শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

"বিজয়ের হাসি"

আর কয়েকদিন পর স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ । এবারের পত্রিকার স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কী লেখা যায় তাই ভাবছি এমন সময় উজ্জ্বল এসে হাজির। এই নির্জন এরিয়ার আমার একমাত্র বন্ধু উজ্জ্বল । আমাকে চিন্তিত দেখে সে বলল, “খানিকটা চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে?”

আমি বললাম, “চিন্তিত তো বটেই। এবার স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ সংখ্যায় কী লিখবো তা খুঁজে পাচ্ছি না। এদিকে স্বাধীনতা দিবসেরও বেশি দেরি নেই।”

উজ্জ্বল মৃদু হেসে বলল, “এতো চিন্তার কিছু নেই বন্ধু। আমাদের গ্রামে চলো। সেখানে রহমান নামে একজন চাচা রয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা। এবার বিজয় দিবসে না হয় ওনার গল্পটাই লিখবে।”

উজ্জ্বলের প্রস্তাবটা আমার মনে ধরলো। গতো কয়েক বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখছি বিশেষ সংখ্যায় কিন্তু কখনো কোনো মুক্তিযোদ্ধার নিজের গল্প লিখিনি। এবার ভিন্ন কিছু করতে পারবো ভেবে মনে মনে বেশ আনন্দিত হলাম।

পরদিনই সাথে করে ডায়েরি নিয়ে আমি আর উজ্জ্বল বেরিয়ে পরলাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। উজ্জ্বলদের গ্রামের নাম হেমায়েতপুর। শহর থেকে ৩০ কি.মি. দক্ষিণে। বড়জোর বাসে করে এক ঘন্টা লাগবে পোঁছাতে।

গ্রামে পৌঁছে প্রথমে উজ্জ্বল বাড়ি গেলাম। সেখানে দুপুরের খাওয়া সেড়ে বেরিয়ে পরলাম রহমান চাচার বাড়ির উদ্দেশ্যে।

গ্রামের উত্তর দিকে রহমান চাচার বাড়ি। আমাদের দেখে ওনি আনন্দিত হলেন। বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে বসার ব্যবস্থা করে দিলেন। চাচা যখন শুনলেন আমরা ওনার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে এসেছি তখন তিনি অবাক হলেন। বিস্মিত হয়ে খানিক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকার পর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,”আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রায় ভুলতে বসেছে। অথচ কতটা গৌরবময় আমাদের ইতিহাস। তোমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহী দেখে অনেক খুশি হলাম, বাবা।”

আমি বললাম, “এক সাথে সবাই তো আর ভুলতে পারে না। কেউ না কেউ নিশ্চই মনে রাখে। চাচা আপনার গল্পটা বলুন এবার। কী করে যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে?”

রহমান চাচা কিছুক্ষণ চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরপর বলতে লাগলেন, “আমার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার গল্পটা ভিন্ন। তখন সবেমাত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো পাক বাহিনী। রেডিওতে মাঝেমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দু-একটা হামলার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিছুদিন পর আমাদের এই হেমায়েতপুরে পাকবাহিনীরা ক্যাম্প করে। মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আবার চলে যেত। আমরা যুবকরা প্রায় সময় লুকিয়ে থাকতাম। কারণ পাকবাহিনী যুবকদেরই বেশি ধরে নিয়ে যেত। একদিন গ্রামের মোড়ের দোকানের সামনে বসে সকলে মিলে রেডিওতে খবর শুনছি এমন সময় দেখি শওকত হন্তদন্ত হয়ে কোথাও ছুটে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামেরই ছেলে ছিল শওকত। কিছুটা হাবলা প্রকৃতির। আমরা তাকে থামিয়ে যখন জানতে চাইলাম এভাবে হন্তদন্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছে তখম সে জানাল সে নাকি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে যাচ্ছে। পাকবাহিনীদের এ দেশে কোনোমতেই থাকতে দেওয়া যাবে না। এ দেশ শুধুই আমাদের। ওর কথা শুনে আমরা সকলেই হাসতে লাগলাম। হাসতে হাসতে একজন বলল, তুই যে হাবলা তা জানতাম কিন্তু এতটা হাবলা তা জানতাম না। কোথায় সশস্ত্র আর্মি আর কোথায় তুই। সশস্ত্র আর্মির বিরুদ্ধে কী দিয়ে যুদ্ধ করবি? মুক্তিযুদ্ধে গেলে নির্ঘাত মারা পড়বি।

এ কথা শুনে শওকত কঠিন গলায় যা বলেছিল তাই-ই শেষ পর্যন্ত আমাকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বানালো। সে বলল, আরে, আমি তো যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যাব, আর তোরা? তোরা তো এখনই মারা গিয়েছিস। আরে বেটা শোন, আমার অস্ত্র নেই তো কী হয়েছে? এই চওড়া বুকটা তো আছে। পাক আর্মির সামনে বুক পেতে দিয়ে গুলি খেয়ে অন্তত ওদের কয়েকটা বুলেট তো কমাতে পারবো। নিজের দেশের জন্য লড়তে এর থেকে বেশি কী লাগে?

