বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ওপর গোয়েন্দা অত্যাচারের প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’

পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর বঙ্গবন্ধুর গোয়েন্দা ফাইলগুলোর প্রথম খন্ড নিয়ে ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর-৬০৬’ বানিয়েছেন চলচ্চিত্রকার প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর তৈরি ফাইলগুলোর ১৪ খন্ডের সম্পাদিত বইয়ের ‘প্রথম খন্ড ১৯৪৮-১৯৫০ সাল’ নিয়ে বানানো হয়েছে। সিরিজটির নাম ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।

কুশলী পরিচালকের ক্যামেরায় কাহিনীর শুরু, পাকিস্তানের জন্মের পাঁচ মাসের মাথায় ১৯৪৮ সালের ১৩ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার বর্ধমান হাউজে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আইআই চুন্ডিগড়, আবদুর রব নিশতার, পীরজাদা আব্দুস সাত্তার। একটি পুস্তিকা বিলি করা হলো, শেখ মুজিবুর রহমান ও নাঈমুদ্দিন আহমদ প্রকাশিত, নাম ‘পুর্ব পাকিস্তানে দূর্ভাগা জনসাধারণ কৈফিয়ত দিতে হবে: আমাদের দাবী।’ বইটি নিয়েই পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের খাতায় প্রথম নাম উঠলো শেখ মুজিবের। বয়স মোটে ২৮। তারপর থেকে দিনে, রাতে সর্বক্ষণ তিনি কড়া গোয়েন্দা নজরদারিতে পড়লেন। আইএসআই প্রতিদিনই তার নামে রিপোর্ট পেশ করলো। তার এই ব্যক্তিগত নথি বা পারসোনাল ফাইল ১৯৪৮ থেকে শুরু।

‘ফাইল নম্বর ‘৬০৬’ নিয়ে শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেছেন, ‘আমার তৈরি এই বিশেষ প্রামাণ্যচিত্রটি বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বড় রাজনীতিবিদদের একজন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গোয়েন্দা নজরদারি ও হয়রানির ভিত্তিতে তৈরি বলে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম, তার সরকারি হয়রানি ইত্যাদি জানতে পারবেন ইতিহাসের সত্য হিসেবে, কোনো বানানো কাহিনীতে নয়। কেকনা ইতিহাসকে আমি বন্দী করেছি সেলুলয়েডে।

আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষকদের তথ্য-উপাত্তেরও সমৃদ্ধ উৎস হবে।’ কীভাবে প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন এ প্রশ্নের জবাবে চলচ্চিত্রকার তুহিন বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর ওপর আমার একান্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কারণে নিজের চেষ্টা ও সবার সহযোগিতায় এই বিশেষ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করতে পেরেছি। আমার আশা ও ইচ্ছে আছে, ভবিষ্যতে সরকারী ও বেসরকারী সাহায্য পেলে ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’র বাকি ১৩টি খন্ড নিয়েই ডকুমেন্টারি ফিকশন তৈরি করবো ও বাংলাদেশের এবং বিশ্বের আগামী দিনের অন্যতম রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা দলিলগুলোকে মূর্ত করে রাখবো। বিশ্বের সব দেশে পৌছে দেব।”

প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন চুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি)’র দুবারের এজিএস। তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, কবি, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী। তার ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’র পৃষ্ঠপোষক শাহীন আহমেদ। প্রযোজনা করেছে 'নক্ষত্র'।

আগামী ১১ এপ্রিল বিকেল ৪টায় ঢাকার রমনার আইইবি মিলনায়তনে ৪টায় ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে। প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

পরিচালক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন জানিয়েছেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।”

ওএফএস/এএস

Header Ad

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না

জহিরুল ইসলাম খান পান্না (ইনসটে: শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্না (জেড আই খান পান্না)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জেড আই খান পান্না বলেন, আজ আদালতে নিয়মিত শুনানির সময় কেউ একজন জানতে চান যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) আমি কারও পক্ষে লড়ব কি না। তখন আমি বলেছি, সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষেই লড়ব।

অতীতে আপনি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এখন তার পক্ষে লড়তে চাইছেন। এটি আপনার আগের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না?

উত্তরে জেড আই খান পান্না বলেন, অবশ্যই সাংঘর্ষিক। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তবে আমি যেকোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।

Header Ad

নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন

এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সচিব জনাব এ এম এম নাসির উদ্দীন-কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহবুদ্দিন।

অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে চার কমিশনারের নিয়োগের বিষয়টিও জানানো হয়।

চার কমিশনার হলেন:

১. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)

২. আবদুর রহমানেল মাসুদ, জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত)

৩. বেগম তাহমিদা আহমেদ, যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)

৪. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)।

Header Ad

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস ভিনিসিয়ুসের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন, আর পাশে ছিলেন তার বাবা ভিনিসিয়ুস সিনিয়র। এই মুহূর্তটি স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়ও প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের মধ্যে আরও কৌতুহল সৃষ্টি করে, বিশেষত স্মারকটি সম্পর্কে।

পরে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ভিনিসিয়ুসের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল এবং এতে জানা যায়, রেয়াল মাদ্রিদে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের অধিবাসী।

মূলত কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শেকড় খুঁজে বের করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খেলোয়াড়দের কার কোন বংশ, কোথায় ছিলেন পূর্বপুরুষরা, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

ভিনিসিউস ক্যামেরুনের টিকার গোত্রের অন্তর্গত। এই গোত্রের লোকেরা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী, গল্পকার হিসেবেও সুপরিচিত। একসময় এরা যাযাবর জীবন যাপন করত, পরে বর্তমান সুদানের নীল নদ উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। যা স্থানান্তরিত হয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়া থেকে পশ্চিম ক্যামেরুনের উচ্চভূমি পর্যন্ত।

সনদ নেয়ার সময় ভিনি বলেন, ক্যামেরুনে শেকড়ের সন্ধান পাওয়া আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। এটা মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের শেকড় ও ইতিহাসের মূল্য আছে।

ভিনির বাবা বলেন, আমরা কোথায় থেকে এসেছি, এটা জানা প্রয়োজন ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান তাদের শেকড় কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। ক্যামেরুনে আমাদের শেকড়, আমি অনেক খুশি।

সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস বলেছেন, ভিনি জুনিয়রের এই সংবাদকে উদ্‌যাপন করা মানে সব ব্রাজিলিয়ানের অর্জনকে উদ্‌যাপন। ওর পূর্বপুরুষের আদিনিবাসের খোঁজ পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আরেকবার সবাইকে নিয়ে সমাজ গড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ এবং আমাদের অস্তিত্বে ও বৈশ্বিক সাফল্যে আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির মৌলিক ভূমিকার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা