রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দাম দিয়ে কেনা স্বাধীনতা

বৃদ্ধা মায়ের সাথে দেখা করতে এসে ধরা পড়লো সুজন। গ্রামে ঘাঁটি গাড়া কমান্ডারের সঙ্গে জমিদার সাহেবের বেশ খাতির। তাদের মহব্বত দেখলে মনেই হয় না দু'জন দুই মেরুর মানুষ। কাশেম জমিদারের গুপ্তচরের কয়েকদিনের অক্লান্ত গোয়েন্দাগিরি অবশেষে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল পুরো দলের খবর বের করা। কিন্তু সুজন মুখ খুলছে না। জমিদার তাকে মৃত্যুর ভয় দেখায়, ছেড়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। বিশ্লেষণ করে বলে– " ঘাড়ত্যাড়া কোথাকার, বোকারাম। নিজেকে অনেক বড় বীর মনে করছে। দেশের জন্য ভালোবাসা একেবারে উতলে পড়ছে। আরে বেকুব তাতে তোর লাভটা কি হবে! মরে যাওয়ার পর কে তোকে মনে রাখবে! বরং খোঁজ দিয়ে নিজের জীবনের সাথে অনেক ইনামও পেতিস।"

পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সুজনকে কবলানো পাকিস্তানিদের চেয়ে তার বেশি জরুরি। দু'জনকে নানাভাবে তাল দিয়েও যখন কিছু হলো না তখন মনে মনে তার মায়ের দূর্বলতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলো। গলার স্বরটা একটু ঠান্ডা করে সুজনের মা'কে লক্ষ্য করে বলে– " নাও বুড়ি, তোমার এই বোকা ছেলেকে তুমি অন্তত একটু বোঝাও। এমন সুযোগ কিন্তু আর আসবে না। তোমাদের কোনো ভয় নেই। মিলিটারিদের সাথে আমার কথা হয়ে গেছে। তারা তোমাদের সসম্মানে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তাদের অবস্থান টা বলে তোমরা চলে যাও, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। তুমিই বলো ওরা সব কোথায় আছে? আর আগামীর পরিকল্পনা কি ওদের?" সুজনের মা প্রথম থেকেই নিশ্চুপ। যেন বাকরূদ্ধ হয়ে গেছেন। জমিদার সাহেব আশ্চর্য হয়ে বললেন– আরে, তুমিও ওর মতো চুপ! তোমারও কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো! পেটের ছেলের কথা ভাববে না একবার? পাশের এক লাঠিয়ালকে লক্ষ্য করে বলে, দেখ মইনুল মিয়া, এই বুড়ির আক্কেলটা দেখ একবার। এটাই কি মা'য়ের পরিচয়! দুধের শিশু হয়ে তার কোলে এসেছিল সেই কবে। আর আজ শক্ত–সমর্থ জোয়ান ছেলে। তার একটি কথায় ছেলেটা প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু বুড়ি মুখ খুলবে না। এরকম বোকা আগে দেখেছো কোনোদিন! ছেলেটার ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে না বুড়ি? ঘর আলো করে যদিন তোমার কোলে এলো, প্রথম যখন মা মা বলে মুখে অস্ফুটস্বরে ডাকতে শুরু করলো, কত মধুময় সে ডাক! তারপর স্বাস্থ্যবান দেহ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আছাড় খেতো। শীতের সেই আঁধার রাতে তুৃমি কাঁথার নিচে বুকের মধ্যে নিয়ে শুয়ে থাকতে। তারপর একটু বড় হলে বাপের হাতের কাজে সাহায্য করে, খেলে বেড়ায়। সেদিনের সেই ছেলে আজ কেমন তাগড়া জোয়ান হয়েছে। আরেকটু পরে তার বুক, পিঠ, মাথা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে। সুঠাম দেহটা ফেলে দেওয়া হবে ময়লার ভাগাড়ে কিংবা নর্দমায়। কাক–শকুন, চিল এসে ঠুকরে ছিঁড়ে খাবে পঁচা গলা শরীরের মাংস। হুহ! কি বলো বুড়ি? তোমার পেটের ছেলে... সুজনের মা তখন ঝাঁঝালো কণ্ঠে প্রতিবাদ করে বলে– "সে দেশের জন্য লড়াই করছে। নিজের মাতৃভূমি মা'কে বাঁচানোর লড়াই। আমার ছেলে তো কোনো দোষের কিছু করছে না।"

