৭ দিনের মধ্যে ঢাবির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পুরোদমে চালু: উপাচার্য
ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৮ অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সবাই পদত্যাগ করেন। এরপর বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ডিনদের পদত্যাগের হিড়িকে কার্যত অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। নিয়োগ পাওয়ার একদিন পরই ক্ষমতার পালাপাদলে ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে’ পুরোদমে চালুর আশ্বাস দিয়েছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য ।
তিনি বলেছেন, “আমার টিম এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা ক্রমাগত অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি।”
সবার সঙ্গে ‘সমঝোতার ভিত্তিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় চালুর চেষ্টা চলছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “অর্থাৎ আবাসিক হল থেকে শুরু করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা আমাদের প্রথম লক্ষ্য।"
বুধবার দুপুরে উপাচার্য তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়, খালি করা হয় হলগুলো। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরদিন আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস খুললেও এখনও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরেনি।
এর মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর ঘোষণা এলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসেও ফেরেননি।
মঙ্গলবার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে নিয়োগ দেয় সরকার। ওইদিন বিকেলেই কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে একশ ভাগ নিখুঁত পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি না। যতটুকু পারি শুরু করব। স্মরণকালে এমন পরিস্থিতি কখনো তৈরি হয়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুতে ‘অচলাবস্থা আছে’ মন্তব্য করে নিয়াজ আহমেদ বলেন, “আমি সব মহলে কথা বলার চেষ্টা করছি। এটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়। এটি আমি খুব আন্তরিকভাবে মনে করি। আমার টিম এখনো পুরোপুরি কার্যভার নেননি। তাদের সহযোগিতার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।"
উপাচার্যের ভাষ্য, “শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের যুক্তিসংগত কিছু পরামর্শও আছে। কোনোটা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। কোনোটা অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার সঙ্গে জড়িত।”
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা সবাই সাধারণভাবে যেসব সমস্যার কথা বলছেন সেসব সমাধানে অগ্রাধিকার দেবেন তিনি।