বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাঁপাই নবাবগঞ্জে ঐতিহ্যের সন্ধানে

গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ বঙ্গকে দিল্লির শাসন থেকে মুক্ত করে স্বাধীন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেন এবং রাজধানী গৌড় থেকে স্বাধীন বঙ্গের পরিচালনা আরম্ভ হয়। তিনি বঙ্গ জুড়ে অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করেন এবং জুম্মার খুৎবায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। তারই সময়ে এই অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার প্রচলন করা হয়।

১২২৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গের পাশাপাশি বিহার দখল করার যুদ্ধে তৃতীয় সুলতানি শাসক ইলতুতমিশের বাহিনীর হাতে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যু ঘটলে বঙ্গের শাসন আবার দিল্লির অধীনে চলে যায়।

১২৮১ সালে বঙ্গের প্রশাসক নাসিরুদ্দিন বোঘরা খান আবার দিল্লির শাসন থেকে বঙ্গের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৩৪২ সালে পার্শ্ববর্তী সাতগাঁও এর প্রশাসক শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ গৌড়ের প্রশাসককে পরাজিত করে একটি বৃহত্তর এলাকাকে দিল্লির শাসন থেকে স্বাধীন করেন। তাকেই বলা হয় বঙ্গের সুলতানি আমলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বঙ্গের রাজধানী গৌড় থেকে সরিয়ে পন্ডুয়াতে নিয়ে যান। প্রায় এক শতাব্দী পর বঙ্গের শাসক সুলতান মাহমুদ শাহ রাজধানীকে আবার গৌড়ে ফিরিয়ে আনেন। ১৫৬৫ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমল শেষ হয়ে গেলেও মোঘল আমলের গোড়ার দিক পর্যন্ত গৌড় বঙ্গের রাজধানী ছিল।

১৫২৬ সালে মির্জা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বা সম্রাট বাবরের মাধ্যমে আরম্ভ হয় মোঘল সাম্রাজ্য। এই সময়েই বঙ্গ আবার দিল্লির অন্তর্গত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুন ১৫৩৫ সালে (আনুমানিক) গৌড়ে এলে কারুকাজসমৃদ্ধ অসংখ্য মসজিদ দেখে আপ্লুত হন এবং গৌড়কে জান্নাতাবাদ নামে আখ্যায়িত করেন।

সম্রাট হুমায়ুন শের শাহ সুরীর কাছে পরাজিত হলে দিল্লির শাসন প্রায় ২৫ বছরের জন্য থাকে সুরী বংশের হাতে। এই সময়কালে কোনো এক বছর গৌড়জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর প্লেগ। অসংখ্য নগরবাসী মৃত্যুবরণ করে, বাকি প্রায় সবাই পালিয়ে অন্যত্র সরে যায়। একই সঙ্গে কয়েকটি বড় বড় ভূমিকম্পের ফলে পদ্মা নদীর গতিপথেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। ১৫৫৫ সালে হুমায়ুন মোঘল সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেও গৌড় তার কৌশলগত এবং ভৌগলিক গুরুত্ব হারাতে থাকে। অবশেষে ১৫৬৫ সালে গৌড় থেকে চিরকালের জন্যই বঙ্গের রাজধানী সরিয়ে ফেলা হয়। ধীরে ধীরে একটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হয় এককালের সমৃদ্ধ ও জনবহুল নগরী গৌড়।

যতগুলো সুদৃশ্য মসজিদ দেখে সম্রাট হুমায়ুন গৌড়কে জান্নাতাবাদ নাম দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিশ্চয়ই আগের শতকে নির্মিত মসজিদগুলোর পাশাপাশি ১৩শ শতাব্দীতে গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ-এর নির্মিত মসজিদগুলোও ছিল। তবে গত কয়েক শতকে নানা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আর কালের পরিক্রমায় আজ সেগুলো প্রায় সবই হারিয়ে গেছে। সুলতানি আমলের ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত কিছু মসজিদ এবং মোঘল আমলে ১৭শ শতাব্দীর কিছু স্থাপনা প্রাচীন গৌড়ের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ সীমানায় এখনো দেখা যায়। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে সংস্কার করার কারণে এগুলো টিকে আছে। এমনই কয়েকটি স্থাপনা দেখার উদ্দেশ্যে আমরা গিয়েছিলাম প্রাচীন গৌড় নগরী, বা আজকের চাঁপাই নবাবগঞ্জ বেড়াতে।

ছোট সোনা মসজিদ
আমাদের ট্রিপের প্রথম স্থাপনা ছিল ছোট সোনা মসজিদ। চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহর পার হয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমানা পোস্টের দিকে এগিয়ে গেলে সীমানা থেকে ৩ কিলোমিটার আগে মহাসড়কের ডানে পড়বে এই মসজিদ কমপ্লেক্স। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’র শাসন আমলে ১৪৯৩-১৫১৯ সালের মধ্যে গৌড়ে প্রায় একই নকশায় দুটি মসজিদ গড়া হয়েছিল। বড়টি এখন ভারতের সীমানায় আর ছোটটি বাংলাদেশে। দুটি মসজিদেরই ছাদের গম্বুজগুলো স্বর্ণ দিয়ে মোড়া ছিল বলেই এগুলো সোনা মসজিদ নামে পরিচিত। আজ আর সেই স্বর্ণ নেই, তবে নামগুলো রয়েই গেছে।

ইট ও পাথরে নির্মিত আয়তক্ষেত্রাকার মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৮২ ফুট এবং পুব-পশ্চিমে প্রায় ৫২ ফুট। মূল কাঠামো পাথরে নির্মিত। এর উপরে ইটের স্তর। তার উপর আবার গ্র্যানাইট পাথরের স্তর। যে কারণে দেয়ালগুলো প্রায় ৬ ফুট প্রশস্ত। মসজিদের চার কোণে আরও মজবুত করার জন্য রয়েছে চওড়া অষ্টভূজাকার পিলার। ভেতরে দুই সারিতে চারটি করে মোট আটটি পাথরের পিলার। এগুলোর উপরেই খিলানের উপর নির্মাণ করা হয়েছে ছাদ। ভেতরে উত্তর পশ্চিম অংশে রয়েছে দ্বিতল রাজকীয় গ্যালারি, যার জন্য বাইরে থেকে প্রবেশের জন্য আছে ভিন্ন প্রবেশ পথ ও সিঁড়ি। সুলতানি আমলে নির্মিত বড় মসজিদ্গুলোর এটি ছিল এটি বিশেষত্ব। ওয়াক্তের নামাজের সময় ছাড়া অন্য কোনো সময়ে কেউ এলে তার নামাজ পড়ার জন্য পুরো মসজিদ না খুলে কেবল এই অংশ খুলে দেওয়া হতো। আর জুম্মার নামাজের সময় এই অংশটি নারীদের নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকত।

ছাদে রয়েছে ৩ সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ। এর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণে ৬টি করে ১২টি হলো অর্ধবৃত্তাকার, আর মাঝের তিনটি চৌচালা। পুরো মসজিদের দেয়াল পাথরে মোড়া, এর মাঝে মাঝে রয়েছে খোদাই করা নকশা। কোথাও বা দেয়ালে ব্যবহৃত পাথর খোদাই করে করা হয়েছে নকশা, কোথাও বা বড় পাথরের নকশা করা স্ল্যাব দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। দূর থেকে একেকটি স্ল্যাবে করা নকশাগুলো একইরকম মনে হলেও কাছে এলে তাদের ভিন্নতাগুলো স্পষ্টতই দেখা যায়।

নাফিসুর রহমান: ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপ কনসালটেন্ট।

এসএন

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া