শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কী দিতে পারে

মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তির পাঁচ দশকের পরও যদি এ রকম একটি প্রশ্ন তুলতে দেখি— এ সময়ের তরুণেরা মুক্তিযুদ্ধ থেকে আর কী গ্রহণ করতে পারে? তাহলে বুঝতে হবে এর প্রাসঙ্গিকতা এখন আর স্বতঃসিদ্ধ বলে বিবেচিত নয়, যেন এর যা দেওয়ার, তা অনেক আগেই নেওয়া হয়ে গেছে, এখন এই গৌরবের ইতিহাসটাকে জাদুঘরে রেখে দিলেই চলে। একাত্তর নিয়ে কথা বললে এখনো অনেক তরুণ শোনে, কিন্তু সেই শোনায় তেমন মনোযোগ থাকে না, অথবা থাকলেও অতীতচারী না হওয়ার একটা সিদ্ধান্ত থেকে তারা বলে, অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে ভবিষ্যতের কথা ভাবা উচিত।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ, এর গত কুড়ি বছরের অর্থনৈতিক উন্নতি চমকপ্রদ। সেজন্যই কি না জানি না, সবাই ব্যস্ত ভবিষ্যতের দিকে চোখ মেলে রাখতে। যদি সত্যি সত্যি তা–ই হতো যে আমরা অতি দ্রুত ভবিষ্যতের রাস্তায় এগোচ্ছি এবং এক একটা বিশাল অর্জনের আর উল্লম্ফনের চিহ্নরেখা অতিক্রম করে যাচ্ছি, তাহলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু ভবিষ্যৎবিহারী আমরাই তো সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মীয় উগ্রতার মধ্যযুগে একটা পা রাখতে চিন্তাভাবনায় অনগ্রসর অতীতেই পড়ে থাকতে ব্যগ্র। তাহলে? শুধু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলাটাই যদি অতীতচারিতার উদাহরণ হয়ে পরিত্যাজ্য হয়, মনের মধ্যে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নিয়ে চলা মানুষেরা কেন তাহলে পরিত্যাজ্য হন না? কেন তাদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটে?

যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, তাদের এক বিশাল অংশ এখন পরলোকে; আর ৩০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা বলতে কেউ বেঁচে থাকবেন না। ফলে এই ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলে কাউকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যোদ্ধারা না থাকলেও যুদ্ধের স্মৃতি থাকে। এমনকি প্রথম বা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো মহা ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতিও আছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মনে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের মতো এক বিশাল সৃষ্টিযুদ্ধের স্মৃতি কেন হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে হবে? কেন তা বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের মনে খোদাই হয়ে থাকবে না? আফ্রিকায় ১৯৬০–এর দশকে স্বাধীন হওয়া অনেক দেশে রাজনীতি হারিয়ে গেছে, গণতন্ত্র উধাও হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন অথবা দেনদরবার করেছেন, সে রকম মানুষের কথা স্কুলের শিশুরাও জানে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বাতিল করে নির্বাচনে তাকে জয়ী ঘোষণা করে ক্ষমতায় বসানোর দাবি তুলেছেন সাবেক হয়ে যাওয়া এক প্রেসিডেন্ট। অথচ তার দলের মানুষজনই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ২৩৩ বছরের পুরোনো সংবিধান মাথায় তুলে রাখতে হবে। বাতিলের দাবি অরাজকতার নামান্তর, একে বরং আমাদের দেশের ৫১ বছরের পুরোনো মুক্তিযুদ্ধকে নিজের মতো করে লিখে ফেললেও কোনো শক্তিশালী দলনেতাকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করি না, মাথায় তুলে রাখি বরং। আর কোনো শক্তিশালী নেতা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এর চরিত্র বদলে ফেললেও তাকে আমরা নায়কের আসনে বসাই।

মুক্তিযুদ্ধ একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছে, একটি পতাকা দিয়েছে। এর সঙ্গে আরও দিয়েছে কিছু আদর্শ, কিছু মূল্যবোধ, কিছু শিক্ষা। এর সবই তো সব সময় সব প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে, প্রতিপালন করতে হবে, চর্চা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে আমরা কী নিতে পারি—প্রশ্নটি ৫১ বছর আগে করা হলে যেমন বলা যেত, ধর্ম, বর্ণ, বিত্ত, ক্ষুদ্র-বৃহৎ জাতিসত্তানির্বিশেষে সব মানুষের ঐক্য, মানবিক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িকতা, ন্যায্যতা, সব ধর্মের মানুষের ধর্ম পালনের সমান স্বাধীনতা, বৈষম্যহীনতা, সব মানুষের সমানাধিকার—এখনো সেই একই উত্তরই তো দেওয়া হবে। এর কোনোটিই তো পরিত্যাজ্য নয়। তাহলে কেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা উঠলে অতীতচারিতার প্রসঙ্গটি আসে, কেন তা ভবিষ্যতের পথনির্দেশক বলে অভিনন্দিত হয় না?

এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি হওয়াটা জরুরি, তা না হলে এ সময়ে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কী দিতে পারে—এটি একটি রুটিন প্রশ্ন হয়েই থেকে যাবে, জরুরি কোনো জিজ্ঞাসা হয়ে আমাদের সক্রিয়তার মাঝখানে জায়গা করে নেবে না। মোটা দাগে বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্বাধীনতার পর কয়েক বছর যে আবেগ, উত্তেজনা, আকাঙ্ক্ষা আর স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল, তা অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার মূলে আছে রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধকে অনিবার্য করেছে বাঙালির আড়াই দশকের প্রতিবাদী, উপনিবেশবিরোধী, স্বাধিকারকামী ও জনমুখী রাজনীতি। এই রাজনীতির ভিত গড়ে দিয়েছিল গণমানুষের অধিকার আদায়ের ও রক্ষার অঙ্গীকার, অর্থনৈতিক মুক্তির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, সংস্কৃতি ও বাঙালির চিরকালের ঐতিহ্যচিন্তায় আস্থা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর গণমুখী শিক্ষার দাবি। এই রাজনীতিতে প্রায় সবাই আস্থা রেখেছিলেন।

এরা ছিলেন উদারপন্থী, ওদের বিশ্বাস ছিল সবার অন্তর্ভুক্তিতে। কিন্তু এর পাশাপাশি রাজনীতির আরেকটি ধারা ছিল, যার চরিত্র ছিল অনুদার ও রক্ষণশীল। দুঃখজনক হলেও সত্য, মুক্তিযুদ্ধের বিশাল ঐক্যের আড়ালে সেই বিভাজন কার্যকর ছিল। রক্ষণশীল অংশটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, স্বজাতি হত্যায় পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছে। যুদ্ধটা আরও বছর তিনেক চললে এরা একটা বড় শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে যেত।

মুক্তিযুদ্ধের পরও সেই মনোভাব হারিয়ে যায়নি, আড়ালে চলে গিয়েছিল শুধু। এই ৫১ বছরে তারা সংগঠিত হয়েছে, শক্তি সঞ্চয় করেছে, রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সবচেয়ে দুঃখজনক যা, অসংখ্য তরুণের মন তারা দখল করে নিয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো গর্ববোধ করে না, নিজেদের গৌরবের ইতিহাস যারা বিশ্বাস করে না, এই পক্ষটিতে এখন পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবীও আছেন। ওদের বৃদ্ধি ঘটেছে উদারবাদী পক্ষটির নিষ্ক্রিয়তা, আত্মতুষ্টি আর নানান স্ববিরোধিতার জন্য।

এক পক্ষের সক্রিয়তা, অন্য পক্ষের আত্মতৃপ্তির ঘুমে যাওয়ার কারণে মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে ইতিহাসে ঠাঁই নিতে যাচ্ছে, তার একটি উদাহরণ শুধু দিই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে যে কথাটি একসময় আমরা বলতাম এবং ধরে নিতাম, এটি কোনো বিমূর্ত চিন্তা নয়, বরং কিছু নির্দিষ্ট ভাবাদর্শের প্রতিফলনে তৈরি উদ্দীপক একটি শক্তি, এখন এক বিতর্কিত শব্দ। একটি পক্ষ এর অতিব্যবহার করে একে একটা অতিশয়োক্তির পর্যায়ে নিয়ে গেল, অন্য পক্ষ একে মশকরার একটা হাতিয়ার হিসেবে নিল।

এখন রক্ষণশীলেরা ‘চেতনাপন্থী’ কথাটিকে একটা গালির মতো করে বলেন। অথচ এটি হওয়ার কথা ছিল এক ইতিবাচক, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত এক ইচ্ছাশক্তি, যা দিয়ে দেশটাকে আমরা সব মানুষের জন্য তৈরি করে দেখতাম, যে দেশে আমাদের প্রত্যাশাগুলো বাস্তবে রূপ নিত। যেন এ দুই দলের মধ্যে ‘চেতনাপন্থী’ আর ‘চেতনাবিরোধী’ বলে চালাচালির গালি হিসেবে চেতনার অবস্থান।

মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা এর আদর্শকে ধরে রাখিনি এবং কোনো কোনো সময় এর বিপরীতে হেঁটেছি বলে এই আদর্শকে অস্বীকার করা যায় না। এর চেতনাও তারিখসম্বলিত হয়ে বাতিল হয়ে যায় না। যা দরকার, তা হচ্ছে এদের পুনরুদ্ধার।

এই পুনরুদ্ধারের কাজ কে করবে, এটিই হবে বড় কথা। আমি আশাবাদী বলে বিশ্বাস করি, এটি সম্ভব। এক সময় মুক্তিযুদ্ধ আমাদের পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানাবে, আশাবাদী হওয়ার প্রেরণা দেবে। একাত্তরে কোনো কোনো দিন গেছে সবার জীবনেই যে দিনটিতে শুধু বেঁচে থাকাটাই যেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা বলে মনে হয়েছে। সেসব দিনও মুক্তিযুদ্ধ অর্থবহ করে দিয়েছে। এখন যে কঠিন সময় আমরা পার করছি, যে আত্মবিধ্বংসী আয়োজন দেখছি চারদিকে, যে আত্মঘাতী যুদ্ধের হুংকার শুনছি, সেসবও দীর্ঘস্থায়ী হবে না, যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধে একবার ফিরে যাই।

অনেকেই হয়তো বলবেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের এ আশাবাদ সময়নির্দিষ্ট, এখন সেটি অচল। কিন্তু আমি এখনো বিশ্বাস করি,এই আশাবাদের ভিত্তি আছে, আর এ ভিত্তিটা কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ, যারা এর শক্তি জোগান দিয়ে চলেছেন। তারা রাজনীতি করেন না, তাঁরা শুধু একটা সহনীয় বর্তমান এবং সুন্দর আগামী চান। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কী দিতে পারে, এই প্রশ্ন করলে একটা উত্তর হতে পারে, এই পরিশ্রমী মানুষগুলোর সততা ও আশাবাদ।

মুক্তিযুদ্ধ পুরোনো হবে না, জাদুঘরেও যাবে না। এর যা দেওয়ার, তা–ও তারিখনির্দিষ্ট হয়ে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় পক্ষ-বিপক্ষ ছিল, এখনো রাজনৈতিক পক্ষ-বিপক্ষ আছে, কিন্তু বাংলাদেশ যতই এগোবে, মানুষ দেখবে, নিজেদের ইতিহাস সে আস্থা রেখে চললে চলাটা আমাদের সহজ হবে।

এ মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধ থেকে আমরা দেশপ্রেমের প্রয়োজনীয়তার কথাটা নিতে পারি, শহর-গ্রাম, এলিট-দলিত বিভাজনের অসারতার বিষয়টি শিখতে পারি। তরুণদের গড়ার শক্তিতে বিশ্বাস রাখতে পারি। ঐক্য ও উদার মানবিকতার পাঠগুলো নিতে পারি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মুক্তিযুদ্ধ আগেও দিয়েছে, এখনো দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, আমরা কি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। নাকি বিভাজনের রাজনীতির চূড়ান্তটা দেখার জন্য আমরা দুই ভাগ হয়ে দুই দিকে বসে আছি? বিভাজনেই কি মুক্তি, নাকি ঐক্যে, যা একাত্তরে আমাদের এক কঠিন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রেরণা দিয়েছিল? উত্তরটাও খুব দূরে নেই: উত্তরটা আসে দেশপ্রেমের রাস্তা ধরে। সেটি থাকলে রাস্তাটা আর বন্ধুর থাকে না।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: লেখক ও শিক্ষাবিদ।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের