বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মরদেহ উদ্ধারের পর সহপাঠীদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীত দিকের এমএম টাওয়ারের চতুর্থ তলার নিজ কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কক্ষটিতে তিনি একাই থাকতেন। ওই ছাত্রীর নাম বৃষ্টি সরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮/১৯ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন বৃষ্টি সরকার আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি প্রেমঘটিত কারণে হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে এম এম টাওয়ারের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে বৃষ্টি সরকার একাই থাকতেন।
সহপাঠীরা জানালা দিয়ে দেখতে পায় গলায় ওড়না পেঁচানো বৃষ্টির দেহ ফ্যান হুকের সঙ্গে ঝুলছে। তখন তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দরজা ভেঙে বৃষ্টিকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত বিষয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সোহেল রানা বলেন, বৃষ্টি সরকার খুব শান্তশিষ্ট এবং মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তিনি ষষ্ঠ ব্যাচের প্রতিনিধিত্ব করতেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অপর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাকে সময় দিতে দেখেছি। তবে ওই শিক্ষার্থী আমাদের বিভাগের ছিল না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা সে বিষয়টি আমি নিশ্চিত না।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাইয়ুম হোসেন বলেন, আমরা ওই ছাত্রীর সহপাঠী সঙ্গে কথা বলেছি। ওই শিক্ষার্থী বিষণ্নতায় ভুগছিল। আর ওই বিষণ্নতা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রেমঘটিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এমন তবে তদন্ত না করে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। এর পরে আমরা জানতে পারব আত্মহত্যার কারণ কি ছিল।