সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুক্তিযুদ্ধে ভূত

১৯৭১ সাল। চারদিকে যুদ্ধের দামামা বেধে গেছে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তানের মত প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে লুঙ্গি গামছা পরে সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে

অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত বিশাল ক্ষমতাশালী বাহিনীর সাথে ঢাল, বুদ্ধি এবং কৌশলের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মজি মিয়া ও যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি সবার মত না। উনার যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া একটু ব্যতিক্রম। মজি মিয়া সব সময় ভূত এবং ভূত বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করতে পছন্দ করতেন। তাই তিনি সব সময় ভূত থাকতে পারে বা ভূত আছে বলে পরিচিত এমন জায়গায় সব সময় বিচরণ করতেন। মুক্তিযুদ্ধে যখন প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লুঙ্গি, গামছা নিয়ে যুদ্ধ করে মুক্তিবাহিনী যখন পাখির মত মরে যাচ্ছিল তখন মজি মিয়া ভূত নামানোর পরিকল্পনা করলেন।

অদৃশ শক্তির বিরুদ্ধে আর যাই হোক যুদ্ধে জয় করা সম্ভব হবে না। মজি মিয়ার পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমেরিকা বাংলাদেশের বিরোদ্ধে সপ্তম নৌযান পাঠিয়েছে। এই নৌযান যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে যুদ্ধে জয়ের আশা একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। তাই একমাত্র ভূতকে নামানো ছাড়া বাংলাদেশকে স্বাধীন করা সম্ভব না। মজি মিয়া বিভিন্ন গাছে গাছে, ডালে ডালে ঘুরতে লাগলেন। ভূতদের সাথে বৈঠকে মিলিত হতে লাগলেন। বটগাছ এবং গাবগাছে মজি মিয়া সবচেয়ে বেশি সময় কাঁটাতে লাগলেন। কারণ ঐ সমস্ত গাছেই সবচেয়ে বেশি ভূত নাকি থাকে। সারারাত ভূতদের বোঝাতেন তারা যেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কারণ বাংলাদেশটা তাদেরও দেশ। তাদের দেশকে ছাড়খার করে ফেলছে তারা কিছুই করবে না এমন হয় না। তাছাড়া বোমার আঘাতে তাদের বাসস্থানগুলি উড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ হয়ত মারাও যাচ্ছে। সুতরাং তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়ছে। ভূতদের মত মুরগি, ছাগল. গরুদের যদি শক্তি থাকত তাহলে তাদের তিনি নামিয়ে দিতেন।

মজি মিয়া ভূতদের সেক্টর নামে বার নম্বর সেক্টর খুললেন। বার নম্বর সেক্টরের প্রধান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নিলেন। কারণ উনার মত ভূত বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন হবে। তিনি সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নিয়ে পড়লেন মহাবিপদে। ভূতদের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভূতদের বললে, তারা বলে তাদের লিডারের কাছ থেকে সংকেত পেতে হবে। তাদের লিডারদের বললে বলে, পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো ভূত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। হঠাৎ করে অংশ নিতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে। মজি মিয়ার বিলম্ব সহ্য হচ্ছে না। এত মানুষ মারা যাচ্ছে আর উনি একটা সেক্টরের কমান্ডার হয়ে গাছে গাছে ঘুরছেন। মজি মিয়া রাতের বেলায় বটগাছে বসে আছেন। ভূতরা আসার কথা। এখনো আসছে না। তাই তিনি অলস সময় পার করছেন। গাছের নিচ দিয়ে পাকসেনাদের গাড়ি দেখেই তিনি আঁতকে উঠলেন। এমন একটা অভিনয় করলেন যে, তিনি বড় মাপের মুক্তিযুদ্ধা। পাকিস্তানি সেনারাও মজি মিয়াকে ধরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলেন। মজি মিয়ার আচরণ দেখে সেনারা বুঝতে পারল এই লোক বড়ধরণের মুক্তিযুদ্ধা মানে কমান্ডার টাইপের। সে হয়ত পাকিস্তানিদের বিরোদ্ধে লড়াই করার বড় কোন পরিকল্পনা করছে। সেনারা খোঁজ নিতে লাগলেন। সমগ্র বাংলাদেশে মজি মিয়া নামের বড় কোন মুক্তিযুদ্ধার খোঁজ পেলেন না। কিন্তু মজি মিয়ার কাছ থেকে কথা বের করার জন্য এমন কোন রিমান্ডের আইটেম নেই যা দেখানো হয় নি। গরম ডিম, পানিতে চুবিয়ে রাখা, হাতুরি দিয়ে ছেঁছা দেওয়া, কারেন্টের শট দেওয়া, পাছার নিচে সিগারেটের সেকা দেওয়া। বিভিন্ন ধরণের ডলা দেওয়া ইত্যাদি। তবুও তিনি মুখ খুলছেন না। এমন একটা ভান করছেন যে, তিনি মুখ খুললেই মুক্তিবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