শওকতের কথায় আমরা সবাই নির্বাক হয়ে গেলাম। যে ছেলেটা কিছুই করতে পারতো না আজ সেই হাবলা ছেলে দেশের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও দ্বিধাবোধ করছে না!

এর কয়েকদিন পর আমিসহ গ্রামের আরও কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথমে হেমায়েতপুরকে শত্রুমুক্ত করা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা একদিন হেমায়েতপুর পাক আর্মির ক্যাম্পে আক্রমণ করলাম। সেই আক্রমণে শওকতও আমাদের সাথে ছিল। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আমাদের বুলেট শেষ হয়ে এলো। আমরা পিছ পা হচ্ছি এমন সময় গ্রেনেড হাতে শওকত ক্যাম্পের মধ্যখানে চলে গেলো। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ক্যাম্পে প্রচন্ড আওয়াজে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করলো। ঠিক তার পর মুহুর্তেই শত্রুপক্ষের কয়েকটা বুলেট এসে শওকত বুক ঝাঝরা করে দিল। আমি কোনো মতে গিয়ে তাকে ক্যাম্পের বাইরে নিয়ে আসি। গুলি লাগা সত্তেও শওকতের মুখে বিজয়ের হাসি ছিল। মারা যাওয়ার আগে সে আমাকে বলল, বলেছিলাম না, শত্রু পক্ষের কয়েকটা বুলেট কমাবো? এই দেখ, আমার এই চওড়া বুকে ওদের ১০ টা বুলেট রয়েছে। আমি ওদের ১০ টা বুলেট কমাতে পেরেছি। আমার বুকটা আরেকটু চওড়া হলে ভালো হতো রে। তখন দশটার জায়গায় ১৫ টা বুলেট কমাতে পারতাম ওদের।

এ কথা বলেই সে মারা যায়। সেদিনের পর থেকে প্রায়ই শওকতের কথাগুলো আমার কানে বাজতো। এরপর অনেক অপারেশনে গিয়েছি, অনেকবার মৃত্যুর মুখে পড়েছি কিন্তু কখনো সামান্যতম পিছ পা হয়নি। শওকত আমার মধ্যে যে সাহসের বীজ বপন করে দিয়ে গিয়েছিল সেটাই শেষ পর্যন্ত আমাকে লড়তে উৎসাহ যুগিয়েছে।”

রহমান চাচার কথা শেষ হতেই দেখলাম ওনার চোখ দুটো ছলছল করছে। কখন যে আমারও চোখ ভিজে গিয়েছে তা টের পাইনি। কতটা বীরত্বের সাথেই না লড়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। এগুলো যেন রুপকথাকেও হার মানায়। বিদায় নেওয়ার আগে চাচা আমাদের শওকতের কবর দেখাতে নিয়ে গেলেন। শওকতের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যরকম শিহরণ বয়ে গেল পুরো শরীরে। আমি এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি এমন এক বীর সন্তানের কবরের সামনে, যে শত্রুপক্ষের বুলেট কমাতে নিজের বুক পেতে দিয়েছিল নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে

সাগরিয়া,বুড়িরচর,হাতিয়া,নোয়াখালী।

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এক ১৫ আগস্টে (১৯৭৫ সাল) শেখ মুজিবুরের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে (২০২৪ সাল) কোনো জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। এতে বলা যায়, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে যে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন। হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের ওপর ন্যায়বিচার করব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কর্তৃত্বের মাধ্যমেও নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেল আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এ সময় প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীরা একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে ভবনের দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক স্লোগান লিখে গেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) জুমার দিন সকালে সালফিতের মারদা গ্রামে বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’, ‘আরবদের মৃত্যু হোক’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখে রেখেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। এ ছাড়া উত্তর পশ্চিম তীরের মারদা গ্রামের মসজিদের প্রবেশপথে কালো পোড়া দাগ দেখা গেছে। তবে আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

মারদা গ্রাম পরিষদের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশ বলেন, শুক্রবার মারদা গ্রাম একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় জেগে উঠল। বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী বীর আল-ওয়ালিদিন মসজিদে আগুন দেয়। বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আক্রমণ ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।

ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করে। দোষীদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিক সর্বশেষ ঘটনা বলে নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইসরায়েলি বসবাস করে। ১৯৬৭ সালে এই দুটি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দখলকৃত ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২