সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন প্রজন্মের ভেতর নববর্ষের উপলব্ধি জাগাতে হবে

পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাংলা বছরের প্রথম দিন। বাঙালি জাতির জন্য এটি একটি গৌরবের বিষয়। পৃথিবীতে কয়েকটি জাতিরই নিজস্ব পঞ্জিকা আছে। বঙ্গাব্দ এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ। সেকারণেই পহেলা বৈশাখ দিনটিকে আমরা উৎসবের সঙ্গে পালন করি।

সারাবছর কিন্তু আমরা বাংলা মাস অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকার কথা ভুলে যাই। শুধু পহেলা বৈশাখেই আমাদের মনে হয় একটি বাংলা ক্যালেন্ডার আছে এবং এই যে শুধুমাত্র আমরা একটি পহেলা বৈশাখ কেন্দ্রিক উৎসব পালন করি আর পুরো বছর বাংলা ক্যালেন্ডারকে ভুলে থাকি— এটিতে মনে হয় যে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ইত্যাদি হারিয়ে ফেলেছি। অতি সম্প্রতি ইতালিতে ইংরেজি ভাষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ তারা দেখতে পাচ্ছে তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলাম, আমি তখন একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী, সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের অবহিত করেছিলাম যে, এখন থেকে চিঠিপত্রে বাংলা সন তারিখ উল্লেখ করতে হবে এবং আমরা সরকারিভাবেও দেখি যে, চিঠিপত্রে বাংলা সন তারিখ উল্লেখ করা হয়। এটুকুই মনে হয় যে, বাংলা সালের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা।

তা ছাড়া দেখা যায়, গ্রামীণ সমাজে বাংলা সন তারিখ মানুষ মনে করলেও আমরা যারা শহরবাসি, নিজেদের শিক্ষিত বলে দাবি করি, আমরা সারা বছরই ইংরেজি ক্যলেন্ডারের সাথে যুক্ত হই। আমাদের জন্মদিনগুলিও পালন করি অথবা মৃত্যবার্ষিকী পালন করি ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী। একারণেই পহেলা বৈশাখের কথা বলতে গিয়ে যেটি চিন্তায় আসে, যে এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির উৎস থেকে দূরে সরে যাচ্ছি কি না। শিশুদের ভেতর উপলব্ধি জাগ্রত করতে হবে বাংলাভাষাকে আত্মস্থ করার জন্য।

পহেলা বৈশাখের যে বড় উৎসব তা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মঙ্গল কামনা করা সেটি শুধুমাত্র বাঙালি জাতির জন্য নয়—সারা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করে এবং তারিখটি হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।

পহেলা বৈশাখে সারা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করার যে গুরুত্ব— সেটি ইউনেস্কো সঠিকভাবেই উপলব্ধি করেছে। দেশের মঙ্গল প্রবাসের মঙ্গলসহ আমাদের প্রত্যেকের মঙ্গল কামনা করে বিভিন্ন রকম ব্যানার ফেস্টুন কার্টুন সজ্জিত একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এবং বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার অনুকরণে দেশের বিভিন্ন জেলায় তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা করে চলেছে।

যত দিন যাবে আমরা দেখতে পাব মঙ্গল শোভাযাত্রার অংশগ্রহণ আরও বাড়তে থাকবে। পহেলা বৈশাখের আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির অনুষঙ্গ আমরা শহরেও অনুসরণ করছি অর্থাৎ পান্তা ইলিশ খাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো আছে। গ্রামীণ সমাজে পান্তা ভাত বহু প্রাচীন একটি ঐতিহ্য। ভাতের মধ্যে পানি দিয়ে রাখলে ভাত নষ্ট হয় না। এই পদ্ধতিতে তারা ভাত সংরক্ষণ করেছে এবং পরদিন সকালে ভাত খেয়েছে। অনেকেই সেভাবে হয়তো জীবন যাপন করেন। যদিও গ্রাম এখন ধাপে ধাপে শহরে পরিণত হচ্ছে, গ্রামে বিদ্যুৎ গেছে। গ্রামের বহু বাড়িতেই এখন রেফ্রিজারেটর ফ্রিজ আছে। আমাদের পহেলা বৈশাখও কিন্তু গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ। একসময় হয়ত আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলব। সময়ের বিবর্তনে অনেককিছুর পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু আদি সংস্কৃতি ঐতিহ্য ইত্যাদি যেন জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। সেকারণেই কিন্তু মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

