শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিনিয়োগ বাড়াতে অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ দরকার

আমাদের দেশে সম্প্রতি অবকাঠামো খাতে বেশ উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট দুর্বলতা আছে। আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যয়ের হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে এবং বরাদ্দ দেওয়া ব্যয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা এখনো বিদ্যমান। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ বছর শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত জটিল এবং কঠিন হবে বলেই মনে হচ্ছে। নির্বাচন ভালোভাবে অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু এখনো সে রকম কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক সংঘাত এবং বৈরী পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। অনেক দিন ধরেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। কোনো বিদেশি বিনিয়োগকারী সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিবেশে কোনো দেশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী হয় না। এমনকি স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয় না। তাই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত এবং অনুকূল করতে হবে।

ব্যাংকিং সেক্টর হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ব্যাংকিং সেক্টরকে বলা হয় অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’। আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ঠিকভাবে কাজ করছে না। ব্যাংকিং সেক্টর নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে ব্যক্তি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ব্যাংকবহির্ভূত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য আমানতের পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ব্যাংক যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আমানত না পায় তাহলে বিনিয়োগ করবে কীভাবে? ব্যাংক উদ্যোক্তাদের চাহিদামতো অর্থায়ন করতে পারছে না। আমাদের দেশের স্টক মার্কেট এখনো সেভাবে বিকশিত হয়নি। উদ্যোক্তারা তাদের প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য ব্যাংকের নিকটই ধরনা দেয়। স্টক মার্কেট যদি সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারত তাহলে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সংগ্রহের জন্য ব্যাংক নির্ভরতা কমে যেত। ব্যাংকিং খাতে অন্যান্য জটিল সমস্যাও রয়েছে। কয়েকটি ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি আর অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে আমানতকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটা আমানতকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকিং সেক্টরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নন-পারফর্মিং লোনের (এনপিএল) ব্যাপক উপস্থিতি। নানাভাবে চেষ্টা করেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না।

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণের যে হিসাব প্রদর্শন করা হচ্ছে তা বাস্তবসম্মত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক মামলাধীন প্রকল্পের নিকট পাওনা ঋণ, অবলোপনকৃত প্রকল্পের নিকট পাওনা ঋণ এবং পুনঃতফসিলিকৃত ঋণের হিসাব বাদ দিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করছে। এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। আইএমএফ এবং এ ধরনের সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ প্রদর্শন করে প্রকৃত খেলাপি ঋণ তার দ্বিগুণেরও বেশি। খেলাপি ঋণের পরিমাণ কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আদায়ের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমানোর কোনো উদ্যোগই সফল হচ্ছে না। ঋণ গ্রহণের সময় আবেদনকারী যে সম্পদ বন্ধক প্রদান করে তা বিক্রি করে অর্থ আদায়ের তেমন কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যে সম্পদ বন্ধক দেওয়া হয় অধিকাংশ সময়ই তার অতিমূল্যায়ন করা হয়। ফলে এসব সম্পদ ব্যাংক বিক্রি করতে গেলে উপযুক্ত মূল্য পায় না। রাজনৈতিক নেতা, ব্যাংকের স্পন্সর এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা লক্ষ করা যায়। তারা ব্যাংকিং সেক্টরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করছে। এরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ নিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের অর্থ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। ফলে এসব ঋণের অর্থ ব্যাংক চাইলেও পরবর্তীতে আদায় করতে পারছে না। এদের কারণে প্রকৃত উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পতিত হচ্ছেন। ঋণ প্রদানকালে যদি জামানত সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে নেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই ঋণ হিসাব খেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেখেছি কীভাবে বন্ধকী সম্পদের অতিমূল্যায়ন করে ঋণ গ্রহণ করা হয়। সেই ঋণ পরবর্তীতে আর আদায় হয় না।

খেলাপি ঋণ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যা আছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ ব্যাংকে একটি প্রকল্প সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে। আবার যেসব ব্যাংকে দক্ষ লোকবল আছে তাদের স্বাধীনভাবে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করতে দেয়া হয় না। অধিকাংশ সময়ই তারা উপরের মহল থেকে নির্দেশিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভালো কাজ প্রত্যাশা করা যায় না। ঋণদানের সময় যে সম্পদ বন্ধক রাখা হয় অনেক সময় তার মালিকানা ঠিক থাকে না। সম্পদের অতিমূল্যায়ন করা হয়। এখানে আমরা একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করতে চাই, অত্যন্ত ক্ষমতাবান এবং উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন এক ব্যক্তি ঋণের জন্য আবেদন করেন। তিনি জামানতের জন্য জমি প্রদানের প্রস্তাব করেন। ঋণ দানের আগে আমি ব্যাংক থেকে একটি টিম প্রেরণ করলাম প্রস্তাবিত জমিটি পরিদর্শন ও মূল্যায়নের জন্য।

প্রথমত, প্রস্তাবিত জমির উপর ঋণের জন্য আবেদনকারীর সঠিক মালিকানা নেই। তিনি একটি বায়নানামা সম্পাদন করেছেন মাত্র। কিন্তু বায়নানামার মাধ্যমে তো জমির মালিক হওয়া যায় না। যে জমি বায়নানামা করা হয়েছে সেটিও পানির নিচে। আমি ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। অবশ্য আমার উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু বোর্ড যদি স্বাধীনভাবে ব্যাংকের স্বার্থে কাজ না করে তাহলে কোনোভাবেই ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।

আমি মনে করি, আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে সেখানে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়ানোর কাজটিই সবচেয়ে সমস্যার সৃষ্টি করবে। আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে উন্নয়ন কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়াতেই হবে। কিন্তু কাজটি মোটেও সহজ নয়। আপনি যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন, দেশে টিআইএন ধারীর যে সংখ্যা তার অর্ধেকও আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না। যারা টিআইএনধারী তারা তো রিটার্ন দেবেই। এটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এখানে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা তেমন একটা নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত হবে, করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধি করা। যারা কর প্রদানযোগ্য তাদের যেকোনো মূল্যেই হোক করের নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসা। যারা নিয়মিত কর প্রদান করছেন, তাদের উপর করের হার না বাড়িয়ে নতুনদের করের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে। মূল্য সংযোজন করের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রির বিপরীতে রশিদ দেয় না। তারা গ্রাহকদের নিকট থেকে ট্যাক্স আদায় করলেও তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন না। মূল্য সংযোজন কর আদায় ব্যবস্থা অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে। আমদানি শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে প্রায়শই দেখা যায়, এক পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এভাবে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এটা রোধ করতে হবে।

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সেদিন নাকানিচুবানি খেয়েছিল ব্রাজিল। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে পেরে ওঠেনি সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের বড় হারও এসেছিল। ওইদিনে ব্রাজিলের ভক্তদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঘটনার জল হয়ত গড়াতে যাচ্ছে বহুদূর!

মার্চের ২৫ তারিখের ওই ঘটনার জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ফিফার মাধ্যমে এএফএকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সিবিএফ ইতোমধ্যে প্রমাণসমূহ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

গণমাধ্যমটি সিবিএফ এর বরাতে জানিয়েছে, সেলেসাওদের একজন ভক্তকে একজন আর্জেন্টাইন দর্শক ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই ঘটনাটি ওই দর্শক রেকর্ড করেন। লিওনেল মেসিদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এটি হতে পারে বড় প্রমাণ। টিওয়াইসি জানিয়েছে, এমন ঘটনার মাঝ দিয়ে গেছে আরও বেশ কিছু ব্রাজিলিয়ান দর্শক।

জুনের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি শুনতে পারে আর্জেন্টিনা। বারবার এমন বর্ণবাদী আচরণ হওয়ায় হয়ত ওই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। টিওয়াইসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে দর্শকশূন্য রেখেই খেলতে হতে পারে মেসি-লাউতারোদের। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

কদিন আগে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়েছিল চিলি। ম্যাচ দেরিতে শুরু করার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে দর্শকদের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। দর্শকদের উগ্র আচরণের কারণে একই সমস্যায় পড়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

তবে, ফিফা আপিল কমিটি শাস্তির মাত্রা ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্ক তৈরির বেলায় বয়স বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে বয়স বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। তাই আজকাল নিজের বয়সের চেয়ে কম বয়সের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তরুণ–তরুণীরা।

পুরুষের ক্ষেত্রে এমন সম্পর্ক সমাজে স্বাভাবিক হলেও নারীর ক্ষেত্রে নয়। তবে আজকাল অনেক নারীই সঙ্গী বাছাই করার সময় বয়সের ফারাককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না। তাই তাঁরা এখন প্রেমিক বা দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কম বয়সীদের। ডেটিং অ্যাপের ট্রেন্ড বলছে, নারীরা পছন্দের ক্ষেত্রে সুন্দর মন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা, আত্মবিশ্বাসী সঙ্গীকে খুঁজে নিতে চান। যেকোনো সম্পর্কে ভারসাম্য ও গতিশীলতাকে গুরুত্ব দেন।

ডেটিং ট্রেন্ডে নারীরা

মনোবিদেরা মনে করেন, এখনকার নারীরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ সচেতন। যেকোনো বিষয়কে সহজভাবে নিতে পারার মানসিকতা বেড়েছে, বিশেষত অগ্রসর বিশ্বে তাঁরা কোনো বিষয়ে ভীত নন। সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার সময় আত্মবিশ্বাস ও আত্মসচেতনতায় গুরুত্ব দেন তাঁরা। ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষকে একচেটিয়াভাবে সফল কিংবা শক্তিশালী হিসেবে মেনে নিতে তাঁরা নারাজ। সঙ্গীর প্রতি আনুগত্যের চেয়ে নারীরা নিজের সুখ ও সামগ্রিক মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এসব কারণেই অনেক নারী কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ডেটিং করছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পছন্দকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক, সামাজিক চাহিদাসহ অন্যান্য প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন।

নানা কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন

নিজের চেয়ে কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সান্নিধ্যে আসায় নারীদের মধ্যে নিজেদের আরও তরুণ ভাবার একধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কম বয়সী তরুণেরা নিজেদের সম্পর্কে সচেতন, নিজের স্বাস্থ্য ও রুচির বিষয়েও সজাগ। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা কম বয়সীদের পৃথিবীকে নতুন করে জানার সুযোগ দেয়। এসব কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন। নারীরা এখন আগের চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য ছুটছেন। পারিবারিক বা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বয়স্ক সঙ্গী খোঁজার প্রথাগত নিয়মে তাঁরা আর বিশ্বাসী নন। ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা, মানসিক সংযোগ ও আকর্ষণকে অগ্রাধিকার দিতেই নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বেছে নিচ্ছেন।

বয়স কোনো বিষয় না

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে এখন নারীদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ নমনীয়। তরুণদের তুলনায় নারীরা মধ্যবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক চিন্তা করছেন। মধ্যবয়সী বা সমবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক রীতিনীতি বা লোকদেখানোর আচারকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মনে করেন নারীরা। সম্পর্ক নিয়ে পুরোনো সামাজিক নিয়মগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাঁরা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রফতানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রফতানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রফতানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রফতানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল - জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!