রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

আর্নেস্ট মামার রাগের আরেকটা ঘটনা মনে আছে জ্যাকের: সেটা খুব বেশি গুরুতর। কারণ আর্নেস্ট মামা আর যোসেফিন মামার বাগবিতণ্ডা শেষ পর্যন্ত ঘুষোঘুষিতে গড়িয়েছিল। যোসেফিন মামা রেলওয়েতে কাজ করত। সে রাতে কোনোদিন বাড়িতে ঘুমাত না। অবশ্য কোথায় ঘুমাত তা সে-ই জানে। পাড়ায় কোথায় যেন একটা রুম ছিল তার। বাড়ির কাউকে সেখানে কোনোদিন নেয়নি। জ্যাকও দেখেনি সে জায়গাটা। খাবার খেত বাড়িতেই এবং সেজন্য সামান্য কিছু টাকা তার মাকে দিত। ভাই হিসেবে যতখানি আলাদা হওয়া যায় ঠিক ততটাই আলাদা ছিল সে আর্নেস্টের থেকে। আর্নেস্টের চেয়ে বয়সে সে দশ বছরের বড় ছিল। ঠোঁটের ওপরে হালকা একগাছি গোঁফ আর নাবিকদের মতো করে কাটা চুলের যোসেফিন মামা ছিল ধীর-স্থির মেজাজের, চাপা এবং হিসেবি। আর্নেস্ট বলত তার ধনসম্পদের প্রতি লোভ বেশি। তার দোষ ধরার ধরনটা ছিল আরো সোজাসাপটা; বলত, ও একটা মোজাবাইট।

তার ব্যাখ্যায় মোজাবাইট মানে হলো, পাড়ার মুদি দোকানদার যারা মোজাব থেকে এসে বহু বছর এই এলাকায় দোকানদারী করত। থাকত তেল আর দারুচিনির গন্ধে ভরা দোকানের পেছনে। তাদের বউ বাচ্চা কেউ থাকত না এখানে। তাদের এই নির্বাসনের মতো জীবনের একটাই উদ্দেশ্য ছিল: এভাবে একাকী জীবন যাপন করে পরিবার পরিজনের জন্য টাকা পয়সা যোগাড় করা। তাদের পরিবার পরিজন সব বাস করত মোজাব এলাকার পাঁচটা শহরে। মরুভূমির যেখানে ওইসব খারেজি গোঁড়া ইসলামপন্থীরা বাস করত সেখানে ধর্মীয় কারণে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির প্রচলন ছিল। সেখানে তাদের আগমন ঘটে বহু শত বছর আগে। ওই এলাকাটাকে তারা নিজেদের বলে বেছে নেয়। কারণ তারা জানত, ওই পাথুরে এলাকায় তাদের কাছ থেকে জমিজমা কেড়ে নেওয়ার জন্য যুদ্ধ করতে আসবে না কেউ। পৃথিবী থেকে গর্তে ভরা প্রাণহীন অন্য কোনো গ্রহ যত দূরে ওই জায়গাটা উপকূলীয় আধা সভ্য এলাকা থেকে ঠিক ততেটাই দূরে। সেখানে তারা বসতি স্থাপন করে এবং অগভীর টোলের পাশে অল্প জায়গায় শহর গড়ে তোলে। অদ্ভূত কৃচ্ছব্রতী বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে তাদের সবল শরীরের পুরুষদের উপকূলবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে যাতে তারা একমাত্র আত্মিক লাভালাভের জগৎ তৈরি করতে পারে। এরপর আরেক দল যখন আসে তাদের ব্যবসায় কর্ম চালাতে তখন শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে আসে তাদের মাটি আর কাদা ঘেরা শহরে যাতে এতদিনের বিশ্বাসে অর্জিত রাজত্বে ভালোভাবে থাকতে পারে। এভাবেই তাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবন যাপন এবং মিতব্যয়িতাকে তাদের গভীর বিশ্বাসের আলোকে বিচার করা হতো। কিন্তু পাড়ার শ্রমজীবি শ্রেণির কেউ ইসলাম ধর্ম এবং এর নবতন্ত্র সম্পর্কে তেমন কিছু জানত না বলে শুধু তাদের ওপরের অবস্থাটাই দেখত।

