সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দাম দিয়ে কেনা স্বাধীনতা

বৃদ্ধা মায়ের সাথে দেখা করতে এসে ধরা পড়লো সুজন। গ্রামে ঘাঁটি গাড়া কমান্ডারের সঙ্গে জমিদার সাহেবের বেশ খাতির। তাদের মহব্বত দেখলে মনেই হয় না দু'জন দুই মেরুর মানুষ। কাশেম জমিদারের গুপ্তচরের কয়েকদিনের অক্লান্ত গোয়েন্দাগিরি অবশেষে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল পুরো দলের খবর বের করা। কিন্তু সুজন মুখ খুলছে না। জমিদার তাকে মৃত্যুর ভয় দেখায়, ছেড়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। বিশ্লেষণ করে বলে– " ঘাড়ত্যাড়া কোথাকার, বোকারাম। নিজেকে অনেক বড় বীর মনে করছে। দেশের জন্য ভালোবাসা একেবারে উতলে পড়ছে। আরে বেকুব তাতে তোর লাভটা কি হবে! মরে যাওয়ার পর কে তোকে মনে রাখবে! বরং খোঁজ দিয়ে নিজের জীবনের সাথে অনেক ইনামও পেতিস।"

পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সুজনকে কবলানো পাকিস্তানিদের চেয়ে তার বেশি জরুরি। দু'জনকে নানাভাবে তাল দিয়েও যখন কিছু হলো না তখন মনে মনে তার মায়ের দূর্বলতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলো। গলার স্বরটা একটু ঠান্ডা করে সুজনের মা'কে লক্ষ্য করে বলে– " নাও বুড়ি, তোমার এই বোকা ছেলেকে তুমি অন্তত একটু বোঝাও। এমন সুযোগ কিন্তু আর আসবে না। তোমাদের কোনো ভয় নেই। মিলিটারিদের সাথে আমার কথা হয়ে গেছে। তারা তোমাদের সসম্মানে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তাদের অবস্থান টা বলে তোমরা চলে যাও, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। তুমিই বলো ওরা সব কোথায় আছে? আর আগামীর পরিকল্পনা কি ওদের?" সুজনের মা প্রথম থেকেই নিশ্চুপ। যেন বাকরূদ্ধ হয়ে গেছেন। জমিদার সাহেব আশ্চর্য হয়ে বললেন– আরে, তুমিও ওর মতো চুপ! তোমারও কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো! পেটের ছেলের কথা ভাববে না একবার? পাশের এক লাঠিয়ালকে লক্ষ্য করে বলে, দেখ মইনুল মিয়া, এই বুড়ির আক্কেলটা দেখ একবার। এটাই কি মা'য়ের পরিচয়! দুধের শিশু হয়ে তার কোলে এসেছিল সেই কবে। আর আজ শক্ত–সমর্থ জোয়ান ছেলে। তার একটি কথায় ছেলেটা প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু বুড়ি মুখ খুলবে না। এরকম বোকা আগে দেখেছো কোনোদিন! ছেলেটার ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে না বুড়ি? ঘর আলো করে যদিন তোমার কোলে এলো, প্রথম যখন মা মা বলে মুখে অস্ফুটস্বরে ডাকতে শুরু করলো, কত মধুময় সে ডাক! তারপর স্বাস্থ্যবান দেহ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আছাড় খেতো। শীতের সেই আঁধার রাতে তুৃমি কাঁথার নিচে বুকের মধ্যে নিয়ে শুয়ে থাকতে। তারপর একটু বড় হলে বাপের হাতের কাজে সাহায্য করে, খেলে বেড়ায়। সেদিনের সেই ছেলে আজ কেমন তাগড়া জোয়ান হয়েছে। আরেকটু পরে তার বুক, পিঠ, মাথা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে। সুঠাম দেহটা ফেলে দেওয়া হবে ময়লার ভাগাড়ে কিংবা নর্দমায়। কাক–শকুন, চিল এসে ঠুকরে ছিঁড়ে খাবে পঁচা গলা শরীরের মাংস। হুহ! কি বলো বুড়ি? তোমার পেটের ছেলে... সুজনের মা তখন ঝাঁঝালো কণ্ঠে প্রতিবাদ করে বলে– "সে দেশের জন্য লড়াই করছে। নিজের মাতৃভূমি মা'কে বাঁচানোর লড়াই। আমার ছেলে তো কোনো দোষের কিছু করছে না।"

