বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চাঁপাই নবাবগঞ্জে ঐতিহ্যের সন্ধানে

গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ বঙ্গকে দিল্লির শাসন থেকে মুক্ত করে স্বাধীন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেন এবং রাজধানী গৌড় থেকে স্বাধীন বঙ্গের পরিচালনা আরম্ভ হয়। তিনি বঙ্গ জুড়ে অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করেন এবং জুম্মার খুৎবায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। তারই সময়ে এই অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার প্রচলন করা হয়।

১২২৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গের পাশাপাশি বিহার দখল করার যুদ্ধে তৃতীয় সুলতানি শাসক ইলতুতমিশের বাহিনীর হাতে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যু ঘটলে বঙ্গের শাসন আবার দিল্লির অধীনে চলে যায়।

১২৮১ সালে বঙ্গের প্রশাসক নাসিরুদ্দিন বোঘরা খান আবার দিল্লির শাসন থেকে বঙ্গের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৩৪২ সালে পার্শ্ববর্তী সাতগাঁও এর প্রশাসক শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ গৌড়ের প্রশাসককে পরাজিত করে একটি বৃহত্তর এলাকাকে দিল্লির শাসন থেকে স্বাধীন করেন। তাকেই বলা হয় বঙ্গের সুলতানি আমলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বঙ্গের রাজধানী গৌড় থেকে সরিয়ে পন্ডুয়াতে নিয়ে যান। প্রায় এক শতাব্দী পর বঙ্গের শাসক সুলতান মাহমুদ শাহ রাজধানীকে আবার গৌড়ে ফিরিয়ে আনেন। ১৫৬৫ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমল শেষ হয়ে গেলেও মোঘল আমলের গোড়ার দিক পর্যন্ত গৌড় বঙ্গের রাজধানী ছিল।

১৫২৬ সালে মির্জা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বা সম্রাট বাবরের মাধ্যমে আরম্ভ হয় মোঘল সাম্রাজ্য। এই সময়েই বঙ্গ আবার দিল্লির অন্তর্গত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুন ১৫৩৫ সালে (আনুমানিক) গৌড়ে এলে কারুকাজসমৃদ্ধ অসংখ্য মসজিদ দেখে আপ্লুত হন এবং গৌড়কে জান্নাতাবাদ নামে আখ্যায়িত করেন।

সম্রাট হুমায়ুন শের শাহ সুরীর কাছে পরাজিত হলে দিল্লির শাসন প্রায় ২৫ বছরের জন্য থাকে সুরী বংশের হাতে। এই সময়কালে কোনো এক বছর গৌড়জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর প্লেগ। অসংখ্য নগরবাসী মৃত্যুবরণ করে, বাকি প্রায় সবাই পালিয়ে অন্যত্র সরে যায়। একই সঙ্গে কয়েকটি বড় বড় ভূমিকম্পের ফলে পদ্মা নদীর গতিপথেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। ১৫৫৫ সালে হুমায়ুন মোঘল সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেও গৌড় তার কৌশলগত এবং ভৌগলিক গুরুত্ব হারাতে থাকে। অবশেষে ১৫৬৫ সালে গৌড় থেকে চিরকালের জন্যই বঙ্গের রাজধানী সরিয়ে ফেলা হয়। ধীরে ধীরে একটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হয় এককালের সমৃদ্ধ ও জনবহুল নগরী গৌড়।

যতগুলো সুদৃশ্য মসজিদ দেখে সম্রাট হুমায়ুন গৌড়কে জান্নাতাবাদ নাম দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিশ্চয়ই আগের শতকে নির্মিত মসজিদগুলোর পাশাপাশি ১৩শ শতাব্দীতে গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ-এর নির্মিত মসজিদগুলোও ছিল। তবে গত কয়েক শতকে নানা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আর কালের পরিক্রমায় আজ সেগুলো প্রায় সবই হারিয়ে গেছে। সুলতানি আমলের ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত কিছু মসজিদ এবং মোঘল আমলে ১৭শ শতাব্দীর কিছু স্থাপনা প্রাচীন গৌড়ের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ সীমানায় এখনো দেখা যায়। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে সংস্কার করার কারণে এগুলো টিকে আছে। এমনই কয়েকটি স্থাপনা দেখার উদ্দেশ্যে আমরা গিয়েছিলাম প্রাচীন গৌড় নগরী, বা আজকের চাঁপাই নবাবগঞ্জ বেড়াতে।

ছোট সোনা মসজিদ
আমাদের ট্রিপের প্রথম স্থাপনা ছিল ছোট সোনা মসজিদ। চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহর পার হয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমানা পোস্টের দিকে এগিয়ে গেলে সীমানা থেকে ৩ কিলোমিটার আগে মহাসড়কের ডানে পড়বে এই মসজিদ কমপ্লেক্স। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’র শাসন আমলে ১৪৯৩-১৫১৯ সালের মধ্যে গৌড়ে প্রায় একই নকশায় দুটি মসজিদ গড়া হয়েছিল। বড়টি এখন ভারতের সীমানায় আর ছোটটি বাংলাদেশে। দুটি মসজিদেরই ছাদের গম্বুজগুলো স্বর্ণ দিয়ে মোড়া ছিল বলেই এগুলো সোনা মসজিদ নামে পরিচিত। আজ আর সেই স্বর্ণ নেই, তবে নামগুলো রয়েই গেছে।

ইট ও পাথরে নির্মিত আয়তক্ষেত্রাকার মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৮২ ফুট এবং পুব-পশ্চিমে প্রায় ৫২ ফুট। মূল কাঠামো পাথরে নির্মিত। এর উপরে ইটের স্তর। তার উপর আবার গ্র্যানাইট পাথরের স্তর। যে কারণে দেয়ালগুলো প্রায় ৬ ফুট প্রশস্ত। মসজিদের চার কোণে আরও মজবুত করার জন্য রয়েছে চওড়া অষ্টভূজাকার পিলার। ভেতরে দুই সারিতে চারটি করে মোট আটটি পাথরের পিলার। এগুলোর উপরেই খিলানের উপর নির্মাণ করা হয়েছে ছাদ। ভেতরে উত্তর পশ্চিম অংশে রয়েছে দ্বিতল রাজকীয় গ্যালারি, যার জন্য বাইরে থেকে প্রবেশের জন্য আছে ভিন্ন প্রবেশ পথ ও সিঁড়ি। সুলতানি আমলে নির্মিত বড় মসজিদ্গুলোর এটি ছিল এটি বিশেষত্ব। ওয়াক্তের নামাজের সময় ছাড়া অন্য কোনো সময়ে কেউ এলে তার নামাজ পড়ার জন্য পুরো মসজিদ না খুলে কেবল এই অংশ খুলে দেওয়া হতো। আর জুম্মার নামাজের সময় এই অংশটি নারীদের নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকত।

ছাদে রয়েছে ৩ সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ। এর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণে ৬টি করে ১২টি হলো অর্ধবৃত্তাকার, আর মাঝের তিনটি চৌচালা। পুরো মসজিদের দেয়াল পাথরে মোড়া, এর মাঝে মাঝে রয়েছে খোদাই করা নকশা। কোথাও বা দেয়ালে ব্যবহৃত পাথর খোদাই করে করা হয়েছে নকশা, কোথাও বা বড় পাথরের নকশা করা স্ল্যাব দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। দূর থেকে একেকটি স্ল্যাবে করা নকশাগুলো একইরকম মনে হলেও কাছে এলে তাদের ভিন্নতাগুলো স্পষ্টতই দেখা যায়।

নাফিসুর রহমান: ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপ কনসালটেন্ট।

এসএন

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’