দুইটি কবিতা
অবয়বহীন
-নাসির আহমেদ
একজন ভাস্করকে জানি -যে মাটি,কাঠ
এমনকি পাথর কুঁদে তৈরি করে শিল্পের সুন্দর!
আমার বারান্দা থেকে দেখা যায় তার সৃষ্টি কর্মশালা ;
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি আর ভাবি : সৌন্দর্য পিপাসা!
আমার ব্যক্তিগত অনেক দুঃখতাপ -নিঃসঙ্গতার দহন
কেমন নিভে যায় তার এইসব আশ্চর্য সুন্দর শিল্প দেখে!
আমার শূন্য উদ্যান ভরে ওঠে সবুজে-শ্যামলে, ফুল ফোটে।
আমি অদৃশ্য ফুলের সেই ঘ্রাণে বুঁদ হয়ে বসে থাকি বারান্দায় একা।
ভাস্কর গড়েছে এক আশ্চর্য প্রতিমা সুন্দরীর!
কী অপূর্ব স্তনের লাবণ্য ওই প্রাণহীন কাঠ থেকে ঝরে!
চোখের তারার নীলশোভা : বোবা দৃষ্টি কথা বলে ওঠে!
ঘুমের ভেতরে আমি ওই নারীর সঙ্গে হাঁটি জ্যোৎস্নার উঠোনে।
একজন ভাস্কর তার প্রেম দিয়ে শিল্পে প্রাণ করেছে স্থাপন
অতঃপর জেনে যাই কী আনন্দ দূরে থেকে যৌথ যাপন!
দেখা
-মারুফুল ইসলাম
ঘোড়ায় চড়া তোমাকে দেখে রাজেন্দ্রাণী মনে হয়নি আমার
বরং বিকেলের সূর্যের বিপরীতে ছুটে আসা একটা উচ্ছল দীঘল হাসি
টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল
সৈকতে বালুকণায়
আমি সেগুলো ঝিনুক ভেবে কুড়িয়ে নিয়েছি
মালা গাঁথব বলে
তুমি সে মালা পরে ছুটে যাবে জলে
জল তোমাকে টানবে এবং ঠেলবে
মানুষ যেমন মানুষকে কাছে টেনে নেয়
এবং দূরে ঠেলে দেয়
তুমি দোলাচলে দুলবে শরীরে ও মনে
বালুকাবেলার জলে
আর আমি তোমাকে দেখতে দেখতে
পৌরাণিক পথ ধরে হেঁটে যেতে থাকব সেখানে
যেখানে সূর্য কখনো ডোবে না অস্তাচলে