শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুজিব ও রাষ্ট্রন্নেছা

একাত্তরের জুলাই মাস। নওয়াপাড়ার হিন্দুদের বাড়িগুলো এখন রাজাকারদের দখলে। ওদের চক্ষুলজ্জা ও ভয়- আর অবশিষ্ট নেই। এখন মুক্তিকামী মুসলমান বাড়িগুলোর উপরও শ্যেনদৃষ্টি ফেলা শুরু করেছে। স্বাধীনতাকামী সকলেই আজ শংকিত ও বিপদগ্রস্থ। যেসব বাড়ি থেকে দু’একজন মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তাদের আজ মহাতংক। সেই মহাতংক বিরাজ করছে প্রফেসর আরজের বিশাল বাড়িটিতেও। প্রফেসরের বড়ভাই মিরাজ টের পান, ক্রমান্বয়ে পাকি দালালদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও বর্বরোচিত আচরণ বেড়েই যাচ্ছে। যে কোন মূহুর্তে অকাজ-কুকাজ তারা ঘটিয়ে ফেলতে পারে! সেই দুর্ভাবনায় আল্লাহ আল্লাহ করে কেটে যাচ্ছে তাঁদের দিন। টানা দেড় মাস যাবত আরজও নেত্রকোণা কলেজ থেকে বাড়ি আসার সুযোগ পাননি।

১৬ জুলাই ভোরবেলা। মিরাজের ঘর আলো করে ভূমিষ্ট হলো এক পুত্রসন্তান। আতংক, বেদনা ও শংকার মাঝেও সবার হৃদয়ে দোলা দিলো নতুন আনন্দের। কারণ, এ শিশুই হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশে এই পরিবারের প্রথম সন্তান। সকলেরই ভাবনা- ছেলেটির সুন্দর নাম রেখে আকীকা সম্পন্ন করা। কিন্তু আরজ ছাড়া যথার্থ নামটি রাখবে কে?
ডেকে আনা হলো আরজের বাল্যবন্ধু জব্বারকে। যেতে হবে নেত্রকোণায়। আরজকে দেখেও আসবে, আবার সন্তান জন্মের খবরটিও দিয়ে আসবে। প্রসূতি সিরাজুন্নেছা এ সুযোগে আরজের কাছে চিঠি লিখতে শুরু করেন-
প্রিয় ভাইসাব,
আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। জেনে খুশী হবেন যে, আল্লাহর রহমতে আমাদের ঘর আলো করে আরো একজন পুত্রসন্তান জন্মগ্রহন করেছে। ও দেখতে একেবারে আমার শ্বশুরবাবার মতো। আপনাকে না পেয়ে পুরো আনন্দ থেকে আমরা বঞ্চিত। শ্বাশুড়িমা’র চাপে আপনার ভাই আগের নামগুলোর সাথে মিলিয়ে ওর নাম রেখেছেন- নূরুল ইসলাম। জানিনা এ নাম আপনার পছন্দ হবে কিনা। কিন্তু আমরা এখনো অপেক্ষায়, বরাবরের মতো আপনার কাছ থেকে সুন্দর একটি নাম পাবার আশায়। এপ্রিলে আপনি রাজ্জাকের মেয়েটির নাম ‘রাষ্ট্রন্নেছা’ রাখাতে ধারণা হচ্ছে- বাড়িতে থাকলে হয়তো এ নামটিও অন্যরকম রাখতেন।
আরেকটি কথা। প্রায়শই আপনার পাঠানো লোকজন আমাদের বাড়িতে অবস্থান করে। তারপর ছদ্মবেশে ভারতের দিকে চলে যায়। গ্রামের দু’একজন এবং জহরগাঁও ও কাঁটাখালির কিছু ভিক্ষুক- তালাশী নজরে এসব খেয়াল করে। মেহমানদেরকে নিয়ে নানান প্রশ্ন করে। আপনি এসব বিষয়ে আরো সতর্ক থাকবেন। দেশের অবস্থা ভয়াবহ! সবসময় দুঃশ্চিন্তায় থাকি। সময়-সুযোগে বাড়িতে আসবেন। জয় বাংলা! ইতি-
আপনারই ভাবী,
সিরাজুন্নেছা
১৯-০৭-৭১


জব্বার দুপুরের ট্রেনেই নেত্রকোণায় যাত্রা শুরু করবেন। পাজামার উপর তিনি পড়েছেন শর্ট-পাঞ্জাবী। অভ্যাস না থাকলেও- নিরাপত্তার স্বার্থে মাথায় লাগিয়েছেন জিন্নাহ টুপি। তারপরেও চিঠিটিকে পাঞ্জাবির পকেটের বদলে আন্ডারওয়্যারের গুপ্ত পকেটে পুরে নিয়েছেন। কারণ, ইদানীং চিঠিপত্র চেক করেও পাকিবাহিনী বহু লোকজনকে হত্যা করছে। আল্লাহ আল্লাহ জঁপে গোধূলি লগ্নে তিনি পৌঁছে যান- নেত্রকোণা কলেজের প্রফেসর’স মেসে।
জব্বারকে দেখেই আরজ আনন্দে লাফিয়ে উঠেন। যার সাথে তাঁর আবাল্যকালের সখ্যতা। বাড়ির সাথে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম ওই। বাড়ির সবকিছু এখনো অক্ষত জেনে- আরজ আল্লাহর কাছে শোকর গোজার করতে থাকেন। জব্বার আন্ডারওয়্যারের গুপ্তপকেট থেকে চিঠিটি বের করে আরজের হাতে ধরিয়ে দেন। চিঠির প্রথমাংশ পড়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠলেও, দ্বিতীয়াংশ পড়ে চিন্তিত হয়ে বলতে থাকেন- জব্বার, আমাদের বাড়িতে লোকজন গেলে- কারা খোঁজ-খবর নেয়? কারা জিজ্ঞাসাবাদ করে?
- প্রথমত, তোমার প্রতিবেশীরা; দ্বিতীয়ত, জহরগাঁও ও কাঁটাখালির দু’তিনটি ভিখারিণী। এরা সামিদ-আনছর মেম্বারের গোয়েন্দা। নেপথ্যে শান্তি-কমিটির চেয়ারম্যান সেতাব আলী। এখন হিসাবটা মিলাও।
আরজ ভেবে দেখেন- ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে তরুণ-যুবারা মেঘালয়ের ইউথ-ক্যাম্পে যেতে পেরেছে। নিজেই তো কয়েকবার অনেককে মেঘালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু ২৯ এপ্রিল দুর্গাপুরে পাকি মিলিটারিরা আস্তানা গাড়ার পরে রাজাকারদের মতিগতি বদলে যায়! ফলে ভারতে যাওয়া ঝুঁকিবহুল হয়ে দাঁড়ায় দূরবর্তী তরুণ-যুবাদের জন্য। তাদেরই জন্যে আশ্রয়, খাবারের ব্যবস্থা এবং রাস্তাঘাটের দিকনির্দেশনামূলক সহায়তা করে যাচ্ছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বাড়ির উপর নজরদারীর খবরে ভীষণ দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ তিনি! যারা গোয়েন্দাগিরি করাচ্ছে- তারা স্বাধীনতা-বিরোধী এবং পুরনো শত্রু! এমতাবস্থায় সিদ্ধান্তে পৌঁছেন- বিকল্প হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়ের জন্যে তিনি দেবেন তাঁর ঘনিষ্টজনদের ঠিকানা। নৈশভোজের পর আরজ জব্বারকে বলেন, শোন, আমাদের বাড়িতে যেহেতু গোয়েন্দাগিরি চলছে, তাই আমরা এবং আশ্রয়প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা- উভয়ই এখন প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে! তাই বলে আমাদের কাজ বন্ধ রাখলে চলবে না। এখন থেকে কেউ আশ্রয় খুঁজলে- আমি তাদেরকে জয়নাল, আমোদালী, আবুল মেম্বার, সাবেদ মোড়ল, আশুবাবু, ফজলু তালুকদার এবং তোর বাড়ির ঠিকানা দেবো। কারণ, তোমরা সকলেই আশ্রয়প্রার্থীদেরকে নিশ্চিত সহযোগিতা করবে।
- প্রফেসর, তোমার বিশ্বাসের কেউই অমর্যাদা করবেনা। তুমি ভাবীর চিঠির উত্তর লিখে রাখো। আমি সকালের ট্রেনেই রওনা দেবো।
আরজ প্যাডটি নিয়ে লিখতে শুরু করেন-
শ্রদ্ধেয়া ভাবী,
আসসালামু আলাইকুম! বিভীষিকাময় দুঃসময়ে আমাদের আরেকটি বাবার জন্ম হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত, কলেজ ত্যাগ করা শিক্ষকদের পক্ষে অসম্ভব। নাহলে আমি জব্বারের সাথেই চলে আসতাম। মা এবং ভাইকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন। আমি আপনাদেরকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত! শত্রুরা কখন কী করে বসে- সে দুঃশ্চিন্তা আমার যায়না! ভাইকে বলবেন সাবধানে থাকতে। বিশেষ করে রাতে ওনাকে অন্য বাড়িতে ঘুমাতে বলবেন। লোকজন পাঠানোর ব্যাপারে আমাকে সতর্ক করার জন্যে আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। আমাদের বাড়ির বিকল্প হিসেবে জব্বারকে কিছু পরামর্শ দিয়ে দিয়েছি। আশাকরি আর কোন সমস্যা হবেনা।
ভাবী, আপনাদের নবাগত সন্তানের নাম- ভাই ‘নূরুল ইসলাম’ রেখেছেন, তা খুবই সুন্দর। আগের নামগুলোর সাথে এটির চমত্কার মিল! আবার, এটাও সত্যি বলেছেন যে, আমি বাড়িতে থাকলে এ নামটিই অন্যরকম হতে পারতো। ধন্যবাদ জানাচ্ছি- এবারও আমাকে একটি নাম রাখার দায়িত্ব দেয়ার জন্যে। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রে, বাঙালির চরম দুঃসময়ে, যে নামটি রাখা যুক্তিযুক্ত, তার কারণ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করছি-

পাকিস্তান শাসনামলের শুরু থেকে শেষাবধি যে রাজনীতিবিদ বাঙালির মনের কথাটি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করতে পেরেছেন- তিনি হচ্ছেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালির দুর্দিনের কান্ডারি, পথের দিশা, শান্তি, প্রগতি ও মুক্তির অগ্রদূত। তিনি ধাপে ধাপে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে, চৌষট্টির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে, চেষট্টির ছয়দফা প্রনয়ণে, ঊনসত্তুরের গণ-অভ্যুত্থানে, সত্তুরের নির্বাচনের মহাবিজয়ে এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনায় এবং স্বাধীন ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের ঘোষনায়- যে সাহসিকতা, বিচক্ষণতা, অবিচলতা, অসাম্প্রদায়িকতা, ন্যায়পরায়ণতা, আপোসহীনতা, আত্মত্যাগ, অধিকারবোধ ও জাতীয়তাবোধের জন্ম দিয়ে সাত কোটি বাঙালিকে যেভাবে জাগিয়ে তুলেছেন- বিশ্বে তা নজীরবিহীন!
সমকালীন রাজনীতিকদের চিন্তার বিরুদ্ধ স্রোতে থেকেই- তিনি স্বপ্ন দেখেছেন বাংলাদেশের। তিনি আপামর মানুষের প্রিয়নেতা। বাঙালির মুক্তির জন্যে যিনি জীবন-যৌবনের মূল্যবান একযুগ কাটিয়ে দিয়েছেন কারাগারের প্রকোষ্টে। তিনি রাজনীতির কবি। যার ডাকে স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তির জন্যে- যুদ্ধ করি লাখে লাখে!
রাজনীতি যার কাছে ‘বাঙালি’ আর ‘বাংলাদেশ’, দর্শন যার বিশ্বজনীন নৈতিকতা আর মানবতা, হৃদয় যার কুসুম-কোমল, চেহারা যার দীপ্তিময়, ভালবাসায় যিনি অকপট, ভাষণে যিনি যাদুকর, তিনি আমাদের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান!
তিনি এখনো অজানা কারাগারের প্রকোষ্টে। জীবন তাঁর অনিশ্চিত! তাঁর আদর্শ, চেতনা, আর শুভ নাম ধরে রাখতে হবে বাংলার ঘরে ঘরে। এক মুজিবকে ওরা কারাগারে পুড়েছে, কিন্তু লক্ষ মুজিব আজ বাংলার ঘরে ঘরে। ‘মুজিব’ এক অবিনাশী নাম! তাই, আমি বাংলাদেশে জন্ম নেয়া- এই সন্তানের নাম রাখলাম ‘মুজিব’। এরাই যুগে যুগে বাঁচিয়ে রাখবে বঙ্গবন্ধুকে, বাংলাদেশকে।

আশাকরি নামটি শুনে খুশী হবেন। এই নাম রাখার বিষয়টি সবাইকে বুঝিয়ে বলবেন। তাতেই আমার চিন্তা-ভাবনা সার্থকতা পাবে। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে ও দোয়া চেয়ে ইতি টানলাম। জয় বাংলা!
সালামের সংগে,
আরজ আলী
২১/৭/১৯৭১

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে, রাফায় পূর্ণমাত্রার হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। সেখানে লাগাতার বোমাবর্ষণের ফলে আতঙ্কে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অঞ্চলটিতে আশ্রয় নেয়া লোকজন। জাতিসংঘ বলছে, গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ গাজার দক্ষিণের জনবহুল শহর রাফা থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বোমাবর্ষণের পাশাপাশি রাফার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি ট্যাংক জড়ো হচ্ছে। এতে সেখানে পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযানের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

অন্যদিকে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। আর ইসরাইল বলছে তারা সেখানে তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কার্যকলাপ পরিচালনা করছে।

গাজায় অনেক আগেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে ইসরাইল। এখন গাজাবাসীর শেষ আশ্রয়স্থল রাফায় হামলা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে রাফাকে অবরুদ্ধ করার ফলে সেখানে খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি রয়েছে গাজাবাসী। জাতিসংঘের পাশাপাশি মার্কিন প্রশাসনও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবুও রাফায় বর্বরতা চালানোর অঙ্গীকার করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলার অতিথিবৃন্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দুই দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দিনব্যাপি ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)। প্রশিক্ষণ কর্মশালা ১১ মে সমাপ্তি হবে।

এ সময় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা রিটার্নিং অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহম্মদ মতিয়ুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার, ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- নির্বাচনের দিন ৭০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৫১১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১ হাজার ২৩ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলায় ৬৭ টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আগামী ২১ মে নির্বাচন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, আমরা ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এমনকি আমরা পৃথিবীর কোনো নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না।

নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর সেই অভিযোগকে উড়িয়েছে দিল ওয়াশিংটন।

এর আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে মস্কো।

বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজ জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ভারতের জাতীয় মানসিকতা এবং ইতিহাস সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। আর তারা দেশটির ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছে।

জাখারোভা এটাকে দেশ ও রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় চলছে ইসরায়েল-হামাস লড়াই
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার
রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে: পলক