টেকসই ই-কমার্স তৈরিতে উদ্যোক্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

বাংলাদেশে ই-কমার্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে ক্রেতাদের আস্থার সংকটে পড়েছে এ খাত। এই অবস্থার উত্তরণে ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করবে ই-কমার্স বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটি। এ ব্যাপারে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘টেকসই ই -কমার্স তৈরিতে অবশ্যই এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
বৃহষ্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত কমিটির প্রথম বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ ও ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, কোভিডকালে দেশে ই-কমার্স সেবা কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় ই-কমার্সের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে এরইমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার দেয়া হবে। এছাড়াও শিগগিরই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সেল গঠন করা হবে। ই-কমার্সের সার্বিক ইকো-সিস্টেমের উন্নয়নে স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে এক বছরের রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।
সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ই-কমার্সের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে এ খাতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবীর বলেন,‘ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, কার্ডের সীমিত ব্যবহার, ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অতিরিক্ত নির্ভরতা ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের কোন নীতিমালা না থাকাকে এ ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ।’
কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ডিজিটাল কমার্স সেলকে এখনো পুরোপুরি কার্যকর করে তুলতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ই-কমার্সের এসওপি বাস্তবায়ন হচ্ছে কীনা তা কে তদারকি করবে, তাও এখনো নির্ধারিত হয়নি। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ই-কমার্সে কর ও শুল্ক ছাড় ও সরকারি ক্রয়ে ই-কমার্সকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।
জেডএ/
