রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বর্ষার গল্প

একটি বৃষ্টির রাত

রাত প্রায় সাড়ে আটটা। বহদ্দারহাটের একটা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। সাথে সাথে শুরু হলো আচমকা ঝড়ো-হাওয়া। তাই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছি একটি দোকানের পাশে। বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও বৃষ্টি থামছে না। আশেপাশে অনেকেই ছিলো। সবাই ভিজে ভিজে চলে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে। কতক্ষণই-বা দাঁড়াবে? দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে রাত দশটা পেরিয়ে যাচ্ছে। একে একে সবাই চলে গেলো। আমি এখনও সাহস করে বৃষ্টিতে ভিজতে পারছি না। ভিজবো কি করে! বৃষ্টিতে ভিজলেই সাথে সাথে জ্বর। এ এক রোগ আমার। তার ভেতর তখনও আমার সর্দি-কাশি ছিলো। সময় গড়াতে গড়াতে একসময় ওই দোকানের আশে পাশেও কেউ নেই। আমি একা দাঁড়িয়ে আছি।

আকাশে প্রচণ্ড বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বজ্রপাতের শব্দ হচ্ছে। বৃষ্টির মাত্র বেড়ে গিয়েছে। রাত ১১ টা বাজতে আর ২ মিনিট বাকি আছে। বাসা থেকে বাবার ফোন এসেছে। রিসিভ করার আগেই ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মোবাইলের চার্জ শেষ। কি এক যন্ত্রণা!

এবার বাসার সবাই চিন্তা করবে। কোনো রকম বহদ্দারহাট মোড়ে এসে পৌঁছাতে পারলেও গাড়ি পাওয়া যেতো। আমি এখন বহদ্দারহাটের একটি রোডের ভেতর আটকে আছি। এটা দিয়ে সোজা হাজির পুল যাওয়া যায়। আমি নিজেও হাজির পুল থেকে আসছিলাম। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। যে দোকানের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম সেই দোকানদার যাওয়ার সময় বলেছিলো এগারোটা সতেরো বাজে। এখন তো আরও ১০/১৫ মিনিট হয়ে গেছে। আশেপাশে কোনো দোকান খোলা নেই আর। সবকিছু বন্ধ। নেই কোনো আলো। কোনো গাড়ি যাওয়া আসাও করছে না। খালি তো দূরের কথা, যাত্রী আছে এমন কোনো গাড়িও দেখছি না। অপেক্ষা করতে করতে কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে। একসাথে অনেক কিছুর ভয়। সন্ত্রাসের ভয়, ছিনতাইকারীর ভয়। এসবকিছুর চেয়েও বেশি ভয় পাচ্ছি অদৃশ্য কিছুর। আমি সচারাচর এমন ভয় পাই না। কিন্তু দোকানদার যাওয়ার সময় ভয়টা ঢুকিয়ে দিয়ে গেলো।

রাত বারোটা বেজে যাচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজতেই হবে। চারপাশে হঠাৎ অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে। ইচ্ছে করছে দৌড় দিতে। কেমন একটা বিকট শব্দ হচ্ছে। এবার কিন্তু প্রচণ্ড ভয় হচ্ছে। রাতও অনেক হয়েছে। মোবাইল বন্ধ না থাকলে অন্তত মোবাইলের আলো থাকতো। আর সময়টাও দেখতে পেতাম।

চারপাশের অদ্ভুত শব্দ শুনে আর দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে আর তিন ঘণ্টা দাঁড়ালেও গাড়ির দেখা পাব না। সমস্যা হচ্ছে বৃষ্টিটাও থামছে না। যার কারণে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এভাবে এক জায়গায় একা একা সাড়ে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা খুব সহজ বিষয় না। এবার চোখ বন্ধ করে মাথাটা বৃষ্টির নিচে দিয়ে এগিয়ে চললাম। এমনভাবে এগুচ্ছি যেন পেছন থেকে আমাকে কেউ তাড়া করছে। আমি এগুতে এগুতে আবিষ্কার করলাম আমাকে কেউ অনুসরণ করছে। কিন্তু পেছনে আমি ফিরে দেখছি না। দেখার সাহসও পাচ্ছি না। হাঁটার গতি বেড়ে গেছে আমার। মনে হচ্ছে আমি হাঁটছি না, দৌড়াচ্ছি। একসময় মনে হচ্ছে আমার পেছনে কেউ দৌড়াচ্ছে। এবার থেমে গেলাম আমি। খুব ভয় নিয়ে পেছন ফিরে তাকালাম।

