শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফিরে আসার ওয়াদা

২৬ সে মার্চের মধ্য রাত তখন। হঠাৎ জাফর সাহেবের টেলিফোন বেজে উঠে। এত রাতে ফোন আসায় কিছুটা অবাক হন জাফর সাহেব। সুয়া থেকে উঠে ফোন কানে ধরতেই উপর প্রান্ত থেকে ক্লান্তমাখা কণ্ঠে সালাম দেয় জাফর সাহেবের ছোট ভাই ইকবাল। সালাম শেষে ইকাবাল জানায় " ভাই আমাদের এখানকার অবস্থা তেমন ভালো নেই। পাকিস্থানী হানাদাররা হামলা দিয়েছে এখানে। কিছুক্ষণ আগে আমাদের হোস্টেলেও আক্রমন করেছে। এখন আমরা পলাতক আছি। দোয়া কইরেন আমার জন্য।" এ বলেই ফোন রাখেন ইকবাল। ছোট ভাইয়ের এমন কথা শুনে দু্শ্চিন্তায় পরে যায় জাফর সাহেব। কী করবে এখন! কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।

পরের দিন সকালে ফোন দেয় সহকর্মী জসিম মিয়া। সে ও একই রকম খবর জানায়। সাথে গ্রামেও হানা দেওয়ার সম্বাবনা আছে বলে সতর্ক করে দেয় জাফর সাহেবকে। এই খবর শুনার পর জাফর সাহেবের দুশ্চিন্তার মাত্রা ভেড়ে যায় দিগুণ। গ্রামের লোকেরা একে একে সকলেই নিজে পরিবার ছেড়ে নেমে পরে মরণময় যুদ্ধে। জাফর সাহেবেও ইচ্ছে করে তাদের সাথে যুদ্ধে যেতে। কিন্তু ঘরে যে সদ্য বিয়ে করা নতুন বউ। তাকে একা ফেলে যাবে কিভাবে। পাকিস্থানী হানাদাররা যখন জাফর সাহেবের নিজ এলাকায় হানা দিলো তখন আর বসে থাকতে পারলেন না তিনি। নববধূর কাছে দেশকে স্বাধীন করে আবার পুরনায় ঘরে ফিরে আসার ওয়াদা করে যুদ্ধে বের হন জাফর সাহেবও। নববধূর মন না চাইলেও বিদায় দিতে হলো স্বামিকে।

এরপর প্রতিদিনই নববধূর দুটি চোখ শত আক্ষেপ নিয়ে চেয়ে থাকতো পথপানে। কবে আসবে তার স্বামি! এক রাতে পাকিস্থানীরা আগুন লাগিয়ে দেয় জাফর সাহেবর বাড়িতে। জাফর সাহেবের স্ত্রী আশ্রয় নেয় তার বাবার বাড়িতে। দেশে যুদ্ধ চলতে থাকে আপন গতিতে। কখন এখানে গুলির আওয়াজ আবার কখনো ওখানে। হানাদাররা ঘরের পর ঘর জালিয়ে দিচ্ছে নির্মমতার আগুনে। জাফর সাহেব যুদ্ধে গিয়েছে আজ চার মাস হলো। এর মাঝে একদিন মধ্যরাতে এসে দেখা করে যায় নববধূর সাথে। তখন জাফর সাহেবের সাথে ছিল আরো বহু যুদ্ধা তাই বধূকে বেশিক্ষণ সময় দিতে পারেননি তিনি। দুইএক কথা বলেই চলে যায় যুদ্ধ করতে।