পাকিস্তানি সেনারা ভাবছে, মজি মিয়া হয়ত ছদ্মনাম ব্যবহার করছে। তাই তাকে সাধারণ মানুষদের মত না মেরে ক্যাম্পে আঁটকে রাখা হল। মজি মিয়া ভাবতে লাগলেন, তার সেক্টরের অবস্থা কি। যুদ্ধেঅংশ নেয়ার আগেই তিনি ধরা খেয়েছেন। ভূতরা কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারবে। একটা রেডিও থাকলে ভাল হত। ভূতদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার খবরটি শোন যেত। ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। নিজের মনেই আবার সান্ত¡না খোঁজতে লাগলেন, শেখ সাহেবকে যুদ্ধের আগেই ধরে নিয়ে গেছে। তাই বলে কি যুদ্ধ থেমে আছে। না থেমে নেই। সবাই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। সুতরাং মজি মিয়ার অনুপস্থিতিতে বার নম্বর সেক্টরটিও সচল থাকবে। কোন না কোন ভূত হয়ত দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয়ী হবেন। মজি মিয়ার প্রত্যাশা ভূত ছাড়া যুদ্ধে জয় করা অসম্ভব। কারণ পৃথিবীর অনেক ক্ষমতাশালী দেশই বাংলাদেশের বিরোদ্ধে। কেউ কেউ সরাসরি অংশ নেওয়ারও চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বাংলার মানুষ হচ্ছে সহজ সরল। তাদের পাশেও বিভিন্ন রাষ্ট্র এসে দাঁড়িয়েছে। সরাসরি নয় আড়ালে  আড়ালে। 

পাক সেনারা মজি মিয়াকে নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। উনাকে মেরেও ফেলতে পারছেন না। আবার বাঁচিয়েও রাখতে চাইছেন না। উনার খাপভাব দেখে মনে হয় উনি বড় ধরণের কিছু। খোঁজ নিয়ে উনার সম্পর্কে কিছুই পাওয়া যায় না। মজি মিয়া শুনেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হতে সময় আর বেশি নেই। উনি উৎসাহে নেচে উঠলেন। তার মানে ভূতরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তিনি জানতেন যদি ভূত যুদ্ধে অংশ নেয় তাহলে জয় বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিত। উনি ভাবতে লাগলেন তাহলে উনার সেক্টরটিই সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। উনি খুশিতে এমন নাচন নাচতে লাগলেন যে, সমগ্র বন্দীরা উনার সাথে তালে তাল মিলিয়ে নাচতে লাগল। পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যটি দেখে সহ্য করতে পারলেন না। তারা মজি মিয়াকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিলেন। যুদ্ধ শেষ হল। ভূত অংশ নিয়েছে কিনা এটা কেউ বলতে পারবে না। তবে অনেকেই দেখেছে মজি মিয়াকে বিভিন্ন ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে।

আসলে মজি মিয়া ছিলেন একজন পাগল। যুদ্ধ শুরুর দিকেই স্বপরিবারে মজি মিয়ার পরিবার পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়। ছোট্ট একটি মেয়ে ছিল ফুলি নামের। মেয়েটিকে জীবনের চেয়ে ও বেশি পছন্দ করতেন। মেয়েটির গাঁয়ে যখন গুলি লাগে। মজি মিয়া মেয়েটিকে নিয়ে পালাতে লাগলেন। মেয়েটি বলতে লাগল। বাবা, আমাদের এভাবে মারছে কেন? আমরা কি দোষ করেছি। মজি মিয়া বলতে লাগলেন, মারে আমরা কোন দোষ করেনি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের কথা বলেছি। তাই তাদের মনোকষ্ট হয়েছে। তাদের মনোকষ্ট দূর করার জন্য আমাদের এরকম পাখির মত গুলি করে মারছে। বাবা, আমি কি মরে যাচ্ছি?না মা, তুই মরবি কেন? তুই কোন দোষ করিস নি।দোষ যদি করে থাকে বড়রা করেছে। বড়রা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য করেছে। তাহলে বাবা, আমাদের মারছে কেন? মা, বড়দের ক্ষোভটা ছোটদের উপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। বাবা, তুমি একটা মিথ্যা কথা বলছ। আমি বাবা বাঁচব না। দেখ, মা আমাকে ডাকছে। আমি মায়ের কাছে চলে যাচ্ছি। তোমার জন্য খারাপ লাগছে। তুমি একা কিভাবে থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর থেকেই মজি মিয়া পাগল হয়ে গেলেন। পাগল হওয়ার আগে উনার আগ্রহের জিনিস ছিল ভূত এবং ভূতবিষয়ক। উনি ভূত বিষয়ক কোন ঘটনার সন্ধান পেলেই যে কোন মূল্যে ঐখানে চলে যেতেন।

 

ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

ব্ল্যাক ক্যাপসদের হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল আগেই, তবে গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছে ভারত। নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ রানে হারিয়ে এ-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল।

রোববার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৯৮ বলে ৭৯ রান দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলে। হার্দিক পান্ডিয়া (৪৫), অক্ষর প্যাটেল (৪২), লোকেশ রাহুল (২৩) এবং রবীন্দ্র জাদেজার (১৬) ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৯ রান সংগ্রহ করে ভারত।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাট হেনরি ৫ উইকেট নেন (৪২ রানে), যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।

২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৫.৩ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৮১ রান (১২০ বল) করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হন। ওপেনার উইল ইয়াং ২২, মিচেল স্যান্টনার ২৮ রান করলেও কেউ ৩০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি।

ভারতের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ৪২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন। এছাড়া কুলদীপ যাদব ২টি এবং হার্দিক, অক্ষর ও জাদেজা ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

এই জয়ের ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বি-গ্রুপের রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা বি-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা আলোচনা সভা 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’ এই প্রতিপাদ্যে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় ৭ম বারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের কোর্ট মোড় ঘুরে একইস্থানে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড.মুন্সী আবু সাইফ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবর। আরো উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম কর্মী,সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষর্থীরা। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায়। স্বাগত বক্তব্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, জেলায় দুটি সংসদীয় আসন রয়েছে। এখানে মোট ভোটার রয়েছে ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭২ জন। এবার নতুন ভোটার তালিকায় জেলার ৪ উপজেলায় ৪৮ হাজার নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটার হচ্ছে তার সাংবিধানিক অধিকার। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন,জাতীয় পরিচয় পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারনে আপনার সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করা পাপ: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করা পাপ বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন এ ধরনের অনৈতিক প্রবণতা থেকে বিরত থাকেন।

রোববার (২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় মসজিদে ‘রমজানের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “দেশের ধনীরা নিয়মিত জাকাত দিলে বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার তহবিল গঠিত হতে পারে। এই অর্থ সঠিকভাবে বণ্টন করা হলে আগামী ১০ বছরে দেশে কোনো ভিক্ষুক খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

দেশের সম্পদ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “যারা দেশের সম্পদ লুট করে বিক্রি করে দেয়, তারা দেশদ্রোহী। তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না। এদের বিচার হওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “ঘুষের লোভে ফাইল আটকিয়ে রাখার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। এ ধরনের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে দেশ কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না।”

ধর্ম উপদেষ্টার এই বক্তব্য রমজান মাসে নৈতিকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বকে সামনে এনেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্ল্যাক ক্যাপসদের হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা আলোচনা সভা 
মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করা পাপ: ধর্ম উপদেষ্টা
বিশ্বের সাথে একই দিনে রোজা-ঈদ পালনের পথ খোঁজার অনুরোধ তারেক রহমানের
ঢাকায় ছিনতাইবাজদের খপ্পরে জনপ্রিয় অভিনেতা, চিনতে পেরে বলল ‘মোবাইল নেওয়ার দরকার নাই’
প্রকাশ্যে ধূমপান অপরাধ, মনে করিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে রমজানেই আসছে ৪ কার্গো এলএনজি: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
১৫ বছর পর শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতি ফেরত পেলেন মুফতি ছাইফুল্লাহ
নির্বাচন দেরিতে হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে: সালাহ উদ্দিন আহমেদ
গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধের ঘোষণা ইসরায়েলের
যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে মনোনীত করে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ
সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর ৪৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে চার রিভিউয়ের শুনানি ৮ মে
লেবুর ডাবল সেঞ্চুরী
দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ পদক্ষেপ
বিরামপুরে ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত
দর্শনায় ভোক্তা অধিকারের বাজার মনিটরিং অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধানের বাসায় মিললো বান্ডিল বান্ডিল টাকা
কর্মবিরতিতে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা  
আজ থেকে ৪০ দিনের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান