শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি কতটা যৌক্তিক

মানবাধিকার আন্দোলনের ফসল যে বাংলাদেশ, সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখাটাই নাগরিক সমাজের কাজ। আমরা বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব।

২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার আগে মানবাধিকারের ধারণার গোড়ার কিছু কথা আলাপ সেরে নেওয়া যাক। ১৯৭৭ সালে কারেল ভাসেক মানবাধিকারকে তিনটি প্রজন্মে ভাগ করেন। ফরাসি বিপ্লবের স্লোগান দিয়ে এই তিন প্রজন্মকে চিহ্নিত করা হয়। ফরাসি বিপ্লবে ‘স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্বের স্লোগান তোলা হয়েছিল। প্রথম প্রজন্মের অধিকার হিসেবে স্বাধীনতাসম্পর্কিত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে চিহ্নিত করা হয়। আর্থসামাজিক সমতাসম্পর্কিত অধিকারগুলোকে দ্বিতীয় প্রজন্মের অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সবশেষে জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, পরিবেশগত অধিকার ইত্যাদিকে তৃতীয় প্রজন্মের ভ্রাতৃত্ব-সম্পর্কিত অধিকার হিসেবে চিত্রিত করা হয়।

অনেকেই মানবাধিকারের এই বিভাজনকে স্বীকার করতে চান না। ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন হিউম্যান রাইটস আয়োজন উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাব (৪৫/১৫৫) গৃহীত হয়। এই দলিলের প্রস্তাবনার ২য় অনুচ্ছেদে ঘোষণা করা হয় যে, ‘সব মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতাগুলো অবিভাজ্য এবং পরস্পর সম্পর্কিত’। যেমন, শিক্ষার অধিকার না থাকলে এবং ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকটাই অর্থহীন হয়ে পড়ে। আবার, ধরুন, যখন শিক্ষার অধিকার দেওয়া হয়, কিন্তু তথ্য পাওয়ার অধিকার থাকে না বা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার সুযোগ থাকে না, তখন শিক্ষার অধিকার সমাজ ও রাষ্ট্রের খুব বেশি মঙ্গল সাধন করতে পারে না।

পরিশেষে, অমর্ত্য সেনের ক্যাপাবিলিটি অ্যাপ্রোচের আলোকে বলতে হয়, নাগরিকের স্বাধীন জীবনের লক্ষ্য পূরণে তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনমানের যে উন্নয়ন বাংলাদেশ ঘটিয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি, এই উন্নয়ন সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে আরও প্রসারিত করতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কিছু ধারা নিয়ে নাগরিক সমাজের অনেকে আপত্তি তুলেছেন। আইনমন্ত্রী সেসব সংশোধনের ওয়াদা করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, এ বছর এই আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে।

অমর্ত্য সেন তার বিখ্যাত বই ডেভেলপমেন্ট অ্যাজ ফ্রিডম-এ (১৯৯৯) লিখেছেন, ক্যাপাবিলিটি অ্যাপ্রোচে স্বাধীনতার বিস্তৃতি একই সঙ্গে প্রাথমিক লক্ষ্য এবং মানব উন্নয়নের প্রধান উপায়। সুতরাং বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫-তে বর্ণিত মৌলিক চাহিদাগুলো মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত না হলেও অনুচ্ছেদ ৮ অনুযায়ী এ সব চাহিদা পূরণ ‘রাষ্ট্র ও নাগরিকদের কার্যের ভিত্তি’ হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে যত দ্রুত সম্ভব অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। যতক্ষণ না তা অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে, ততক্ষণ রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসেও নেই।

প্রাথমিক শিক্ষা প্রায় সব শিশুর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হয়েছে। শিক্ষাবিদদের অনেক দিনের দাবি ছিল একমুখী শিক্ষার। অবশেষে তা পূরণ হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী প্রায় ৩৫ কোটি বই পেয়েছে। এ বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ, যারা বিগত বছরের চেয়ে বেশি বই পাবেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, শিক্ষা, শিক্ষায় লিঙ্গসমতা আনয়নে, শিশুমৃত্যু এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমানো, ব্যাপক টিকা প্রদান ও ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশগত অধিকার রক্ষায় ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে এবং ক্ষতিপূরণে বাংলাদেশকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে। এ ভূমিকা আরও জোরদার করতে হবে।

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের গুরুত্ব একবিন্দু না কমিয়েও বলা যায়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার ছাড়া একটি সক্রিয় ও সৃজনশীল নাগরিক সমাজের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। শিক্ষার অন্যতম অনুষঙ্গ দেশপ্রেম—দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এই শর্তকে উপেক্ষা করে বাকস্বাধীনতার চর্চা করা সম্ভব কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার আরও প্রসারিত হোক এ আকাঙ্ক্ষা সব নাগরিকের। বিগত বছরে বিএনপি ১০টি বিভাগীয় সম্মেলন করেছে।

সংবিধানে প্রদত্ত রাজনৈতিক অধিকারগুলো তারা উপভোগ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা গঠনমূলক রাজনীতি করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এর বিকল্প নেই। এর অন্যথা হলে, বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। এর কিছু উদাহরণ ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি, যা অনভিপ্রেত। আমরা নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্কবিতর্ক দেখতে চাই, বিভাজন নয়, দেশমাতৃকার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা তো নয়ই। তা ছাড়া দেশের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু কমিশনের ওয়াদা করেছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, তারা তাদের কথা রাখবে। আশা করি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরকারকে এ ব্যাপারে সমর্থন দেবে এবং জনগণের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

ড. মিজানুর রহমান: সাবেক চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন

আরএ/

Header Ad
Header Ad

কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কেউ যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়, তবে দেশের মানুষ তাকে কঠোর হস্তে দমন করবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর পল্টন ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশ এখন একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে রমজানুল মোবারক উদযাপন করছে। অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলো সফল হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। ইসলামবিরোধী কোনো কালচারকে এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে একজন রূপান্তরিত পুরুষকে অদম্য নারী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া দেশের কৃষ্টি-কালচারের অবমাননা।

মামুনুল হক নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনি ব্যবস্থার শক্তিশালী করার দাবি জানান। এছাড়াও তিনি অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মাগফিরাত কামনা করেন।

ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২টি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের একমাত্র দীর্ঘতম নবনির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত H.E. MR. SAIDA SHINICHI Ges MR. ITO TERUYUKI, DIRECTOR GENERAL SOUTH ASIA DEPARTMENT, JICA প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো: আফজাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ঢাকা প্রকাশকে এ বিষয়টি জানান।

মাসউদুর রহমান বলেন- আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবে এবং ১১ টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে বেলা ১২ টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবে।

তিনি আরও বলেন- উদ্ধোধনের একদিন পর অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) গুণতে হবে যাত্রীদের।  যা উদ্বোধনের একদিন পর ১৯ মার্চ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক
সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা