বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধে ভূত

১৯৭১ সাল। চারদিকে যুদ্ধের দামামা বেধে গেছে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তানের মত প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে লুঙ্গি গামছা পরে সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে

অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত বিশাল ক্ষমতাশালী বাহিনীর সাথে ঢাল, বুদ্ধি এবং কৌশলের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মজি মিয়া ও যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি সবার মত না। উনার যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া একটু ব্যতিক্রম। মজি মিয়া সব সময় ভূত এবং ভূত বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করতে পছন্দ করতেন। তাই তিনি সব সময় ভূত থাকতে পারে বা ভূত আছে বলে পরিচিত এমন জায়গায় সব সময় বিচরণ করতেন। মুক্তিযুদ্ধে যখন প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লুঙ্গি, গামছা নিয়ে যুদ্ধ করে মুক্তিবাহিনী যখন পাখির মত মরে যাচ্ছিল তখন মজি মিয়া ভূত নামানোর পরিকল্পনা করলেন।

অদৃশ শক্তির বিরুদ্ধে আর যাই হোক যুদ্ধে জয় করা সম্ভব হবে না। মজি মিয়ার পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমেরিকা বাংলাদেশের বিরোদ্ধে সপ্তম নৌযান পাঠিয়েছে। এই নৌযান যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে যুদ্ধে জয়ের আশা একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। তাই একমাত্র ভূতকে নামানো ছাড়া বাংলাদেশকে স্বাধীন করা সম্ভব না। মজি মিয়া বিভিন্ন গাছে গাছে, ডালে ডালে ঘুরতে লাগলেন। ভূতদের সাথে বৈঠকে মিলিত হতে লাগলেন। বটগাছ এবং গাবগাছে মজি মিয়া সবচেয়ে বেশি সময় কাঁটাতে লাগলেন। কারণ ঐ সমস্ত গাছেই সবচেয়ে বেশি ভূত নাকি থাকে। সারারাত ভূতদের বোঝাতেন তারা যেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কারণ বাংলাদেশটা তাদেরও দেশ। তাদের দেশকে ছাড়খার করে ফেলছে তারা কিছুই করবে না এমন হয় না। তাছাড়া বোমার আঘাতে তাদের বাসস্থানগুলি উড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ হয়ত মারাও যাচ্ছে। সুতরাং তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়ছে। ভূতদের মত মুরগি, ছাগল. গরুদের যদি শক্তি থাকত তাহলে তাদের তিনি নামিয়ে দিতেন।

মজি মিয়া ভূতদের সেক্টর নামে বার নম্বর সেক্টর খুললেন। বার নম্বর সেক্টরের প্রধান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নিলেন। কারণ উনার মত ভূত বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন হবে। তিনি সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নিয়ে পড়লেন মহাবিপদে। ভূতদের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভূতদের বললে, তারা বলে তাদের লিডারের কাছ থেকে সংকেত পেতে হবে। তাদের লিডারদের বললে বলে, পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো ভূত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। হঠাৎ করে অংশ নিতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে। মজি মিয়ার বিলম্ব সহ্য হচ্ছে না। এত মানুষ মারা যাচ্ছে আর উনি একটা সেক্টরের কমান্ডার হয়ে গাছে গাছে ঘুরছেন। মজি মিয়া রাতের বেলায় বটগাছে বসে আছেন। ভূতরা আসার কথা। এখনো আসছে না। তাই তিনি অলস সময় পার করছেন। গাছের নিচ দিয়ে পাকসেনাদের গাড়ি দেখেই তিনি আঁতকে উঠলেন। এমন একটা অভিনয় করলেন যে, তিনি বড় মাপের মুক্তিযুদ্ধা। পাকিস্তানি সেনারাও মজি মিয়াকে ধরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলেন। মজি মিয়ার আচরণ দেখে সেনারা বুঝতে পারল এই লোক বড়ধরণের মুক্তিযুদ্ধা মানে কমান্ডার টাইপের। সে হয়ত পাকিস্তানিদের বিরোদ্ধে লড়াই করার বড় কোন পরিকল্পনা করছে। সেনারা খোঁজ নিতে লাগলেন। সমগ্র বাংলাদেশে মজি মিয়া নামের বড় কোন মুক্তিযুদ্ধার খোঁজ পেলেন না। কিন্তু মজি মিয়ার কাছ থেকে কথা বের করার জন্য এমন কোন রিমান্ডের আইটেম নেই যা দেখানো হয় নি। গরম ডিম, পানিতে চুবিয়ে রাখা, হাতুরি দিয়ে ছেঁছা দেওয়া, কারেন্টের শট দেওয়া, পাছার নিচে সিগারেটের সেকা দেওয়া। বিভিন্ন ধরণের ডলা দেওয়া ইত্যাদি। তবুও তিনি মুখ খুলছেন না। এমন একটা ভান করছেন যে, তিনি মুখ খুললেই মুক্তিবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

পাকিস্তানি সেনারা ভাবছে, মজি মিয়া হয়ত ছদ্মনাম ব্যবহার করছে। তাই তাকে সাধারণ মানুষদের মত না মেরে ক্যাম্পে আঁটকে রাখা হল। মজি মিয়া ভাবতে লাগলেন, তার সেক্টরের অবস্থা কি। যুদ্ধেঅংশ নেয়ার আগেই তিনি ধরা খেয়েছেন। ভূতরা কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারবে। একটা রেডিও থাকলে ভাল হত। ভূতদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার খবরটি শোন যেত। ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। নিজের মনেই আবার সান্ত¡না খোঁজতে লাগলেন, শেখ সাহেবকে যুদ্ধের আগেই ধরে নিয়ে গেছে। তাই বলে কি যুদ্ধ থেমে আছে। না থেমে নেই। সবাই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। সুতরাং মজি মিয়ার অনুপস্থিতিতে বার নম্বর সেক্টরটিও সচল থাকবে। কোন না কোন ভূত হয়ত দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয়ী হবেন। মজি মিয়ার প্রত্যাশা ভূত ছাড়া যুদ্ধে জয় করা অসম্ভব। কারণ পৃথিবীর অনেক ক্ষমতাশালী দেশই বাংলাদেশের বিরোদ্ধে। কেউ কেউ সরাসরি অংশ নেওয়ারও চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বাংলার মানুষ হচ্ছে সহজ সরল। তাদের পাশেও বিভিন্ন রাষ্ট্র এসে দাঁড়িয়েছে। সরাসরি নয় আড়ালে  আড়ালে। 

পাক সেনারা মজি মিয়াকে নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। উনাকে মেরেও ফেলতে পারছেন না। আবার বাঁচিয়েও রাখতে চাইছেন না। উনার খাপভাব দেখে মনে হয় উনি বড় ধরণের কিছু। খোঁজ নিয়ে উনার সম্পর্কে কিছুই পাওয়া যায় না। মজি মিয়া শুনেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হতে সময় আর বেশি নেই। উনি উৎসাহে নেচে উঠলেন। তার মানে ভূতরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তিনি জানতেন যদি ভূত যুদ্ধে অংশ নেয় তাহলে জয় বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিত। উনি ভাবতে লাগলেন তাহলে উনার সেক্টরটিই সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। উনি খুশিতে এমন নাচন নাচতে লাগলেন যে, সমগ্র বন্দীরা উনার সাথে তালে তাল মিলিয়ে নাচতে লাগল। পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যটি দেখে সহ্য করতে পারলেন না। তারা মজি মিয়াকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিলেন। যুদ্ধ শেষ হল। ভূত অংশ নিয়েছে কিনা এটা কেউ বলতে পারবে না। তবে অনেকেই দেখেছে মজি মিয়াকে বিভিন্ন ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে।

আসলে মজি মিয়া ছিলেন একজন পাগল। যুদ্ধ শুরুর দিকেই স্বপরিবারে মজি মিয়ার পরিবার পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়। ছোট্ট একটি মেয়ে ছিল ফুলি নামের। মেয়েটিকে জীবনের চেয়ে ও বেশি পছন্দ করতেন। মেয়েটির গাঁয়ে যখন গুলি লাগে। মজি মিয়া মেয়েটিকে নিয়ে পালাতে লাগলেন। মেয়েটি বলতে লাগল। বাবা, আমাদের এভাবে মারছে কেন? আমরা কি দোষ করেছি। মজি মিয়া বলতে লাগলেন, মারে আমরা কোন দোষ করেনি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের কথা বলেছি। তাই তাদের মনোকষ্ট হয়েছে। তাদের মনোকষ্ট দূর করার জন্য আমাদের এরকম পাখির মত গুলি করে মারছে। বাবা, আমি কি মরে যাচ্ছি?না মা, তুই মরবি কেন? তুই কোন দোষ করিস নি।দোষ যদি করে থাকে বড়রা করেছে। বড়রা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য করেছে। তাহলে বাবা, আমাদের মারছে কেন? মা, বড়দের ক্ষোভটা ছোটদের উপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। বাবা, তুমি একটা মিথ্যা কথা বলছ। আমি বাবা বাঁচব না। দেখ, মা আমাকে ডাকছে। আমি মায়ের কাছে চলে যাচ্ছি। তোমার জন্য খারাপ লাগছে। তুমি একা কিভাবে থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর থেকেই মজি মিয়া পাগল হয়ে গেলেন। পাগল হওয়ার আগে উনার আগ্রহের জিনিস ছিল ভূত এবং ভূতবিষয়ক। উনি ভূত বিষয়ক কোন ঘটনার সন্ধান পেলেই যে কোন মূল্যে ঐখানে চলে যেতেন।

 

ডিএসএস/

Header Ad

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস ভিনিসিয়ুসের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন, আর পাশে ছিলেন তার বাবা ভিনিসিয়ুস সিনিয়র। এই মুহূর্তটি স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়ও প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের মধ্যে আরও কৌতুহল সৃষ্টি করে, বিশেষত স্মারকটি সম্পর্কে।

পরে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ভিনিসিয়ুসের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল এবং এতে জানা যায়, রেয়াল মাদ্রিদে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের অধিবাসী।

মূলত কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শেকড় খুঁজে বের করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খেলোয়াড়দের কার কোন বংশ, কোথায় ছিলেন পূর্বপুরুষরা, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

ভিনিসিউস ক্যামেরুনের টিকার গোত্রের অন্তর্গত। এই গোত্রের লোকেরা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী, গল্পকার হিসেবেও সুপরিচিত। একসময় এরা যাযাবর জীবন যাপন করত, পরে বর্তমান সুদানের নীল নদ উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। যা স্থানান্তরিত হয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়া থেকে পশ্চিম ক্যামেরুনের উচ্চভূমি পর্যন্ত।

সনদ নেয়ার সময় ভিনি বলেন, ক্যামেরুনে শেকড়ের সন্ধান পাওয়া আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। এটা মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের শেকড় ও ইতিহাসের মূল্য আছে।

ভিনির বাবা বলেন, আমরা কোথায় থেকে এসেছি, এটা জানা প্রয়োজন ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান তাদের শেকড় কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। ক্যামেরুনে আমাদের শেকড়, আমি অনেক খুশি।

সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস বলেছেন, ভিনি জুনিয়রের এই সংবাদকে উদ্‌যাপন করা মানে সব ব্রাজিলিয়ানের অর্জনকে উদ্‌যাপন। ওর পূর্বপুরুষের আদিনিবাসের খোঁজ পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আরেকবার সবাইকে নিয়ে সমাজ গড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ এবং আমাদের অস্তিত্বে ও বৈশ্বিক সাফল্যে আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির মৌলিক ভূমিকার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম।

Header Ad

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তার এ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এদিন তাকে এই মামলা থেকে খালাস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন শফিক রেহমান। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালত আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমরা সাজা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে পরে তারিখ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এ সাংবাদিক ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিতের আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে কোনো একসময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে যোগসাজশ করে শেখ হাসিনার ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

এ অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Header Ad

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

নিজ নির্বাচনি এলাকা রাজাপুর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

এর আগে নিজ এলাকায় যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর পিংড়ি এলাকায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে শাহজাহান ওমর ও তার গাড়ি চালক আহত হন।

শাহজাহান ওমরের সফরসঙ্গী বাবুল মৃধা রিপনসহ একাধিক অনুসারী জানান, ৫ আগস্টের পর তিনি বৃহস্পতিবার নিজ এলাকায় আসার পথে কয়েকজন যুবক তার গাড়িতে হামলা করে। এ সময় গাড়ির গ্লাস ভেঙে শাহজাহান ওমরের হাতে পড়ে রক্তাক্ত হন। এ সময় তার গাড়ির চালকসহ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর তিনি নিজ বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে থানায় যান। এরপর তিনি থানা হেফাজতে ছিলেন।

এদিকে তিনি থানায় আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদল ও যুবদল থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, কাঠালিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির সঙ্গে প্রায় ৪০ বছরের রাজনীতিক সম্পর্ক শেষ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন শাহজাহান ওমর। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন তিনি। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন