শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাতৃমৃত্যু রোধে অগ্রগতি যেখানে থমকে গেছে

মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। কিন্তু প্রত্যাশার জায়গা থেকে আমরা অনেক দূরে অবস্থান করছি। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে লাখে ৫০০ থেকে ১৬৩ জনে নেমে এলেও এটি শূন্যতে নেমে আসাই প্রত্যাশিত। যদিও এসডিজিতে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৭০-এর নিচে মাতৃমৃত্যু হার নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

মাতৃমৃত্যু হার কমানো আমাদের 'থ্রি জিরো এজেন্ডা'র অন্যতম। যেখানে আমরা একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অপূর্ণ চাহিদা শূন্যতে আনা, শূন্য মাতৃমৃত্যু হার, যৌন ও জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছি। সম্প্রতি জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপির সঙ্গে যৌথভাবে পিপিআরসি 'থ্রি জিরো অ্যাকশন নেটওয়ার্ক' উদ্বোধন করে। আমরা তিনটি বিষয়ে একত্রে যেমন কাজ করছি, তেমনি প্রতিটি বিষয় নিয়েও আলাদা ফোকাস করে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরেও আমরা কর্মসূচি পালন করছি। তারই আলোকে গত ১৩ ডিসেম্বর সিলেটে আমরা মাতৃমৃত্যু হার নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করি।

মাতৃমৃত্যু রোধে আমরা সমন্বিত পদক্ষেপের কথা বারবার বলেছি। স্বাভাবিকভাবেই এখনো গ্রামে মাতৃমৃত্যু হার বেশি। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপের তথ্য অনুযায়ী রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে এ হার তুলনামূলক বেশি। বিষয়টি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের তথ্য অনুসারে— দেশে রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির কারণেই অধিকাংশ প্রসূতি মারা যান। অথচ এটি প্রতিরোধযোগ্য। বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসব অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তঃসত্ত্বার কয়েকটি বিপদ চিহ্ন রয়েছে। হঠাৎ রক্তপাত, খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা, ভীষণ জ্বর ও বিলম্বিত প্রসবের ক্ষেত্রে নাজুক মাকে যে হাসপাতাল বা নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে নিতে হ— সে বিষয়ে সচেতনতার কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করা দরকার। তাদের দ্রুত হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যার বহুলাংশে সমাধান হতে পারে।

তবে এটাও বলা প্রয়োজন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়ে গেছে। এমনও আছে, হাসপাতালে নিলেও অন্তঃসত্ত্বার জটিল চিকিৎসায় অগ্রগতি যথেষ্ট হয়নি। মাতৃস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা না গেলে অবস্থার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নতি ঘটবে না। আমরা যদি মাতৃমৃত্যু কমাতে চাই, তবে সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা ও ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। যে পরিবেশ আছে তাতে আরও যত্নবান হতে হবে। কোনো প্রসূতি যদি হাসপাতালে আসার পরও মারা যান, সেটি নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। তাদের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতাল কিংবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যে চিকিৎসালয় রয়েছে, উভয় ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত সেবাদানকারী সেবা নিশ্চিত করা চাই।

অন্তঃসত্ত্বাদের সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কোথায় ফাঁকফোকর আছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। নিরাপদ ডেলিভারি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে নানা অসংগতি দূর করতে হবে। চিকিৎসক, সমাজকর্মী, এনজিও, রাজনীতিকসহ সবার অংশগ্রহণ মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসে সহায়তা করে। সে জন্য সবার মধ্যেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, মহামারি করোনা বিশ্বকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এর প্রভাবে সমাজে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা। কোভিড স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আমাদের যে নাজুক পরিস্থিতি দেখা গেছে, অন্তঃসত্ত্বার সুরক্ষায় তার প্রভাবও পড়েছে।

থ্রি জিরো এজেন্ডায় মাতৃমৃত্যুহার কমানো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বলাবাহুল্য, থ্রি জিরো এজেন্ডার উৎস হলো, ১৯৯৪ সালে মিসরের কায়রোয় জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন (আইসিপিডি)। ওই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যার অধিকারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। সেই সম্মেলনের ২৫ বছরপূর্তিতে ২০১৯ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হয় আইসিপিডি সম্মেলন। নাইরোবি সম্মেলনেই মূলত 'তিন শূন্য লক্ষ্যমাত্রা'কে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনে এজেন্ডাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়। কায়রো সম্মেলনের ২৫ বছরপূর্তিতে ওই সম্মেলনে নারী ও মেয়েদের সমধিকার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, ব্যক্তির মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণ যে টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত, সেটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, উন্নয়নের লক্ষ্য হলো সব মানুষের জীবনের গুণগত মানের উন্নয়ন। জনসংখ্যার পরিমাণগত আকারের পাশাপাশি গুণগত উন্নয়নও অত্যাবশ্যক। এ লক্ষ্যে আইসিপিডি এক মাইলফলক। সেখানে তিন শূন্য লক্ষ্যমাত্রাকে গুরুত্ব দিয়ে এজেন্ডাভিত্তিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। অথচ অন্যান্য বিষয়ের মতোই মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে অগ্রগতি
সন্তোষজনক নয়।

এ ক্ষেত্রে কতটা কাজ হলো, তা নিরূপণ এবং এ কাজের ক্ষেত্রে সমন্বিত প্রচেষ্টার জন্যই আমরা থ্রি জিরো অ্যাকশন নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। শুরুতেই বলেছি, মাতৃমৃত্যুহার রোধে আমরা বেশ এগিয়েছি। আরও দুটি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন দৃশ্যমান। কিন্তু উন্নয়ন এক জায়গায় এসে আবার যেন থমকে গেছে। যেমন ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা মাতৃমৃত্যু ৭০-এ নামাতে চাই। অথচ আমরা আছি এখন ১৬৩তে। কিন্তু আমাদের হাতে সময় বেশি নেই; মাত্র ৮ বছর। আমাদের অগ্রগতি ধীরগতিতে হচ্ছে। এ পর্যায়ে এসে আমরা যদি লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই, তবে আমাদের দ্বিগুণ প্রচেষ্টা লাগবে। তবে ধীরগতির ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ বড় কারণ নিঃসন্দেহে। মহামারি অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি ধীর করেছে, কোথাও আরও পেছনে ঠেলেছে। সে জন্যই মাতৃমৃত্যুহার রোধসহ অন্য ক্ষেত্রে আমাদের একটা ধাক্কা লাগবে। থ্রি জিরো অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সেই ধাক্কার কাজটি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

আমাদের সার্বিক উন্নয়নেই মাতৃমৃত্যু রোধ করা জরুরি। আবার আমরা সত্যিকার অর্থেই কতটা এগোলাম, তার অন্যতম নিরূপক মাতৃমৃত্যু হার। মাতৃমৃত্যু হার রোধসহ তিনটি ক্ষেত্রের কোনোটিতেই সরকার কিংবা নাগরিক সমাজের সদিচ্ছার অভাব নেই। তবে অনেক কিছু আছে কাগজ-কলমে। এ ক্ষেত্রে সফল হতে গেলে আমাদের 'কমিউনিটি'কে কাজে লাগাতে হবে। যেমন বাল্যবিয়ে রোধে আমাদের উপজেলা কমিটি আছে। কিন্তু কমিটি আদৌ কাজ করছে কি না; তাদের তহবিল আছে কি না, তা দেখতে হবে। মাতৃমৃত্যু হার রোধেও সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। সামাজিক সচেতনতা ও জাগরণ তৈরি হলে সামাজিক নর্মস কিংবা দায়িত্ববোধ থেকেই নাজুক মায়েদের চিকিৎসায় মানুষ এগিয়ে আসবে। তাকে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে। আমরা এই সামষ্টিক প্রচেষ্টার কথাই বলছি এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে সেটা এখনই জরুরি।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

আরএ/

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি