রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সামনে নতুন দিন

বটতলী হাটের শেষ প্রান্ত। নদীপাড়ের হাট। বেশ খাড়া নদীর পাড়। খরস্রোতা ধানিয়া নদী। এখানেই হায়েনারা ঘাঁটি গেড়েছে। সারি সারি তাঁবু। নদীর পাড়সহ বটতলী হাঁটের আশপাশটা এখন ওদের দখলে। পাক হায়েনাগুলো এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করছে। হায়েনাদের এক কর্তা দাঁড়িয়ে। মোটা আর পাকানো গোঁফ। ইয়া লম্বা আর দশাসই চেহারা। পিঠে উদ্যত সঙ্গীন। বেয়নেট চকচক করে ওঠছে। কোমরে রিভলবার গোঁজা। চোখদুটি লাল টকটকে হয়ে ওঠেছে।

অনেকদিন ধরে একটা টিকটিকি জ্বালাচ্ছে ওদের। সব খবর চলে যাচ্ছে মুক্তিদের কাছে। বহু কষ্টে ধরা হয়েছে টিকটিকিটাকে। সামনে দাঁড়িয়ে এক কিশোর। ঢোলা হাফ প্যান্ট পড়া। ছেঁড়া গেঞ্জি। হালকা পাতলা গড়ন। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা। পিছমোড়া করে হাত বাঁধা। যে রাজাকাররা তাকে ধরে এনেছিল তারা সামনেই। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যখন বিচ্ছুটাকে অত্যাচার করবে তখন এই রাজাকাররা নিশ্চয় পৈশাচিক আনন্দ লাভ করবে। গোটা এলাকা চষে তারপর এই টিকটিকিটাকে ধরা হয়েছে। বিচ্ছু দলের নেতা। হায়েনা কর্তার বাজখাঁই আওয়াজ ভেসে আসল। পরিস্কার বাংলায়। হায়েনা নেতা ইশারা করতেই বিচ্ছুটার মুখের কালো কাপড় আর হাতের বাঁধন খুলে দিলো একজন। জেরা শুরু হলো।- কী নাম?- দিনু- কোন ক্লাসে পড়িস?  ক্লাস নাইনে। তুই নাকি একটা বিচ্ছু? আমি দিনু। কিন্তু তুইতো একটা বিচ্ছু। শুধু বিচ্ছু না, বিচ্ছু দলের নেতা। একটা টিকটিকি। আমি দিনু। আচ্ছা, আচ্ছা, তুই ই তাহলে সেই ঘুম হারাম করা বিচ্ছু দলের নেতা? তুই নাকি আমাদের সব খবরাখবর মুক্তি বাহিনিকে পৌঁছে দিস? হ‘ ঠিকই হুনছেন।  কেন?  আমরা আমাগো দেশটারে বাঁচাইবার চাই। তাই? এই দেশের মানুষ থাকব না, শুধু মাটি থাকব। বুঝছস? আমরা আমাগো দেশটারে বাঁচামুই।  মুক্তিবাহিনির খবর বল। ওরা কোথায় আছে? জানি না। আলবৎ জানিস। বল। জানি না। কেন জানিস না? মুক্তিরা বাতাসের বেগে চলে। এই এখাে তো একটু পর হয়তো ওখানে। এত্তটুকু মাসুম বাচ্চা! এই ছোঁড়া তুই যুদ্ধে আইলি ক্যান? আপনেরা আমাগো যুদ্ধে নামাইছেন। তুইতো দেখি আসলেই একটা বিচ্ছু। স্যার ওর পাছায় বুটজোড়া দিয়া একটা লাথি কষাইয়া দেন না ক্যান? বলে রাজাকার শামসু এগিয়ে এসে দিনুর গালে প্রচন্ড জোরে চড় মারে। বিশ্বাসঘাতক! রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার! দেশের সঙ্গে বেঈমান ঘৃণা আর রাগে একদলা থুথু ছিটিয়ে দেয় দিনু। শামসু রাজাকারের মুখে। রাইফেল দিয়ে দিনুর মাথায আঘাত করতে যায় রাজাকার শামসু।  ‘স্টপ, ইয়ে রাজাকার শামসু!। বাঁজখাই গলা ভেসে আসে হায়েনার। অবাক হয়ে যায় শামসু।  স্যার আপনেও আমারে রাজাকার কইলেন। স্যার এই বিচ্ছুডারে বিশ্বাস কইরেন না। ওরে বিশ্বাস করলে আমাগো শ্যাষ কইরা দিবো। শুট হিম স্যার, শুট হিম।  নো, ওর কাছ থেকে অনেক কথা বের হবে। শামসু রাজাকার!  ক্যাপ্টেন সাব, আমারে আবারও রাজাকার বললেন। রাজাকারকেতো রাজাকারই বলব। তোমরা আমাদের সাহায্যকারী সেইজন্যইতো তোমরা রাজাকার। পোকা খাওয়া দাঁত বের করে হেহে করে হাসতে থাকে রাজাকার শামসু। কী মনে করে হায়েনা এগিয়ে এসে দিনুর চোখের কালো কাপড় খুলে ফেলে। পাঁচ মিনিট সময় দিলাম। এরপর মুখ না খুললে গুলি করে মেরে এই ধানিয়া নদীতে ফেলে দেবো। কোথায় ভেসে যাবি সেটাও বলতে পারবি না। 

হোলস্টার থেকে রিভলবার বের করে হায়েনাটা। তাক করে দিনুর দিকে। ঠোঁটে নিষ্ঠুর হাসি। বাঙালী মেরে ভুট্টোকে খুশি করবে। দিনু ঘাড় ঘুরিয়ে নদীর দিকে তাকায়। ধানিয়া নদী। বেশ খরস্রোতা। তাই কেউ এটি সাঁতরিয়ে পার হবার সাহস করে না। করণীয় ঠিক করে ফেলে দিনু। দেশকে বাঁচাতে হলে তার আরও কিছুদিন বাঁচতে হবে। না হলে বাংলার মাটি থেকে এই সব হানাদের তাড়ানো যাবে না। ঝট কওে একটানে রিভলবারটা কেড়ে নেয় সে। তারপর সেই অবস্থায় উল্টো ডিগবাজী খেয়ে লাফিয়ে পড়ে নদীতে। এরকম বহুবার ডিগবাজী খেয়েছে সে। বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে। গ্রামের দুরন্ত কিশোরবেলা তার এভাবেই কাটছিল। ‘হায়! হায়! কী হলো বলে রাজাকার শামসু চেঁচিয়ে ওঠে। ক্যাপ্টেন সাব, বিচ্ছুটা পালিয়ে গেল! বিচ্ছুটা পালিয়ে গেল!’ বিস্ময়ে হতবাক হায়েনা ক্যাপ্টেনের বুঝতে খানিকটা সময় লাগে। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। নিচে তাকায়। গভীর পানি। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বেমালুম গায়েব। ‘ফায়ার! ফায়ার! গগনবিদারী চিৎকারটা দেয় হায়েনাদের সর্দার। বৃথাই পানি লক্ষ্য করে গভীর আক্রোশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে হায়েনারা। তারপর হায়েনা কর্তা ঘুরে ঠাস্ করে চড় কসায় রাজাকার শামসুর গালে। চড় খেয়ে বড় বড় চোখ করে হায়েনা কর্তার দিকে তাকিয়ে থাকে রাজকার শামসু। তার কী দোষ? বুঝতে পারল না শামসু। মাটিতে বুটজোড়া দিয়ে লাথি মারতে লাগল হায়েনাদের বালুচ ক্যাপ্টেন।

নদীর ওপাড়ে পৌঁছে নদীর পাড়েই গা এলিয়ে দেয় দিনু। কোনদিন এই ধানুয়া নদী সাঁতরে পার হওয়ার সাহস করেনি। আজ সেটা করল। ভয়ডর মন থেকে উবে গেছে যেন। লম্বা ঘাসের আড়াল। ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে দিনু। শরীরে ওপর বেশ ধকল গেছে। তিনদিন ধরে কিছু খেতে দেয়নি ওকে। নদীটা পার হয়ে এ পাড়ে আসতে পেরেছে সেটাই অবাক করার ব্যাপার। আহা! বেঁচে থাকাটা কত আনন্দের! কত আবেগের! বিপদে যে বেঁচে যায় কেবল সেই-ই বুঝতে পারে। ওপরে সুনীল আকাশ। সাদা মেঘের দল সারি সারি চলে যাচ্ছে। এই যে সুন্দর দেশটাকে বাঁচাতে হবে।  কিন্তু শরীরটা অসাড় হয়ে আসছে। চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসছে। জ্ঞান হারাল সে। একটা ছনের কুটীর। কে যেন মাথায় পানি ঢালছে।  হঠাৎ একজন চেঁচিয়ে ওঠল, চাচী জ্ঞান ফিরছে, জ্ঞান ফিরছে। চাচী সম্বোধন করা সেই মহিলা চিনির শরবত এগিয়ে ধরল। ঢকঢক করে শরবত পান করল দিনু। কয়েক মিনিটে শরীরটা যেন শক্তি পেতে শুরু করল। সব অচেনা মুখ। অচেনা হলেও কেমন যেন মায়াময়। সকালে খেতে খেতে কথা হলে বাড়ির কর্তা আর কর্ত্রীর সাথে। দিনু ডাকে চাচা আর চাচি। বাজান, তোমার যেই কয়দিন খুশি এহানে থাকতে পারো- ডিমভাজিটা এগিয়ে দিতে দিতে বলল চাচী। আমাগো কোন ছেলেপুলে নাই। তুমি থাকলে আমাগো কোন অসুবিধা নাই। গৃহকর্ত্রীর সরল কথায় মনটা ভাল হয়ে গেল দিনুর।

