সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সামনে নতুন দিন

বটতলী হাটের শেষ প্রান্ত। নদীপাড়ের হাট। বেশ খাড়া নদীর পাড়। খরস্রোতা ধানিয়া নদী। এখানেই হায়েনারা ঘাঁটি গেড়েছে। সারি সারি তাঁবু। নদীর পাড়সহ বটতলী হাঁটের আশপাশটা এখন ওদের দখলে। পাক হায়েনাগুলো এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করছে। হায়েনাদের এক কর্তা দাঁড়িয়ে। মোটা আর পাকানো গোঁফ। ইয়া লম্বা আর দশাসই চেহারা। পিঠে উদ্যত সঙ্গীন। বেয়নেট চকচক করে ওঠছে। কোমরে রিভলবার গোঁজা। চোখদুটি লাল টকটকে হয়ে ওঠেছে।

অনেকদিন ধরে একটা টিকটিকি জ্বালাচ্ছে ওদের। সব খবর চলে যাচ্ছে মুক্তিদের কাছে। বহু কষ্টে ধরা হয়েছে টিকটিকিটাকে। সামনে দাঁড়িয়ে এক কিশোর। ঢোলা হাফ প্যান্ট পড়া। ছেঁড়া গেঞ্জি। হালকা পাতলা গড়ন। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা। পিছমোড়া করে হাত বাঁধা। যে রাজাকাররা তাকে ধরে এনেছিল তারা সামনেই। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যখন বিচ্ছুটাকে অত্যাচার করবে তখন এই রাজাকাররা নিশ্চয় পৈশাচিক আনন্দ লাভ করবে। গোটা এলাকা চষে তারপর এই টিকটিকিটাকে ধরা হয়েছে। বিচ্ছু দলের নেতা। হায়েনা কর্তার বাজখাঁই আওয়াজ ভেসে আসল। পরিস্কার বাংলায়। হায়েনা নেতা ইশারা করতেই বিচ্ছুটার মুখের কালো কাপড় আর হাতের বাঁধন খুলে দিলো একজন। জেরা শুরু হলো।- কী নাম?- দিনু- কোন ক্লাসে পড়িস?  ক্লাস নাইনে। তুই নাকি একটা বিচ্ছু? আমি দিনু। কিন্তু তুইতো একটা বিচ্ছু। শুধু বিচ্ছু না, বিচ্ছু দলের নেতা। একটা টিকটিকি। আমি দিনু। আচ্ছা, আচ্ছা, তুই ই তাহলে সেই ঘুম হারাম করা বিচ্ছু দলের নেতা? তুই নাকি আমাদের সব খবরাখবর মুক্তি বাহিনিকে পৌঁছে দিস? হ‘ ঠিকই হুনছেন।  কেন?  আমরা আমাগো দেশটারে বাঁচাইবার চাই। তাই? এই দেশের মানুষ থাকব না, শুধু মাটি থাকব। বুঝছস? আমরা আমাগো দেশটারে বাঁচামুই।  মুক্তিবাহিনির খবর বল। ওরা কোথায় আছে? জানি না। আলবৎ জানিস। বল। জানি না। কেন জানিস না? মুক্তিরা বাতাসের বেগে চলে। এই এখাে তো একটু পর হয়তো ওখানে। এত্তটুকু মাসুম বাচ্চা! এই ছোঁড়া তুই যুদ্ধে আইলি ক্যান? আপনেরা আমাগো যুদ্ধে নামাইছেন। তুইতো দেখি আসলেই একটা বিচ্ছু। স্যার ওর পাছায় বুটজোড়া দিয়া একটা লাথি কষাইয়া দেন না ক্যান? বলে রাজাকার শামসু এগিয়ে এসে দিনুর গালে প্রচন্ড জোরে চড় মারে। বিশ্বাসঘাতক! রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার! দেশের সঙ্গে বেঈমান ঘৃণা আর রাগে একদলা থুথু ছিটিয়ে দেয় দিনু। শামসু রাজাকারের মুখে। রাইফেল দিয়ে দিনুর মাথায আঘাত করতে যায় রাজাকার শামসু।  ‘স্টপ, ইয়ে রাজাকার শামসু!। বাঁজখাই গলা ভেসে আসে হায়েনার। অবাক হয়ে যায় শামসু।  স্যার আপনেও আমারে রাজাকার কইলেন। স্যার এই বিচ্ছুডারে বিশ্বাস কইরেন না। ওরে বিশ্বাস করলে আমাগো শ্যাষ কইরা দিবো। শুট হিম স্যার, শুট হিম।  নো, ওর কাছ থেকে অনেক কথা বের হবে। শামসু রাজাকার!  ক্যাপ্টেন সাব, আমারে আবারও রাজাকার বললেন। রাজাকারকেতো রাজাকারই বলব। তোমরা আমাদের সাহায্যকারী সেইজন্যইতো তোমরা রাজাকার। পোকা খাওয়া দাঁত বের করে হেহে করে হাসতে থাকে রাজাকার শামসু। কী মনে করে হায়েনা এগিয়ে এসে দিনুর চোখের কালো কাপড় খুলে ফেলে। পাঁচ মিনিট সময় দিলাম। এরপর মুখ না খুললে গুলি করে মেরে এই ধানিয়া নদীতে ফেলে দেবো। কোথায় ভেসে যাবি সেটাও বলতে পারবি না। 

হোলস্টার থেকে রিভলবার বের করে হায়েনাটা। তাক করে দিনুর দিকে। ঠোঁটে নিষ্ঠুর হাসি। বাঙালী মেরে ভুট্টোকে খুশি করবে। দিনু ঘাড় ঘুরিয়ে নদীর দিকে তাকায়। ধানিয়া নদী। বেশ খরস্রোতা। তাই কেউ এটি সাঁতরিয়ে পার হবার সাহস করে না। করণীয় ঠিক করে ফেলে দিনু। দেশকে বাঁচাতে হলে তার আরও কিছুদিন বাঁচতে হবে। না হলে বাংলার মাটি থেকে এই সব হানাদের তাড়ানো যাবে না। ঝট কওে একটানে রিভলবারটা কেড়ে নেয় সে। তারপর সেই অবস্থায় উল্টো ডিগবাজী খেয়ে লাফিয়ে পড়ে নদীতে। এরকম বহুবার ডিগবাজী খেয়েছে সে। বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে। গ্রামের দুরন্ত কিশোরবেলা তার এভাবেই কাটছিল। ‘হায়! হায়! কী হলো বলে রাজাকার শামসু চেঁচিয়ে ওঠে। ক্যাপ্টেন সাব, বিচ্ছুটা পালিয়ে গেল! বিচ্ছুটা পালিয়ে গেল!’ বিস্ময়ে হতবাক হায়েনা ক্যাপ্টেনের বুঝতে খানিকটা সময় লাগে। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। নিচে তাকায়। গভীর পানি। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বেমালুম গায়েব। ‘ফায়ার! ফায়ার! গগনবিদারী চিৎকারটা দেয় হায়েনাদের সর্দার। বৃথাই পানি লক্ষ্য করে গভীর আক্রোশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে হায়েনারা। তারপর হায়েনা কর্তা ঘুরে ঠাস্ করে চড় কসায় রাজাকার শামসুর গালে। চড় খেয়ে বড় বড় চোখ করে হায়েনা কর্তার দিকে তাকিয়ে থাকে রাজকার শামসু। তার কী দোষ? বুঝতে পারল না শামসু। মাটিতে বুটজোড়া দিয়ে লাথি মারতে লাগল হায়েনাদের বালুচ ক্যাপ্টেন।

নদীর ওপাড়ে পৌঁছে নদীর পাড়েই গা এলিয়ে দেয় দিনু। কোনদিন এই ধানুয়া নদী সাঁতরে পার হওয়ার সাহস করেনি। আজ সেটা করল। ভয়ডর মন থেকে উবে গেছে যেন। লম্বা ঘাসের আড়াল। ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে দিনু। শরীরে ওপর বেশ ধকল গেছে। তিনদিন ধরে কিছু খেতে দেয়নি ওকে। নদীটা পার হয়ে এ পাড়ে আসতে পেরেছে সেটাই অবাক করার ব্যাপার। আহা! বেঁচে থাকাটা কত আনন্দের! কত আবেগের! বিপদে যে বেঁচে যায় কেবল সেই-ই বুঝতে পারে। ওপরে সুনীল আকাশ। সাদা মেঘের দল সারি সারি চলে যাচ্ছে। এই যে সুন্দর দেশটাকে বাঁচাতে হবে।  কিন্তু শরীরটা অসাড় হয়ে আসছে। চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসছে। জ্ঞান হারাল সে। একটা ছনের কুটীর। কে যেন মাথায় পানি ঢালছে।  হঠাৎ একজন চেঁচিয়ে ওঠল, চাচী জ্ঞান ফিরছে, জ্ঞান ফিরছে। চাচী সম্বোধন করা সেই মহিলা চিনির শরবত এগিয়ে ধরল। ঢকঢক করে শরবত পান করল দিনু। কয়েক মিনিটে শরীরটা যেন শক্তি পেতে শুরু করল। সব অচেনা মুখ। অচেনা হলেও কেমন যেন মায়াময়। সকালে খেতে খেতে কথা হলে বাড়ির কর্তা আর কর্ত্রীর সাথে। দিনু ডাকে চাচা আর চাচি। বাজান, তোমার যেই কয়দিন খুশি এহানে থাকতে পারো- ডিমভাজিটা এগিয়ে দিতে দিতে বলল চাচী। আমাগো কোন ছেলেপুলে নাই। তুমি থাকলে আমাগো কোন অসুবিধা নাই। গৃহকর্ত্রীর সরল কথায় মনটা ভাল হয়ে গেল দিনুর।

দুদিনেই গ্রামটা অনেক পরিচিত হয়ে গেল দিনুর। গ্রামের নাম পলাশপুর। ধানিয়া নদীর এই পাড়ে যে এত সুন্দর একটা গ্রাম আছে সেটা অজানাই ছিল দিনুর কাছে। চারদিকে ফসলের ক্ষেত। সবুজ আর সবুজ। সরু মেঠোপথ। দুরে দুরে সব বাড়িঘর। এখানকার মানুষগুলোকে খুব আপন মনে হয়। সবাই দিনুর সাহসের তারিফ করে। গ্রামের একপাশে একটা বাঁশঝাড়। এখানে এসে বসে দিনু। সামনের ফসলের ক্ষেত। একটু পর পর বাতাস দোলা দিয়ে যাচ্ছে। দিনুর চোখেমুখে বাতাসের ঝাঁপটা এসে লাগছে। দিনু ভাবতে থাকে। এই যে সুন্দর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন- এসব কিছু হায়েনারা ধ্বংস করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ওদের ঠেকাতে হবে। না হলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর এনে দিয়েছে। এখন যুদ্ধে যেতে হবে। দিনু শুনেছে এখান থেকে সীমান্ত খুব একটা বেশি দুরে না। পাশের দেশ ভারত নাকি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং দিচ্ছে। সন্ধ্যে হতে থাকে। বাঁশঝাড়েই বসে থাকে দিনু। একটু রাত হলে সে ওঠে দাঁড়ায় এবং সামনের দিকে হাঁটতে থাকে। দিনুর বুকের গভীরে একটা নতুন সূর্য উদয় হয়েছে। 

 

 এইচ/৩৭ ব্যাংক কলোনি, সাভার

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

রংপুরের কাছে বড় হারে শুরু শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসের

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার বিপিএলে দল কিনে অংশ নিয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। তার দল ঢাকা ক্যাপিটালসের যাত্রা শুরুটা হতাশাজনক হয়েছে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৪০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে থিসারা পেরেরার নেতৃত্বাধীন দলটি।

১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম দুর্দান্ত শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ বলে ৬৫ রান তোলেন তারা। তবে শেখ মেহেদীর ঘূর্ণিতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। ১০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৫/০ থেকে ৭৫/৪-এ পরিণত হয় দলটি।

ঢাকার পক্ষে লিটন দাস ২৭ বলে ৩১ এবং তানজিদ তামিম ২১ বলে ৩০ রান করেন। তবে মিডল অর্ডার ধসের পর থিসারা পেরেরা (৮ বলে ১৭), মুকিদুল ইসলাম (১১ বলে ১৮), এবং নাজমুল অপু (১৬ বলে ১২) কিছুটা লড়াই করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।

রংপুরের পক্ষে শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন, আর খুশদিল শাহ শিকার করেন ২ উইকেট।

এর আগে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের স্টিভেন টেলর (৭ বলে ১৪) ও অ্যালেক্স হেলস (৬ বলে ৫) দ্রুত আউট হলেও সাইফ হাসান (৩৩ বলে ৪০) এবং পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদের (৩৮ বলে ৪৯) দুর্দান্ত জুটিতে ৬৫ বলে ৮৯ রান তোলে রংপুর।

শেষদিকে খুশদিল শাহর ২৩ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে ভর করে রংপুর ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। নুরুল হাসান সোহানও ১১ বলে ২৫ রান করেন। ঢাকার পক্ষে আলাউদ্দীন বাবু ৪৩ রানে ৩ উইকেট এবং মুকিদুল ইসলাম ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।

এই হার দিয়ে শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপিএল যাত্রা শুরু হলেও তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর।

Header Ad
Header Ad

দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, যা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপিই পারে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সমাবেশে ‘গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা’ ও তার দোসরদের অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারার প্রতিবাদ জানানো হয়।

দুদু বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু কোনো মহল নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে ভিন্ন পথে দেশ পরিচালনা করতে চায়। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে দল গঠন করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বিএনপির আপত্তি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বাজার পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা এবং সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, দেশে কার্যকর কোনো সরকার নেই। সরকারের দুর্বলতা দেশের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, তাদের আমলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।

ডক্টর ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুদু বলেন, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে দুর্নীতি ও অরাজকতা থেকে মুক্ত করবে।

দুদু আরও বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া সেটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা আবার দেখা দিয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান এবং কৃষক দলের নেতা এসকে সাদীসহ অন্যান্য নেতারা।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নওগাঁ সদর ও বদলগাছি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন– নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আলমের ছেলে পারভেস (২৮) ও বদলগাছীর পালশা গ্রামের রিপন (২৭)।

নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আজ বিকালে নওগাঁ সদর উপজেলার কাঠালতলী মোড় থেকে রানীনগর যাওয়ার রাস্তায় হিন্দু পাড়া মোড়ে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।’

তিনি আরোও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে সংবাদ দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। লাশ বর্তমানে সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। পিকআপ চালক ঘটনাস্থলে গাড়ি রেখে পলাতক আছে।’

অপর দিকে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার বদলগাছী-আক্কেলপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনপাড়া এলাকায় ট্রলি এবং ছোট পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুরের কাছে বড় হারে শুরু শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসের
দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে: শামসুজ্জামান দুদু
নওগাঁয় সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ
১২ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ
এক কেজি ফুলকপির দাম ১ টাকা! কৃষকের মাথায় হাত
মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ঝড়ে দুর্বার রাজশাহীকে হারাল ফরচুন বরিশাল
ফেনীতে মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘আ. লীগ আবার ফিরবে জয় বাংলা’
আওয়ামী লীগ এক ফুঁৎকারেই উড়ে গেছে: ডা. শফিকুর রহমান  
চার জেলায় নতুন পুলিশ সুপার পদায়ন
মিয়ানমার সীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিন পর সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশ  
২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যা মামলা-বাণিজ্য; পুলিশ থেকে ঘুষ নিচ্ছে পুলিশ
দুই জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
খালি পেটে লবঙ্গ খেলে কী হয়? জানলে অবাক হবেন আপনিও
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়বেন ২৫ জন
আমি নিজেই কুমিরের খালে লাফালাফি করি: পরীমণি
বিজয়-রাব্বির বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দুইশ’র দোরগোড়ায় রাজশাহী
সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরানো হলো ডিসি তানভীরকে
প্রেমের টানে ইউক্রেনের যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়