শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত

সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পূর্বশর্ত। বস্তুত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনরা অপারগতা প্রদর্শন করে আসছে। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সে ব্যবস্থা ছিল একটি রাজনৈতিক সমঝোতা তথা বন্দোবস্ত। এর দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল এবং অনেক গড়িমসির পর ব্যবস্থাটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয় বিএনপি। এ বন্দোবস্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পথই শুধু সুগম করেনি; সব রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষমতায় যাওয়ার সমসুযোগও সৃষ্টি করেছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে এই বন্দোবস্তের উপর প্রথম ধাক্কা আসে ২০০৪ সালে; বিএনপি সরকার সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ২০১০ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগের এক ‘সংক্ষিপ্ত’ আদেশের হাত ধরে। এ আদেশে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ‘প্রসপেকটিভলি’ বা ভবিষ্যতের জন্য– ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর– তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। যদিও এর আগে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে সংবিধানসম্মত বলে রায় দিয়েছেন। তবে ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তটি ভেঙে দেওয়া হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে; আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী একতরফাভাবে পাসের মাধ্যমে, যা সংবিধানকে অস্ত্রে পরিণত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২১ জুলাই সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে নবম জাতীয় সংসদ ১৫ সদস্যের একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করে, যার ১২ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই বিশেষ সংসদীয় কমিটি একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তিনজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সম্পাদক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ মোট ১০৪ জনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রেখেই ২০১১ সালের ২৯ মে সংবিধান সংশোধনের সর্বসম্মত প্রস্তাব করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কমিটির সুপারিশ বদলে যায় এবং কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়েই সংবিধান সংশোধনের চূড়ান্ত প্রস্তাব করে। প্রসঙ্গত, ৩১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন– পরবর্তী দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হলে সংসদের অনুমোদন লাগবে, যা সঠিক নয়।

এটি সুস্পষ্ট, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে বিশেষ সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত সুপারিশ উপেক্ষা করে; আদালতের সংক্ষিপ্ত আদেশের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে এবং আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে এটি ছিল একটি স্বার্থপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত। কারণ এর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে একই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। গবেষক ড. আদিবা আজিজ খানের মতে, ‘বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ এবং ভোটারদের বিরোধিতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আরও দুই জাতীয় নির্বাচনের সময় বহাল থাকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেছে।’

পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের বিধ্বংসী পরিণতি হলো, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন, যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অকার্যকর এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বস্তুত আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত ১১টি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে সাতটি দলীয় সরকারের; অন্য চারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে চারটি ছাড়া বাকি সব নির্বাচনেরই গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।

পঞ্চদশ সংশোধনীর গ্রহণযোগ্যতা ও সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। সংবিধান বাংলাদেশের ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি,’ তাই তাদের সম্মতি ছাড়া এটির সংশোধন অগ্রহণযোগ্য। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান না থাকলেও, পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়; যদিও পরে উচ্চ আদালত পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। তবে গণভোটের বিধানটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯১ সালে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গণভোট দেওয়া হলে নিঃসন্দেহে এটি প্রত্যাখ্যাত হতো। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। এ ছাড়াও পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের আগে এ নিয়ে কোনো সুচিন্তিত বিতর্কও হয়নি। বিরোধী দলেরও এতে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না– বিশেষ সংসদীয় কমিটিতে একটি নাম প্রস্তাবের আহ্বান করা হলেও বিএনপি তা করেনি এবং সংশোধনীটি পাসের সময়ও তারা সংসদে অনপুস্থিত ছিল। তাই পঞ্চদশ সংশোধনীতে জনগণের সম্মতি তো ছিলই না; এতে বিরোধী দল, এমনকি বিশেষ সংসদীয় কমিটির ১৫ সদস্যেরও সত্যিকারের সম্মতি ছিল না।

পঞ্চদশ সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতাও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথমত, গণভোটের আয়োজন না করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস ছিল বিদ্যমান সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। দ্বিতীয়ত, বিশেষ সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নাকচ করা ক্ষমতার পৃথককরণ নীতির লঙ্ঘন। তৃতীয়ত, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে সংশোধন-অযোগ্য করা হয়। একমাত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো অসংশোধনযোগ্য। তাই সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশকে অসংশোধনযোগ্য করার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতত্ত্বই লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এক সংসদ পরবর্তী সংসদের হাত-পা বেঁধে দিতে পারে না।

পাশাপাশি, বিচারপতি খায়রুল হকের প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পাশাপাশি এটিকে পরবর্তী দুই মেয়াদের জন্য জীবন্ত রাখা হয়েছিল। এটা কি আদালতের পক্ষ থেকে সংসদের কাজে হস্তক্ষেপের শামিল নয়? এটা স্পষ্টতই ক্ষমতা পৃথককরণের নীতির লঙ্ঘন।

শুনানিকালে আদালতে সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলামের আকুতি ছিল, ‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা ও জনগণের যে চরিত্র, তাতে এ ব্যবস্থা বাতিল হলে দেশে সামরিক শাসন আসবে। তাই এ দেশে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে অন্য কোনো পথ আমি দেখতে পাচ্ছি না। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। অপপ্রয়োগের কারণে কোনো ব্যবস্থা বাতিল করা ঠিক হবে না।’ বলা বাহুল্য, সেই আকুতি বিফলে গেছে।

পরিশেষে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির কারণে সর্বগ্রাসী দলীয়করণ হয়েছে এবং পরপর দুটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ফলে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আরেকটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত না হলে আমাদের পরবর্তী নির্বাচনও বিতর্কিত হতে বাধ্য, যা জাতি হিসেবে আমাদের এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা, এমনকি সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই আজ আমাদের সবার গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য সোচ্চার হওয়া।

ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সেদিন নাকানিচুবানি খেয়েছিল ব্রাজিল। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে পেরে ওঠেনি সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের বড় হারও এসেছিল। ওইদিনে ব্রাজিলের ভক্তদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঘটনার জল হয়ত গড়াতে যাচ্ছে বহুদূর!

মার্চের ২৫ তারিখের ওই ঘটনার জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ফিফার মাধ্যমে এএফএকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সিবিএফ ইতোমধ্যে প্রমাণসমূহ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

গণমাধ্যমটি সিবিএফ এর বরাতে জানিয়েছে, সেলেসাওদের একজন ভক্তকে একজন আর্জেন্টাইন দর্শক ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই ঘটনাটি ওই দর্শক রেকর্ড করেন। লিওনেল মেসিদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এটি হতে পারে বড় প্রমাণ। টিওয়াইসি জানিয়েছে, এমন ঘটনার মাঝ দিয়ে গেছে আরও বেশ কিছু ব্রাজিলিয়ান দর্শক।

জুনের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি শুনতে পারে আর্জেন্টিনা। বারবার এমন বর্ণবাদী আচরণ হওয়ায় হয়ত ওই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। টিওয়াইসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে দর্শকশূন্য রেখেই খেলতে হতে পারে মেসি-লাউতারোদের। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

কদিন আগে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়েছিল চিলি। ম্যাচ দেরিতে শুরু করার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে দর্শকদের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। দর্শকদের উগ্র আচরণের কারণে একই সমস্যায় পড়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

তবে, ফিফা আপিল কমিটি শাস্তির মাত্রা ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্ক তৈরির বেলায় বয়স বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে বয়স বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। তাই আজকাল নিজের বয়সের চেয়ে কম বয়সের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তরুণ–তরুণীরা।

পুরুষের ক্ষেত্রে এমন সম্পর্ক সমাজে স্বাভাবিক হলেও নারীর ক্ষেত্রে নয়। তবে আজকাল অনেক নারীই সঙ্গী বাছাই করার সময় বয়সের ফারাককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না। তাই তাঁরা এখন প্রেমিক বা দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কম বয়সীদের। ডেটিং অ্যাপের ট্রেন্ড বলছে, নারীরা পছন্দের ক্ষেত্রে সুন্দর মন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা, আত্মবিশ্বাসী সঙ্গীকে খুঁজে নিতে চান। যেকোনো সম্পর্কে ভারসাম্য ও গতিশীলতাকে গুরুত্ব দেন।

ডেটিং ট্রেন্ডে নারীরা

মনোবিদেরা মনে করেন, এখনকার নারীরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ সচেতন। যেকোনো বিষয়কে সহজভাবে নিতে পারার মানসিকতা বেড়েছে, বিশেষত অগ্রসর বিশ্বে তাঁরা কোনো বিষয়ে ভীত নন। সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার সময় আত্মবিশ্বাস ও আত্মসচেতনতায় গুরুত্ব দেন তাঁরা। ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষকে একচেটিয়াভাবে সফল কিংবা শক্তিশালী হিসেবে মেনে নিতে তাঁরা নারাজ। সঙ্গীর প্রতি আনুগত্যের চেয়ে নারীরা নিজের সুখ ও সামগ্রিক মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এসব কারণেই অনেক নারী কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ডেটিং করছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পছন্দকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক, সামাজিক চাহিদাসহ অন্যান্য প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন।

নানা কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন

নিজের চেয়ে কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সান্নিধ্যে আসায় নারীদের মধ্যে নিজেদের আরও তরুণ ভাবার একধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কম বয়সী তরুণেরা নিজেদের সম্পর্কে সচেতন, নিজের স্বাস্থ্য ও রুচির বিষয়েও সজাগ। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা কম বয়সীদের পৃথিবীকে নতুন করে জানার সুযোগ দেয়। এসব কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন। নারীরা এখন আগের চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য ছুটছেন। পারিবারিক বা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বয়স্ক সঙ্গী খোঁজার প্রথাগত নিয়মে তাঁরা আর বিশ্বাসী নন। ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা, মানসিক সংযোগ ও আকর্ষণকে অগ্রাধিকার দিতেই নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বেছে নিচ্ছেন।

বয়স কোনো বিষয় না

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে এখন নারীদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ নমনীয়। তরুণদের তুলনায় নারীরা মধ্যবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক চিন্তা করছেন। মধ্যবয়সী বা সমবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক রীতিনীতি বা লোকদেখানোর আচারকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মনে করেন নারীরা। সম্পর্ক নিয়ে পুরোনো সামাজিক নিয়মগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাঁরা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রফতানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রফতানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রফতানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রফতানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল - জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!