শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

অহংকার পতনের আগে আগে চলে-এই সত্য নিয়েই জ্যাকের শিক্ষা যেন পূর্ণতা পায়। সে ভেবেছিল, পরদিন তার বন্ধুদের বাহবার জবাব হিসেবে নিজের অহংকারী আচরণ প্রদর্শন করবে। ক্লাসের শুরুতেই হাজিরার সময় মুনোজের কোনো সাড়া পাওয়া গেল না; জ্যাকের পাশের বন্ধুরা মুনোজের অনুপস্থিতির বিষয়টাকে কটাক্ষ করে বিজয়ী জ্যাকের দিকে মন্তব্য ছুড়ে দিল এবং চোখের ইশারায় বাঁকা চাহনিতে বাহবা দিল। জ্যাক তাদের প্রতি সাড়া দিতে গিয়ে যেন অহংকারের কাছেই সপে দিল নিজেকে: গাল ফুলিয়ে চোখ আধ বোঁজা অবস্থায় ওদের দিকে যখন সে তাকিয়েছে তখন বুঝতেই পারেনি, এম বার্নার্ড তাকে দেখছেন। তামাশা দেখানোর জন্য অদ্ভূত অনুকৃতির আশ্রয় নিয়েছে জ্যাক; তবে তার চোখের ওই অদ্ভূত চাহনি মিইয়ে গেল যখন সে সুনসান নীরব ক্লাসে এম বার্নার্ডের কণ্ঠ শুনতে পেলো, ‘স্যারের হতভাগা পোষা ছাত্র’, অন্যদের মতো তোমারও মিষ্টি লাঠির ওপরে সমান অধিকার আছে। উঠে দাঁড়িয়ে, শাস্তির অস্ত্রটা নিয়ে এসে এম বার্নার্ডের চারপাশে ভেসে বেড়ানো সতেজ কোলনের সুগন্ধের মধ্যে শাস্তির অবমাননাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া ছাড়া বিজয়ীর সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না।

ফলিত দর্শনের মধ্য দিয়ে পাওয়া ওই শিক্ষার মাধ্যমে মুনোজ অধ্যায়ের শেষ হয়নি। মুনোজ আরো দুদিন অনুপস্থিত থাকল এবং জ্যাক ওপরে ওপরে যতই বাহাদুরির ভাব দেখাক না কেন, ভেতরে ভেতরে সেও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তৃতীয় দিনে ওপরের ক্লাসের এক ছাত্র এসে এম বার্নার্ডকে খবর দিল অধ্যক্ষ করমারি নামের ছেলেটিকে ডেকে পাঠিয়েছেন। শুধু গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটালেই অধ্যক্ষ ডেকে পাঠাতেন। শ্রেণি শিক্ষক তার ঘন ভ্রু পল্লব তুলে শুধু বলতেন, তাড়াতাড়ি যাও। আশা করি কোনো রকম বোকামি করোনি। স্খলিত পায়ে জ্যাক ওপরের ক্লাসের ছেলেটার পিছে পিছে রওনা হলো করিডোর পেরিয়ে সিমেন্ট বাঁধানো উঠোনের দিকে। করিডোরের কাগজের গাছগুলোকে ছোপ ছোপ আলো বাইরের তাপ থেকে রক্ষা করতে পারেনি। করিডোরের শেষ প্রান্তে অধ্যক্ষের অফিস। অফিস রুমে ঢুকেই জ্যাক দেখতে পেল, অধ্যক্ষের ডেস্কের সামনে দাঁড়ানো নালিশ উপস্থাপনরত দুজন নারী পুরুষ মুনোজকে আগলে রেখেছেন। যদিও ফোলা এবং পুরোপুরি বন্ধ চোখের কারণে মুনোজের মুখের চেহারা বিদঘুটে দেখাচ্ছে তবু জ্যাক স্বস্তি পেল যে, সে জীবিত আছে। তবে ওই স্বস্তি উপভোগ করার মতো সময় সে মোটেও পেল না।

টাক মাথার বেঁটে এবং লালমুখো অধ্যক্ষ তার প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে খুব জোরালো গলায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমিই একে চোখে আঘাত করেছ?
নিস্পৃহ কণ্ঠে জ্যাক বললো, হ্যাঁ।
মহিলা বললেন, আমি বলেছি না, জনাব, আমার আঁদ্রে গুণ্ডা নয়।
জ্যাক শুধু বলতে পারল, আমাদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল।

অধ্যক্ষ বললেন, আমি এতসব জানতে চাচ্ছি না। আমি সব ধরনের মারামারি নিষেধ করে দিয়েছি। এমনকি স্কুলের বাইরেও। তুমি তোমার সহপাঠিকে মেরে যখম করে দিয়েছ। আঘাতটা তো আরো মারাত্বক হতে পারত। প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক শাস্তি হিসেবে তোমাকে এক সপ্তাহব্যাপী ক্লাসের সব বিরতির সময় মাঠের কোণে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এধরনের কাজ আবার করলে তোমাকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হবে। তোমার শাস্তির কথা তোমার বাবা মাকেও জানাব আমি। তুমি এখন তোমার ক্লাসে যেতে পারো। জ্যাক বজ্রাহতের মতো চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। অধ্যক্ষ ধমক ছাড়লেন, যাও বলছি!

জ্যাক কাঁদতে কাঁদতে ক্লাসে ফিরে আসার সময় এম বার্নার্ড বললেন, ঠিক আছে বাহাদুর? বলে যাও আমি শুনছি। জ্যাক প্রথমে তার শাস্তির কথা বলল; তারপর জানাল, মুনোজের বাবা মা তার নামে নালিশ করেছেন এবং সবশেষে জানাল, তাদের মারামারির কথা।

এম বার্নার্ড জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা মারামারি করেছ কেন?
মুনোজ আমাকে ‘স্যারের পোষা ছাত্র’ বলেছে।
আবারো বলেছে?
না, আর বলেনি। এখানে ক্লাসে বলেছিল।
আহা, সে তো আমি জানিই। তুমি মনে করেছ আমি তোমাকে ঠিকমতো সমর্থন দিইনি।
জ্যাক এম বার্নার্ডের দিকে অশ্রুভরা চোখে তাকিয়ে বলতে থাকল, না না। তা নয়। আসলে...। আর কিছু বলতে না পেরে জ্যাক ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে।
এম বার্নার্ড বললেন, যাও, বসে পড়ো।
জ্যাক অশ্রুভেজা চাহনিতে বলল, এটা ঠিক হয়নি।
এম বার্নার্ড প্রশান্ত কণ্ঠে বললেন, ঠিক হয়েছে। তুমি বুঝতে পারোনি।

পরদিন ক্লাসের বিরতির সময় জ্যাক খেলার মাঠের এক কোণায় হৈচৈরত বন্ধুদের দিকে পেছন ফিরে তার শাস্তির নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে রইল। মাঝে মাঝে শরীরের ওজন এক পা থেকে অন্য পায়ে স্থানান্তর করতে থাকল। সে সময় অন্যদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে ওঠার জন্য তার মনটা ছটফট করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর পর চোরা চোখে তাকানোর চেষ্টায় সে পেছনের দিকে দেখতে পেল, এম বার্নার্ড তার অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে মাঠের কোণায় পায়চারি করছেন। তিনি জ্যাকের দিকে তাকাচ্ছেন না। দ্বিতীয় দিনে জ্যাক খেয়াল করতে পারেনি, এম বার্নার্ড কখন তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন। জ্যাকের ঘাড়ের কাছে টোকা দিয়ে তিনি বললেন, মুখ এত ভারী হয়ে আছে কেন ক্ষুদে মানব? মুনোজও মাঠের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে আমি তোমাকে ওর দিকে তাকানোর অনুমতি দিলাম। আসলেই মুনোজও মাঠের আরেক কোণায় গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এম বার্নার্ড হেসে বললেন, তোমার শাস্তি ভোগের এই পুরো এক সপ্তাহ তোমার সাঙ্গপাঙ্গরা ওর সঙ্গে খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছ, তুমি একা শুধু শাস্তি পাচ্ছো না। এরকমই হওয়া উচিত। জ্যাককে আরো কিছু বলার জন্য তার দিকে আরেকটু ঝুঁকে এলেন মে বার্নার্ড। স্নেহের হাসি ছড়িয়ে বললেন, জানো তো, তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝা যায় তুমি যে এত বড় একটা ঘুষি দিতে পারো তা তুমি নিজেই জানতে না মনে হয়। শুনে জ্যাকের সমস্ত হৃদয় ভালোবাসায় প্লাবিত হয়ে গেল।

আজ যিনি ক্যানারি পাখির সঙ্গে কথা বলছেন এবং চল্লিশ বছর বয়সী জ্যাককে কিডো বলছেন তার কাছ থেকে জ্যাককে এত বছরের দীর্ঘ একটা সময়, ভৌগলিক দূরত্ব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রথমত আংশিক এবং পরে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। তার ছেলেবেলায় ১৯৪৫ সালে একদিন সৈনিকের কোট পরা একজন বয়স্ক টেরিটোরিয়াল প্যারিসে তার দরজায় কড়া নেড়েছিল বলে অল্প বয়সী জ্যাক খুশি হয়েছিল। তিনি এম বার্নার্ড, নিজেই বলেছিলেন তিনি আবারো সৈনিকের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন-যুদ্ধের জন্য নয়, হিটলারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, বৎস, তুমিও যুদ্ধ করেছ; আমি জেনেছি তুমি সঠিক ধাতুইে গড়া। তুমি তোমার মাকে ভুলে যাওনি। কেননা পৃথিবীতে মা-ই সবার সেরা। আমি আলজিয়ার্সে চলে যাচ্ছি। ওখানে আসলে আমার সঙ্গে দেখা না করে এসো না। বিগত পনেরো বছর ধরে জ্যাক তার সঙ্গে দেখা করে আসছে। প্রতিবারই বিদায় নেওয়ার আগে জ্যাক দরজার কাছে এসে গভীর আবেগে থরথর এই বুড়ো মানুষটাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে। বিশ্বের বুকে চলার জন্য ইনিই জ্যাককে তৈরি করে দিয়েছেন। জ্যাক যাতে আরো আরো বেশি কিছু আবিষ্কার করতে পারে সেই উদ্দেশে তিনি জ্যাকের শিকড় কেটে দেওয়ার দায়িত্ব একাই পালন করেছেন।

(চলবে...)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