প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করার পর নিরস্ত্র বাঙ্গালীরা অর্জন করে স্বাধীনতা। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে কিনে আনে একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হবার পর গ্রামের লোকেরা যারা মরণময় যুদ্ধ করেও জীবিত আছে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসতে শুরু করে। এদিকে নববধূর অপেক্ষার তর সয় না কিছুতেই। কখন আসবেন তিনি। দুটো চোখ তাকে দেখার জন্য ছটফট করে সারাক্ষণ। কিন্তু তিনি তো আসেন না। এভাবেই কেটে যায় আরো চারটি মাস তবুও আসেন না তিনি। এরপর জাফর সাহেবের সহকর্মী জসিম মিয়া এক চিঠির মাধ্যমে নববধূকে জানায় জাফর মিয়া পাকিস্থানীদের হাতে মারা গিয়েছে। এই খবর শুনার পর বিশ্বাস হয়নি নববধূর। ''তিনি তো আমাকে ফিরে আসার ওয়াদা করে গিয়েছিলেন। তিনি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করেন না"। তাই নববধূ অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে স্বামি ফিরে আসবে বলে। কিন্তু মাসের মসের পর মাস যায় তিনি আর আসেন না ফিরে।

শিক্ষার্থী: জামিয়াতু ইবরাহিম, সাইনবোর্ড, ডেমার, ঢাকা


ডিএসএস/

Header Ad

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল

সড়ক দুঘর্টনায় নিহত আহসান তানভীর পিয়াল। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে অড সিগনেচার ব্যান্ড। এতে ব্যান্ডের গায়ক ও গিটারিস্ট আহাসান তানভীর পিয়াল ও গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ব্যান্ডের বাকি সদস্যরা।

শনিবার (১১ মে) ভোর সাড়ে ৫ টায় মহাসড়কের চৈতাব এলাকায় ড্রীম হলিডে পার্কের সামনে হানিফ পরিবহন ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আহসান তানভীর পিয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাসের চালক মো. সালাম (৪৩) ও যাত্রী আহসান তানভীর পিয়াল (২৬)। আহতরা হলেন- ঢাকার মহাখালি এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে আকিব (২৬), সিলেট হবিগঞ্জ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সাকিব (২৬) এবং চট্রগ্রাম পাথর ঘাটা এলাকার অনুপের ছেলে অমিত (২৭)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ ভোরে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস ভোর ৫টার দিকে নরসিংদীর চৈতাব এলাকার ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে পৌঁছালে হানিফ পরিবহনের এটি বাসের সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক সালাম ও শিল্পী পিয়াল নিহত হন।

সড়ক দুঘর্টনায় নিহত আহসান তানভীর পিয়াল। ছবি: সংগৃহীত

আহত তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী বাসটি পালিয়ে যাচ্ছিল, পরে ভুলতা থেকে সেটি আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ।

মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করি এবং মাধবদী থানায় হস্তান্তর করি।

ইটাখোলা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ আহমেদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, অড সিগনেচার তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ব্যান্ড। ২০১৭ সালে এর আত্মপ্রকাশ। শ্রোতাদের কাছে গল্প ভিত্তিক গানের কারণে জনপ্রিয় দলটি। ব্যান্ডটির গানগুলোর মধ্যে ঘুম, আমার দেহখান, দুঃস্বপ্ন অন্যতম।

অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান বিগত কয়েক বছর ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছে। সেই সংকট কাটাতে দেশটির সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। সেরকমই একটি উদ্যোগের আওতায় দেশটির সরকার গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে। তবে শর্তহলো- এই চাষ হবে মূলত চিকিৎসা ও শিল্প কারখানায় ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সরকার ক্যানাবিস কন্ট্রোল অ্যান্ড রেগুলেটরি অথোরিটি (সিসিআরএ) গঠনের লক্ষ্য একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে।

এই কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানে চিকিৎসা ও শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য গাঁজার চাষ, আহরণ, পরিশোধ, গাজার বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য পুনরুৎপাদন এবং ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে।

পাকিস্তানের উপজাতি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে গাঁজা চাষ হয়ে আসছে। ছবি: আল জাজিরা

অধ্যাদেশ অনুসারে, সিসিআরএ গঠিত হবে ১৩ সদস্য দিয়ে। এই কর্তৃপক্ষ মূলত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতে অংশীদার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হবে। ২০২০ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের সময় এই কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রথম উত্থাপিত হয়।