অন্য সবার মতো আর্নেস্টও যখন তার ভাইকে মজাবাইট বলে দোষারোপ করত তখন তাকে হারপাগোনের সঙ্গেও যেন তুলনা করা হয়ে যেত। যোসেফিন মামা ছিল টাকা পয়সার ব্যাপারে ব্যয়কুণ্ঠ। অন্যদিকে আর্নেস্ট মামা নানির মতে ছিল ‘উদারহস্ত’। আর্নেস্টের ওপর নানি কখনও ক্ষিপ্ত হলে অভিযোগ করে বলতেন, ওর আঙুলের ফাঁক দিয়ে টাকাপয়সা বের হয়ে যায়। দুজনের মধ্যে অমিলের বাইরে আরো একটা বিষয় হলো, আর্নেস্ট মামার চেয়ে যোসেফিন মামার উপার্জন একটু বেশি ছিল। যার কিছুই নেই তার পক্ষেই উদার হওয়া সম্ভব। উদার হওয়ার সামর্থ অর্জনের পর খুব কম মানুষই উদার থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু রাজকুমারেরা যাদের সামনে সবাইকে মাথা নত করতে হয়। যোসেফিনের আর্থিক অবস্থা টাকার বিছানায় গড়াগড়ি দেওয়ার মতো পর্যায়ের ছিল না। খুব হিসাবের সঙ্গে কিছু ব্যবসায় করে তার বেতনের বাইরেও কিছু টাকা উপার্জন করত সে। তথাকথিত খাম ব্যবস্থাপনা চালু করেছিল যোসেফিন।

অবশ্য নতুন খাম কেনার মতো উদারতা তার ছিল না। সে পুরনো খবরের কাগজ কিংবা মুদির দোকানের ঠোঙা থেকে খাম তৈরি করত। রেলওয়েতে কাজ করার সুবাদে সে দুসপ্তাহে একবার করে ভ্রমণের সুযোগ পেত। এক রবিবার পর পর সে ট্রেন ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জংলা এলাকায় চলে যেত। আরব লোকদের খামারে গিয়ে ডিম, মুরগির বাচ্চা কিংবা খরগোশ কিনে নিয়ে এসে পাড়ার লোকদের কাছে বিক্রি করত। তাতে মোটামুটি ভালো মুনাফা পেত। তার জীবন সব দিক থেকেই গোছানো ছিল। তার কোনো নারী সংসর্গ ছিল না। সপ্তাহের কাজের দিনগুলো এবং রবিবারের অবসর সময়ের ফাঁকে নারী সংসর্গ লাভের জন্য ব্যয় করার মতো সময় তার ছিল না। তবে সে সব সময় বলে এসেছে চল্লিশ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠিত কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে। তার আগ পর্যন্ত সে ভাড়া করা ওই রুমে থাকবে, টাকা পয়সা জমাবে এবং মায়ের বাড়ির সঙ্গে খণ্ডকালীন সম্পর্ক রাখবে।

তার স্বভাবের মধ্যে চমৎকারিত্বের অভাবসহ যেরকম বলেছিল তেমন করেই চালিয়ে নিয়েছে তার পরিকল্পনা। যোসেফিন বিয়ে করেছিল এক পিয়ানো শিক্ষককে, চেহারাসুরত মোটেও খারাপ নয় এবং আসবাবপত্রসহ প্রায় বছর পাঁচেকের বুর্জোয়া সম্পত্তি নিয়ে এসেছিল যোসেফিনের সংসারে। সত্য কথা হলো, যোসেফিন আসবাবপত্রগুলো রাখতে পারল ঠিকই, স্ত্রীকে রাখতে পারল না। সে অবশ্য আলাদা কাহিনী। কিন্তু যোসেফিন যেটা বুঝতে পারেনি সেটা হলো, আর্নেস্টের সঙ্গে তার ঝগড়ার পর থেকে সে আর মায়ের বাড়িতে খেতে আসতে পারবে না। তাকে বরং বাধ্য হয়ে রেস্তোরাঁর দামী খাবার খেতে হবে। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ অবশ্য জ্যাকের মনে নেই।

