সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুজিব লোকান্তরে, মুজিব বাংলার ঘরে ঘরে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তিনি বাঙালির জাতি-রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন। সে কারণে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালির কাছে তিনি কিংবদন্তির মহানায়ক, শ্রেষ্ঠতম বীর; তিনি এ জাতিকে মুক্তির বারতা দিয়েছিলেন। ৭ মার্চের রেসকোর্সের ময়দানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ; এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। কথাগুলো আজও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে রক্তে স্ফুলিং জাগায়।

১৯৭১-এ তিনি একটি স্বাধীন দেশ দিলেন বাঙালি জাতিকে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ভোরে তার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড তাঁকে বাঙালির চিরন্তন শোকের প্রতীকেও রূপান্তরিত করেছে। এখন তিনি আমাদের প্রাত্যহিকতায়, আমাদের আবেগের সঙ্গে এমনভাবে মিশে আছেন যে তাকে জাতির অন্তর থেকে আলাদ করা যায়না।তিনি অমর তিনি অবিসংবাদিত তিনি সার্বজনীন। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন।

১৯৭৭ সালের কথা। আমি তখন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। বিশ বছর বয়েস- এখন যখন পেছনে ফিরি, সেই দিনগুলোর কথা মনে করি, গৌরববোধ করি এ জন্য যে সেই কঠিন সময়ে সাহস দেখাতে পেরেছিলাম।

সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন প্রকাশ করতো জয়ধ্বনি পত্রিকা। জয়ধ্বনি’র ১৯৭৭ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় (ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত) ‘জাতীয়তাময় জন্মমৃত্যু’ নামে আমার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। লাইনগুলো ছিল এ রকম:
রক্ত দেখে পালিয়ে গেলে
বক্ষপুরে ভয়
ভাবলে না কার রক্ত এটা
স্মৃতিগন্ধময়
দেখলে না কার জন্মমৃত্যু
জাতীয়তাময়।

এই কবিতার লাইন দিয়ে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের দেওয়ালে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা সমকাল প্রকাশিত হতো, ৭, ডি আই টি এভিনিউ, মতিঝিল, ঢাকা-২ থেকে। ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত মাসিক সমকাল পত্রিকার বিজয় দিবস সংখ্যা ১৩৮৫ তে কবিতাটিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে প্রথম প্রকাশিত কবিতা বলে উল্লেখ করা হয়। তাতে আমাকে পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলা কবিতার সোচ্চার উচ্চারণের ভোরের পাখি আখ্যা দেওয়া হয়।
পরের মাসে, ১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ আদমজী জুট মিলের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা পড়ি।

তখনকার অবস্থা এখন ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না । দুঃসময় বললেও সবকিছু বলা হয় না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় সেনাবাহিনীর একটি অংশ বত্রিশ নম্বর সড়কের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। পরদিন ১৬ আগস্ট তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করা হয় টুঙ্গিপাডায়।

এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা জাতি। শুরু হয় দেশের উল্টো যাত্রা। চারিদিকে ষড়যন্ত্রকারী, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ঘাতকদের আস্ফালন। ঘাতক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি কখন জেঁকে বসেছে জাতির ঘাড়ে। হত্যা, নির্যাতন, গুম খুনে আতঙ্কিত জনপদ। চলছে সামরিক শাসন। সে একশ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। বঙ্গবন্ধুর সমর্থক, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের উপর নেমে এসেছে অত্যাচার নির্যাতনের খড়গ। বন্দুকের নলের নিচে স্তব্ধ শোক প্রকাশের ভাষা! কেউ কথা বলতে পারছে না! একবার ভাবুন কী প্রতিকূল সময়-যে দেশকে তিনি সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু সে দেশেই নির্বাসিত নাম, তিনি নিষিদ্ধ, তার নাম উচ্চারণ করা যায় না!

কিন্ত আমরা সাহস করে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। ফলাফল কী হবে ভাবিনি। আন্দোলন সংগ্রামেও যোগ দিয়েছলাম। এ জন্য আমার পিতাকেও চাকুরিতে হয়রানি, ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
১৯৭৭ সালের শেষদিকের ঘটনা। তারিখটা আজ আর মনে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে তখন কয়েকটি চায়ের দোকান ছিল। শরিফ মিয়ার স্টলে ষাটের দশকের কবিরা আড্ডা দিতেন। তার পাশেই ছিলো গফুর মিয়ার দোকান। আমরা সত্তরের দশকের তরুণ কবি-লেখকেরা গফুর মিয়ার দোকানে আড্ডা দিতে শুরু করলাম। এখানে বসেই আমি-
‘মুজিব লোকান্তরে/মুজিব বাংলার ঘরে ঘরে’ শ্লোগানটি লিখলাম ।

পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে হায়দার ভাইয়ের ঝকঝকে হাতের লেখায় ফুটে উঠলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী শ্লোগান
‘মুজিব লোকান্তরে
মুজিব বাংলার ঘরে ঘরে’
পরবর্তীতে শ্লোগানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আজ যখন ভাবি, সেই দুঃসময়ের সাহসী এ কাজের কথা, তখন আবেগে উদ্বেলিত হই। কবিতার আবেগ আমাকে প্রবলভাবে সাহসী করে তুলেছিলে। হত্যার বিরুদ্ধে, মৃত্যুর বিরুদ্ধে, প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস জুগিয়েছিলে। ১৯৭৭ আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছি। বিভিন্ন গ্রন্থে কবিতাগুলো আছে। পরে কবিতাগুলি নিয়ে ‘টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা ও কলকাতা থেকে বইটি যৌথভাবে প্রকাশিত হয়েছে। বইয়ের শেষে কবিতা লেখার সময়কাল প্রেক্ষাপটের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আছে, যা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। আরও কিছু কবিতা লিখেছি পরে, যা এখনো গ্রন্থভুক্ত হয়নি। একটি গদ্য গ্রন্থ আছে, ‘বাঙালির বঙ্গবন্ধু’ নামে। তা ছাড়া, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিবেদিত কবিতার একটি সংকলনও আমি সম্পাদনা করেছি।

আমার প্রিয়, বিশেষ প্রিয় ‘টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে’ কবিতাটি। এটি ১৯৭৮ সালে লেখা। আমার সেই সময়ের শোক, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা আবেগ, প্রতিবাদ, ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা কবিতাটির পঙক্তিতে পঙক্তিতে মিশে আছে। এ কবিতাটি তখন আমি অনেক সমাবেশে পড়েছি। আমার ধারণা এটি সে সময়ে প্রতিবাদী বহু তরুণদের উদ্দীপ্ত করেছে। টুঙ্গিপাড়া তখন গ্রাম; জাতির পিতা ঘুমিয়ে আছেন সেখানে। প্রতীকীভাবে সেটিই আমাদের সবার গ্রাম। সেখান থেকে আমি সাহস, শক্তি খুঁজেছি।কবিতার শেষ ক'টি লাইন এরকম:
যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো
বাঙালির মহান জনক
তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয় কণ্ঠ
শৌর্য আর অমিত সাহস
টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো
তোমার সাহস নেবে
নেবে ফের বিপ্লবের মহান প্রেরণা।

কামাল চৌধুরী: কবি

Header Ad

নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে মহিম বাবু নামে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। মাহিম উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের গ্রামের খুকশিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে। শিশুটি গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিল।

স্বজনরা জানান, নিখোঁজের পর থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মাহিমের কোন সন্ধান পাওয়া যচ্ছিলো না। এরই এক পর্যায়ে রবিবার বিকেলে আনুমানিক ৪টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী নলেয়া নদীতে একটি শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠার খবর পান তারা। মাহিমের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি মাহিমের বলে শনাক্ত করে।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, পানিতে পড়ে শিশু মাহিমের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।

Header Ad

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা রেল লাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি। আর তা হবে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যমত্যের মাধ্যমে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা জানান।

নির্বাচন কবে হবে এই প্রশ্ন সবার মনেই আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে যাবে। তারপর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সমস্ত দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।

তিনি বলেন, একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেই নির্বাচন আয়োজনে আমাদের দায়িত্ব শেষ। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার আমাদের এই সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। আপনারাই আমাদেরকে এই ম্যান্ডেট দিয়েছেন। যে ছয়টি সংস্কার কমিশন আমরা শুরুতে গঠন করেছিলাম তারা ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশনের সুপারিশমালা অত্যন্ত জরুরি। তাদের প্ল্যাটফর্মে যান। আপনার মতামত খোলাখুলিভাবে তুলে ধরুন। আপনি দেশের মালিক। আপনি বলে দিন আপনি কি চান। কীভাবে চান।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের সকল বক্তব্য বিনাদ্বিধায় বলতে থাকুন। সবার মনের কথা তুলে ধরুন। আমার অনুরোধ সংস্কারের কথাটাও একই সঙ্গে বলুন। সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যাবেন না। নির্বাচনের কথা বলার সঙ্গে নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাটিও বলুন। সংস্কার হলো জাতির দীর্ঘ মেয়াদি জীবনী শক্তি। সংস্কার জাতিকে বিশেষ করে আমাদের তরুণ-তরুণীদের নতুন পৃথিবী সৃষ্টির সুযোগ দেবে। জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।

নির্বাচন আয়োজনে যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় রাজনৈতিক দলসমূহ এবং দেশের সব মানুষের মতামত অপরিহার্য সে কমিশন হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশমালার কোন অংশ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তার ভিত্তিতে নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে হবে। সমান্তরালভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে, বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আমি নিশ্চিত নই, সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের সুযোগ আমরা কতটুকু পাবো। তবে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই আমরা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করবো। ততদিন পর্যন্ত আমি আপনাদের ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ করবো। আমরা চাইবো, আমরা যেন এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারি যা যুগযুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে সাংবাৎসরিক রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত আপনারা নির্বাচনের রোডম্যাপও পেয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতিকে নীতির কাঠামোয় আনার জন্য, এবং রাজনীতির জন্য নতুন পরিবেশ সৃষ্টির নিবিড় আকাঙ্ক্ষা থেকে। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।

Header Ad

ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি

ছবি: সংগৃহীত

সদ্যঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থেকে ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ওই ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পর কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হলে কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ছয়জনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়া সাইফুল ইসলাম রিমন ও মাহাদী ইসলাম নিয়ন, জেন্ডার ন্যায্যতা ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সুকাইনা নাফিসা তরঙ্গ, সহ-পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন এবং সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রায়হান হোসেন।

গত ১৪ নভেম্বর ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট ঢাবি শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ কমিটিতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী এক শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই দিনই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ ও এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েলের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এই ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে
নখের পাশে চামড়া ওঠে কেন, করণীয় কী?
মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ প্রকল্পে ব্যয় কমলো ৭ হাজার কোটি টাকা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তাঁর স্বামীর পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত
বন্ধু ছাঁটাই করার দিন আজ
বিমানবন্দর থেকে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান গ্রেফতার
মাওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রেরণাদাতা: তারেক রহমান
ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উত্তরের জনপদে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নতুন প্রেমে মজেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার
ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা নাকচ করেছে ইরান
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ
পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৭ সেনা নিহত