শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দাম দিয়ে কেনা স্বাধীনতা

বৃদ্ধা মায়ের সাথে দেখা করতে এসে ধরা পড়লো সুজন। গ্রামে ঘাঁটি গাড়া কমান্ডারের সঙ্গে জমিদার সাহেবের বেশ খাতির। তাদের মহব্বত দেখলে মনেই হয় না দু'জন দুই মেরুর মানুষ। কাশেম জমিদারের গুপ্তচরের কয়েকদিনের অক্লান্ত গোয়েন্দাগিরি অবশেষে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল পুরো দলের খবর বের করা। কিন্তু সুজন মুখ খুলছে না। জমিদার তাকে মৃত্যুর ভয় দেখায়, ছেড়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। বিশ্লেষণ করে বলে– " ঘাড়ত্যাড়া কোথাকার, বোকারাম। নিজেকে অনেক বড় বীর মনে করছে। দেশের জন্য ভালোবাসা একেবারে উতলে পড়ছে। আরে বেকুব তাতে তোর লাভটা কি হবে! মরে যাওয়ার পর কে তোকে মনে রাখবে! বরং খোঁজ দিয়ে নিজের জীবনের সাথে অনেক ইনামও পেতিস।"

পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সুজনকে কবলানো পাকিস্তানিদের চেয়ে তার বেশি জরুরি। দু'জনকে নানাভাবে তাল দিয়েও যখন কিছু হলো না তখন মনে মনে তার মায়ের দূর্বলতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলো। গলার স্বরটা একটু ঠান্ডা করে সুজনের মা'কে লক্ষ্য করে বলে– " নাও বুড়ি, তোমার এই বোকা ছেলেকে তুমি অন্তত একটু বোঝাও। এমন সুযোগ কিন্তু আর আসবে না। তোমাদের কোনো ভয় নেই। মিলিটারিদের সাথে আমার কথা হয়ে গেছে। তারা তোমাদের সসম্মানে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তাদের অবস্থান টা বলে তোমরা চলে যাও, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। তুমিই বলো ওরা সব কোথায় আছে? আর আগামীর পরিকল্পনা কি ওদের?" সুজনের মা প্রথম থেকেই নিশ্চুপ। যেন বাকরূদ্ধ হয়ে গেছেন। জমিদার সাহেব আশ্চর্য হয়ে বললেন– আরে, তুমিও ওর মতো চুপ! তোমারও কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো! পেটের ছেলের কথা ভাববে না একবার? পাশের এক লাঠিয়ালকে লক্ষ্য করে বলে, দেখ মইনুল মিয়া, এই বুড়ির আক্কেলটা দেখ একবার। এটাই কি মা'য়ের পরিচয়! দুধের শিশু হয়ে তার কোলে এসেছিল সেই কবে। আর আজ শক্ত–সমর্থ জোয়ান ছেলে। তার একটি কথায় ছেলেটা প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু বুড়ি মুখ খুলবে না। এরকম বোকা আগে দেখেছো কোনোদিন! ছেলেটার ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে না বুড়ি? ঘর আলো করে যদিন তোমার কোলে এলো, প্রথম যখন মা মা বলে মুখে অস্ফুটস্বরে ডাকতে শুরু করলো, কত মধুময় সে ডাক! তারপর স্বাস্থ্যবান দেহ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আছাড় খেতো। শীতের সেই আঁধার রাতে তুৃমি কাঁথার নিচে বুকের মধ্যে নিয়ে শুয়ে থাকতে। তারপর একটু বড় হলে বাপের হাতের কাজে সাহায্য করে, খেলে বেড়ায়। সেদিনের সেই ছেলে আজ কেমন তাগড়া জোয়ান হয়েছে। আরেকটু পরে তার বুক, পিঠ, মাথা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে। সুঠাম দেহটা ফেলে দেওয়া হবে ময়লার ভাগাড়ে কিংবা নর্দমায়। কাক–শকুন, চিল এসে ঠুকরে ছিঁড়ে খাবে পঁচা গলা শরীরের মাংস। হুহ! কি বলো বুড়ি? তোমার পেটের ছেলে... সুজনের মা তখন ঝাঁঝালো কণ্ঠে প্রতিবাদ করে বলে– "সে দেশের জন্য লড়াই করছে। নিজের মাতৃভূমি মা'কে বাঁচানোর লড়াই। আমার ছেলে তো কোনো দোষের কিছু করছে না।"

জমিদার সাহেব কথা শুনে একেবারে বাকরূদ্ধ। তিনি যেন চিরতরে বোবা হয়ে গেছেন। তাকে চুপ থাকতে দেখে জালিম দলের কমান্ডার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে– করেছে, করেছে। সে সাংঘাতিক দোষ করেছে। মিসক্রিয়ান্টদের সাথে যোগ দিয়েছে সে। ধর্মকে অপমান করেছে সে। অতবড় অপরাধের ক্ষমা নেই বুড়ি। সুজনের মা চরম বিরক্তি নিয়ে বললো– "আমাদেরকে মেরে ফেল পাষণ্ডের দল। তোদের মতো মানুষরূপী জানোয়ারদের থেকে প্রাণ ভিক্ষা নেওয়ার চেয়ে ন্যায়ের পথে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া হাজার গুণে ভালো। তোদের কাছে মাথা নিচু করলে এ দেশের মা মাটিকে অপমান করা হবে। সেই সাথে পরকালের জিন্দেগীতেও শাস্তি পেতে হবে। মেরে ফেল আমাদের..... মেরে ফেল। কিন্তু এমন একদিন আসবে যেদিন তোদের এদেশে থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে যেতে হবে। আমার এক ছেলেকে মেরে তোরা পার পেয়ে যাবি না। এ দেশের বুকে এমন হাজারো জোয়ান আছে যাদের বুকে রয়েছে দেশের জন্য বুকভরা ভালোবাসা আর অসীম সাহস। এতক্ষণে জমিদারের ঘোর কাটলো... তৎক্ষনাৎ ধমক দিয়ে বললো, চুপ কর শয়তানি বুড়ি৷ শকুনের শাপে গরু মরে না। নিয়ে যাও এদেরকে চোখের সামনে থেকে। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো, এদের শরীরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করবো, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিব সারা শরীর। তাদের এক সিপাহি একটু ভেবে দেখতে বললেন... আমরা এখনো কোনো খোঁজ পাইনি তাদের দলের। শুনে কমান্ডার বললো না, না, অত ভাবার কিছু নেই। ওপর থেকে অর্ডার আছে, যে অবস্থায় যেমন করেই হোক মুক্তিবাহিনীর এই দলকে ধরতেই হবে। এই একটা দল অনেক ছোট ছোট দল পরিচালনা করছে, তাদের রসদ যোগাচ্ছে। এদের ধরতে পারলে সব কয়টাকে খতম করা যাবে। এ কাজে যারা সামান্য বাঁধার সৃষ্টি করবে তাদের শাস্তি তৎক্ষনাৎ মৃত্যুদন্ড। এ তো মাত্র দু'টো প্রাণ! দরকার হলে এরকম আরও বিশ-ত্রিশ জনকে গান পয়েন্টে রেখে ঝাঁঝরা করে দিব। নিয়ে যাও এদের। শেষ বারের মতো প্রশ্ন করবে৷ যদি না বলে তাহলে খতম!

অর্ডার পেয়ে চার-পাঁচ জন লোহার টুপি পড়া সিপাহি তাদের মা ছেলে দু'জনকে নিয়ে গ্রামের নদীর ধারে বটগাছের নিচে দাঁড় করালো। বুড়ি তো মরার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ছেলেকে একটু বেতালের মতো দেখে একজন সিপাহি ফাঁকা গুলি ছুঁড়লো। গুলির তীক্ষ্ণ শব্দটা কানে যেতেই কোনো ভাবে উঠে দাঁড়ায়। মা'কে মেরে ফেলেছে কি না তা দেখার জন্য এদিক ওদিক তাকায়। হানাদার বাহিনীরা এমন অবস্থা দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে বলে– এখনও কিছু হয় নি তবে এটা তোমাদের মা ছেলের জন্য শেষ সংকেত। এটা শুনে তাঁরা মা ছেলে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তাদের সীধান্তে অনড় থাকে। তাঁরা কিছুতেই মুখ খুলবে না। যেন চোখের ইশারায় একে অপরকে বিদায় জানায়। মা ছেলের এমন কান্ড দেখে মিলিটারিরা সীধান্ত নেয় নিজেদের হাতেই মরবে ওঁরা। দু'টো বন্দুক মা ছেলের হাতে দেয় আর বাকিরা তাঁদের দিকে বন্দুক তাক করে থাকে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ভেবেছিল তাঁরা বলে দিবে সবকিছু। কিন্তু বন্দুক হাতে পেয়ে বুড়ি তাঁর ছেলেকে বললেন– "আর দেরি করিস না বাবা, এই নরপশুদের হাতে মরার চেয়ে ভালো আমি তোর হাতেই মরবো, এ মরা তেও শান্তি আছে। চালিয়ে দে গুলি।" মায়ের কথায় সুজন একমত হতে পারলেও, মাকে নিজের হাতে মারবে এটা কোনোভাবেই মানতে পারছিল না।

সুজন অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি পারছি না মা, আমি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। দেরি করলে তুমিও দূর্বল হয়ে যাবে মা!" এমন সময় শোনা যায় একটি গুলির শব্দ! মূহুর্তেই সুজনের দেহটা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মা ছেলেকে গুলি করেছে! পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মিলিটারিরা এমন দৃশ্য দেখে হতবাক। তাদের একজন বুড়িকেও গুলি করলো। ছেলের মতো তাঁর শরীরটাও মাটিতে নুইয়ে পড়লো। মা ছেলের রক্তের ধারা বইতে লাগলো। সেই রক্তের দিকে তাকিয়েই মা ছেলে যেন দেখলো, অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করছে। সারি সারি মিছিল বের হচ্ছে, হাতে লাল সবুজের পতাকা৷ আর মুখে একটাই ধ্বনি " জয় বাংলা "। এমন হাজারো মায়ের বীরত্বের সাক্ষী হয়ে আছে এই পবিত্র জন্মভূমি।


শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


 ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এক ১৫ আগস্টে (১৯৭৫ সাল) শেখ মুজিবুরের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে (২০২৪ সাল) কোনো জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। এতে বলা যায়, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে যে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন। হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের ওপর ন্যায়বিচার করব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কর্তৃত্বের মাধ্যমেও নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেল আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এ সময় প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীরা একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে ভবনের দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক স্লোগান লিখে গেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) জুমার দিন সকালে সালফিতের মারদা গ্রামে বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’, ‘আরবদের মৃত্যু হোক’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখে রেখেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। এ ছাড়া উত্তর পশ্চিম তীরের মারদা গ্রামের মসজিদের প্রবেশপথে কালো পোড়া দাগ দেখা গেছে। তবে আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

মারদা গ্রাম পরিষদের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশ বলেন, শুক্রবার মারদা গ্রাম একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় জেগে উঠল। বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী বীর আল-ওয়ালিদিন মসজিদে আগুন দেয়। বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আক্রমণ ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।

ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করে। দোষীদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিক সর্বশেষ ঘটনা বলে নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইসরায়েলি বসবাস করে। ১৯৬৭ সালে এই দুটি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দখলকৃত ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২