বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধু মানুষের ভালোবাসার মূল্য দিয়েছেন জীবন দিয়ে

বাঙালি জাতিস্বত্তার ইতিহাসে বঙ্গুবন্ধু এক অক্ষয় নাম, এক প্রজ্বলিত শিখা। এদেশের জন মানুষের মুক্তি বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এসেছিল। বিশ্বের কোনো আধুনিক রাষ্ট্রই নিজের আপন পরিচয়ের বাইরে থাকতে পারে না। একমাত্র ঔপনিবেশিক শক্তির কাছে নতজানু রাষ্ট্রই নিজ আত্মপরিচয়কে শৃঙ্খলিত করে রাখতে পারে। বঙ্গবন্ধু তার জাতিসত্তার পরিচয়ে ছিলেন আপসহীন। পাকিস্তান সরকারের নাকের ডগায় তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তান না বলে আমাদের ভূখণ্ডকে পূর্ববাংলা বলুন। পূর্ব পাকিস্তান বলতে হলে বাঙালির গণভোটের ব্যবস্থা করুন। তিনি সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন দেশটির নাম রাখা হবে 'বাংলাদেশ।’

ইতিহাসে তিনিই অমর যিনি সমগ্র জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে পারেন-ইতিহাস তারই পক্ষে যিনি সময়ের বিচারে নিজেকে যোগ্য বলে প্রমাণ করতে পারেন। এ সংজ্ঞায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের সেই মহামানব সময় যাকে সৃষ্টি করেনি, যিনি সময়কে নিজের করতলে নিয়ে এসেছেন। যিনি কঠিন স্বরে নিজস্ব ভঙ্গিতে উচ্চারণ করেছিলেন সর্বকালের উপযোগী এবং সব দেশের জন্য প্রযোজ্য একটি অমর পংক্তি ‘আর দাবায়ে রাখবার পারবা না’। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে এই কথাটি উচ্চারণ করেছিলেন। বর্তমান বিশ্বের আধুনিক রাষ্ট্রসমূহের সামনে এই পংক্তি একটি মৌলিক দর্শন। কোনো দেশই পদানত হয়ে থাকার ন্যূনতম শর্ত গ্রহণ করে না। বঙ্গবন্ধু জাতির সামনে এই অমোঘ পংক্তি উচ্চারণ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে বাঙালির জীবনে এই ঘটনার আর কোনো দিন পুনরাবৃত্তি হবে না।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন। তিনি তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে লিখেছেন: ‘আমার কেবিনের একটা জানালা ছিল ওয়ার্ডের দিকে। আমি ওদের রাত একটার পরে আসতে বললাম। ...রাতে কেউ আসে না বলে কেউ কিছু বলত না। পুলিশরা চুপচাপ পড়ে থাকে, কারণ জানে আমি ভাগব না। গোয়েন্দা কর্মচারী একপাশে বসে ঝিমায়। বারান্দায় বসে আলাপ হল এবং আমি বললাম, সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে। ... আবার ষড়যন্ত্র চলছে বাংলা ভাষার দাবিকে নস্যাৎ করার। এখন প্রতিবাদ না করলে কেন্দ্রীয় আইনসভায় মুসলিম লীগ উর্দুর পক্ষে প্রস্তাব পাস করে নেবে। নাজিমুদ্দীন সাহেব উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার কথাই বলেন নাই, অনেক নতুন নতুন যুক্তিতর্ক দেখিয়েছেন।...সেখানেই ঠিক হল আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হবে এবং সভা করে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কনভেনর করতে হবে। ফেব্রুয়ারি থেকেই জনমত সৃষ্টি করা শুরু হবে। আমি আরও বললাম, ‘আমিও আমার মুক্তির দাবি করে ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করব।’

মাতৃভাষার মর্যাদাকে তিনি রাজনৈতিক অধিকার বলে বুঝেছিলেন। এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে ধ্বংস হয় মাতৃভাষার গৌরব। আজ বিশ্বের দরবারে ভাষার জন্য প্রাণদানকারী দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। ইউনেস্কো ঘোষণা দিয়েছে এই দিবস পালন করার জন্য। আধুনিক রাষ্ট্র তার অর্জনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মধ্যে দেখতে চায়। বাংলাদেশ সেই অর্জনে জয়ী হয়েছে। এই অর্জনের নেপথ্য ভূমিকায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয়।
‘দুঃখী মানুষ’ বঙ্গবন্ধুর জীবনে দুটি শব্দ মাত্র ছিল না। তিনি তার কৈশোর-তারুণ্যের সূচনা থেকেই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার নিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন। স্কুল থেকে ফেরার পথে দরিদ্র বৃদ্ধ মানুষটিকে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজের গায়ের চাদর দিয়েছিলেন। গরিব ছাত্র বন্ধুকে ছাতা দিয়েছিলেন। অভাবের সময় অসহায় মানুষদের বাবার ধানের গোলা থেকে ধান দিতেন। এ সবকিছুই তাঁর কোনো তাত্তি্বক ধারণা থেকে পাওয়া বিষয় নয়। তার সহজাত প্রবণতার মধ্যেই বিষয়টি ছিল।

ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল তার জীবন দর্শনের একটি অন্যতম দিক। ছাত্র জীবন থেকে তিনি সাম্প্রদায়িতকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। যে কোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সংজ্ঞায় এটি একটি মৌলিক শর্ত। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধলে তিনি দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকায় রিলিফের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। বিপন্ন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ভারতের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্ত। তিনি ১৯৪৩ সাল থেকে ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষকতা করতেন। তার ‘ষাট দশক’ শিরোনামের বইয়ে তিনি দাঙ্গার সময়ের স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন: ‘ইসলামিয়ার ছাত্ররা যে আমাদের জন্য কতটা করতে পারত তার প্রমাণ পেলাম ১৯৪৬-এর রক্তাক্ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়। বালিগঞ্জ থেকে ইসলামিয়া কলেজের রাস্তায় পদে পদে বিপদ। এই রাস্তা আমাদের ছাত্ররা পার করে দিত। ওরা বালিগঞ্জের কাছে অপেক্ষা করত আর সেখান থেকে ওয়েলেসলি স্ট্রিটে কলেজে নিয়ে যেত। আবার সেভাবেই ফিরিয়ে দিতে যেত। এখানে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি ইসলামিয়া কলেজের সেইসব মুসলমান ছাত্রদের, যারা আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে বিপজ্জনক এলাকাটা পার করে দিতেন। এইসব ছাত্রদের একজনের নাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান।’

অন্যদিকে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভায় নারীদের মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহ রেজিস্ট্রিকরণ আইন প্রণীত হয়েছিল। সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে নারী-পুরুষের সমতার কথা উল্লেখ আছে। আজকের বাংলাদেশের স্বপ্ন সহিংসতা নয়, নারী-পুরুষের সমতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য।
কিশোর বয়স থেকেই তিনি মানুষের কথা ভেবেছেন। তাদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেছেন। সেই বঞ্চিত মানুষদের কথা মনে রেখেই শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা চন্তিা করেন।

মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি যে বিপুল কাজ করতে চেয়েছিলেন সেটি ছিল পর্বতসমান কাজ। তারপরও তিনি সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। দেশি-বিদেশি চক্রান্তরে সামনে বঙ্গবন্ধু নির্ভীক ছিলেন। নিজের জীবনের জন্য ভীত ছিলেন না। বাঙালি জাতিকে অবিশ্বাস করার মতো মানসিক দীনতাও তার ছিল না। তিনি মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানোকে পাপ মনে করতেন। মানুষকে ভালোবাসার মূল্য দিয়েছেন নিজের জীবন দিয়ে।

আধুনিক রাষ্ট্রের মুল চিন্তায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী এবং আধুনিক মনের অধিকারী। তিনি কখনো পশ্চাৎপদ মনোভাব নিয়ে দেশ ও জাতির ব্যাখ্যা করেননি। তার সামনের সবটুকু ছিল প্রসারিত। তার একটি অসাধারণ উক্তি ‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়ে আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিবিড় উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’

সেলিনা হোসেন: বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!

২৮ জানুয়ারি থেকে চলবে না ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

পেনশন ও নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তারা বারবার সময় চাইছে। আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে সভায় আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।

ময়মনসিংহ স্টেশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ।

মো. মজিবুর রহমান বলেন, রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

চট্টগ্রাম বটতলী পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।  

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না। 

অবশ্য এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি

কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবার জানাজা। ছবি: সংগৃহীত

কোটি বাঙালির প্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান শোকাহত। তার বাবা মো. মাহবুব আলী খান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই রাজিউন)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এ শোকাবহ মুহূর্তে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। জানাজার মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায় শিল্পী মনির খানের আইফোন এবং তার ছেলের মোবাইল ফোন। গায়ক মনির খান নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবা মো. মাহবুব আলী খানের সঙ্গে মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

মাহবুব আলী খানকে পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রিয় বাবা হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মনির খান, এমন অবস্থাতেই চুরির এই ঘটনা তার জন্য দুঃখজনক।

মনির খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ১৯৯৬ সালে তার *তোমার কোন দোষ নেই* অ্যালবামটি প্রকাশের পরই তিনি সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেন। তার কণ্ঠে প্রায় সব গানই শ্রোতাদের হৃদয়ে দাগ কাটে, বিশেষ করে 'তোমার কোন দোষ নেই' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকে একের পর এক হিট অ্যালবাম এবং সিনেমার গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একক অ্যালবাম এবং তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন মনির খান। তার সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। 'অঞ্জনা' খ্যাত এই শিল্পী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল 'মনির খান' ও 'এমকে মিউজিক 24' থেকে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি, যা তার ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!