বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিনিয়োগ বাড়াতে অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ দরকার

আমাদের দেশে সম্প্রতি অবকাঠামো খাতে বেশ উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট দুর্বলতা আছে। আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যয়ের হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে এবং বরাদ্দ দেওয়া ব্যয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা এখনো বিদ্যমান। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ বছর শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত জটিল এবং কঠিন হবে বলেই মনে হচ্ছে। নির্বাচন ভালোভাবে অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু এখনো সে রকম কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক সংঘাত এবং বৈরী পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। অনেক দিন ধরেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। কোনো বিদেশি বিনিয়োগকারী সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিবেশে কোনো দেশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী হয় না। এমনকি স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয় না। তাই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত এবং অনুকূল করতে হবে।

ব্যাংকিং সেক্টর হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ব্যাংকিং সেক্টরকে বলা হয় অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’। আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ঠিকভাবে কাজ করছে না। ব্যাংকিং সেক্টর নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে ব্যক্তি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ব্যাংকবহির্ভূত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য আমানতের পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ব্যাংক যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আমানত না পায় তাহলে বিনিয়োগ করবে কীভাবে? ব্যাংক উদ্যোক্তাদের চাহিদামতো অর্থায়ন করতে পারছে না। আমাদের দেশের স্টক মার্কেট এখনো সেভাবে বিকশিত হয়নি। উদ্যোক্তারা তাদের প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য ব্যাংকের নিকটই ধরনা দেয়। স্টক মার্কেট যদি সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারত তাহলে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সংগ্রহের জন্য ব্যাংক নির্ভরতা কমে যেত। ব্যাংকিং খাতে অন্যান্য জটিল সমস্যাও রয়েছে। কয়েকটি ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি আর অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে আমানতকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটা আমানতকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকিং সেক্টরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নন-পারফর্মিং লোনের (এনপিএল) ব্যাপক উপস্থিতি। নানাভাবে চেষ্টা করেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না।

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণের যে হিসাব প্রদর্শন করা হচ্ছে তা বাস্তবসম্মত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক মামলাধীন প্রকল্পের নিকট পাওনা ঋণ, অবলোপনকৃত প্রকল্পের নিকট পাওনা ঋণ এবং পুনঃতফসিলিকৃত ঋণের হিসাব বাদ দিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করছে। এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। আইএমএফ এবং এ ধরনের সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ প্রদর্শন করে প্রকৃত খেলাপি ঋণ তার দ্বিগুণেরও বেশি। খেলাপি ঋণের পরিমাণ কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আদায়ের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমানোর কোনো উদ্যোগই সফল হচ্ছে না। ঋণ গ্রহণের সময় আবেদনকারী যে সম্পদ বন্ধক প্রদান করে তা বিক্রি করে অর্থ আদায়ের তেমন কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যে সম্পদ বন্ধক দেওয়া হয় অধিকাংশ সময়ই তার অতিমূল্যায়ন করা হয়। ফলে এসব সম্পদ ব্যাংক বিক্রি করতে গেলে উপযুক্ত মূল্য পায় না। রাজনৈতিক নেতা, ব্যাংকের স্পন্সর এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা লক্ষ করা যায়। তারা ব্যাংকিং সেক্টরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করছে। এরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ নিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের অর্থ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। ফলে এসব ঋণের অর্থ ব্যাংক চাইলেও পরবর্তীতে আদায় করতে পারছে না। এদের কারণে প্রকৃত উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পতিত হচ্ছেন। ঋণ প্রদানকালে যদি জামানত সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে নেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই ঋণ হিসাব খেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেখেছি কীভাবে বন্ধকী সম্পদের অতিমূল্যায়ন করে ঋণ গ্রহণ করা হয়। সেই ঋণ পরবর্তীতে আর আদায় হয় না।

খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যা আছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ ব্যাংকে একটি প্রকল্প সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে। আবার যেসব ব্যাংকে দক্ষ লোকবল আছে তাদের স্বাধীনভাবে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করতে দেয়া হয় না। অধিকাংশ সময়ই তারা উপরের মহল থেকে নির্দেশিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভালো কাজ প্রত্যাশা করা যায় না। ঋণদানের সময় যে সম্পদ বন্ধক রাখা হয় অনেক সময় তার মালিকানা ঠিক থাকে না। সম্পদের অতিমূল্যায়ন করা হয়। এখানে আমরা একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করতে চাই, অত্যন্ত ক্ষমতাবান এবং উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন এক ব্যক্তি ঋণের জন্য আবেদন করেন। তিনি জামানতের জন্য জমি প্রদানের প্রস্তাব করেন। ঋণ দানের আগে আমি ব্যাংক থেকে একটি টিম প্রেরণ করলাম প্রস্তাবিত জমিটি পরিদর্শন ও মূল্যায়নের জন্য।

প্রথমত, প্রস্তাবিত জমির উপর ঋণের জন্য আবেদনকারীর সঠিক মালিকানা নেই। তিনি একটি বায়নানামা সম্পাদন করেছেন মাত্র। কিন্তু বায়নানামার মাধ্যমে তো জমির মালিক হওয়া যায় না। যে জমি বায়নানামা করা হয়েছে সেটিও পানির নিচে। আমি ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। অবশ্য আমার উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু বোর্ড যদি স্বাধীনভাবে ব্যাংকের স্বার্থে কাজ না করে তাহলে কোনোভাবেই ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।

আমি মনে করি, আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে সেখানে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়ানোর কাজটিই সবচেয়ে সমস্যার সৃষ্টি করবে। আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে উন্নয়ন কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়াতেই হবে। কিন্তু কাজটি মোটেও সহজ নয়। আপনি যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন, দেশে টিআইএন ধারীর যে সংখ্যা তার অর্ধেকও আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না। যারা টিআইএনধারী তারা তো রিটার্ন দেবেই। এটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এখানে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা তেমন একটা নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত হবে, করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধি করা। যারা কর প্রদানযোগ্য তাদের যেকোনো মূল্যেই হোক করের নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসা। যারা নিয়মিত কর প্রদান করছেন, তাদের উপর করের হার না বাড়িয়ে নতুনদের করের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে। মূল্য সংযোজন করের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রির বিপরীতে রশিদ দেয় না। তারা গ্রাহকদের নিকট থেকে ট্যাক্স আদায় করলেও তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন না। মূল্য সংযোজন কর আদায় ব্যবস্থা অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে। আমদানি শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে প্রায়শই দেখা যায়, এক পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এভাবে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এটা রোধ করতে হবে।

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।

এসএন

 

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