শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

"বিজয়ের হাসি"

আর কয়েকদিন পর স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ । এবারের পত্রিকার স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কী লেখা যায় তাই ভাবছি এমন সময় উজ্জ্বল এসে হাজির। এই নির্জন এরিয়ার আমার একমাত্র বন্ধু উজ্জ্বল । আমাকে চিন্তিত দেখে সে বলল, “খানিকটা চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে?”

আমি বললাম, “চিন্তিত তো বটেই। এবার স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ সংখ্যায় কী লিখবো তা খুঁজে পাচ্ছি না। এদিকে স্বাধীনতা দিবসেরও বেশি দেরি নেই।”

উজ্জ্বল মৃদু হেসে বলল, “এতো চিন্তার কিছু নেই বন্ধু। আমাদের গ্রামে চলো। সেখানে রহমান নামে একজন চাচা রয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা। এবার বিজয় দিবসে না হয় ওনার গল্পটাই লিখবে।”

উজ্জ্বলের প্রস্তাবটা আমার মনে ধরলো। গতো কয়েক বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখছি বিশেষ সংখ্যায় কিন্তু কখনো কোনো মুক্তিযোদ্ধার নিজের গল্প লিখিনি। এবার ভিন্ন কিছু করতে পারবো ভেবে মনে মনে বেশ আনন্দিত হলাম।

পরদিনই সাথে করে ডায়েরি নিয়ে আমি আর উজ্জ্বল বেরিয়ে পরলাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। উজ্জ্বলদের গ্রামের নাম হেমায়েতপুর। শহর থেকে ৩০ কি.মি. দক্ষিণে। বড়জোর বাসে করে এক ঘন্টা লাগবে পোঁছাতে।

গ্রামে পৌঁছে প্রথমে উজ্জ্বল বাড়ি গেলাম। সেখানে দুপুরের খাওয়া সেড়ে বেরিয়ে পরলাম রহমান চাচার বাড়ির উদ্দেশ্যে।

গ্রামের উত্তর দিকে রহমান চাচার বাড়ি। আমাদের দেখে ওনি আনন্দিত হলেন। বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে বসার ব্যবস্থা করে দিলেন। চাচা যখন শুনলেন আমরা ওনার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে এসেছি তখন তিনি অবাক হলেন। বিস্মিত হয়ে খানিক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকার পর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,”আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রায় ভুলতে বসেছে। অথচ কতটা গৌরবময় আমাদের ইতিহাস। তোমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহী দেখে অনেক খুশি হলাম, বাবা।”

আমি বললাম, “এক সাথে সবাই তো আর ভুলতে পারে না। কেউ না কেউ নিশ্চই মনে রাখে। চাচা আপনার গল্পটা বলুন এবার। কী করে যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে?”

রহমান চাচা কিছুক্ষণ চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরপর বলতে লাগলেন, “আমার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার গল্পটা ভিন্ন। তখন সবেমাত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো পাক বাহিনী। রেডিওতে মাঝেমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দু-একটা হামলার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিছুদিন পর আমাদের এই হেমায়েতপুরে পাকবাহিনীরা ক্যাম্প করে। মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আবার চলে যেত। আমরা যুবকরা প্রায় সময় লুকিয়ে থাকতাম। কারণ পাকবাহিনী যুবকদেরই বেশি ধরে নিয়ে যেত। একদিন গ্রামের মোড়ের দোকানের সামনে বসে সকলে মিলে রেডিওতে খবর শুনছি এমন সময় দেখি শওকত হন্তদন্ত হয়ে কোথাও ছুটে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামেরই ছেলে ছিল শওকত। কিছুটা হাবলা প্রকৃতির। আমরা তাকে থামিয়ে যখন জানতে চাইলাম এভাবে হন্তদন্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছে তখম সে জানাল সে নাকি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে যাচ্ছে। পাকবাহিনীদের এ দেশে কোনোমতেই থাকতে দেওয়া যাবে না। এ দেশ শুধুই আমাদের। ওর কথা শুনে আমরা সকলেই হাসতে লাগলাম। হাসতে হাসতে একজন বলল, তুই যে হাবলা তা জানতাম কিন্তু এতটা হাবলা তা জানতাম না। কোথায় সশস্ত্র আর্মি আর কোথায় তুই। সশস্ত্র আর্মির বিরুদ্ধে কী দিয়ে যুদ্ধ করবি? মুক্তিযুদ্ধে গেলে নির্ঘাত মারা পড়বি।

এ কথা শুনে শওকত কঠিন গলায় যা বলেছিল তাই-ই শেষ পর্যন্ত আমাকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বানালো। সে বলল, আরে, আমি তো যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যাব, আর তোরা? তোরা তো এখনই মারা গিয়েছিস। আরে বেটা শোন, আমার অস্ত্র নেই তো কী হয়েছে? এই চওড়া বুকটা তো আছে। পাক আর্মির সামনে বুক পেতে দিয়ে গুলি খেয়ে অন্তত ওদের কয়েকটা বুলেট তো কমাতে পারবো। নিজের দেশের জন্য লড়তে এর থেকে বেশি কী লাগে?

শওকতের কথায় আমরা সবাই নির্বাক হয়ে গেলাম। যে ছেলেটা কিছুই করতে পারতো না আজ সেই হাবলা ছেলে দেশের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও দ্বিধাবোধ করছে না!

এর কয়েকদিন পর আমিসহ গ্রামের আরও কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথমে হেমায়েতপুরকে শত্রুমুক্ত করা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা একদিন হেমায়েতপুর পাক আর্মির ক্যাম্পে আক্রমণ করলাম। সেই আক্রমণে শওকতও আমাদের সাথে ছিল। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আমাদের বুলেট শেষ হয়ে এলো। আমরা পিছ পা হচ্ছি এমন সময় গ্রেনেড হাতে শওকত ক্যাম্পের মধ্যখানে চলে গেলো। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ক্যাম্পে প্রচন্ড আওয়াজে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করলো। ঠিক তার পর মুহুর্তেই শত্রুপক্ষের কয়েকটা বুলেট এসে শওকত বুক ঝাঝরা করে দিল। আমি কোনো মতে গিয়ে তাকে ক্যাম্পের বাইরে নিয়ে আসি। গুলি লাগা সত্তেও শওকতের মুখে বিজয়ের হাসি ছিল। মারা যাওয়ার আগে সে আমাকে বলল, বলেছিলাম না, শত্রু পক্ষের কয়েকটা বুলেট কমাবো? এই দেখ, আমার এই চওড়া বুকে ওদের ১০ টা বুলেট রয়েছে। আমি ওদের ১০ টা বুলেট কমাতে পেরেছি। আমার বুকটা আরেকটু চওড়া হলে ভালো হতো রে। তখন দশটার জায়গায় ১৫ টা বুলেট কমাতে পারতাম ওদের।

এ কথা বলেই সে মারা যায়। সেদিনের পর থেকে প্রায়ই শওকতের কথাগুলো আমার কানে বাজতো। এরপর অনেক অপারেশনে গিয়েছি, অনেকবার মৃত্যুর মুখে পড়েছি কিন্তু কখনো সামান্যতম পিছ পা হয়নি। শওকত আমার মধ্যে যে সাহসের বীজ বপন করে দিয়ে গিয়েছিল সেটাই শেষ পর্যন্ত আমাকে লড়তে উৎসাহ যুগিয়েছে।”

রহমান চাচার কথা শেষ হতেই দেখলাম ওনার চোখ দুটো ছলছল করছে। কখন যে আমারও চোখ ভিজে গিয়েছে তা টের পাইনি। কতটা বীরত্বের সাথেই না লড়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। এগুলো যেন রুপকথাকেও হার মানায়। বিদায় নেওয়ার আগে চাচা আমাদের শওকতের কবর দেখাতে নিয়ে গেলেন। শওকতের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যরকম শিহরণ বয়ে গেল পুরো শরীরে। আমি এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি এমন এক বীর সন্তানের কবরের সামনে, যে শত্রুপক্ষের বুলেট কমাতে নিজের বুক পেতে দিয়েছিল নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে

সাগরিয়া,বুড়িরচর,হাতিয়া,নোয়াখালী।

ডিএসএস/ 

Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে ২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে কৃষকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সকালে উপজেলার পাটা চোরা ও সদর উপজেলার বেগমপুরের ঝাঁজরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা পাটা চোরা গ্রামের মল্লিকপাড়ার খেদের মল্লিকের ছেলে আহাম্মেদ আলী মল্লিক (৭০) ও সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (৩০)।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন জানান, এদিন সকালে রুবেল মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে সে কাজ না করে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় ঝাঁঝরি স্কুলের কাছে পৌঁছালে তার মাথায় বাজ পড়ে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এদিকে পাটাচোরা গ্রামের বাসিন্দা শাহিন জানান, এদিন সকালে গ্রামের ইশেরগাড়ী মাঠ থেকে কাজ শেষে আহম্মেদ মল্লিক বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বজ্রাঘাতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হন। তাকে দ্রুত দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, বজ্রাঘাতপ্রাপ্ত আহম্মেদ মল্লিককে মৃত অবস্থায় এখানকার জরুরী বিভাগে আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ দেশটিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে শুক্রবার (১০ মে)। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ভোটাভুটির পরপর সাধারণ সভাতেই জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।

সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। যার মধ্যে ছিল ইসরায়েলের ‘বন্ধু’ ভারতও। অন্যদিকে ২৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।

যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটোকে নস্যাৎ করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের।

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়। আজ এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও রেজ্যুলেশন পাসের নিন্দা করেছেন। একে একটি ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ‘জাতিসংঘের পক্ষপাতের দিকটি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হামাস সন্ত্রাসীদের জন্য একটি পুরষ্কার। কারণ তারা হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে।

 

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, তারা সম্ভবত নিরাপত্তা পরিষদে এই ধরনের একটি অনুরোধে ভেটো দেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে।

জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, একটি খসড়া রেজ্যুলুশন পাস করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পক্ষে কমপক্ষে নয়জন সদস্য থাকতে হবে এবং ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এর স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ নেই। তারা হল চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা। সূত্র: এনডিটিভি

স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। ছবি: সংগৃহীত

যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। গত এপ্রিল থেকেই সেতুর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে অন্যান্য কিছু কাজ এখনো বাকি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। এতে জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না।

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
বিয়ে না করেই দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন একতা কাপুর
আগামীকাল এসএসসির ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
৫০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি কেজরিওয়াল, একনায়কতন্ত্র আটকানোর আহ্বান
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোক কেড়ে নিল ৬১ প্রাণ
যাত্রী উধাও, ভাড়া না পেয়ে জ্ঞান হারালেন রিকশাচালক
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল
আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬০ জনের প্রাণহানি