শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বর্ষার গল্প

একটি বৃষ্টির রাত

রাত প্রায় সাড়ে আটটা। বহদ্দারহাটের একটা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। সাথে সাথে শুরু হলো আচমকা ঝড়ো-হাওয়া। তাই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছি একটি দোকানের পাশে। বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও বৃষ্টি থামছে না। আশেপাশে অনেকেই ছিলো। সবাই ভিজে ভিজে চলে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে। কতক্ষণই-বা দাঁড়াবে? দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে রাত দশটা পেরিয়ে যাচ্ছে। একে একে সবাই চলে গেলো। আমি এখনও সাহস করে বৃষ্টিতে ভিজতে পারছি না। ভিজবো কি করে! বৃষ্টিতে ভিজলেই সাথে সাথে জ্বর। এ এক রোগ আমার। তার ভেতর তখনও আমার সর্দি-কাশি ছিলো। সময় গড়াতে গড়াতে একসময় ওই দোকানের আশে পাশেও কেউ নেই। আমি একা দাঁড়িয়ে আছি।

আকাশে প্রচণ্ড বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বজ্রপাতের শব্দ হচ্ছে। বৃষ্টির মাত্র বেড়ে গিয়েছে। রাত ১১ টা বাজতে আর ২ মিনিট বাকি আছে। বাসা থেকে বাবার ফোন এসেছে। রিসিভ করার আগেই ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মোবাইলের চার্জ শেষ। কি এক যন্ত্রণা!

এবার বাসার সবাই চিন্তা করবে। কোনো রকম বহদ্দারহাট মোড়ে এসে পৌঁছাতে পারলেও গাড়ি পাওয়া যেতো। আমি এখন বহদ্দারহাটের একটি রোডের ভেতর আটকে আছি। এটা দিয়ে সোজা হাজির পুল যাওয়া যায়। আমি নিজেও হাজির পুল থেকে আসছিলাম। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। যে দোকানের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম সেই দোকানদার যাওয়ার সময় বলেছিলো এগারোটা সতেরো বাজে। এখন তো আরও ১০/১৫ মিনিট হয়ে গেছে। আশেপাশে কোনো দোকান খোলা নেই আর। সবকিছু বন্ধ। নেই কোনো আলো। কোনো গাড়ি যাওয়া আসাও করছে না। খালি তো দূরের কথা, যাত্রী আছে এমন কোনো গাড়িও দেখছি না। অপেক্ষা করতে করতে কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে। একসাথে অনেক কিছুর ভয়। সন্ত্রাসের ভয়, ছিনতাইকারীর ভয়। এসবকিছুর চেয়েও বেশি ভয় পাচ্ছি অদৃশ্য কিছুর। আমি সচারাচর এমন ভয় পাই না। কিন্তু দোকানদার যাওয়ার সময় ভয়টা ঢুকিয়ে দিয়ে গেলো।

রাত বারোটা বেজে যাচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজতেই হবে। চারপাশে হঠাৎ অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে। ইচ্ছে করছে দৌড় দিতে। কেমন একটা বিকট শব্দ হচ্ছে। এবার কিন্তু প্রচণ্ড ভয় হচ্ছে। রাতও অনেক হয়েছে। মোবাইল বন্ধ না থাকলে অন্তত মোবাইলের আলো থাকতো। আর সময়টাও দেখতে পেতাম।

চারপাশের অদ্ভুত শব্দ শুনে আর দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে আর তিন ঘণ্টা দাঁড়ালেও গাড়ির দেখা পাব না। সমস্যা হচ্ছে বৃষ্টিটাও থামছে না। যার কারণে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এভাবে এক জায়গায় একা একা সাড়ে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা খুব সহজ বিষয় না। এবার চোখ বন্ধ করে মাথাটা বৃষ্টির নিচে দিয়ে এগিয়ে চললাম। এমনভাবে এগুচ্ছি যেন পেছন থেকে আমাকে কেউ তাড়া করছে। আমি এগুতে এগুতে আবিষ্কার করলাম আমাকে কেউ অনুসরণ করছে। কিন্তু পেছনে আমি ফিরে দেখছি না। দেখার সাহসও পাচ্ছি না। হাঁটার গতি বেড়ে গেছে আমার। মনে হচ্ছে আমি হাঁটছি না, দৌড়াচ্ছি। একসময় মনে হচ্ছে আমার পেছনে কেউ দৌড়াচ্ছে। এবার থেমে গেলাম আমি। খুব ভয় নিয়ে পেছন ফিরে তাকালাম।

