শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত

সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পূর্বশর্ত। বস্তুত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনরা অপারগতা প্রদর্শন করে আসছে। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সে ব্যবস্থা ছিল একটি রাজনৈতিক সমঝোতা তথা বন্দোবস্ত। এর দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল এবং অনেক গড়িমসির পর ব্যবস্থাটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয় বিএনপি। এ বন্দোবস্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পথই শুধু সুগম করেনি; সব রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষমতায় যাওয়ার সমসুযোগও সৃষ্টি করেছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে এই বন্দোবস্তের উপর প্রথম ধাক্কা আসে ২০০৪ সালে; বিএনপি সরকার সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ২০১০ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগের এক ‘সংক্ষিপ্ত’ আদেশের হাত ধরে। এ আদেশে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ‘প্রসপেকটিভলি’ বা ভবিষ্যতের জন্য– ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর– তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। যদিও এর আগে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে সংবিধানসম্মত বলে রায় দিয়েছেন। তবে ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তটি ভেঙে দেওয়া হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে; আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী একতরফাভাবে পাসের মাধ্যমে, যা সংবিধানকে অস্ত্রে পরিণত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২১ জুলাই সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে নবম জাতীয় সংসদ ১৫ সদস্যের একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করে, যার ১২ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই বিশেষ সংসদীয় কমিটি একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তিনজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সম্পাদক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ মোট ১০৪ জনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রেখেই ২০১১ সালের ২৯ মে সংবিধান সংশোধনের সর্বসম্মত প্রস্তাব করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কমিটির সুপারিশ বদলে যায় এবং কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়েই সংবিধান সংশোধনের চূড়ান্ত প্রস্তাব করে। প্রসঙ্গত, ৩১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন– পরবর্তী দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হলে সংসদের অনুমোদন লাগবে, যা সঠিক নয়।

এটি সুস্পষ্ট, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে বিশেষ সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত সুপারিশ উপেক্ষা করে; আদালতের সংক্ষিপ্ত আদেশের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে এবং আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে এটি ছিল একটি স্বার্থপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত। কারণ এর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে একই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। গবেষক ড. আদিবা আজিজ খানের মতে, ‘বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ এবং ভোটারদের বিরোধিতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আরও দুই জাতীয় নির্বাচনের সময় বহাল থাকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেছে।’

পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের বিধ্বংসী পরিণতি হলো, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন, যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অকার্যকর এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বস্তুত আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত ১১টি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে সাতটি দলীয় সরকারের; অন্য চারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে চারটি ছাড়া বাকি সব নির্বাচনেরই গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।

পঞ্চদশ সংশোধনীর গ্রহণযোগ্যতা ও সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। সংবিধান বাংলাদেশের ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি,’ তাই তাদের সম্মতি ছাড়া এটির সংশোধন অগ্রহণযোগ্য। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান না থাকলেও, পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়; যদিও পরে উচ্চ আদালত পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। তবে গণভোটের বিধানটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯১ সালে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গণভোট দেওয়া হলে নিঃসন্দেহে এটি প্রত্যাখ্যাত হতো। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। এ ছাড়াও পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের আগে এ নিয়ে কোনো সুচিন্তিত বিতর্কও হয়নি। বিরোধী দলেরও এতে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না– বিশেষ সংসদীয় কমিটিতে একটি নাম প্রস্তাবের আহ্বান করা হলেও বিএনপি তা করেনি এবং সংশোধনীটি পাসের সময়ও তারা সংসদে অনপুস্থিত ছিল। তাই পঞ্চদশ সংশোধনীতে জনগণের সম্মতি তো ছিলই না; এতে বিরোধী দল, এমনকি বিশেষ সংসদীয় কমিটির ১৫ সদস্যেরও সত্যিকারের সম্মতি ছিল না।

পঞ্চদশ সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতাও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথমত, গণভোটের আয়োজন না করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস ছিল বিদ্যমান সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। দ্বিতীয়ত, বিশেষ সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নাকচ করা ক্ষমতার পৃথককরণ নীতির লঙ্ঘন। তৃতীয়ত, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে সংশোধন-অযোগ্য করা হয়। একমাত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো অসংশোধনযোগ্য। তাই সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশকে অসংশোধনযোগ্য করার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতত্ত্বই লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এক সংসদ পরবর্তী সংসদের হাত-পা বেঁধে দিতে পারে না।

পাশাপাশি, বিচারপতি খায়রুল হকের প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পাশাপাশি এটিকে পরবর্তী দুই মেয়াদের জন্য জীবন্ত রাখা হয়েছিল। এটা কি আদালতের পক্ষ থেকে সংসদের কাজে হস্তক্ষেপের শামিল নয়? এটা স্পষ্টতই ক্ষমতা পৃথককরণের নীতির লঙ্ঘন।

শুনানিকালে আদালতে সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলামের আকুতি ছিল, ‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা ও জনগণের যে চরিত্র, তাতে এ ব্যবস্থা বাতিল হলে দেশে সামরিক শাসন আসবে। তাই এ দেশে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে অন্য কোনো পথ আমি দেখতে পাচ্ছি না। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। অপপ্রয়োগের কারণে কোনো ব্যবস্থা বাতিল করা ঠিক হবে না।’ বলা বাহুল্য, সেই আকুতি বিফলে গেছে।

পরিশেষে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির কারণে সর্বগ্রাসী দলীয়করণ হয়েছে এবং পরপর দুটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ফলে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আরেকটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত না হলে আমাদের পরবর্তী নির্বাচনও বিতর্কিত হতে বাধ্য, যা জাতি হিসেবে আমাদের এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা, এমনকি সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই আজ আমাদের সবার গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য সোচ্চার হওয়া।

ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

এসএন

Header Ad

আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অপেক্ষা তারপর আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলাম। তবে সেই নিলামের আগেই বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তারা।এছাড়াও সন্দেহজনকের তালিকায় রাখা হয়েছে আরও তিনজন ক্রিকেটার।

নিষিদ্ধ হওয়া দুই ক্রিকেটার হলেন- মনীশ পান্ডে এবং সৃজিত কৃষ্ণ। দুজনই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং আইপিএলে পরিচিত মুখ। যদিও তারা ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন, তবু এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

এছাড়া সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন- দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।

আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে এমন বিষয়গুলো খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করা হলে তারা আবার ফিরে আসতে পারবেন। তবে দলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, এই নিষেধাজ্ঞা এবং সন্দেহ তাদের নিলামে প্রাধান্য হারানোর কারণ হতে পারে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। জানিয়ে দেয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। আসন্ন আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং ফাইনালের দিন জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি