এক যুগেরও অধিক সময় পর বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি বিশেষভাবে যুগান্তকারী সফর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের ‘যুগান্তকারী অগ্রগতি’ হিসেবে মূল্যায়ন করে পত্রিকাটি বলেছে, ২০১২ সালের পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম ঢাকা সফর।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দার বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে তিনি ঢাকা সফর করবেন।
পাকিস্তানী এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির গুরত্বপূর্ণ নানা দিক, সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য ও আগামীর নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরতে ইসলামাবাদে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ইসহাক দার।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ সফরটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আমাদের ‘হারানো ভাই’। আমরা একসঙ্গে কাজ করব; বাণিজ্য ও অর্থনীতি সামনে রেখে আমরা একে অপরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেব।”
দার বলেন, “কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আমাকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
“মুহাম্মদ ইউনূসও ইসলামাবাদ সফরে আসার জন্য পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। সফরের দিনক্ষণ দুই দেশের কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসেন হিনা রাব্বানি খার। ২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ডি-এইট সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা আসেন তিনি।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, “শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রটা বেশ সংকুচিত ছিল। পাকিস্তান একাধিকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালালেও তাতে সাড়া না দিয়ে ঢাকা-নয়া দিল্লির সম্পর্কেই প্রাধান্য দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
“রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কে দৃশ্যমান উন্নতি ঘটে।এরই মধ্যে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের মধ্যে একাধিকবার যোগাযোগও হয়েছে।”
বাংলাদেশ এরই মধ্যে দুই দেশের পণ্য আমদানি-রফতানির বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সমুদ্র পথে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে সরাসরি বাণিজ্য।