পুরো শরীর আমার কেঁপে উঠল। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তার চেহারা স্পষ্ট না। আমার চেয়ে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা জিনিসটি কি মানুষ না অন্যকিছু তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি কোনো শব্দ করলাম না। মুখ দিয়ে কিছু বেরও হচ্ছে না। আবারও এগিয়ে যেতে থাকলাম। আমি বুঝতে পারছি সেও আমার পেছনে আসছে। এবার মনে হচ্ছে আমার খুব কাছে এসে গেছে সে। একটু পরই আমাকে ছুঁয়ে ফেলবে। আমি আবারও দাঁড়িয়ে গেলাম। পেছনের সেও দাঁড়িয়ে গেছে। আমার মনে হচ্ছে আমার শরীরের খুব পেছনে সে। সে আসলে কে তা আমি এখনও নিশ্চিত নাই। দাঁড়ানো অবস্থায় ভাবছি কি করবো? সাহস করে পেছনে ফিরব?

না, জোরে একটা চিৎকার দিবো। না, এর আগে জিজ্ঞেস করা দরকার কে সে?
আমি পেছনে না তাকিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলাম, কে আপনি?
কোনো সাড়া শব্দ নেই, আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম কে আপনি?

এবার উত্তর এলো। আমি বুঝতে পারছিলাম না এটা কি মানুষর শব্দ না অন্যকিছু। নাকি আসলে কিছুই না। সে আমাকে বললে, আমি তোমার সঙ্গী।
আমি এবার সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি বললাম, আমার সঙ্গীর দরকার নেই। আপনি চলে যান। আমার কাছে কোনো টাকা পয়সা নেই। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া আছে শুধু। আর মোবাইলটা নষ্ট। তবুও লাগলে নিয়ে যান।

সে বোধহয় আমার খুব কাছে এসে গেছে। আমার পেছন থেকে কানের কাছে এসে বলে, আমার তোমাকে চাই। আর সাথে সাথে পেছন ফিরে তাকাতেই বিকট একটি চিৎকার দিলাম আমি।

এরপর আর কিছু বলতে পারছি না। বাসায় বাবা-মা সবাই আমার মাথায় পানি ঢালছে। আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে?
আম্মু বলল, এখানে কে নিয়ে আসবে মানে? তুই তো এখানেই ছিলি। ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিস।

আমি লক্ষ্য করেছি সবার চোখে পানি, সবাই বোধহয় কান্না করেছে। তবে আমার মাথায় কিছু আসছে না। ওরা কি আমাকে কিছু লুকাচ্ছে? নাকি আমি আসলেই ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেছি এটা। বাবা-মা বললো আমি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। কি দেখেছি সেটা জানতে চাইছে তাঁরা।

অথচ আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। বাবাকে যাওয়ার সময় বলেই গেলাম বহদ্দরহাটে আমার একটা কাজ ছিলো। বাবাকে বললাম, তুমি তো আমাকে ফোন দিয়েছিলে। মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে আমার। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখালাম মোবাইল বন্ধ।
বাবা-মা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর বাবা বলল, মোবাইল তো আমার সামনেই বন্ধ করেছিস তুই। রাতে বিভিন্ন ধরনের ফোন আসে। ঘুমোতে পারিস না এজন্য নিজেই বন্ধ করে রেখেছিস।
আমি বাবাকে বললাম, তাহলে তোমার মোবাইলটা দাও। বাবা নিজের মোবাইল এনে আমার হাতে দিলো। আমি দেখলাম বাবার মোবাইলের ডায়াল লিস্টে আমার নম্বর নেই।
তাহলে কি আমি স্বপ্ন দেখেছি? তবুও আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এটা স্বপ্ন নয়, এটা সত্যি।

 

লেখক : আজহার মাহমুদ
শিক্ষার্থী : বিবিএ-অনার্স, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ (৩য় বর্ষ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ওমরগনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম।
ইমেইল : azharmahmud705@gmail.com
ঠিকানা : সালাম হাইটস (৪র্থ তলা), খুলশী-১, চট্টগ্রাম ৪২০২।

 

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু