শনিবার পর্যন্ত পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য
ফাইল ফটো
চিনি, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে ভোক্তারা বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ একবারে অসহায় হয়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা কম দামে পাওয়ার আশায় টিসিবির ট্রাকসেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। আগের ঘোষণা অনুযায়ী সেই সুযোগ শেষ হয়ে যাওয়ায় আরও চারদিন সময় বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আরও চারদিন বাড়িয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত করার ঘোষণা দেয়।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির ঢাকাপ্রকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই সময় আপাতত চারদিন বাড়ানো হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চলতি অর্থবছরে এটি অষ্টম দফার বিক্রি কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি টিসিবির ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ হয়। এর ৬ দিন পর বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ৩ ফেব্রুয়ারি আবার শুরু হয়। টিসিবি অষ্টম কিস্তিতে সারা দেশে ৪০০-৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে। দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলার ডিলার পয়েন্টে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পেঁয়াজ, মসুর ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকায় কিনতে পারছেন। একজন ক্রেতা সর্বনিম্ন দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি চিনি ও দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ কম দামে পাবার আশায় টিসিবির ট্রাকসেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তারপরও ভোক্তারা নির্ধারিত জায়গায় পাচ্ছে না টিসিবির পণ্য। আবার অনেক এলাকায় ট্রাকসেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না কোনো পণ্য। অল্প সময়ে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে চিনি, ডাল, তেল ও পেঁয়াজ।
জেডেএ/আরএ/