মূলত, বিশ্বজুড়েগাঁজাবৈধ ব্যবহারের বাজারে পাকিস্তানের অংশ নিশ্চিত করতেই সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চঅ্যান্ড মার্কেটসের হিসাব বলছে, ২০২২ সালে বিশ্বে গাঁজা ও গাঁজাসংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজার ৭০০ কোটি ডলার। যা ২০২৭ সালের মধ্যে ৩ হাজার কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তানও চায় এই বিশাল বাজারে অংশ হিসেবে নিজে অবস্থান দৃঢ় করে আর্থিক ফায়দা নিতে।

সিসিআরএ গঠনের বিষয়ে এর সদস্য ও পাকিস্তান কাউন্সিল অন সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসাইন আবিদি বলেন, জাতিসংঘের আইন মেনেই এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের আইন বলে, যদি কোনো দেশ গাঁজা-সম্পর্কিত পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করতে চায় তবে সেটির একটি ফেডারেল সত্তা থাকতে হবে যা সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্মতি নিশ্চিত করবে।

তবে সৈয়দ হোসাইন আবিদি পাকিস্তানে গাঁজা চাষের উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান নিজের স্বার্থে গাঁজাচাষের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারে। গাঁজা এবং এ সংশ্লিষ্ট পণ্য রপ্তানি, এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ এবং অভ্যন্তরীণ বাজের বিক্রয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান ‘অনিশ্চিত’ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভবাড়ানোর লক্ষ্যে রাজস্ব আয় করতে পারে। চাষাবাদ বৈধ করা হলেও এর অপব্যবহার রোধে কঠোর আইনও রেখেছে পাকিস্তান। যেমন- কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি গাঁজা চাষ সংক্রান্ত কোনো আইন ভঙ্গ করেন তবে ১ কোটি থেকে ২০ কোটি পাকিস্তানি রুপি পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

এত দিন পাকিস্তানে গাঁজা চাষ আইনত অবৈধ হলেও দেশটি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে বিপুল পরিমাণ জমিতে গাজার চাষ হতো। এবার সেই বিষয়টিকে নজরদারি ও সরাসরি অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টা নিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে আবিদি বলেন,গাঁজাচাষিদের পাঁচ বছর মেয়াদে লাইসেন্স দেওয়া হবে। এ সময় তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে অন্তত ৭ লাখ একর জমিতে গাজার চাষ হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের পাঞ্চ কার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। এক্ষেত্রে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা পড়তে যান, বিশেষ করে বিভিন্ন চাকরি ও বিসিএস প্রস্তুতির জন্য পড়তে যাওয়া ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগামী বছর থেকে এই নিয়ম চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অগ্রায়ন (বিদায়) ও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অগ্রায়ন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব পরিকল্পনার কথা জানান।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফেরদৌস আহমেদ এবং সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী।

বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, লাইব্রেরিতে কার্ড পাঞ্চ করে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। যারা কেবল বিসিএস পড়তে যায়, তারা আগামী বছর থেকে লাইব্রেরিতেও প্রবেশ করতে পারবে না। এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দু-একজন হয়তো একাডেমিক বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচিনির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়ার কথা।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হবে। যার ফলে, মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠান আখ্যায়িত করে উপাচার্য বলেন, এখানকার উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে জ্ঞান চর্চা ও সকল সুযোগ-সুবিধার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সঠিক তথ্য পরিবেশন, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি দিয়ে সাংবাদিকরা দেশ ও সমাজকে একটি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলুদ সাংবাদিকতা রোধ ও সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিভাগের সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
বিয়ে না করেই দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন একতা কাপুর
আগামীকাল এসএসসির ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
৫০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি কেজরিওয়াল, একনায়কতন্ত্র আটকানোর আহ্বান
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোক কেড়ে নিল ৬১ প্রাণ
যাত্রী উধাও, ভাড়া না পেয়ে জ্ঞান হারালেন রিকশাচালক
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি