বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইতিহাসে মাত্র একবারই এসেছিল ৩০ ফেব্রুয়ারি

ছবি সংগৃহিত

লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষে প্রতি চার বছর অন্তর ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি একটি দিন যোগ করা হয়। ফলে ওই বছরটি গণনা করা হয় ৩৬৬ দিনে। এভাবে বছর গণনার সমন্বয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবারও চলছে লিপ ইয়ার। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।

প্রতি চার বছর পর পর ৩৬৫ দিনের জায়গায় ৩৬৬ দিন গণনা করে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহু বছর ধরেই ৩৬৫-দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হয়। চলতি বছর হল ৩৬৬ দিনে অর্থাৎ লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।

২৯শে ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন। এই বাড়তি এক দিন যোগ হওয়া মানে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে যেমন বাড়তি একদিন সময় পাওয়া যায়, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে বেতন আসার জন্য আরেকটা দিন বেশি অপেক্ষা করতে হয়। আবার যারা এই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি চার বছরে পর পর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন।

তবে আপনি জানেন কি, ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল? ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল সুইডেন। মজার বিষয় হলো, সেই তারিখে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

লিপ ইয়ার কেন আসে?

কখন থেকে এই লিপ ইয়ারের প্রচলন হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে প্রাচীন রোমের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। কারণ সেই সময় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তারা যে সৌর ক্যালেন্ডার ধরে বছর গণনা করছেন সেটি সৌর বছরের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

এই ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে। তিনি সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। যেই ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কারো কারো মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কাঁটায় কাঁটায় ৩৬৫ দিন সময় নেয় না। ৩৬৫ দিনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে। এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়।

সৌর বছরের সঙ্গে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।

একটি বাড়তি দিন

কিন্তু এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু ফাঁক থাকার কারণে ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে। যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল।

লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারি। বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ।

কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে "নিখুঁত" করার সিদ্ধান্ত নেন। তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ২৪ তারিখ নয়।

একটি গাণিতিক সমাধান

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্ল্যাভিয়াসের পরামর্শে, তখনকার জ্ঞানী ব্যক্তিরা বছরের হিসেবে এই সমন্বয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৫৮২ সালে ৪ঠা অক্টোবরের পরের দিন হবে ১৫ই অক্টোবর। অর্থাৎ মাঝে ১০ দিন গায়েব হয়ে যাবে।

মূলত এই উপায়ে সৌর বছরের মাঝে সময়ের যে ব্যবধান হয়েছিল সেটা দূর করা হয়। এবং পরিবর্তিতে যেন এই ভারসাম্যহীনতা আবার না ঘটে, সেজন্য লিপ ইয়ারের প্রবর্তন করা হয়।

সময়ের হেরফের

সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষেরই আবিষ্কার। চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গিয়েছে দুটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।

ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না। মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল। ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেয়া হতো।

সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে।

তবে সে সময় বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেয়া হয়। এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন এবং ছয় ঘণ্টায় হয়। তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ

এই গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট: সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম। আদতে এটি কোন বড় পার্থক্য না, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।

এই কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়েছিল, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগপিছ হয়ে যায়।

১৫৮২ সালে ৫ই অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ই অক্টোবর শুক্রবার করা হয়। অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি এবং সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল। তারা ২রা সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ই সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।

সুইডিশ পার্সিমনি এবং ৩০শে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন

কিন্তু তার আগে, সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসাথে বাদ দিতে চায়নি। তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করে। এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।

তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়। একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।

এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন। কিন্তু, যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯শে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।

এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র বারের জন্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই ৩০শে ফেব্রুয়ারি যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্ম তারিখ বা জন্ম দিন পালনের বিষয়ে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে তারা যে কখনও সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি তাতে কোন সন্দেহ নেই।

শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে। দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সাথে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad
Header Ad

অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত

আহত ডিবি পুলিশের সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মাদক ও জুয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় হামলার শিকার হয়েছেন ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য। এ ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ৪ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন বাজারে মাদক ও জুয়া আসরে অভিযান চালাতে গেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা হয়।

হামলায় এসআই জব্বার হোসেন (৪৫), দেওয়ান মুহাম্মদ সবুর (৩৮), এবং এএসআই শফিকুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে জব্বারের মাথায় তিনটি ক্ষত রয়েছে, আর অন্য দুজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সবাই আশঙ্কামুক্ত।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো: তৌসিফ সরকার প্রিয় জানিয়েছেন, আহতদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, তবে তাদের চিকিৎসা চলবে। রাত ১২টার দিকে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ নেন।

ঘটনার সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, ডুমাইন বাজারে মাদক ও জুয়া আসরে অভিযান চালাতে গেলে দুইজনকে মাদকসহ আটক করা হয় এবং জুয়ার টাকা ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। ওই সময় বাজার কমিটির সভাপতিকে স্বাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়, কিন্তু তার আগেই মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়, যার ফলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পুলিশ কর্মকর্তা শৈলেন চাকমা। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তাই মামলা দায়ের করা হবে।

Header Ad
Header Ad

৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা

বার্সেলোনার জয় উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে বেনফিকার মাঠে এক অবিশ্বাস্য জয় পেয়ে নকআউট পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে জয় লাভ করে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি।

প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যেই ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় বেনফিকা। এরপর রোনাল্ড আরাহুর আত্মঘাতি গোল থেকে বার্সেলোনার সংগ্রহে আরও একটি গোল আসে। তবে বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানদোভস্কি দুই পেনাল্টি থেকে দুটি গোল করে দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন।

৬৪ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া এক গোল করেন, তারপর যোগ করা সময়ে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দারুণ একটি গোল করে দলকে জয় এনে দেন। এরিক গার্সিয়ার একটি গোলও আসে বার্সেলোনার পক্ষে।

এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে প্রায় ৯৯ মিনিট খেলা হয়, যেখানে পেনাল্টি হয় তিনটি, যার মধ্যে দুটি বার্সেলোনা পায়। বেনফিকার পাভলিদিস হ্যাটট্রিক করেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় লাভ করে।

বেনফিকার লাল কার্ড পাওয়া আর্থার ক্যাব্রালও এই রোমাঞ্চকর ম্যাচের এক বিশেষ মুহূর্ত সৃষ্টি করেন। অপরদিকে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা আনহেল দি মারিয়া ৭১ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে নায়ক হতে পারেননি।

Header Ad
Header Ad

চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে ৮-৯ লাখ টন চাল আমদানি হবে। তিনি জানান, চালের আমদানি শুরুর পর থেকে বাজারে চালের দাম বাড়া বন্ধ হয়েছে এবং মোটা চালের দাম তিন থেকে পাঁচ টাকা কমেছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা চালের আমদানি অব্যাহত রাখব এবং দাম বাড়ানোর সুযোগ আর দেবে না, বরং দাম আরও কমানোর চেষ্টা করা হবে।”

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আলী ইমাম মজুমদার। এ সময় তিনি নগরীর পতেঙ্গায় নির্মাণাধীন সাইলোও পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক এবং বন্দর চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি সত্ত্বেও ভারত থেকে চাল আমদানির বিষয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সঙ্গে মিশাই না। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং সেখান থেকে আমদানির খরচ তুলনামূলক কম। সেজন্য ভারত থেকে পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, মিয়ানমার আমাদের কাছে আরও চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে, আর পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৮-৯ লাখ টন চাল আসবে।”

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা প্রসঙ্গে খাদ্য উপদেষ্টা জানান, “রমজান মাসে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিশেষত চাল ও গমের বাজারকে সবচেয়ে বেশি মনিটরিং করে থাকে। বাকি কিছু দ্রব্য দেখভাল করে টিসিবি, যেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। টিসিবি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি উপজেলায় প্রতিদিন দুই টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ দরিদ্র জনগণ প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ১৫ টাকায় পাবে। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল থাকার আশা প্রকাশ করছি।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি
এবার জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লেখা নিয়ে ভারতের আপত্তি, খেপেছে পিসিবি
ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত এবং গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
কেন ভ্যাট বাড়িয়েছি, কিছুদিন পর জানবেন: অর্থ উপদেষ্টা
পুতিন রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন : ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাবা হারালেন সংগীতশিল্পী মনির খান
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি
বিয়ে করতে আর ট্যাক্স দিতে হবে না: আইন উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারি,নারীসহ আহত ৭
দেশের এক টুকরো অংশও ভারতকে দখল করতে দেবো না: সীমান্তের বাসিন্দারা