ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যুতে স্বামী ইফতেখার রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রিমান্ড মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বনানী থানার উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন মোল্লা ইফতেখার আবেদীনকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বনানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৬) মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বামী ইফতেখারকে আটক করে পুলিশ।
ইলমার মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ইফতেখার আবেদীন, তার মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মো. আমিনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে ইলমার সঙ্গে ইফতেখারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইফতেখার ও তার মা–বাবা ইলমাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলেন। ইলমা পড়া বন্ধ করতে না চাওয়ায় ইফতেখার ও তার মা–বাবা মিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন মাস পর ইফতেখার কানাডায় চলে যান।
গত ১২ ডিসেম্বর ইফতেখার ঢাকায় ফেরেন। গতকাল (১৪ ডিসেম্বর) সাইফুল ইসলামের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল করে ইফতেখার জানান, তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য গুলশানের একটি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাদের আসতে বলেন তিনি।
ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, আসামিদের সন্দেহজনক আচরণ দেখে মেয়ের লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। দেখেন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন। পরে মামলা করেন।
এজাহারে তিনি বলেন, তিন আসামি পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে ইলমাকে মারধর করে হত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে রাজধানীর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এলমাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। সুরতহালে এলমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ।
এমএ/এসআইএইচ/