অনেক সময় আজানা কারণে কলহবিবাদ পরিবারের সদস্যদেরকে ভাগ করে ফেলত এবং সত্যিকার অর্থেই কেউ সেই বিবাদের কারণ আর খুঁজে পেত না। তাদের স্মৃতিশক্তি প্রচণ্ড রকমের দুর্বল থাকার কারণে ঝগড়ার কারণ কারো মনে থাকত না। তবে ঝগড়ার ফলাফল নিজেদের মধ্যে জিইয়ে রাখত এবং সেটাকে হজম করার মতো করে চিরতরে মেনেও চলত। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জ্যাকের শুধু মনে আছে, আর্নেস্ট খাওয়ার মাঝখানে টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে তার ভাইয়ের উদ্দেশে যেসব কথা বলছিল সেগুলোর মধ্যে শুধু মজাবাইট কথাটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। যোসেফিন তখন বসা অবস্থাতে খেয়ে যাচ্ছে। তারপর আর্নেস্ট তার ভাইয়ের ওপর চড়াও হলে সেও উঠে দাঁড়িয়ে আর্নেস্টের দিকে তেড়ে আসতে চেষ্টা করে। ততক্ষণে অবশ্য নানি আর্নেস্টকে আড়াল করে দাঁড়িয়েছেন এবং জ্যাকের মা আবেগে ফ্যাকাশে হয়ে যোসেফিনকে পেছন থেকে আটকানোর চেষ্টা করছেন আর বলছেন, বাদ দে, ছেড়ে দে, ওকে কিছু বলিস না।

বালক হেনরি এবং জ্যাক ফ্যাকাশে হা করা মুখে তাকিয়ে সামনের নাটকীয় ঘটনা দেখছে আর একদিকে প্রবাহিত গালিগালাজের বন্যা শুনে যাচ্ছে। অবশেষে যোসেফিন উঠে বলল, ও একটা বোবা পশু; তোমরা ওকে কিছু বলতে পারো না! বলেই টেবিলের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত ঘুরে অর্নেস্টকে ধরার চেষ্টা করল। কিন্তু নানি আর্নেস্টকে ধরে আড়াল করে রেখেছেন বলে আর্নেস্টকে ছুঁতে পারল না সে। আর্নেস্টও মায়ের আড়াল থেকেই হম্বিতম্বি করতে লাগল ভাইয়ের উদ্দেশে।

দরজা ধপাস করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও আর্নেস্ট চিৎকার করতেই লাগল, যেতে দাও আমাকে, যেতে দাও। আমি তোমাকে মারবোই।

কিন্তু নানি তাকে চুল ধরে টেনে এনে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললেন, কী, তুই আমাকে মারবি, তোর মাকে মারবি! এত বড় সাহস তোর!

আর্নেস্ট ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার চেয়ারে বসে পড়ে বলল, না, না, তোমাকে না, ওকে। তুমি তো আমার আশীর্বাদের ঈশ্বরের মতো।

জ্যাকের মা খাওয়া শেষ না করেই নিজের ঘরে চলে গেলেন এবং পরদিন তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হলো। সেদিনের পর থেকে যোসেফিন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। আর্নেস্ট বাড়িতে নেই জানলে কালে ভদ্রে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।

আর্নেস্ট মামার ক্ষিপ্ত অবস্থার আরেকটা উদাহরণ ছিল। সেটা মনে করতে জ্যাকের ভালো লাগেনি কখনও। কারণ জানারও তাগিদ বোধ করেনি সে। আর্নেস্ট মামার মোাটামুটি পরিচিত আঁতোই নামের একটা লোক তাদের বাড়িতে কিছুদিন আসা যাওয়া করেছে। বাজারে তার মাছের ব্যবসায় ছিল। লোকটা মালতিজ থেকে আগত। দেখতে মোটামুটি ভালোই ছিল। হালকা পাতলা গড়নের এবং লম্বা। অদ্ভূত ধরনের কালো একটা হ্যাট পরত; গলায় একটা দোপাট্টা জাতীয় কাপড় থাকত।

সেটার ভাঁজ করা গিট্টু থাকত শার্টের নিচে। তখন মাথায় না এলেও জ্যাক পরে বুঝতে পেরেছে, ওই লোকটার যাওয়া আসার সময়ে তার মায়ের পোশাক আশাকও অনেকটা কেতাদুরস্ত হয়েছিল। উজ্জ্বল রঙের জামা কাপড় আর মুখে রুজ মাখতেন তিনি। ওই সময়টাতে মহিলারা তাদের চুল ছোট করে কাটা শুরু করে। তার পূর্বে তারা লম্বা চুলই রাখত। মাকে এবং নানিকে চুল বাঁধার দৃশ্যে দেখতে ভালো লাগত জ্যাকের। ঘাড়ের ওপরে একটা তোয়ালে ফেলে দিয়ে মুখে একগুচ্ছ চুলের কাঁটা আটকে রেখে অনেকক্ষণ ধরে তারা চিরুনি চালাতেন চুলের মধ্যে। তারপর চুলের গোছা ওপরের দিকে তুলে একটা ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিতেন ঘাড়ের ওপরে। একটুখানি ফাঁকা ঠোঁটের মধ্য দিয়ে দেখা যেত দাঁতের সঙ্গে চুলের কাঁটা আটকে রেখেছেন। একটা একটা করে কাঁটা বের করে এনে চুলের খোপায় গুঁজে দিচ্ছেন। নতুন স্টাইল নানির কাছে হাস্যকর এবং লজ্জাকর মনে হয়েছিল। নতুন ফ্যাশনের কিছু না জানার কারণে যুক্তি-তর্কের বালাই না মেনেই নানি বলতেন যেসব মেয়েরা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য ওই রকম হাস্যকর ফ্যাশন প্রযোজ্য।

জ্যাকের মা নানির মতামতের কথা মনে রেখেছিলেন বলা যায়। তবে বছর খানেক পর যখন আঁতোই লোকটার আনাগোনা শুরু হয়েছে তাদের বাড়িতে তখন একদিন সন্ধ্যায় মা চুল কাটা অবস্থায় বাড়িতে ঢুকলেন। সতেজ এবং নবযৌবনা মনে হলো তাকে। মা বললেন সবাইকে চমকে দেওয়ার জন্য তার ওই ধরনের কেতায় চুল কাটা। আসলে মুখে হাসি ফুটিয়ে কথা বললেও তার ভেতরটা উদ্বিগ্নতায় ভরা ছিল।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশি নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক কিশোরীসহ অন্তত ২৩ তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে এসব কাজ করছেন। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাজ্যটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তরুণীরা বৃহৎ মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। তাদের দৈনিক ২ হাজার রুপি বেতনের কাজের লোভ দেখিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শোষণ ও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

এই যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখন কোনো খদ্দের আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন তাদের বাংলাদেশি তরুণীদের ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে কোনো একজনকে বেঁছে নেয় তারা। এরপর আগেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সবশেষে ওই খদ্দেরকে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয় যেখানে নির্দিষ্ট তরুণী অপেক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোটাক থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে। ওই কিশোরীকে লিংক রোডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় কীভাবে বাংলাদেশি তরুণীদের ওড়িশায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক যৌনকর্মী জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি এখানে আটকা পড়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত ওই যৌনকর্মী জানান, পুরো বিষয়টি পরিচালনা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারণার শিকার এই তরুণীদের কয়েক বছর ধরে আটকে রেখেছে চক্রটি। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় যেসব দালাল এই ব্যবসা চালানোয় ভূমিকা রেখেছে তাদের শনাক্ত করতে সক্রিয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্রা ওড়িশাটিভিকে বলেছেন, “আমরা টুইন সিটিতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad

ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চাপে রেখে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেরুর লিমাতে বসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যদিও ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বিপরীতে আর্জেন্টিনা রার্নাসআপ হয়ে। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয় পায় দুইটিতে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঠিকই জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।

আগামীকাল সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়েকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