ড্যাফোডিলে অনুষ্ঠিত হল কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ফেস্টিভ্যাল (সিডিএসটিএফ) সিজন -১
ছবি: সংগৃহীত
"রিয়েল স্টোরিজ বাই রিয়েল পিপলস" স্লোগানকে সামনে রেখে দুদিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হল সিডিএসটিএফ সিজন-১। প্রথম সিজনের থিম ছিল ইনভায়রনমেন্ট এন্ড সাসটেইনএবেলিটি।
গত ১৬ ফ্রেব্রুয়ারী ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে সিডিএসটিএফ এর প্রথম দিনের প্রথম আসরের পর্দা উঠে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে। প্রথম দিনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকতা মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন, ফেস্টিভ্যাল উপদেষ্টা এবং সাংবাদিকতা মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. কাবিল খান স্যার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব শেখ মুহাম্মদ আল্লাইয়ার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির হেড অব কন্টেন্ট জনাব অনিন্দ্য ব্যানার্জি।
প্রথমদিন নির্ধারিত চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যাটেগরির ফিল্মগুলো বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাক্স স্লেসার এর নির্মিত “Gawe ka Pade” প্রদর্শনের পাশাপাশি বিশেষ মাস্টারক্লাসও পরিচালনা করেন গুণী এই নির্মাতা।
ফেস্টিভ্যাল এর দ্বিতীয় দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লিজা শারমিন এবং আজকের পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ড. গোলাম রহমান। এদিন বাকি তিনটি ক্যাটেগরি প্রদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশ টাইমসের মোজো টিম লিডার জনাব সাব্বির আহমেদ এর পরিচালনায় "Digital Storytelling Technique” শিরোনামের একটি প্যারালাল কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়। এদিন প্রথমবারের মত The Bangladesh Independence Deceleration on International নামে আরও একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সবশেষে উল্লেখিত ক্যাটেগরির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। জার্নালিজম ক্যাটেগরিতে বিজয়ীরা হলেন- রাবিতা খন্দকার এবং মিঠুন মজুমদার, ডিআইইউ বেস্ট স্টোরি টেলিং ক্যাটেগরিতে বিজয়ী মোহাম্মদ শেখ এবং স্বাধীন ক্যাটেগরিতে বিজয়ী আইয়ুবউদ্দিন শিহাব।বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এবারের আসরের সমাপ্তি ঘটে। আয়োজকরা মনে করেন, সুবিধাবঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষদের না বলা গল্প সমূহ সমাজের সামনে উঠিয়ে নিয়ে আসার মাধ্যমে এসব মানুষের ভাগ্যবদল করা সম্ভব। শীঘ্রই সিজন -২ শুরু করতে যাবে বলে জানান উক্ত ফেস্টিভ্যালের উপদেষ্টা ড. আব্দুল কাবিল খান।