শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের

ছবি সংগৃহিত

এই দেশেরই মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধরদের হাতে বুনন শুরু। কমপক্ষে আড়াই শ বছরের ঐতিহ্য। সেই টাঙ্গাইল শাড়িকেই নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিল ভারত। ভারতের এমন দাবি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশিরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভারত জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পর টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে কী করবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।

টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে নয়, বরং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বলে দাবি করেছে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। গত ২ জানুয়ারি নিজেদের জিওগ্র্যাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই পণ্য হিসেবেও এ শাড়িকে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিআই পণ্য। তাই কোনো একটি পণ্যকে এর তালিকাভুক্ত করতে মুখিয়ে থাকে দেশগুলো। কিন্তু জটিলতা বাঁধে যখন একই পণ্যকে একাধিক দেশ নিজেদের বলে দাবি করে। এমনটাই ঘটেছে টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে।

ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত বৃহস্পতিবার করা এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘‌টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।’

এদিকে, টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে ভারতীয় দাবির প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে টাঙ্গাইলের একদল তরুণ।

শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এতে বক্তব্য রাখেন, শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ, সমাজকর্মী নাদিউর রহমান আকাশ, আহসান খান আকাশ, মির্জা রিয়ানসহ আরও অনেকে।

গবেষকদের মতে, টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে। এর নামের মধ্য দিয়েই তা উঠে এসেছে। ইতিহাসও টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশের বলে সাক্ষী দেয়। সে বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যেকোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে সেখানকার সাংস্কৃতিক ইতিহাস গড়ে ওঠে। টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাসটিও তাই। বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় টাঙ্গাইলের ছেলেরা পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে লুঙ্গি-গামছা। এ অঞ্চলের মেয়েরা পরিধান করে শাড়ি, যা টাঙ্গাইল শাড়ি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। টাঙ্গাইল অঞ্চলটি যখন থেকে গড়ে ওঠে তখন থেকেই এ শাড়ি তৈরি শুরু হয়। এ শাড়ির নাম থেকেই এর উৎপত্তি বোঝা যায়।’

বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্যের জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছে বিদেশের মাটিতে। বিশেষ করে অবস্থানের কারণে পেয়েছে জিআই স্বীকৃতি। এ স্বীকৃতি থাকা পণ্যটি দেশের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও আধিপত্য করে বেড়ায়। অন্যদিকে, সফট পাওয়ার (প্রভাব বিস্তারক) হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে। বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়া তখন সহজ হয়।

দেশে ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। ডব্লিউআইপিও নিয়ম মেনে পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে সরকারের এ বিভাগটি।

এ বিষয়ে ডিপিডিটির সহকারী পরিচালক মো. বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‌আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় জিআই পণ্য এগিয়ে থাকে। এর দাম ২০ শতাংশ কখনো বা এরও বেশি হয়। জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পর পণ্যগুলো আগের চেয়ে অধিক পরিমাণে রফতানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’

টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারত জিআই স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‌এটিকে এখনো জিআই পণ্য হিসেবে আমাদের দেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে কেন ভারত তালিকাভুক্ত করেছে সেটি প্রথমে বুঝতে হবে। ভারতের কোথাও টাঙ্গাইল নামে কোনো জায়গা আছে কিনা অথবা যদি অন্য কোনো কারণ থেকে থাকে সেটি জানতে হবে।’

দেশে প্রথম পর্যায়ে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে জামদানি। তারপর একে একে আসে ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। গত আট বছরে মোট ২১ পণ্য জিআইয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) সংজ্ঞা অনুসারে, জিআই বলতে কোনো পণ্যের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান, নাম বা চিহ্নকে বোঝায়। ভৌগোলিক কারণে সে পণ্যের আলাদা গুণ ও খ্যাতি থাকতে হয়। যেহেতু এর গুণাগুণ ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে, কাজেই পণ্য ও এর উৎপত্তিস্থলের মধ্যে সুস্পষ্ট সম্পর্ক থাকে।

বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎস পশ্চিমবঙ্গ-এমনটা দাবি করেছে ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বিতর্কিত দাবিটি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পেজে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে করা হয়েছিল, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।

পোস্টে দাবি করা হয়েছে, “টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। সূক্ষ্ম উপস্থাপন, প্রাণবন্ত রং এবং জটিল বুননের জন্য শাড়িটি বিখ্যাত, এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়ি দক্ষ কারুকার্যের প্রমাণ; এটি ঐতিহ্য এবং কমনীয়তাকে একত্রিত করে।“

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি আড়াইশ’ বছরের ঐতিহ্য। তাঁতের শাড়িসহ তিনটি পণ্য জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা আশাবাদী জিআই স্বীকৃতি পাবো। ভারত জিআই আবেদন করলে টাঙ্গাইল শাড়ির ব্র্যান্ডিং করা হয়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই তাঁত শাড়ী জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল

ফাইল ছবি

উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘতম রাত হিসেবে স্বীকৃত ২১ ডিসেম্বর। সেইসাথে আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর) পৃথিবীর এই অর্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিনও। ঠিক বিপরীত চিত্র অবশ্য বিরাজ করবে দক্ষিণ গোলার্ধে। বিষুবরেখার দুই পাশে সূর্যের আলো পড়ার প্রেক্ষাপটে বছরের ৪টি এমন তারিখ আসে। ‘দিবা-রাত্রি’র হিসেবে এগুলোর মধ্যে ২টি তারিখে সমান ও ২টি সময়ের পরিসরে সবচেয়ে ছোট-বড়।

২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয় আর রাত হয় দীর্ঘ। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এ সময় যে কোনো একদিকে একটু হেলে থাকে সূর্য। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ।

২১ জুন দিনটাতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই মনে হয় দিন শেষই হচ্ছে না। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলোতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এর পর থেকে দিন ছোট হয়ে শুরু করে।

ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। আর উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে। ফলে সেখানে তখন সৃষ্টি হয় শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল।

একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণ অয়নান্ত। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়। অর্থাৎ একই সময়ে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে থাকবে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত।

এদিকে আজ বছরের দীর্ঘতম রাত হলেও পূর্ণিমার কারণে আকাশে থাকবে চাঁদের উজ্জ্বল আলো।

Header Ad
Header Ad

রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি

ফারজানা সিঁথি। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ফারজানা সিঁথি সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে নিজের জীবনসঙ্গী নির্বাচনের পছন্দ নিয়ে কথা বলেছেন। উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভবিষ্যতে বিয়ে করলে রাজনীতিবিদকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে চান।

সিঁথি বলেন, ‌‘আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি। রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। তবে রাজনীতিবিদদের দেশ এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করার সুযোগ থাকে। সেই কারণেই জীবনসঙ্গী হিসেবে রাজনীতিবিদ পছন্দ করতে চাই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদিও বিয়ে করার পরিকল্পনা আমার আগামী পাঁচ বছরেও নেই। তবে যখনই বিয়ে করবো, রাজনীতিবিদকে পছন্দ করার এই চিন্তাভাবনা আমার থাকবে।’

ফারজানার এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ও রাজনীতিবিদদের সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকার প্রতি তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সাদা পোশাকধারী কয়েকজন ব্যক্তি ধানমণ্ডি এলাকা থেকে এক যুবককে তুলে নিয়ে তার ঠোঁট অবশ করা ছাড়াই সেলাই করে দেয়। এক ব্যক্তিকে আটক করে যৌনাঙ্গ এবং কানে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। এক ভিকটিম নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে উদ্ধার করে সেখানেই হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ভয়াবহ এসব বর্ণনার খবর উঠে এসেছে গুম কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের কাছে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় গুম সম্পর্কিত তদন্ত কমিশন। সেই প্রতিবেদনের প্রকাশযোগ্য অংশ গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সেখানে গুম ও নির্যাতনের চিত্র পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গুমের ঘটনা শুধু অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, বরং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ বিশেষ করে ভারতীয়দের জড়িত থাকার কথা কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গুম শুধু বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ। সুখরঞ্জন বালি ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে গুমের পর ভারতে স্থানান্তরের ঘটনা উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে। সুখরঞ্জন বালিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণের পর ভারতীয় কারগারে পাওয়া যায়। যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের কমিশনকে জানিয়েছেন, তাঁকে যে গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়েছিল, সেই সেলের বাইরে কাউকে হিন্দিতে বলতে শুনেছেন, ‘তাঁকে কখন ধরা হয়েছে? তিনি কোনো তথ্য দিয়েছেন? এখন পর্যন্ত কী জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে?’

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার যারা অভিযানে সক্রিয় ছিল তারা জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বন্দিবিনিময় করত। বাংলাদেশের গুমের ঘটনা যে আন্তর্জাতিক ও সুসংগঠিত চক্রের অংশ এসব ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে তুলে নেওয়ার পর ভারতে পাওয়া এর উদাহরণ। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, তাঁকে যে নির্জন স্থানে রাখা হয়েছিল সেখানে টিএফআই (টাস্ক ফোর্স অব ইন্টারোগেশন) লেখা কম্বল ছিল, সেই সময়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধানে টিএফআই পরিচালিত হতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত কমিশন পরিদর্শনে নিশ্চিত হয়েছে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এখন টিএফআইয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে বন্দিশালার ভেতরের অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে কিছুদিন আগে। সালাহউদ্দিন আহমেদ কমিশনকে জানিয়েছেন, তাঁকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন, তিনি পরিচয় লুকাতে ‘যম টুপি’ পরা ছিলেন, যা দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগকে নির্দেশ করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একজন সৈনিক তদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন, তিনি ‘বন্দি বিনিময়ের’ সময়ে ২০১১ সালে দুই দফা তামাবিল সীমান্তে ছিলেন। দুই দফায় তিনজন ‘বন্দিকে’ আনা হয়। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা ছিলেন। দু’জন ‘বন্দিকে’ রাস্তার পাশে হত্যা করা হয়। জীবিত আরেক বন্দিকে র‌্যাবের আরেকটি দলের কাছে তুলে দেওয়া হয়। র‌্যাবও দু’জন ‘বন্দিকে’ একই প্রক্রিয়ায় ভারতীয়দের কাছে তুলে দিয়েছিল।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিশন সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশি কেউ ভারতে গুম রয়েছে কিনা তা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ জোর দিয়ে দেখতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিয়ন্ত্রণে বনানী বস্তির আগুন
জোলানীর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ে গাড়িচাপায় দু’জন নিহত, আহত ৬৮