জমিদার সাহেব কথা শুনে একেবারে বাকরূদ্ধ। তিনি যেন চিরতরে বোবা হয়ে গেছেন। তাকে চুপ থাকতে দেখে জালিম দলের কমান্ডার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে– করেছে, করেছে। সে সাংঘাতিক দোষ করেছে। মিসক্রিয়ান্টদের সাথে যোগ দিয়েছে সে। ধর্মকে অপমান করেছে সে। অতবড় অপরাধের ক্ষমা নেই বুড়ি। সুজনের মা চরম বিরক্তি নিয়ে বললো– "আমাদেরকে মেরে ফেল পাষণ্ডের দল। তোদের মতো মানুষরূপী জানোয়ারদের থেকে প্রাণ ভিক্ষা নেওয়ার চেয়ে ন্যায়ের পথে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া হাজার গুণে ভালো। তোদের কাছে মাথা নিচু করলে এ দেশের মা মাটিকে অপমান করা হবে। সেই সাথে পরকালের জিন্দেগীতেও শাস্তি পেতে হবে। মেরে ফেল আমাদের..... মেরে ফেল। কিন্তু এমন একদিন আসবে যেদিন তোদের এদেশে থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে যেতে হবে। আমার এক ছেলেকে মেরে তোরা পার পেয়ে যাবি না। এ দেশের বুকে এমন হাজারো জোয়ান আছে যাদের বুকে রয়েছে দেশের জন্য বুকভরা ভালোবাসা আর অসীম সাহস। এতক্ষণে জমিদারের ঘোর কাটলো... তৎক্ষনাৎ ধমক দিয়ে বললো, চুপ কর শয়তানি বুড়ি৷ শকুনের শাপে গরু মরে না। নিয়ে যাও এদেরকে চোখের সামনে থেকে। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো, এদের শরীরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করবো, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিব সারা শরীর। তাদের এক সিপাহি একটু ভেবে দেখতে বললেন... আমরা এখনো কোনো খোঁজ পাইনি তাদের দলের। শুনে কমান্ডার বললো না, না, অত ভাবার কিছু নেই। ওপর থেকে অর্ডার আছে, যে অবস্থায় যেমন করেই হোক মুক্তিবাহিনীর এই দলকে ধরতেই হবে। এই একটা দল অনেক ছোট ছোট দল পরিচালনা করছে, তাদের রসদ যোগাচ্ছে। এদের ধরতে পারলে সব কয়টাকে খতম করা যাবে। এ কাজে যারা সামান্য বাঁধার সৃষ্টি করবে তাদের শাস্তি তৎক্ষনাৎ মৃত্যুদন্ড। এ তো মাত্র দু'টো প্রাণ! দরকার হলে এরকম আরও বিশ-ত্রিশ জনকে গান পয়েন্টে রেখে ঝাঁঝরা করে দিব। নিয়ে যাও এদের। শেষ বারের মতো প্রশ্ন করবে৷ যদি না বলে তাহলে খতম!

অর্ডার পেয়ে চার-পাঁচ জন লোহার টুপি পড়া সিপাহি তাদের মা ছেলে দু'জনকে নিয়ে গ্রামের নদীর ধারে বটগাছের নিচে দাঁড় করালো। বুড়ি তো মরার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ছেলেকে একটু বেতালের মতো দেখে একজন সিপাহি ফাঁকা গুলি ছুঁড়লো। গুলির তীক্ষ্ণ শব্দটা কানে যেতেই কোনো ভাবে উঠে দাঁড়ায়। মা'কে মেরে ফেলেছে কি না তা দেখার জন্য এদিক ওদিক তাকায়। হানাদার বাহিনীরা এমন অবস্থা দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে বলে– এখনও কিছু হয় নি তবে এটা তোমাদের মা ছেলের জন্য শেষ সংকেত। এটা শুনে তাঁরা মা ছেলে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তাদের সীধান্তে অনড় থাকে। তাঁরা কিছুতেই মুখ খুলবে না। যেন চোখের ইশারায় একে অপরকে বিদায় জানায়। মা ছেলের এমন কান্ড দেখে মিলিটারিরা সীধান্ত নেয় নিজেদের হাতেই মরবে ওঁরা। দু'টো বন্দুক মা ছেলের হাতে দেয় আর বাকিরা তাঁদের দিকে বন্দুক তাক করে থাকে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ভেবেছিল তাঁরা বলে দিবে সবকিছু। কিন্তু বন্দুক হাতে পেয়ে বুড়ি তাঁর ছেলেকে বললেন– "আর দেরি করিস না বাবা, এই নরপশুদের হাতে মরার চেয়ে ভালো আমি তোর হাতেই মরবো, এ মরা তেও শান্তি আছে। চালিয়ে দে গুলি।" মায়ের কথায় সুজন একমত হতে পারলেও, মাকে নিজের হাতে মারবে এটা কোনোভাবেই মানতে পারছিল না।

সুজন অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমি পারছি না মা, আমি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। দেরি করলে তুমিও দূর্বল হয়ে যাবে মা!" এমন সময় শোনা যায় একটি গুলির শব্দ! মূহুর্তেই সুজনের দেহটা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মা ছেলেকে গুলি করেছে! পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মিলিটারিরা এমন দৃশ্য দেখে হতবাক। তাদের একজন বুড়িকেও গুলি করলো। ছেলের মতো তাঁর শরীরটাও মাটিতে নুইয়ে পড়লো। মা ছেলের রক্তের ধারা বইতে লাগলো। সেই রক্তের দিকে তাকিয়েই মা ছেলে যেন দেখলো, অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করছে। সারি সারি মিছিল বের হচ্ছে, হাতে লাল সবুজের পতাকা৷ আর মুখে একটাই ধ্বনি " জয় বাংলা "। এমন হাজারো মায়ের বীরত্বের সাক্ষী হয়ে আছে এই পবিত্র জন্মভূমি।


শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


 ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি

জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। ফ্যাসিবাদের লোকেরা জামায়াতে ইসলামীকে যেভাবে নির্মূল করতে চেয়েছিল, তাদের মুখে এখন ফ্যাসিবাদের সেই গন্ধ পাওয়া যায়।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে কর্মী সম্মেলনে এ কথা বলেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক অবদান ছিল। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতারা গত তিনটা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারিনি। বহু লোক জীবন দিয়েছে, নিহত হয়েছে, মামলা হয়েছে। আমাদের দেশের ছাত্ররা, সেই আন্দোলন তাদের হাতে তুলে নিয়েছিল। আমাদের সন্তানরা সেই আন্দোলন জীবন ও রক্ত দিয়ে সফল করেছে।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের যুগের অবসান হয়েছে। এখন আসুন, একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর অনৈক্য-বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো ভূমিকা না নিয়ে, আগস্টের মূল চেতনাকে ধারণ করে অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাই।

কর্মী সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহা. ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক প্রমুখ।

 

Header Ad
Header Ad

নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  

ছবিঃ সংগৃহীত

গতকাল রাতে ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রত্যাহারে সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার থেকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেয়ার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করা হবে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একইসঙ্গে ৭ কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন।

এদিকে, আজ দুপুরে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজ না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এজন্য ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাবির অধীনে এসব কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে।

Header Ad
Header Ad

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবিঃ সংগৃহীত

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে অমানসিক হামলা-নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর অধিকার বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে পুলিশি হামলা, নির্যাতনের ঘটনা অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে যাওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকাল যেভাবে নারী শিক্ষক ও বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ওপর হামলে পড়ে নির্যাতন চালিয়েছে, তা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। একটি সভ্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনভাবে হামলা ও নির্যাতন করতে পারে না।

তিনি বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে এই জুলুমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে; সেজন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

চরমোনাই পীর বলেন, ৪০ বছর ধরে অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবন যাপন করার পরেও তাদের যৌক্তিক সমস্যা সমাধান না করা দুঃখজনক। অতীতের সরকার এগুলো সমাধান না করে আকুণ্ঠ দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে।

এসব শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির  
মালানের তান্ডবে খুলনাকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল
বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি  
পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে: ডিএমপি
নিলামে উঠল আওয়ামী মন্ত্রীদের জন্য আনা বিলাসবহুল ৪৪ গাড়ি
১০ বিষয়ে একমত বিএনপি-ইসলামী আন্দোলন
শেষ সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন থালাপতি বিজয়
টোল নিতে দেরি হওয়ায় টোলকর্মীকে লাঞ্ছিত করলেন বিএনপি নেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকছে না সাত কলেজ
টাঙ্গাইলে ট্রাক কেড়ে নিল বিদ্যুৎ লাইনম্যানের প্রাণ
চেহারা নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে মানববন্ধন
ঘুষ খেয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার বানান সাবেক ইসি সচিব!
শবে মেরাজের রাতের ফজিলত ও আমল