দুদিনেই গ্রামটা অনেক পরিচিত হয়ে গেল দিনুর। গ্রামের নাম পলাশপুর। ধানিয়া নদীর এই পাড়ে যে এত সুন্দর একটা গ্রাম আছে সেটা অজানাই ছিল দিনুর কাছে। চারদিকে ফসলের ক্ষেত। সবুজ আর সবুজ। সরু মেঠোপথ। দুরে দুরে সব বাড়িঘর। এখানকার মানুষগুলোকে খুব আপন মনে হয়। সবাই দিনুর সাহসের তারিফ করে। গ্রামের একপাশে একটা বাঁশঝাড়। এখানে এসে বসে দিনু। সামনের ফসলের ক্ষেত। একটু পর পর বাতাস দোলা দিয়ে যাচ্ছে। দিনুর চোখেমুখে বাতাসের ঝাঁপটা এসে লাগছে। দিনু ভাবতে থাকে। এই যে সুন্দর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন- এসব কিছু হায়েনারা ধ্বংস করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ওদের ঠেকাতে হবে। না হলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর এনে দিয়েছে। এখন যুদ্ধে যেতে হবে। দিনু শুনেছে এখান থেকে সীমান্ত খুব একটা বেশি দুরে না। পাশের দেশ ভারত নাকি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং দিচ্ছে। সন্ধ্যে হতে থাকে। বাঁশঝাড়েই বসে থাকে দিনু। একটু রাত হলে সে ওঠে দাঁড়ায় এবং সামনের দিকে হাঁটতে থাকে। দিনুর বুকের গভীরে একটা নতুন সূর্য উদয় হয়েছে। 

 

 এইচ/৩৭ ব্যাংক কলোনি, সাভার

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

কেরানীগঞ্জে রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু, আহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামেরকান্দা বোর্ডিং এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কেরানীগঞ্জ স্টেশন মাস্টার কাজল জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে রেস্টুরেন্টটিতে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়, যা পাশের দুটি দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গ্যাস সিলিন্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad

বিরামপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপি'র শারদীয় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ছিল বিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি মিঞা শফিকুল আলম মামুন। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, পৌর বিএনপি'র সভাপতি হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম নূরা, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাডভোকেট মিঞা শিরন আলম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর রব তোতা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ নোমান এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ। এছাড়াও বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা শাখার সভাপতি শিশির কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক শান্ত কুমার কুন্ডু এবং পৌর শাখার সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাস বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপজেলা শাখার সভাপতি উজ্জ্বল কুমার এবং সাধারণ সম্পাদক পবন কুমার শীল বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান শেষে, উপজেলার ৩৫টি পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের হাতে বিএনপি'র পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৬৫-এ পৌঁছেছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ফলে, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮২ জনে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশে ৯২৭ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩২ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া, ঢাকা বিভাগে ১৭৩ জন, বরিশালে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, খুলনায় ৭৬ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন এবং রাজশাহীতে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩.২% পুরুষ এবং ৩৬.৮% নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮২ জনের মধ্যে ৫১.১% নারী এবং ৪৮.৯% পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন ছিলেন।

অবশ্য, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর মশাবাহিত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

২০১৯ সালে দেশে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সে সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমনটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। এছাড়া, ২০২২ সালে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যেখানে ২৮১ জনের মৃত্যু ঘটে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেরানীগঞ্জে রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু, আহত ৪
বিরামপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপি'র শারদীয় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭
ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে
সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী
পিটিআই-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তান, সেনা মোতায়েন
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার নয়, ক্ষতি সাড়ে ১২ কোটি !
এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
টাকায় থাকছে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নকশার প্রস্তাব
মাঠ কাঁপিয়ে বেড়ানো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা এখন কোথায়?
নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াত আমির
কারাগারে অসুস্থ সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভর্তি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত
আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস
বিএনপির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: নির্বাচনী রোডম্যাপসহ একাধিক দাবি
সোহেল রানার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা, নাম ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’