বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানী ঢাকা আজ দূষণের নগরীতে পরিণত হয়েছে

ঢাকা মহানগরী বহুদিন থেকেই বায়ু দূষণের শহর। এটি আজ নতুন কোনো খবর নয়। একইভাবে ভারতের নয়াদিল্লী এবং চীনের রাজধানী বেইজিং সর্বত্রই দূষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে— বিশেষ করে দিল্লী এবং ঢাকা বায়ু দূষণের শহর হিসেবে এখন পরিচিত। আমরা দেখতে পাই, প্রতিনিয়ত এখানে নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় সব এলাকাতেই নতুন নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে, পুরানো রাস্তা খুঁড়ে বানানো হচ্ছে নতুন অর্থাৎ নানা রকমের নির্মাণ যেখানে ধুলিবালি ও ধোঁয়ায় ঢাকা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে।

ঢাকা শহরে আজকাল বাস, প্রাইভেট গাড়ি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যার ফলে বায়ু দূষণের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে এটি। আমরা জানি, চারদিকে অনেক ইটের ভাটা বিশেষ করে শহরের বাইরে গেলেই দেখা যায়, সেগুলো থেকে ধোঁয়া বিচ্ছুরিত হচ্ছে। বিভিন্ন রকম নির্মাণ কাজ বেড়ে গেছে। অপরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন ঘর-বাড়ি, শিল্প-কারখানা তৈরির কারণে নানাভাবেই বায়ু দূষণ হচ্ছে।

আমার মতে, সার্বিকভাবে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুব দুর্বল। কেউ কোনো আইন মানতে চাচ্ছে না। ইটের ভাটা চলছে। গাড়ি ঘোড়া বাড়ছে। দেখা যায় খুবই নিম্নমানের গাড়ি শহরে চলাচল করে যেখান থেকে দূষণ হয়। নির্মাণকাজে কোনোরকম কন্ট্রোল নাই। অন্যদিকে কাজের সন্ধানে শহরে মানুষ বাড়ছে, বাড়িঘর বাড়ছে। সবখানেই নিয়ন্ত্রণের বড় অভাব। যেকারণে ঢাকার বাতাস দূষিত। রাজধানী ঢাকার মতোই ভারতের রাজধানী দিল্লিরও একই অবস্থা। দিল্লিও ঢাকার মতোই বড় শহর ও রাজধানী। রাজধানী সুন্দর রাখতে পরিকল্পিত বিধিগত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না এবং যে কারণে দিনকে দিন অবস্থা খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

বাংলাদেশ একটি কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একটি ছোট দেশ আয়তনে জনসংখ্যার তুলনায় খুবই ছোট। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১২০০ এর বেশি মানুষ বাস করে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অষ্টম জনবহুল দেশ। বাংলাদেশে আজ ১৭ কোটি মানুষ যেটি ৭১ সালে ছিল মাত্র ৭ কোটি, বঙ্গবন্ধু রেখে গেছেন সাড়ে ৭ কোটি। এখন গ্রামেও মানুষ বেড়েছে। ঘরবাড়ি বেড়ে যাচ্ছে। একইহারে দূষণ বাড়ছে।

বাংলাদেশ কঠিন ভৌগলিক বাস্তবতার দেশ এবং নিয়মকানুন পরিকল্পনা ভীষণ দুর্বল। কেউ কারো কথা শোনেন না। সরকারের যারা কর্তা ব্যক্তিরা দূরে থাকেন, তারা এয়ার কন্ডিশন বাড়িতে থাকেন, গাড়িতে বেড়ান, এরা দেখেও আসলে অনেক কিছু দেখেন না। অনেকের হয়ত সদিচ্ছা আছে তবুও কিছু করতে পারেন না। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩ শতাংশ। প্রতি বছর যদি ১ শতাংশ করেও বাড়ে তাহলেও ১৭ লক্ষ লোক বাড়ছে। বায়ু দূষণের কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ তখন একটি গরিব দেশ ছিল। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের অনেক সীমাবদ্ধতা আমরা দেখেছি। আজ আমরা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে আখ্যায়িত করে থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন।

দেশের উন্নয়ন হচ্ছে এ কথা সত্য। একসময় মাথাপিছু আয় ছিল ৭০ থেকে ৮০ ডলার। এখন সেটি ৩ হাজার ডলার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নতি আমরা দেখি। সেখানে সরকারের সাফল্য নিশ্চয় আছে। জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সাফল্য আছে। শিল্পপতিদের সাফল্য আছে। কিন্তু এইসব উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ অবক্ষয় ও দূষণও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

যদি না খুব কঠিনভাবে পরিকল্পনা করা না হয়— আমাদের এতটুকু দেশে এত মানুষ, অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠা কলকারখানা, অত্যধিক যানবাহন সবই সঠিক শৃঙ্খলা ও সমন্বয়ের অভাবে আজ বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণসহ সকল দূষণের সৃষ্টি করছে। যা জনসাধারণের জীবনযাপনের উপর ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। একইসঙ্গে খুবই দুঃখজনক সত্যি হলো নগরের এইসব নানারকম দূষণ সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে অতিমাত্রায় দুর্বিষহ করে তুলেছে।

নজরুল ইসলাম: নগরবিদ

আরএ/

Header Ad
Header Ad

দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম

ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা আবারও ফিরে আসবে, দেশের অবস্থা ভালো না। সরকার দু'বেলা ভাত খায়, কিন্তু দেশের মানুষ দু'বেলা ভাত পায় না। বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানিকালে এজলাসে তোলার সময় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে কথা বলতে নিষেধ করেন। একজন হেলমেট নিচে নামিয়ে দেন। তখন সোলায়মান সেলিম বলেন, ‘আমার মুখ যতই চাপায় রাখার চেষ্টা করুক, মুজিববাদীরা মুজিব আদর্শ কখনো ভুলবে না।’

এর আগে আজ ( বৃহস্পতিবার) বেলা ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হয়। পুলিশ সদস্যরা তাদের সিঁড়ি দিয়ে ৪র্থ তলায় ওঠানোর চেষ্টা করেন। তখন কামরুল ইসলাম দাঁড়িয়ে যান। বলেন, ‘হাঁটতে পারবো না। চারতলায় উঠতে পারবো না। লিফট আছে না। লিফটে ওঠায় দেন।’ পরে তাদের লিফটে করে ওপরে নেওয়া হয়। তবে সোলায়মান সেলিম লিফটে যেতে চাননি। পরে অবশ্য লিফটে করেই ওপরে ওঠেন।

পরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়। সোলায়মান সেলিমের পক্ষে শ্রী প্রাণনাথ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘চার দিনের রিমান্ডে ছিল। পুলিশ প্রতিবেদনে তিনি যে সম্পৃক্ত এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। আর ঘটনার সময় তিনি দলীয় কোনও পদে ছিলেন না।’

পরে কামরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করার জন্য ডাকা হয়। তবে কামরুল ইসলাম আইনজীবীকে শুনানি করতে দেননি।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা এখনও সক্রিয়। জামিন পেলে অশান্তি সৃষ্টি করবে। শান্তি নষ্ট করবে। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

Header Ad
Header Ad

রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন

রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নতুন মহাব্যবস্থাপক(জিএম) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোঃ সুবক্তগীন।

বৃহস্প্রতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উজ্জ্বল কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে মোঃ সুবক্তগীন ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ঢাকা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী/পশ্চিমাঞ্চল, প্রধান প্রকৌশলী/পূর্বাঞ্চলের সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্বে করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বুধবার মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুন লাগা এবং ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।’

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা
সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা
বগুড়া কারাগারে সাবেক এমপি রিপুর ‘হার্ট অ্যাটাক’, আনা হয়েছে ঢাকায়
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত