সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাতৃমৃত্যু রোধে অগ্রগতি যেখানে থমকে গেছে

মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। কিন্তু প্রত্যাশার জায়গা থেকে আমরা অনেক দূরে অবস্থান করছি। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে লাখে ৫০০ থেকে ১৬৩ জনে নেমে এলেও এটি শূন্যতে নেমে আসাই প্রত্যাশিত। যদিও এসডিজিতে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৭০-এর নিচে মাতৃমৃত্যু হার নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

মাতৃমৃত্যু হার কমানো আমাদের 'থ্রি জিরো এজেন্ডা'র অন্যতম। যেখানে আমরা একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অপূর্ণ চাহিদা শূন্যতে আনা, শূন্য মাতৃমৃত্যু হার, যৌন ও জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছি। সম্প্রতি জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপির সঙ্গে যৌথভাবে পিপিআরসি 'থ্রি জিরো অ্যাকশন নেটওয়ার্ক' উদ্বোধন করে। আমরা তিনটি বিষয়ে একত্রে যেমন কাজ করছি, তেমনি প্রতিটি বিষয় নিয়েও আলাদা ফোকাস করে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরেও আমরা কর্মসূচি পালন করছি। তারই আলোকে গত ১৩ ডিসেম্বর সিলেটে আমরা মাতৃমৃত্যু হার নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করি।

মাতৃমৃত্যু রোধে আমরা সমন্বিত পদক্ষেপের কথা বারবার বলেছি। স্বাভাবিকভাবেই এখনো গ্রামে মাতৃমৃত্যু হার বেশি। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপের তথ্য অনুযায়ী রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে এ হার তুলনামূলক বেশি। বিষয়টি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের তথ্য অনুসারে— দেশে রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির কারণেই অধিকাংশ প্রসূতি মারা যান। অথচ এটি প্রতিরোধযোগ্য। বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসব অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তঃসত্ত্বার কয়েকটি বিপদ চিহ্ন রয়েছে। হঠাৎ রক্তপাত, খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা, ভীষণ জ্বর ও বিলম্বিত প্রসবের ক্ষেত্রে নাজুক মাকে যে হাসপাতাল বা নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে নিতে হ— সে বিষয়ে সচেতনতার কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করা দরকার। তাদের দ্রুত হাসপাতালে আনতে পারলে মাতৃমৃত্যু সমস্যার বহুলাংশে সমাধান হতে পারে।

তবে এটাও বলা প্রয়োজন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়ে গেছে। এমনও আছে, হাসপাতালে নিলেও অন্তঃসত্ত্বার জটিল চিকিৎসায় অগ্রগতি যথেষ্ট হয়নি। মাতৃস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা না গেলে অবস্থার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নতি ঘটবে না। আমরা যদি মাতৃমৃত্যু কমাতে চাই, তবে সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা ও ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। যে পরিবেশ আছে তাতে আরও যত্নবান হতে হবে। কোনো প্রসূতি যদি হাসপাতালে আসার পরও মারা যান, সেটি নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। তাদের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতাল কিংবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যে চিকিৎসালয় রয়েছে, উভয় ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত সেবাদানকারী সেবা নিশ্চিত করা চাই।

অন্তঃসত্ত্বাদের সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কোথায় ফাঁকফোকর আছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। নিরাপদ ডেলিভারি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে নানা অসংগতি দূর করতে হবে। চিকিৎসক, সমাজকর্মী, এনজিও, রাজনীতিকসহ সবার অংশগ্রহণ মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসে সহায়তা করে। সে জন্য সবার মধ্যেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, মহামারি করোনা বিশ্বকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এর প্রভাবে সমাজে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা। কোভিড স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আমাদের যে নাজুক পরিস্থিতি দেখা গেছে, অন্তঃসত্ত্বার সুরক্ষায় তার প্রভাবও পড়েছে।

থ্রি জিরো এজেন্ডায় মাতৃমৃত্যুহার কমানো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বলাবাহুল্য, থ্রি জিরো এজেন্ডার উৎস হলো, ১৯৯৪ সালে মিসরের কায়রোয় জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন (আইসিপিডি)। ওই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যার অধিকারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। সেই সম্মেলনের ২৫ বছরপূর্তিতে ২০১৯ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হয় আইসিপিডি সম্মেলন। নাইরোবি সম্মেলনেই মূলত 'তিন শূন্য লক্ষ্যমাত্রা'কে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনে এজেন্ডাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়। কায়রো সম্মেলনের ২৫ বছরপূর্তিতে ওই সম্মেলনে নারী ও মেয়েদের সমধিকার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, ব্যক্তির মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণ যে টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত, সেটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, উন্নয়নের লক্ষ্য হলো সব মানুষের জীবনের গুণগত মানের উন্নয়ন। জনসংখ্যার পরিমাণগত আকারের পাশাপাশি গুণগত উন্নয়নও অত্যাবশ্যক। এ লক্ষ্যে আইসিপিডি এক মাইলফলক। সেখানে তিন শূন্য লক্ষ্যমাত্রাকে গুরুত্ব দিয়ে এজেন্ডাভিত্তিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। অথচ অন্যান্য বিষয়ের মতোই মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে অগ্রগতি
সন্তোষজনক নয়।

এ ক্ষেত্রে কতটা কাজ হলো, তা নিরূপণ এবং এ কাজের ক্ষেত্রে সমন্বিত প্রচেষ্টার জন্যই আমরা থ্রি জিরো অ্যাকশন নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। শুরুতেই বলেছি, মাতৃমৃত্যুহার রোধে আমরা বেশ এগিয়েছি। আরও দুটি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন দৃশ্যমান। কিন্তু উন্নয়ন এক জায়গায় এসে আবার যেন থমকে গেছে। যেমন ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা মাতৃমৃত্যু ৭০-এ নামাতে চাই। অথচ আমরা আছি এখন ১৬৩তে। কিন্তু আমাদের হাতে সময় বেশি নেই; মাত্র ৮ বছর। আমাদের অগ্রগতি ধীরগতিতে হচ্ছে। এ পর্যায়ে এসে আমরা যদি লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই, তবে আমাদের দ্বিগুণ প্রচেষ্টা লাগবে। তবে ধীরগতির ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ বড় কারণ নিঃসন্দেহে। মহামারি অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি ধীর করেছে, কোথাও আরও পেছনে ঠেলেছে। সে জন্যই মাতৃমৃত্যুহার রোধসহ অন্য ক্ষেত্রে আমাদের একটা ধাক্কা লাগবে। থ্রি জিরো অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সেই ধাক্কার কাজটি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

আমাদের সার্বিক উন্নয়নেই মাতৃমৃত্যু রোধ করা জরুরি। আবার আমরা সত্যিকার অর্থেই কতটা এগোলাম, তার অন্যতম নিরূপক মাতৃমৃত্যু হার। মাতৃমৃত্যু হার রোধসহ তিনটি ক্ষেত্রের কোনোটিতেই সরকার কিংবা নাগরিক সমাজের সদিচ্ছার অভাব নেই। তবে অনেক কিছু আছে কাগজ-কলমে। এ ক্ষেত্রে সফল হতে গেলে আমাদের 'কমিউনিটি'কে কাজে লাগাতে হবে। যেমন বাল্যবিয়ে রোধে আমাদের উপজেলা কমিটি আছে। কিন্তু কমিটি আদৌ কাজ করছে কি না; তাদের তহবিল আছে কি না, তা দেখতে হবে। মাতৃমৃত্যু হার রোধেও সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। সামাজিক সচেতনতা ও জাগরণ তৈরি হলে সামাজিক নর্মস কিংবা দায়িত্ববোধ থেকেই নাজুক মায়েদের চিকিৎসায় মানুষ এগিয়ে আসবে। তাকে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে। আমরা এই সামষ্টিক প্রচেষ্টার কথাই বলছি এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে সেটা এখনই জরুরি।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম