মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইতিহাসে মাত্র একবারই এসেছিল ৩০ ফেব্রুয়ারি

ছবি সংগৃহিত

লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষে প্রতি চার বছর অন্তর ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি একটি দিন যোগ করা হয়। ফলে ওই বছরটি গণনা করা হয় ৩৬৬ দিনে। এভাবে বছর গণনার সমন্বয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবারও চলছে লিপ ইয়ার। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।

প্রতি চার বছর পর পর ৩৬৫ দিনের জায়গায় ৩৬৬ দিন গণনা করে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহু বছর ধরেই ৩৬৫-দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হয়। চলতি বছর হল ৩৬৬ দিনে অর্থাৎ লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।

২৯শে ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন। এই বাড়তি এক দিন যোগ হওয়া মানে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে যেমন বাড়তি একদিন সময় পাওয়া যায়, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে বেতন আসার জন্য আরেকটা দিন বেশি অপেক্ষা করতে হয়। আবার যারা এই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি চার বছরে পর পর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন।

তবে আপনি জানেন কি, ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল? ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল সুইডেন। মজার বিষয় হলো, সেই তারিখে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

লিপ ইয়ার কেন আসে?

কখন থেকে এই লিপ ইয়ারের প্রচলন হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে প্রাচীন রোমের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। কারণ সেই সময় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তারা যে সৌর ক্যালেন্ডার ধরে বছর গণনা করছেন সেটি সৌর বছরের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

এই ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে। তিনি সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। যেই ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কারো কারো মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কাঁটায় কাঁটায় ৩৬৫ দিন সময় নেয় না। ৩৬৫ দিনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে। এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়।

সৌর বছরের সঙ্গে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।

একটি বাড়তি দিন

কিন্তু এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু ফাঁক থাকার কারণে ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে। যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল।

লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারি। বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ।

কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে "নিখুঁত" করার সিদ্ধান্ত নেন। তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ২৪ তারিখ নয়।

একটি গাণিতিক সমাধান

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্ল্যাভিয়াসের পরামর্শে, তখনকার জ্ঞানী ব্যক্তিরা বছরের হিসেবে এই সমন্বয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৫৮২ সালে ৪ঠা অক্টোবরের পরের দিন হবে ১৫ই অক্টোবর। অর্থাৎ মাঝে ১০ দিন গায়েব হয়ে যাবে।

মূলত এই উপায়ে সৌর বছরের মাঝে সময়ের যে ব্যবধান হয়েছিল সেটা দূর করা হয়। এবং পরিবর্তিতে যেন এই ভারসাম্যহীনতা আবার না ঘটে, সেজন্য লিপ ইয়ারের প্রবর্তন করা হয়।

সময়ের হেরফের

সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষেরই আবিষ্কার। চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গিয়েছে দুটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।

ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না। মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল। ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেয়া হতো।

সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে।

তবে সে সময় বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেয়া হয়। এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন এবং ছয় ঘণ্টায় হয়। তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ

এই গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট: সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম। আদতে এটি কোন বড় পার্থক্য না, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।

এই কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়েছিল, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগপিছ হয়ে যায়।

১৫৮২ সালে ৫ই অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ই অক্টোবর শুক্রবার করা হয়। অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি এবং সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল। তারা ২রা সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ই সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।

সুইডিশ পার্সিমনি এবং ৩০শে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন

কিন্তু তার আগে, সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসাথে বাদ দিতে চায়নি। তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করে। এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।

তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়। একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।

এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন। কিন্তু, যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯শে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।

এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র বারের জন্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই ৩০শে ফেব্রুয়ারি যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্ম তারিখ বা জন্ম দিন পালনের বিষয়ে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে তারা যে কখনও সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি তাতে কোন সন্দেহ নেই।

শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে। দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সাথে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad

টাকার সংকটে বেক্সিমকোর ২৪ কারখানা বন্ধ: শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ অনিশ্চিত

ছবি: সংগৃহীত

বেক্সিমকো গ্রুপ, এক সময়ের দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী, বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। এই সংকটের কারণে শাইনপুকুর সিরামিকস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, প্রতিষ্ঠানটির বন্ধ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টিতে।

গত আগস্ট থেকে বেক্সিমকোর কারখানাগুলো কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে শ্রমিকদের টানা পাঁচ দিনের অবরোধের পর এই সংকট আরও প্রকট হয়ে ওঠে। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ২৩টি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা এবং শাইনপুকুর সিরামিকস বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

কারখানাগুলোতে কর্মরত ৪০ হাজার শ্রমিকের মধ্যে কেউই অক্টোবর মাসের বেতন পাননি। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (অর্থ ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) ওসমান কায়সার চৌধুরী জানান, প্রতি মাসে শ্রমিকদের বেতন বাবদ প্রায় ৮০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে চলমান আর্থিক সংকটের কারণে এই পরিমাণ অর্থ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করা হলেও, অক্টোবরের বেতন দেওয়ার কোনো উৎস নেই।

বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের গ্রেপ্তার এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তন প্রতিষ্ঠানটির সংকটকে আরও গভীর করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির জন্য রিসিভার হিসেবে নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিনকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিদেশি ক্রেতারা এই রিসিভার নিয়োগকে আর্থিক দেউলিয়াপনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন, যা বেক্সিমকোর রপ্তানির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বেক্সিমকোর ওপর জনতা ব্যাংকের ২৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে, যার মধ্যে ১৯ হাজার কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে। বিজিএমইএ প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন পরামর্শ দিয়েছেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানটি যেন সম্পদ বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করে।

বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ সরকারের হস্তক্ষেপ চাইলেও বিজিএমইএ ও ইপিবি মনে করেন, সমস্যার সমাধানে প্রতিষ্ঠানটিরই উদ্যোগী হওয়া উচিত।

রিসিভার রুহুল আমিন বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির আয় ও সম্পদ ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে কারখানাগুলো পরিদর্শন করে সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা হবে।

বেক্সিমকোর এই সংকট কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের অর্থনীতি এবং শিল্প খাতের উপরও গভীর প্রভাব ফেলছে। শ্রমিকদের জীবনমান রক্ষার পাশাপাশি দেশের রপ্তানি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

Header Ad

হাতে হাত রাখা সেই যুবককে প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি

অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

বরাবরই আলোচনায় থাকেন পরীমনি। ঢালিউডের এই তারকার পেশাগত জীবন ছাপিয়ে সবসময় ব্যক্তিজীবন সামনে চলে আসে। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, উদ্‌যাপন-সবকিছুতেই যেন পরীমনি আলোচনার একটি নাম। ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি আবারও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন- এমনটাই গুঞ্জন উঠে হঠাৎ করে।

গত ১৮ নভেম্বর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে পরীমণি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরীমণি।

 

অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

নতুন প্রেমের খবর জানান দিলেও নায়িকার পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা কিংবা নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। এরপর থেকেই পরীমণির জীবনের নতুন মানুষটি কে, তা জানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। অবশেষে আড়ালে থাকা সেই মানুষকে নিজেই প্রকাশ্যে আনলেন তিনি।

জানা গেছে, তিনি আর কেউ নন। পরীমণির নতুন কস্টিউম ডিজাইনার। এদিন রাত সোয়া ৮টায় ফেসবুকে সেই ভিডিওর পুরোটা পোস্ট করে ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, ‘প্রাংকটা কি একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল?’ পুরো ভিডিওটি পরীমণি পোস্ট করা মাত্রই নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড় ওঠে তার কমেন্ট বক্সে।

 

অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর ওটিটিতে মুক্তি পায় পরীমণি অভিনীত ‘রঙিলা কিতাব’। সিরিজে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান। এটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। এতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে দেখা গেছে পরীমণিকে।

Header Ad

এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন নেইমার

ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর সব ধনীরাই বর্তমানে দুবাইয়ে বাড়ি কিনছেন। এ শহরটি যেন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গায় পরিণত হচ্ছে দিন দিন। দুবাইয়ে বাড়ি কেনার তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার।

দুবাইয়ের বুগাতি রেসিডেন্সে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে এক পেন্ট হাউস (ভবনের ওপরের কক্ষ বা ফ্ল্যাট) কিনেছেন নেইমার। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১২০ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই পেন্ট হাউসের দাম পড়েছে ৬৫৪ কোটি টাকা।

তবে দুবাইয়ে এই ফ্ল্যাট কেনার বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের এজেন্ট।

 

ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমার। ছবি: সংগৃহীত

জানা যায়, বুগতি রেসিডেন্স নামের সেই ভবনের বিলাসবহুল এই অ্যাপার্টমেন্টে সরাসরি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে সুইমিং পুল। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুবাই শহরের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়।

বিলাসবহুল এই ভবনে ভূমধ্যসাগরের রিভিয়েরা অঞ্চলের আদলে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সৈকত; আছে সুইমিং পুল, ফিটনেস ক্লাব, গাড়ি পার্কিংয়ের বিলাসবহুল ব্যবস্থা।

এছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহনসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা থাকবে। এসব সেবা কেবল ভবনের বাসিন্দাদের জন্য। ভবনটির নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এর নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে।

দুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই বাড়ি কেনা যায়। টাকা থাকলেই হলো, এর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে।

তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ। অর্থমূল্যের বিবেচনায় দুবাই শহরের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলে।

উল্লেখ্য, নেইমার তার ফুটবল ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় কাটিয়েছেন ইউরোপের লিগে খেলে। স্পেনের বার্সেলোনা ও ফ্রান্সের পিএসজিতে খেলার পর ২০২৩ সালে এসে দুই বছরের চুক্তিতে সৌদি আরবের আল হিলাল ক্লাবে নাম লেখান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাকার সংকটে বেক্সিমকোর ২৪ কারখানা বন্ধ: শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ অনিশ্চিত
হাতে হাত রাখা সেই যুবককে প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি
এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন নেইমার
৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ২০০ টাকা
শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস, প্রিয় পুরুষকে দিতে পারেন উপহার
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারালো স্পেন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে সাদপন্থীদের অবস্থান
নবীনদের বরণ করে নিবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
তিতুমীর কলেজে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ
সংসদ সচিবালয় পরিচালনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা পেলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল