বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মূল্যস্ফীতির অভিঘাত মোকাবিলায় উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে

আমরা করোনা ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। এবারে মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটের মতো সমস্যা এসেছে। প্রথম কথা হলো, কোভিড নেই—এ কথা আমরা পুরোপুরি বলতে পারব না। যদিও বাজেটে মনে করা হচ্ছে আমরা কোভিড থেকে পরিত্রাণ পেয়ে গেছি। যেখানে বাজেটটির নামই দেওয়া হচ্ছে কোভিড পরবর্তী বাজেট।

গণমাধ্যমের খবরে আসছে কোভিড সংক্রমণ আবারো বাড়ছে। কোভিড-বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি ও সব ধরনের সতর্কতা পালন করতে হচ্ছে। সুতরাং আমরা একেবারে নিশ্চিত হতে পারছি না। কোভিড থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু পুরোপুরি নয়।

এদিকে কোভিড পার হতে না হতেই নতুন অনেক সমস্যা এল। যেমন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধের আগেই যখন বিশ্বের সর্বত্র অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিছুটা বাড়তে শুরু করে তখন সরবরাহ ব্যবস্থায় একটা বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে পণ্য চলাচলের খরচ বেড়ে যায়। এর ওপর যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে সবকিছুরই দাম অসম্ভব রকম বেড়ে গেল। এর অভিঘাত আমাদের দেশেও পড়েছে। আমাদের দেশে জ্বালানি তেল শতভাগ আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যও আমদানি করি আমরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ অসম্ভব রকম হারে বেড়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর এর চাপ আরও অসমভাবে পড়েছে। কারণ কোভিডে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তারা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও আগের মতো তাদের অনেকেরই আয় নেই কিংবা সঞ্চয় যা ছিল তাও শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের অবস্থা সঙ্গিন। আর দরিদ্রের অবস্থা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।

চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলারের বাজার স্থিতিশীল করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা। প্রথম বিষয় হলো মূল্যস্ফীতি। এটিই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এটি ৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও সংখ্যা নিয়ে একটা বিতর্ক আছে। বাজারে যে পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি, তার সঙ্গে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। টিসিবির দৈনিক পণ্যমূল্যের তালিকা দেখলে দেখা যায়, কোনো কোনো নিত্যপণ্যের দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতির সরকারি হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

সবচেয়ে বড় বিষয়, এখনকার সমস্যাটা বিশ্বে কতদিন চলবে তা অনেকটা অনিশ্চিত। তবে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটা চলবে আরও কিছুদিন। বিশ্বের অনেক দেশই এখন মন্দার দিকে যাচ্ছে। একটা স্ট্যাগফ্লেশন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি কমবে। বলা চলে, একটা কঠিন অবস্থা তৈরি হতে পারে, যা বিশ্ব সত্তরের দশকের পরে দেখেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতিও ২০২৩ সাল জুড়েই চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকবে। এখান থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আইএমএফ তাদের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন ৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়েছে। বিশ্বব্যাংকও তার প্রাক্কলন কমিয়েছে। তাহলে আমরা যে ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মূল্যস্ফীতি বা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব করছি তা কিসের ভিত্তিতে করছি। আমরা যদি বলেই থাকি আমদানি মূল্যস্ফীতিই এখানে মূল, তাহলে সেটিই তো মূল্যস্ফীতির অনেকখানি নির্ধারণ করবে। আবার দেখুন, শুধু আমদানি মূল্যস্ফীতি নয়, দেশে উৎপাদিত পণ্যেরও দাম বেড়েছে।

আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনার এত দুর্বলতা এবং কিছু বাজারে একটা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এমন অন্যায়ভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়, সেটা ভোক্তাদের ওপর ব্যাপক আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়লে তারা সেটির দাম বাড়িয়ে দেন। আবার দেশীয় পণ্যেরও দাম আরেক দফা বাড়ে। এর কারণ হলো বাজারে সুশাসন নেই। আমদানীকৃত পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। সুতরাং বাজারে মূল্যস্ফীতির চাপ থাকবেই। অর্থমন্ত্রী ৫ দশমিক ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কীভাবে নির্ধারণ করেছেন তা একেবারে বোধগম্য নয়।

যদি মনে করা হয়, সারাবিশ্বে যাই হোক না কেন আমরা প্রবৃদ্ধি চালিয়ে যাব, এটা একেবারেই অমূলক। কারণ আমাদের অর্থনীতি এখন বিশ্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা তো বলছি, বিশ্বের সঙ্গিন অবস্থার কারণে আমাদের এখানেও তার প্রভাব পড়বে এবং সেটিই হয়েছে।

দ্বিতীয় বিষয় হলো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা যদি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই তাহলে প্রথম কাজ হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো। এক্ষেত্রে কিছুটা করছাড় দেওয়া গেলে মূল্যস্ফীতি একটু নিয়ন্ত্রণ করা যেত। সেখানে সম্পূর্ণ করছাড় দিচ্ছি না আমরা। মাত্র দু-একটা পণ্যের ওপর করছাড় দেওয়া হচ্ছে। ভোজ্যতেলের ওপর আগে কিছুটা কর কমানো হয়েছিল। কিন্তু খুব একটা সুবিধা হয়নি। আরেকটা বিষয় হলো, ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিনের দাম বাড়ার ফলে অনেকে কিন্তু পাম তেল ব্যবহার করছে। এর ওপর করছাড় হয়নি। তাই বাজেটের মধ্যে মোকাবিলার যে আর্থিক পদক্ষেপ তা দেখা যাচ্ছে না। ফলে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপটা থাকবে।

ড. ফাহমিদা খাতুন: নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি

আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া