পুরো শরীর আমার কেঁপে উঠল। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তার চেহারা স্পষ্ট না। আমার চেয়ে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা জিনিসটি কি মানুষ না অন্যকিছু তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি কোনো শব্দ করলাম না। মুখ দিয়ে কিছু বেরও হচ্ছে না। আবারও এগিয়ে যেতে থাকলাম। আমি বুঝতে পারছি সেও আমার পেছনে আসছে। এবার মনে হচ্ছে আমার খুব কাছে এসে গেছে সে। একটু পরই আমাকে ছুঁয়ে ফেলবে। আমি আবারও দাঁড়িয়ে গেলাম। পেছনের সেও দাঁড়িয়ে গেছে। আমার মনে হচ্ছে আমার শরীরের খুব পেছনে সে। সে আসলে কে তা আমি এখনও নিশ্চিত নাই। দাঁড়ানো অবস্থায় ভাবছি কি করবো? সাহস করে পেছনে ফিরব?

না, জোরে একটা চিৎকার দিবো। না, এর আগে জিজ্ঞেস করা দরকার কে সে?
আমি পেছনে না তাকিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলাম, কে আপনি?
কোনো সাড়া শব্দ নেই, আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম কে আপনি?

এবার উত্তর এলো। আমি বুঝতে পারছিলাম না এটা কি মানুষর শব্দ না অন্যকিছু। নাকি আসলে কিছুই না। সে আমাকে বললে, আমি তোমার সঙ্গী।
আমি এবার সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি বললাম, আমার সঙ্গীর দরকার নেই। আপনি চলে যান। আমার কাছে কোনো টাকা পয়সা নেই। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া আছে শুধু। আর মোবাইলটা নষ্ট। তবুও লাগলে নিয়ে যান।

সে বোধহয় আমার খুব কাছে এসে গেছে। আমার পেছন থেকে কানের কাছে এসে বলে, আমার তোমাকে চাই। আর সাথে সাথে পেছন ফিরে তাকাতেই বিকট একটি চিৎকার দিলাম আমি।

এরপর আর কিছু বলতে পারছি না। বাসায় বাবা-মা সবাই আমার মাথায় পানি ঢালছে। আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে?
আম্মু বলল, এখানে কে নিয়ে আসবে মানে? তুই তো এখানেই ছিলি। ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিস।

আমি লক্ষ্য করেছি সবার চোখে পানি, সবাই বোধহয় কান্না করেছে। তবে আমার মাথায় কিছু আসছে না। ওরা কি আমাকে কিছু লুকাচ্ছে? নাকি আমি আসলেই ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেছি এটা। বাবা-মা বললো আমি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। কি দেখেছি সেটা জানতে চাইছে তাঁরা।

অথচ আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। বাবাকে যাওয়ার সময় বলেই গেলাম বহদ্দরহাটে আমার একটা কাজ ছিলো। বাবাকে বললাম, তুমি তো আমাকে ফোন দিয়েছিলে। মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে আমার। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখালাম মোবাইল বন্ধ।
বাবা-মা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর বাবা বলল, মোবাইল তো আমার সামনেই বন্ধ করেছিস তুই। রাতে বিভিন্ন ধরনের ফোন আসে। ঘুমোতে পারিস না এজন্য নিজেই বন্ধ করে রেখেছিস।
আমি বাবাকে বললাম, তাহলে তোমার মোবাইলটা দাও। বাবা নিজের মোবাইল এনে আমার হাতে দিলো। আমি দেখলাম বাবার মোবাইলের ডায়াল লিস্টে আমার নম্বর নেই।
তাহলে কি আমি স্বপ্ন দেখেছি? তবুও আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এটা স্বপ্ন নয়, এটা সত্যি।

 

লেখক : আজহার মাহমুদ
শিক্ষার্থী : বিবিএ-অনার্স, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ (৩য় বর্ষ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ওমরগনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম।
ইমেইল : azharmahmud705@gmail.com
ঠিকানা : সালাম হাইটস (৪র্থ তলা), খুলশী-১, চট্টগ্রাম ৪২০২।

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি