কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ইয়াছিন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয় সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির জাকারিয়া তাহের সুমনকে আহ্বায়ক ও আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসীমকে সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি দেওয়া হয়। সেখানে তাকে সদস্য রাখা হয়েছে।
তিনি কুমিল্লা-৬ সদর আসনের বিএনপি দলীয় অন্যতম সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তিনি প্রতিষ্ঠিত বড় ব্যবসায়ী।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব এবং এক পরীক্ষার্থীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আব্দুস ছোবাহান ও প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী পরীক্ষার্থী, সে উপজেলার খাস বিয়ারা দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীর অপর সহযোগীরা হলেন- টেপিবাড়ী গ্রামের ইকবাল তালুকদারের ছেলে সুমন (২৫), ছাব্বিশা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মিজানুর (৩৫), আমুলা গ্রামের ইদ্রিস হোসেনের ছেলে শাহ আলম (২৭) এবং পূর্ব ভূঞাপুরের হায়দার আলীর ছেলে রায়হান আলী (৩৫)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে এসএসসি (দাখিলের) গণিত পরীক্ষা চলছিলো। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষের এক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র স্বজনের উদ্দেশ্যে নিচে ফেলে দেয়। সেখান থেকে ওই ছাত্রীর স্বজন সেটি সংগ্রহ করে ফটো কপি দোকানে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাতেনাতে ধরেন। পরে কেন্দ্রের সচিবকে দায়িত্ব অবহেলা এবং প্রশ্ন বাহিরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীসহ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে, কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন উপজেলার কোনাবাড়ী দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই, নিকলা দড়িপাড়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মোতালেব হোসেন এবং জিগাতলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। তাদেরকে দায়িত্ব অবহেলায় আওতায় আনা হয়নি। তবে, ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামানকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, কেন্দ্র সচিব ও এক পরীক্ষার্থীসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন বলেন, প্রশ্নপত্র কম থাকা ও পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিবকে আটক করা হয়। এছাড়া কক্ষ থেকে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাহিরে পাচারের অভিযোগে এক পরীক্ষার্থী এবং তার আরও ৪ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের সাধারণ ক্ষমা চাওয়া এবং স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের সম্পদ ফেরতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় সম্মত হয়েছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি) শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দু’দেশই পারস্পরিক সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে তারা অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে পাকিস্তানে রেখে যাওয়া বাংলাদেশের সম্পদের পরিমাণ হিসেবে আনুমানিক ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা। এ বিষয়ে উভয় দেশ আলোচনা শুরু করতে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে শুধু রাজনৈতিক ইস্যুই নয়, আলোচনা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবহন ও যোগাযোগ উন্নয়ন, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয় এখনও অনিষ্পন্ন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের তাগিদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।”
বৈঠকে জানানো হয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার চলতি মাসের ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন। তখন দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আরও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে একইদিনে আমেরিকার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব। সেখানে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আমেরিকান বাজারে উচ্চ শুল্ক আরোপ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটে মার্কিন মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
এছাড়াও সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) সচল করা, চলমান রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও স্বঘোষিত অভিনয়শিল্পী হিরো আলম স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। তবে সর্বশেষ তার পালক পিতার মৃত্যুর সময় রিয়ার অনুপস্থিতি এবং উদাসীনতা তাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে দেয়’। এরই প্রেক্ষিতে তিনি রিয়া মনিকে ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সর্বশেষ ‘তালাক’ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে হিরো আলম। ছবি: সংগৃহীত
হিরো আলম বলেন, “আমি আগেও রিয়াকে অনেকবার মাফ করেছি। কিন্তু এবার সে সীমা ছাড়িয়েছে। আমার বাবা হাসপাতালে ছিলেন, অথচ সে একবারও খোঁজ নেয়নি। আমি তাকে বয়কট করেছি মানে, এখন থেকে কোনো সম্পর্ক আর থাকবে না। আমি ঢাকা গিয়ে তার থেকে আলাদা হয়ে যাব। সে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করছে, সেগুলোর প্রমাণ দিতে হবে।”
এই সময় তিনি পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে তুলে নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।
প্রসঙ্গত, হিরো আলমের পালিত পিতা আবদুর রাজ্জাক গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে মারা যান। শৈশবে হিরো আলমকে দত্তক নিয়েছিলেন রাজ্জাক। মৃত্যুর পর পরদিন বগুড়ায় তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। হিরো আলম ফেসবুকে লেখেন, “রিয়া মনিকে বয়কট করলাম। কারণ, আমার বাবা হসপিটালে ছিলেন। অথচ রিয়ার পরিবারের কেউ তাকে দেখতে আসেনি।”
অন্যদিকে, হিরো আলমের এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিয়া মনি বলেন, “মানসিকভাবে তিনি (হিরো আলম) ভালো নেই, কারণ তার বাবা মারা গেছেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।”
উল্লেখ্য, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই রিয়া মনির প্রেমে পড়েন হিরো আলম। এরপর তাকে বিয়ে করেন তিনি। তবে এই বিয়ের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান তাকে ডিভোর্স দেন। হিরো আলমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিহা আক্তার সুমি, যার ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রিয়া মনির সঙ্গে বিয়ের পর একাধিক গানের ভিডিও, নাটক ও অন্যান্য কন্টেন্টে একসঙ্গে কাজ করেছেন হিরো আলম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ঘিরে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। এখন তা এসে ঠেকেছে তালাকের ঘোষণা পর্যন্ত।