একবিংশ শতাব্দীর মানুষ হিসেবে আমরা যে উৎসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করছি, সেই সংস্কৃতি আমাদের বহু আগে থেকেই ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বলতেন, বাঙালি জাতির যে সম্পদ আছে, যে ঐতিহ্য আছে, তা নিয়েও আমাদের গৌরবের অনেক কিছু আছে। সেই গৌরব নিয়ে দেদীপ্যমান থাকব। পহেলা বৈশাখে গানের অনুষ্ঠান হয়। আমরা ছায়ানটে গানের আসরের আয়োজন করি। রমনার বটমূলে এই যে বৈশাখী আয়োজনে অসংখ্য মানুষের সমাগম দেখেই আমরা বুঝতে পারি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যময় আয়োজনটি আমাদের কত প্রিয় এবং শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই আয়োজন থাকে। নতুন বছরের শুরুতে এই আনন্দ আয়োজন কিন্তু আমাদের সারা বছরই শক্তি যোগায়। এ সকলই আমাদের সুসংস্কৃতিবান হতে সাহায্য করে। আমার কথা হচ্ছে, পহেলা বৈশাখের চেতনাটি যেন আমরা সারা বছরই ধারণ করতে পারি। এই হোক আমাদের পহেলা বৈশাখের প্রত্যাশা ও অঙ্গীকার।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

‘বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১’ নামে দেশে নতুন এক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মান সমুন্নত রাখা, স্বাধীনতা ও সংবিধান সুরক্ষিত রাখা এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল রিয়াদ-আদনান অন্তরের নেতৃত্বে এই সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে গোপনীয়তার সঙ্গে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সংগঠনের মূল লক্ষ্য হিসাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সুরক্ষিত এবং মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানকে সমুন্নত রাখা।

শনিবার ঢাকার উত্তরার ডিয়াবাড়ি পিঁপড়া কিচেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি হোটেলে কঠিন গোপনীয়তার মাঝে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ নতুন সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন আল রিয়াদ-আদনান অন্তর, মহাসচিব খলিলুল্লাহ গাজী এবং মুখপাত্র হিসাবে কাজ করবেন হুমায়ুন কবির। সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ১৫-২০ জন উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।

‘মুক্তির ডাক ৭১’-এর চেয়ারম্যান আল-রিয়াদ-আদনান অন্তর জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করাই তাদের লক্ষ্য। এছাড়া শুধু রাজনৈতিক কার্যক্রম নয় বরং সামাজিক উন্নয়ন এবং মানবিক কাজের মাধ্যমে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে সংগঠনটি। শিগগিরই মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠান শেষে দলীয় লোগো উন্মোচন করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংগঠনের চেয়ারম্যান আল রিয়াদ-আদনান অন্তর টঙ্গী পূর্ব থানার এরশাদ নগরের ১নং ব্লকের ভাণ্ডারী গলির বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ টঙ্গীর ৪৯নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি ছিলেন।

সম্প্রতি তিনি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের স্বঘোষিত আহ্বায়ক হিসাবেও কোথাও কোথাও পরিচয় দিতেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। ২০১৮ সালে ইয়াবাসহ টঙ্গীর কলেজ গেট থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এ বিষয়ে র‌্যাব-১০ এর ওয়ারেন্ট অফিসার ডিএডি মো. আজিজুর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ছাত্রলীগ থেকে তিনি বহিষ্কার হন। বহিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবুর অনুসারী তথা উভয়ে সাবেক এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের অনুসারী ছিলেন। বহিষ্কারের পর থেকে আল রিয়াদ-আদনান অন্তর গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গ্রুপের হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতেন বলে জানা গেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, নতুন দল গঠনের বিষয়টি জেনেছি। সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে কাজ চলছে।

Header Ad

নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে মহিম বাবু নামে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। মাহিম উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের গ্রামের খুকশিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে। শিশুটি গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিল।

স্বজনরা জানান, নিখোঁজের পর থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মাহিমের কোন সন্ধান পাওয়া যচ্ছিলো না। এরই এক পর্যায়ে রবিবার বিকেলে আনুমানিক ৪টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী নলেয়া নদীতে একটি শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠার খবর পান তারা। মাহিমের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি মাহিমের বলে শনাক্ত করে।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, পানিতে পড়ে শিশু মাহিমের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।

Header Ad

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা রেল লাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি। আর তা হবে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যমত্যের মাধ্যমে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা জানান।

নির্বাচন কবে হবে এই প্রশ্ন সবার মনেই আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে যাবে। তারপর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সমস্ত দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।

তিনি বলেন, একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেই নির্বাচন আয়োজনে আমাদের দায়িত্ব শেষ। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার আমাদের এই সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। আপনারাই আমাদেরকে এই ম্যান্ডেট দিয়েছেন। যে ছয়টি সংস্কার কমিশন আমরা শুরুতে গঠন করেছিলাম তারা ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশনের সুপারিশমালা অত্যন্ত জরুরি। তাদের প্ল্যাটফর্মে যান। আপনার মতামত খোলাখুলিভাবে তুলে ধরুন। আপনি দেশের মালিক। আপনি বলে দিন আপনি কি চান। কীভাবে চান।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের সকল বক্তব্য বিনাদ্বিধায় বলতে থাকুন। সবার মনের কথা তুলে ধরুন। আমার অনুরোধ সংস্কারের কথাটাও একই সঙ্গে বলুন। সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যাবেন না। নির্বাচনের কথা বলার সঙ্গে নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাটিও বলুন। সংস্কার হলো জাতির দীর্ঘ মেয়াদি জীবনী শক্তি। সংস্কার জাতিকে বিশেষ করে আমাদের তরুণ-তরুণীদের নতুন পৃথিবী সৃষ্টির সুযোগ দেবে। জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।

নির্বাচন আয়োজনে যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় রাজনৈতিক দলসমূহ এবং দেশের সব মানুষের মতামত অপরিহার্য সে কমিশন হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশমালার কোন অংশ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তার ভিত্তিতে নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে হবে। সমান্তরালভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে, বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আমি নিশ্চিত নই, সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের সুযোগ আমরা কতটুকু পাবো। তবে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই আমরা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করবো। ততদিন পর্যন্ত আমি আপনাদের ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ করবো। আমরা চাইবো, আমরা যেন এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারি যা যুগযুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে সাংবাৎসরিক রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত আপনারা নির্বাচনের রোডম্যাপও পেয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতিকে নীতির কাঠামোয় আনার জন্য, এবং রাজনীতির জন্য নতুন পরিবেশ সৃষ্টির নিবিড় আকাঙ্ক্ষা থেকে। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে
নখের পাশে চামড়া ওঠে কেন, করণীয় কী?
মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ প্রকল্পে ব্যয় কমলো ৭ হাজার কোটি টাকা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তাঁর স্বামীর পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত
বন্ধু ছাঁটাই করার দিন আজ
বিমানবন্দর থেকে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান গ্রেফতার
মাওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রেরণাদাতা: তারেক রহমান
ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উত্তরের জনপদে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নতুন প্রেমে মজেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার
ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা নাকচ করেছে ইরান
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