জমিদার সাহেব কথা শুনে একেবারে বাকরূদ্ধ। তিনি যেন চিরতরে বোবা হয়ে গেছেন। তাকে চুপ থাকতে দেখে জালিম দলের কমান্ডার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে– করেছে, করেছে। সে সাংঘাতিক দোষ করেছে। মিসক্রিয়ান্টদের সাথে যোগ দিয়েছে সে। ধর্মকে অপমান করেছে সে। অতবড় অপরাধের ক্ষমা নেই বুড়ি। সুজনের মা চরম বিরক্তি নিয়ে বললো– "আমাদেরকে মেরে ফেল পাষণ্ডের দল। তোদের মতো মানুষরূপী জানোয়ারদের থেকে প্রাণ ভিক্ষা নেওয়ার চেয়ে ন্যায়ের পথে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া হাজার গুণে ভালো। তোদের কাছে মাথা নিচু করলে এ দেশের মা মাটিকে অপমান করা হবে। সেই সাথে পরকালের জিন্দেগীতেও শাস্তি পেতে হবে। মেরে ফেল আমাদের..... মেরে ফেল। কিন্তু এমন একদিন আসবে যেদিন তোদের এদেশে থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে যেতে হবে। আমার এক ছেলেকে মেরে তোরা পার পেয়ে যাবি না। এ দেশের বুকে এমন হাজারো জোয়ান আছে যাদের বুকে রয়েছে দেশের জন্য বুকভরা ভালোবাসা আর অসীম সাহস। এতক্ষণে জমিদারের ঘোর কাটলো... তৎক্ষনাৎ ধমক দিয়ে বললো, চুপ কর শয়তানি বুড়ি৷ শকুনের শাপে গরু মরে না। নিয়ে যাও এদেরকে চোখের সামনে থেকে। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো, এদের শরীরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করবো, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিব সারা শরীর। তাদের এক সিপাহি একটু ভেবে দেখতে বললেন... আমরা এখনো কোনো খোঁজ পাইনি তাদের দলের। শুনে কমান্ডার বললো না, না, অত ভাবার কিছু নেই। ওপর থেকে অর্ডার আছে, যে অবস্থায় যেমন করেই হোক মুক্তিবাহিনীর এই দলকে ধরতেই হবে। এই একটা দল অনেক ছোট ছোট দল পরিচালনা করছে, তাদের রসদ যোগাচ্ছে। এদের ধরতে পারলে সব কয়টাকে খতম করা যাবে। এ কাজে যারা সামান্য বাঁধার সৃষ্টি করবে তাদের শাস্তি তৎক্ষনাৎ মৃত্যুদন্ড। এ তো মাত্র দু'টো প্রাণ! দরকার হলে এরকম আরও বিশ-ত্রিশ জনকে গান পয়েন্টে রেখে ঝাঁঝরা করে দিব। নিয়ে যাও এদের। শেষ বারের মতো প্রশ্ন করবে৷ যদি না বলে তাহলে খতম!

অর্ডার পেয়ে চার-পাঁচ জন লোহার টুপি পড়া সিপাহি তাদের মা ছেলে দু'জনকে নিয়ে গ্রামের নদীর ধারে বটগাছের নিচে দাঁড় করালো। বুড়ি তো মরার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ছেলেকে একটু বেতালের মতো দেখে একজন সিপাহি ফাঁকা গুলি ছুঁড়লো। গুলির তীক্ষ্ণ শব্দটা কানে যেতেই কোনো ভাবে উঠে দাঁড়ায়। মা'কে মেরে ফেলেছে কি না তা দেখার জন্য এদিক ওদিক তাকায়। হানাদার বাহিনীরা এমন অবস্থা দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে বলে– এখনও কিছু হয় নি তবে এটা তোমাদের মা ছেলের জন্য শেষ সংকেত। এটা শুনে তাঁরা মা ছেলে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তাদের সীধান্তে অনড় থাকে। তাঁরা কিছুতেই মুখ খুলবে না। যেন চোখের ইশারায় একে অপরকে বিদায় জানায়। মা ছেলের এমন কান্ড দেখে মিলিটারিরা সীধান্ত নেয় নিজেদের হাতেই মরবে ওঁরা। দু'টো বন্দুক মা ছেলের হাতে দেয় আর বাকিরা তাঁদের দিকে বন্দুক তাক করে থাকে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ভেবেছিল তাঁরা বলে দিবে সবকিছু। কিন্তু বন্দুক হাতে পেয়ে বুড়ি তাঁর ছেলেকে বললেন– "আর দেরি করিস না বাবা, এই নরপশুদের হাতে মরার চেয়ে ভালো আমি তোর হাতেই মরবো, এ মরা তেও শান্তি আছে। চালিয়ে দে গুলি।" মায়ের কথায় সুজন একমত হতে পারলেও, মাকে নিজের হাতে মারবে এটা কোনোভাবেই মানতে পারছিল না।

সুজন অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি পারছি না মা, আমি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। দেরি করলে তুমিও দূর্বল হয়ে যাবে মা!" এমন সময় শোনা যায় একটি গুলির শব্দ! মূহুর্তেই সুজনের দেহটা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মা ছেলেকে গুলি করেছে! পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মিলিটারিরা এমন দৃশ্য দেখে হতবাক। তাদের একজন বুড়িকেও গুলি করলো। ছেলের মতো তাঁর শরীরটাও মাটিতে নুইয়ে পড়লো। মা ছেলের রক্তের ধারা বইতে লাগলো। সেই রক্তের দিকে তাকিয়েই মা ছেলে যেন দেখলো, অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করছে। সারি সারি মিছিল বের হচ্ছে, হাতে লাল সবুজের পতাকা৷ আর মুখে একটাই ধ্বনি " জয় বাংলা "। এমন হাজারো মায়ের বীরত্বের সাক্ষী হয়ে আছে এই পবিত্র জন্মভূমি।


শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


 ডিএসএস/

Header Ad

ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন

ছবি: সংগৃহীত

আসছে ঈদুল আজহা। ঈদ কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিজীবীদের প্রায় সবাই ছুটি কবে থেকে শুরু, সেই হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় টানা পাঁচ দিনের ছুটি মিলবে সরকারি চাকরিজীবীদের। এর মধ্যে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি আর ৩ দিন ঈদের ছুটি।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। এ হিসাব করে সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কুরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন (রোববার) থেকে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। দিনের হিসাবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। তবে এর মধ্যে আরবি মাস জিলকদ বা জিলহজের কোনো একটি বা দুটিই যদি ২৯ দিনের হয়, তাহলে ৭০ দিনের কম সময়ের মধ্যেও (৬৯/৬৮ দিন) কুরবানির ঈদ হতে পারে।

সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে কুরবানির ঈদ উদযাপিত হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কুরবানির ঈদ পালন করা হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কুরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরির দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা হয়েছে।

শ‌নিবার (১১ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গত সোমবার (৬ মে) সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৯৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫৯৫ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় একদিনেই দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির বাগলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির

আফগানিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ভেসে গেছে কয়েক হাজার বাড়িঘর।

আইওএমের জরুরি সাড়াদান বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, বাগলান প্রদেশের জাহিদ জেলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে এবং এখানে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর ভেসে গেছে। আইওএম অবশ্য আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকেই সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

তবে তালেবান সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তারা জাহিদ জেলায় ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের শত শত নাগরিক এই বিপর্যয়কর বন্যায় মারা গেছে।’

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা