বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হারিয়ে যাওয়া ১২৫ বছরের চকহরিপুর প্রাচীন মসজিদ

অশিক্ষা, কুশিক্ষা থেকে ভ্রান্তি, অজ্ঞতা, নিরক্ষরতা, বর্বরতা ও অহংবোধ মুসলিম জাতিকে কালের পর কাল শুধু পিছিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আমাদের রাসূল মহামানব হযরত মুহম্মদ (সা.) এর মহান বাণীসমূহও। গ্রাম্য শালিশকারী ভূ-স্বামীরা যে কত নির্দয়-নিষ্ঠুর হতে পারে তা এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ভেঁঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়ে নুন্যতম স্মৃতিটুকুও ধরে না রাখার নোংরা মানসিকতা থেকেই বোঝা যায়। সরকারি সর্দাররা তো দূরে থাক, এলাকার উঠতি বয়সের শিক্ষিত যুবক-তরুণরা পর্যন্ত বাঁধা দেয়নি, অনুধাবণ করেনি মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চকহরিপুর গ্রামে একশত পঁচিশ বছরের অধিক একটি ঐতিহ্যবাহী নান্দনিক পুরাতন মসজিদ ছিল!! কিছুদূরে কোন এক পুরাতন মরা নদীর স্রোতের প্রবাহ ছিল, যার জেগে ওঠা চরের উপর শেখ বংশের বসতবাড়ির সীমানায় মসজিদটি অবস্থিত ছিল যা এখন ‘চকহরিপুর প্রাচীন মসজিদ’ নামে বহুল পরিচিত। প্রথমে মসজিদটি কাঁচা স্থাপনার টিনের ছাউনি দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। ঐ সময়ে অত্র অঞ্চলের জমিদার শেখ ইছাহক আলী ঘোড়ায় চড়ে পাবনায় যেতেন দাপ্তরিক কাজে এবং যাত্রাপথে ভাঁড়ালা গ্রামের ঐতিহাসিক একটি মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। তখন তাঁর মনে স্বপ্ন জাগে অনুরূপ একটি মসজিদ তৈরির। অত:পর তিনি মুঘল স্থাপত্যকলার নক্শা অনুযায়ী মসজিদ তৈরির নিমিত্তে বাংলা ১৩০০ সনে (ইংরেজি ১৮৯৩) তাঁর নিজস্ব জায়গার উপর মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু তিনি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরুর পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ আব্দুস ছাত্তার কলকাতা থেকে নিপুণ কারিগর এনে সাড়ে বারো হাজার টাকা ব্যয় করে মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।

মসজিদটি ৪২ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২২ ফুট প্রস্থের তিনটি কাতারে নামাজ আদায় করা যেত এবং প্রতি কাতারে ২৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। মসজিদের দেয়াল ছিল ২৫ ইঞ্চি চওড়া ও চুন-সুরকি ইটের গাঁথুনি দিয়ে তৈরি। আর শুধুই টালি ইটের দ্বারা গাঁথুনি করে তিনটি সমান গম্বুজ ছিল যা আভিজাত্যের প্রতীক নির্দেশ করতো। মসজিদের সুদৃশ্য মেহরাব ছিল। উত্তর-দক্ষিণে একটি করে দুটি জানালা এবং পূর্বদিকে তিনটি দরজা ছিল প্রবেশদ্বার হিসেবে। মসজিদের নির্মাতা শেখ আব্দুস সাত্তার ছিলেন তৎকালীন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোর্টের জুরি বোর্ডের সদস্য। তিনি অনুমানিক ১৯২০ সালে মাত্র চল্লিশ বৎসর বয়সে অকালপ্রয়াণ করেন। অত:পর জমিদার শেখ ইছাহক আলী’র মৃত্যুকালীন ওছিহত অনুযায়ী তাঁর দ্বিতীয় পুত্র শেখ আব্দুল আহাদ স্বপ্রণোদিত হয়ে তামাম শরীকদের কাছ থেকে দাবী করে ৩ একর ২৩ শতক জমি নিয়ে মসজিদের নামে ওয়াক্ফ করে দেন। পরবর্তীতে মসজিদের পাশ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খনন হলে জমির পরিমাণ কমে যায়। মসজিদের দৃষ্টিনন্দন নান্দনিকতা ও স্থাপত্যশৈলী তখন সমগ্র খোকসা, কুমারখালী ও রাজবাড়ী অব্দি বহু অঞ্চলে ছিল মানুষের মুখে মুখে। দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল। সেই সাথে তৎকালীন সময়ে চকহরিপুর প্রাচীন মসজিদটি ছিল শোমসপুর, মাসিলিয়া, উত্তরশ্যামপুর, সন্তোষপুর গ্রামের মুসল্লীদের নামাজ আদায় করার এক মাত্র মসজিদ। ২০১৪ সালে নান্দনিক মসজিদটি গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন স্থাপনার একতলা মসজিদ নির্মিত হয়েছে যেখানে আটটি কাতার রয়েছে ও প্রতি কাতারে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

 

ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

ডিএসএস/ 

Header Ad

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না

জহিরুল ইসলাম খান পান্না (ইনসটে: শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্না (জেড আই খান পান্না)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জেড আই খান পান্না বলেন, আজ আদালতে নিয়মিত শুনানির সময় কেউ একজন জানতে চান যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) আমি কারও পক্ষে লড়ব কি না। তখন আমি বলেছি, সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষেই লড়ব।

অতীতে আপনি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এখন তার পক্ষে লড়তে চাইছেন। এটি আপনার আগের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না?

উত্তরে জেড আই খান পান্না বলেন, অবশ্যই সাংঘর্ষিক। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তবে আমি যেকোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।

Header Ad

নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সচিব জনাব এ এম এম নাসির উদ্দীন-কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহবুদ্দিন।

অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে চার কমিশনারের নিয়োগের বিষয়টিও জানানো হয়।

চার কমিশনার হলেন:

১. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)

২. আবদুর রহমানেল মাসুদ, জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত)

৩. বেগম তাহমিদা আহমেদ, যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)

৪. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)।

Header Ad

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস ভিনিসিয়ুসের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন, আর পাশে ছিলেন তার বাবা ভিনিসিয়ুস সিনিয়র। এই মুহূর্তটি স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়ও প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের মধ্যে আরও কৌতুহল সৃষ্টি করে, বিশেষত স্মারকটি সম্পর্কে।

পরে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ভিনিসিয়ুসের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল এবং এতে জানা যায়, রেয়াল মাদ্রিদে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের অধিবাসী।

মূলত কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শেকড় খুঁজে বের করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খেলোয়াড়দের কার কোন বংশ, কোথায় ছিলেন পূর্বপুরুষরা, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

ভিনিসিউস ক্যামেরুনের টিকার গোত্রের অন্তর্গত। এই গোত্রের লোকেরা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী, গল্পকার হিসেবেও সুপরিচিত। একসময় এরা যাযাবর জীবন যাপন করত, পরে বর্তমান সুদানের নীল নদ উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। যা স্থানান্তরিত হয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়া থেকে পশ্চিম ক্যামেরুনের উচ্চভূমি পর্যন্ত।

সনদ নেয়ার সময় ভিনি বলেন, ক্যামেরুনে শেকড়ের সন্ধান পাওয়া আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। এটা মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের শেকড় ও ইতিহাসের মূল্য আছে।

ভিনির বাবা বলেন, আমরা কোথায় থেকে এসেছি, এটা জানা প্রয়োজন ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান তাদের শেকড় কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। ক্যামেরুনে আমাদের শেকড়, আমি অনেক খুশি।

সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস বলেছেন, ভিনি জুনিয়রের এই সংবাদকে উদ্‌যাপন করা মানে সব ব্রাজিলিয়ানের অর্জনকে উদ্‌যাপন। ওর পূর্বপুরুষের আদিনিবাসের খোঁজ পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আরেকবার সবাইকে নিয়ে সমাজ গড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ এবং আমাদের অস্তিত্বে ও বৈশ্বিক সাফল্যে আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির মৌলিক ভূমিকার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা