, আর্নেস্ট মামার চেয়ে যোসেফিন মামার উপার্জন একটু বেশি ছিল। যার কিছুই নেই তার পক্ষেই উদার হওয়া সম্ভব। উদার হওয়ার সামর্থ অর্জনের পর খুব কম মানুষই উদার থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু রাজকুমারেরা যাদের সামনে সবাইকে মাথা নত করতে হয়। যোসেফিনের আর্থিক অবস্থা টাকার বিছানায় গড়াগড়ি দেওয়ার মতো পর্যায়ের ছিল না। খুব হিসাবের সঙ্গে কিছু ব্যবসায় করে তার বেতনের বাইরেও কিছু টাকা উপার্জন করত সে। তথাকথিত খাম ব্যবস্থাপনা চালু করেছিল যোসেফিন।

অবশ্য নতুন খাম কেনার মতো উদারতা তার ছিল না। সে পুরনো খবরের কাগজ কিংবা মুদির দোকানের ঠোঙা থেকে খাম তৈরি করত। রেলওয়েতে কাজ করার সুবাদে সে দুসপ্তাহে একবার করে ভ্রমণের সুযোগ পেত। এক রবিবার পর পর সে ট্রেন ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জংলা এলাকায় চলে যেত। আরব লোকদের খামারে গিয়ে ডিম, মুরগির বাচ্চা কিংবা খরগোশ কিনে নিয়ে এসে পাড়ার লোকদের কাছে বিক্রি করত। তাতে মোটামুটি ভালো মুনাফা পেত। তার জীবন সব দিক থেকেই গোছানো ছিল। তার কোনো নারী সংসর্গ ছিল না। সপ্তাহের কাজের দিনগুলো এবং রবিবারের অবসর সময়ের ফাঁকে নারী সংসর্গ লাভের জন্য ব্যয় করার মতো সময় তার ছিল না। তবে সে সব সময় বলে এসেছে চল্লিশ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠিত কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে। তার আগ পর্যন্ত সে ভাড়া করা ওই রুমে থাকবে, টাকা পয়সা জমাবে এবং মায়ের বাড়ির সঙ্গে খণ্ডকালীন সম্পর্ক রাখবে।

তার স্বভাবের মধ্যে চমৎকারিত্বের অভাবসহ যেরকম বলেছিল তেমন করেই চালিয়ে নিয়েছে তার পরিকল্পনা। যোসেফিন বিয়ে করেছিল এক পিয়ানো শিক্ষককে, চেহারাসুরত মোটেও খারাপ নয় এবং আসবাবপত্রসহ প্রায় বছর পাঁচেকের বুর্জোয়া সম্পত্তি নিয়ে এসেছিল যোসেফিনের সংসারে। সত্য কথা হলো, যোসেফিন আসবাবপত্রগুলো রাখতে পারল ঠিকই, স্ত্রীকে রাখতে পারল না। সে অবশ্য আলাদা কাহিনী। কিন্তু যোসেফিন যেটা বুঝতে পারেনি সেটা হলো, আর্নেস্টের সঙ্গে তার ঝগড়ার পর থেকে সে আর মায়ের বাড়িতে খেতে আসতে পারবে না। তাকে বরং বাধ্য হয়ে রেস্তোরাঁর দামী খাবার খেতে হবে। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ অবশ্য জ্যাকের মনে নেই।

অনেক সময় আজানা কারণে কলহবিবাদ পরিবারের সদস্যদেরকে ভাগ করে ফেলত এবং সত্যিকার অর্থেই কেউ সেই বিবাদের কারণ আর খুঁজে পেত না। তাদের স্মৃতিশক্তি প্রচণ্ড রকমের দুর্বল থাকার কারণে ঝগড়ার কারণ কারো মনে থাকত না। তবে ঝগড়ার ফলাফল নিজেদের মধ্যে জিইয়ে রাখত এবং সেটাকে হজম করার মতো করে চিরতরে মেনেও চলত। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জ্যাকের শুধু মনে আছে, আর্নেস্ট খাওয়ার মাঝখানে টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে তার ভাইয়ের উদ্দেশে যেসব কথা বলছিল সেগুলোর মধ্যে শুধু মজাবাইট কথাটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। যোসেফিন তখন বসা অবস্থাতে খেয়ে যাচ্ছে। তারপর আর্নেস্ট তার ভাইয়ের ওপর চড়াও হলে সেও উঠে দাঁড়িয়ে আর্নেস্টের দিকে তেড়ে আসতে চেষ্টা করে। ততক্ষণে অবশ্য নানি আর্নেস্টকে আড়াল করে দাঁড়িয়েছেন এবং জ্যাকের মা আবেগে ফ্যাকাশে হয়ে যোসেফিনকে পেছন থেকে আটকানোর চেষ্টা করছেন আর বলছেন, বাদ দে, ছেড়ে দে, ওকে কিছু বলিস না।

বালক হেনরি এবং জ্যাক ফ্যাকাশে হা করা মুখে তাকিয়ে সামনের নাটকীয় ঘটনা দেখছে আর একদিকে প্রবাহিত গালিগালাজের বন্যা শুনে যাচ্ছে। অবশেষে যোসেফিন উঠে বলল, ও একটা বোবা পশু; তোমরা ওকে কিছু বলতে পারো না! বলেই টেবিলের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত ঘুরে অর্নেস্টকে ধরার চেষ্টা করল। কিন্তু নানি আর্নেস্টকে ধরে আড়াল করে রেখেছেন বলে আর্নেস্টকে ছুঁতে পারল না সে। আর্নেস্টও মায়ের আড়াল থেকেই হম্বিতম্বি করতে লাগল ভাইয়ের উদ্দেশে।

দরজা ধপাস করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও আর্নেস্ট চিৎকার করতেই লাগল, যেতে দাও আমাকে, যেতে দাও। আমি তোমাকে মারবোই।

কিন্তু নানি তাকে চুল ধরে টেনে এনে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললেন, কী, তুই আমাকে মারবি, তোর মাকে মারবি! এত বড় সাহস তোর!

আর্নেস্ট ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার চেয়ারে বসে পড়ে বলল, না, না, তোমাকে না, ওকে। তুমি তো আমার আশীর্বাদের ঈশ্বরের মতো।

জ্যাকের মা খাওয়া শেষ না করেই নিজের ঘরে চলে গেলেন এবং পরদিন তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হলো। সেদিনের পর থেকে যোসেফিন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। আর্নেস্ট বাড়িতে নেই জানলে কালে ভদ্রে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।

আর্নেস্ট মামার ক্ষিপ্ত অবস্থার আরেকটা উদাহরণ ছিল। সেটা মনে করতে জ্যাকের ভালো লাগেনি কখনও। কারণ জানারও তাগিদ বোধ করেনি সে। আর্নেস্ট মামার মোাটামুটি পরিচিত আঁতোই নামের একটা লোক তাদের বাড়িতে কিছুদিন আসা যাওয়া করেছে। বাজারে তার মাছের ব্যবসায় ছিল। লোকটা মালতিজ থেকে আগত। দেখতে মোটামুটি ভালোই ছিল। হালকা পাতলা গড়নের এবং লম্বা। অদ্ভূত ধরনের কালো একটা হ্যাট পরত; গলায় একটা দোপাট্টা জাতীয় কাপড় থাকত।

সেটার ভাঁজ করা গিট্টু থাকত শার্টের নিচে। তখন মাথায় না এলেও জ্যাক পরে বুঝতে পেরেছে, ওই লোকটার যাওয়া আসার সময়ে তার মায়ের পোশাক আশাকও অনেকটা কেতাদুরস্ত হয়েছিল। উজ্জ্বল রঙের জামা কাপড় আর মুখে রুজ মাখতেন তিনি। ওই সময়টাতে মহিলারা তাদের চুল ছোট করে কাটা শুরু করে। তার পূর্বে তারা লম্বা চুলই রাখত। মাকে এবং নানিকে চুল বাঁধার দৃশ্যে দেখতে ভালো লাগত জ্যাকের। ঘাড়ের ওপরে একটা তোয়ালে ফেলে দিয়ে মুখে একগুচ্ছ চুলের কাঁটা আটকে রেখে অনেকক্ষণ ধরে তারা চিরুনি চালাতেন চুলের মধ্যে। তারপর চুলের গোছা ওপরের দিকে তুলে একটা ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিতেন ঘাড়ের ওপরে। একটুখানি ফাঁকা ঠোঁটের মধ্য দিয়ে দেখা যেত দাঁতের সঙ্গে চুলের কাঁটা আটকে রেখেছেন। একটা একটা করে কাঁটা বের করে এনে চুলের খোপায় গুঁজে দিচ্ছেন। নতুন স্টাইল নানির কাছে হাস্যকর এবং লজ্জাকর মনে হয়েছিল। নতুন ফ্যাশনের কিছু না জানার কারণে যুক্তি-তর্কের বালাই না মেনেই নানি বলতেন যেসব মেয়েরা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য ওই রকম হাস্যকর ফ্যাশন প্রযোজ্য।

জ্যাকের মা নানির মতামতের কথা মনে রেখেছিলেন বলা যায়। তবে বছর খানেক পর যখন আঁতোই লোকটার আনাগোনা শুরু হয়েছে তাদের বাড়িতে তখন একদিন সন্ধ্যায় মা চুল কাটা অবস্থায় বাড়িতে ঢুকলেন। সতেজ এবং নবযৌবনা মনে হলো তাকে। মা বললেন সবাইকে চমকে দেওয়ার জন্য তার ওই ধরনের কেতায় চুল কাটা। আসলে মুখে হাসি ফুটিয়ে কথা বললেও তার ভেতরটা উদ্বিগ্নতায় ভরা ছিল।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক