শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হেমু গ্রামের হত্যাযজ্ঞ

পাখি ডাকা ছায়া ঢাকা, সবুজের মায়া আঁকা; ছোট এক গ্রাম। গ্রামের নাম হেমু। হেমু গ্রামের লোকজনের পেশা ছিল কৃষি। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করে কোনো রকম তারা জীবনযাপন করতো। গ্রামে পড়াশোনা জানা মানুষ একজনও ছিল না। তবু জীবন তাদের থেমে থাকেনি। জীবন জীবনের গতিতে চলতো।

হেমু গ্রামের পাশ দিয়ে কুলুকুলু রবে বইতো ছোট একটি নদী। নদীর নাম খরিস। খরিস নদীর উপর ছিল পাকা একটি সেতু। সেতুর নাম খরিস সেতু। এই খরিস সেতু দিয়ে পাকিস্তানি মিলিটারীরা জলপাই রঙের ট্রাকে চড়ে সব সময় যাওয়া-আসা করতো। তারা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ইচ্ছেমতো আক্রমণ চালাতো, লুটপাট করতো।

জৈন্তাপুরে মিলিটারীরা ক্যাম্প বসালো। ক্যাম্প থেকে তারা যখন তখন জীপ কিংবা ট্রাকে চড়ে সশস্ত্র মহড়া দিতো। খরিস সেতু পার হয়ে অজপাড়া গাঁ পর্যন্ত তারা চলে যেতো। গিয়ে এলাকার লোকজনকে ডর-ভয় দেখাতো। কারও বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগ পেলে ক্ষমা করতো না। পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলতো। কখনও আবার অভিযোগও লাগতো না। ইচ্ছে হলো ব্যস, গুলি করে দিতো। এভাবে নির্বিচারে চলতো পাকিস্তানি মিলিটারীদের অন্যায় হত্যাযজ্ঞ।

একদিন বিকেল বেলা। হাটবার ছিল সেদিন। হেমু গ্রামের কেরামত আলী আখ বিক্রি করছিলেন জৈন্তাপুর বাজারে। মধ্য বয়স্ক মানুষ কেরামত আলী। অন্যান্য দিনের চেয়ে তিনি সেদিন অনেক আখ বিক্রি করলেন। পকেটে জমা হলো তার চকচকে কাঁচা পয়সা। বেশি পরিমাণ আখ বিক্রি করতে পারায় কেরামত আলীর মনে আনন্দ বিরাজ করছিল। আনন্দে হঠাৎ তার কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে এলো ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি।
তার পাশ দিয়েই যাচ্ছিল একটি মিলিটারী জিপ। কেরামত আলী তা খেয়াল করলেন না। আচমকা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি শোনার পর পাকিস্তানি মিলিটারীদের শরীরে যেন কেউ আগুন লাগিয়ে দিলো। জীপ থামিয়ে বন্দুক তাক করে ছুটে এলো দুজন মিলিটারী। এসেই আর কোনো কথা নেই। কেরামত আলীসহ আরও চার-পাঁচজনকে গুলি করে মাটিতে ফেলে দিলো। গুলি খেয়ে রক্ত ভেজা মানুষগুলো গলা কাটা মুরগির মতো ছটফট করতে করতেই মারা গেলেন। চিরদিনের মতো নিথর হয়ে গেল মানুষগুলো। সেই খবর ছড়িয়ে পড়লো সারা বাজারে। লোকজন দোকান পাট বন্ধ করে যে যার মতো পালিয়ে গেল।

সেই ঘটনার পর জৈন্তাপুর অঞ্চলে নেমে এলো কেমন যেন শোকের ছায়া। সব জায়গায় লক্ষ্য করা গেল কেমন যেন থমথমে ভাব। লোকজন কেমন ভয়ে ভয়ে থাকতো। কেউ কারও সাথে তেমন কথা বলতো না। নিতান্ত দরকার না হলে মানুষ খুব একটা বাজার-হাটেও যেতো না। চাপা কণ্ঠে ফিসফিস করে কেউ কেউ বলতো সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। সোনার বাংলা শত্রু মুক্ত হবে।” এভাবেই যাচ্ছিল দিন।
তারপর হঠাৎ একদিন এলো ভয়াল সেই রাত। রাতের খাবার খেয়ে হেমু গ্রামের লোকজন ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘন অন্ধকার রাত। ঝোপঝাড়ে অবিরাম ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে। ঝিঁঝিঁ পোকার সাথে পাল্লা দিয়ে ঝাঁক ঝাঁক জোনাক পোকা জ্বলছে আর নিভছে।
এমনি সময়ে রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে শো-শো আওয়াজ তুলে কোথা থেকে যেন উড়ে এলো তিন তিনটি জঙ্গি বিমান। বিমানগুলো যে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর তা পরে জানা গেল। বিমানগুলো উড়ে এসে জৈন্তাপুরের আকাশে ঘুরে ঘুরে কয়েকবার চক্কর খেলো। তারপর আচমকা শুরু করলো বোমা বর্ষণ। সব কয়টি বোমাই এসে পড়লো হেমু গ্রামের ওপর। আকস্মিক বোম্বিংয়ের কারণে অনেক লোক ঘুমন্ত অবস্থাতেই মারা গেল। বোম্বিংয়ের শব্দে হেমু গ্রামের লোকদের কারও কারও ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম থেকে জেগে গ্রামের লোকজন যেন বোবা হয়ে গেল। তারা দেখে কী, তাদের প্রিয় গ্রামখানি দাউদাউ করে জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। যেসব স্থানে বোমা পড়েছিল, সেই সব জায়গায় এক একটা পুকুর তৈরি হয়ে গেল।
জীবিত মানুষ প্রাণ ভয়ে দিকবিদিক ছুটতে লাগলো। সেই রাতে হেমু গ্রামের অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেল। হারিছ আলী, ছাড়া মিয়া, আয়েশা বেগম, আব্দুল্লাহ, নাছিমা বেগম, ইছাক আলী ও আলেকজান বিবিসহ কয়েক শত নিরীহ মানুষ বোমার আঘাতে শহীদ হলেন।
সেই রাতে কেউ কেউ কোনো রকম জান নিয়ে পালিয়ে বাঁচলো। অনেকের মতো লেংগুই মিয়া এবং তার বউও পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। লেংগুই মিয়ার বউয়ের কোলে ছিল ছোট একটি শিশু। দিকদিশা হারিয়ে বউকে নিয়ে হুড়মুড় করে পালাতে গিয়ে ঘটলো বিরাট এক অঘটন। নদীর ধারে এসে লেংগুই মিয়ার বউ হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। ‘আমার ময়না পাখি’ ‘আমার ময়না পাখি’ বলে বউটি আহাজারি শুরু করে দিলো।
লেংগুই মিয়া দেখলেন বউয়ের কোলে তাদের শিশু বা”চাটা নেই। নেই কেন? ভাবতে লাগলেন তিনি।
পরে বউটি নিজ থেকেই বললো, “আমার সব্বনাশ অইয়া গেছে গো। সব্বনাশ অইয়া গেছে। তাড়াহুড়া কইরা আইতে গিয়া ভুল কইরা আমি আমার ময়না পাখি রে ঘরো থুইয়া আইয়্যা পড়ছি। ময়না পাখির বদলে আমি তার বালিশটা লইয়্যা আইয়্যা পড়ছি। এহন আমার কী অইবো গো। কী নিয়া আমি বাঁচুম গো।” বলে বউটি গলা ফাটিয়ে রীতিমতো মরাকান্না শুরু করে দিলো।

বউয়ের কান্না শুনে লেংগুই মিয়া বললেন, “কান্দিছ না বউ। তুই এই হানো ব। আমি যাইয়াম আর আইয়াম। আমি ময়না পাখি রে ঠিক লইয়্যা আইয়াম। তুই কুনো চিন্তা করিছ না।”
বলে লেংগুই মিয়া হেমু গ্রামের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন। এক দৌড়ে তিনি চলে এলেন হেমু গ্রামে। এসে দেখলেন, তার ছনের ঘরখানি দাউদাউ করে জ্বলছে। ঘরের ভেতর শোনা যাচ্ছে ছোট্ট শিশুর কান্না। লেংগুই মিয়া চিনতে পারলেন সেই কণ্ঠ। তারপর এক লাফে গিয়ে তিনি ঘরের ভেতর প্রবেশ করলেন। ততক্ষণে শিশুটির কান্না থেমে গেছে। লেংগুই মিয়া ঘরের ভেতর ঢুকতেই হঠাৎ ঘরের চালটি তার উপর খসে পড়লো। কিছুতেই তিনি আর ঘর থেকে বেরোতে পারলেন না।
সকাল বেলা লোকজন এসে লেংগুই মিয়ার ঘরের খালি জায়গাটাতে আবিষ্কার করলো ছাইয়ের উঁচু স্তূপ। ছাইয়ের ভেতর জড়াজড়ি অবস্থায় পাওয়া গেল আধ পোড়া দুটো মানব কংকাল। একটি ছোট্ট শিশুর। আর অন্যটি একজন বয়স্ক মানুষের।

 

গবেষণা কর্মকর্তা
ট্রাস্টিবোর্ড অফিস, লিডিং ইউনিভার্সিটি
রাগীবনগর, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট-৩১১২

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি