শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘গরুপ্রেম দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইয়া হাঁটা দিই’

১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসে গরুকে জড়াইয়া ধরিবার নিদান দিয়াছে জাতীয় পশু কল্যাণ বোর্ড। প্রেম দিবসে যখন দিকে দিকে মানবজাতি ভার প্রেমাস্পদকে আলিঙ্গন করিবে, তখন দিকে দিকে গোপ্রেমী মানুষকে গরুকে জড়াইয়া ধরিতে দেখা যাইবে। আহা, এই দৃশ্য কল্পনা করিতেও কী ভালোই না লাগিতেছে। ওইদিন দেশের যাবতীয় গরুর খাটালে ভিড় জমিবে গোভক্তদের। তাহাদের আলিঙ্গন খুশি হইয়া গরুরাও চার পা তুলিয়া পাল্টা আলিঙ্গন করিবে। সব মিলিয়া তাহাতে কী প্রেমরসই না সিঞ্চিত হইবে। ভাবিয়া যারপর নাই পুলকিত হইতেছি।

এমনিতেই দেশে এক শ্রেণির মানুষ গোপ্রেমে অন্ধ। দেশের মানুষ না খাইতে পারুক, তো তাহাতে ওই গোপ্রেমীদের কিছু যায় আসে না| কিন্তু তাহারা গরুকে খাওয়াইতে ব্যস্ত থাকেন পথে রোজই এক ক্ষুদ্র মাঠে বাঁধা কিছু গরুকে খাদ্য ভক্ষণ করাইতে দেখি এক ব্যক্তিকে। তাহার পর গরুগুলোকে তিনি নমস্কারও করেন। তাহার হাতে বিস্কুট, কলার ঠৌঙা দেখিয়া পথের কিছু অভুক্ত শিশু ছুটিয়া আসে। কিন্তু ওই গোপ্রেমিককে ওই শিশুদের দিকে তাকাইতেও দেখি না। তাহার গরুপ্রেম দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইয়া হাঁটা দিই।

জাতীয় পশু কল্যাণ বোর্ডের ওই বিজ্ঞপ্তি দেখিয়া আপিসের পথে নিত্য দৃশ্যমান ওই গোপ্রেমীর মতো হাজার হাজার প্রেমিকপ্রবর দারুণ উল্লসিত হইয়াছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানিতে পারিলাম,পাড়ায় পাড়ায় গরুকে আলিঙ্গন করিবার মহোৎসব পালনের জন্য কমিটি গঠনের তোড়জোড় হইতেছে। বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবারের লোকজন এখন দারুণ ব্যস্ত। অনেক রাজ্যে এই প্রেম দিবসে এক শ্রেণির মানুষ প্রেমিক-প্রেমিকা পিটানোর জন্য মুখাইয়া থাকে। তাহাদের মতে, প্রেম দিবস নাকি ভারতীয় ঐতিহ্যের বিরোধী। তাই রাস্তাঘাটে, পার্কে যুবক যুবতী, মহিলা পুরুষকে একত্রে দেখিলেই ওই বীরপুংগবদের বীররস জাগিয়া ওঠে। এইবার পশু কল্যাণ বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি জারি হইবার পর তাহাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়া গিয়াছে। রাস্তায় যুবক যুবতীকে একান্ত দেখিলেই তাহাদের পিটাইতে হইবে। আবার গরুকেও আলিঙ্গন করিতে হইবে।

এমনিতেই এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দিলীপ ঘোষের মতো কিছু বিজেপি নেতা গরুর দুধে সোনা খুঁজিয়া পাইয়াছেন। কেহ কেহ আবার করোনাকালে গোমূত্র খাইলে তাহা সারিয়া যাইবে বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। কোথাও কোথাও তো গোমূত্র পান করিবার জন্য মণ্ডপ খাটাইয়া উৎসব হইয়াছিল। যোগীরাজ তো তাহার রাজ্যে গরুদের পেনশন দেবারও প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন গত ভোটের আগে।

তবে সবকিছুকে ছাপাইয়া গিয়াছে পশু কল্যাণ বোর্ডের ওই বিজ্ঞপ্তি। তাহাতে গরুকে ভারতীয় সংস্কৃতির মেরুদণ্ড বলা হইয়াছে। পশ্চিমা ভাবধারায় প্রভাবিত হওয়ার ফলে ভারতে নাকি বৈদিক সংস্কৃতি লুপ্ত হইতে বসিয়াছে। এমন কথাও বলা হইয়াছে।

আসলে কিছু একটা লইয়া মাতিয়া থাকিতে হইবে। আদানি গোষ্ঠীকে লইয়া যখন বিজেপি নানা প্রশ্নের মুখে, তখনই গরুকে আলিঙ্গন করিবার বাসনা পাইয়া বসিল কেন্দ্রের শাসকদলের। দেশে বেকার বাড়িতেছে, দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া। চারিদিকে শুধুই হাহুতাশ। তাহা হইতে দৃষ্টি ঘুরাইতেই এই গোপ্রেম কি না, কে জানে।

তবে আবারও বলিতেছি, ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবস, থুড়ি গো আলিঙ্গন দিবসে কী হইতে চলিয়াছে, তাহা ভাবিয়া আমার রাতের ঘুম ছুটিয়াছে। শুধু একটাই পরামর্শ, দেখিবেন, গরুকে আলিঙ্গন করিবার সময় সে যেন শিং বাগাইয়া গুঁতাইতে না আসে। সে গুঁতাইয়া দিলে আবার হাত পা ভাঙিয়া ঘরে বসিয়া থাকিতে হইবে। তখন আবার না কেহ নিদান দেয়, এক কাপ গোমূত্র পান করিলেই আপনার ব্যথা বেদনা সব দূর হইয়া যাইবে। যাই হউক, শুভ গো আলিঙ্গন দিবসের অনেক শুভেচ্ছা রহিল।

‘গো হাগ ডে’, তথা গোমাতাকে আলিঙ্গনের দিন। প্রেমদিবস বলে পরিচিত ১৪ ফেব্রুয়ারিকেই জাতীয় পশুকল্যাণ বোর্ড সেই গো-প্রেমের জন্য নির্দিষ্ট করেছে। বুধবার সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই টুইটার-ট্রেন্ড, ফেসবুক-হোয়াটসআ্যাপে পোস্ট থেকে ইনস্টাগ্রাম স্টোরির হাজারো তামাশাঁ- বৃহস্পতিবার দিনভর গো-হাগের সোহাগে মজে রইল নেটগাড়া। এমনিতেই এখন ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহ চলছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে দিয়ে তার শেষ হওয়ার কথা। তার মাঝে চর্চার এই নতুন খোরাক গেয়ে মেতেছেন নেট-নাগরিকেরা। ‘ভারতীয় সংস্কৃতির মেরুদণ্ড গরুকে বলে বিজ্ঞপ্তিতে গরুকে আলিঙ্গনের যুক্তি দেওয়া হলেও তাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য পাওয়া গিয়েছে, ‘কিন্ত গোমাতার এই আলিঙ্গনে সম্মতি রয়েছে কি না তা কী করে জানা যাবে?’ আর এক জনের টিপ্পনী, ‘অর্থনীতির যা অবস্থা, গোলাপ কেনার থেকে অন্তত গরুকে জড়িয়ে ধরা পকেট বাঁচাতে সহায়ক হবে।’ প্রবল ছড়িয়েছে প্রেমদিবসে ফের মুক্তি পেতে চলা টাইটানিক’-এর ডেকে গোমাতাকে হাজির করে কোনো শিল্পীর আঁকা কার্টুনও। কারও চিন্তা, ‘যদি গুঁতিয়ে দেয়?’

এমনকি পশ্চিমি দুনিয়া থেকে অনুপ্রাণিত ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তার উপর হিন্দুত্ববাদী বহু সংগঠনই বরাবর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কোনো অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেলে তা ‘ভারতীয় সংস্কৃতি’ রন বিরোধী বলে যুগলদের ‘সবক শেখানোর’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ বার গরুকে ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনে আবদ্ধ বলা হলে তারা কী করবে সেই কটাক্ষও ছুড়ে দিয়েছেন অনেকে। একটি ভিডিয়ো ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে, যাকে দেখা যাচ্ছে নেতাগোছের এ ব্যক্তি একটি গরু কাছে গিয়ে প্রণাম করতে চাইছেন এবং গরুটি পেছনের পা দিয়ে লাথি ছুড়ে দিচ্ছে। নেটপাড়ায় তা নিয়ে কটাক্ষ ভাসছে, ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠ হতে গেলে কিন্তু এমন শাস্তি অপেক্ষা করে আছে।’

গোরক্ষার নামে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন চল্লিশেরও বেশি ভারতীয়। সেই আশঙ্কাও সমাজমাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন অনেকে। অনেকের প্রশ্ন, একটি বিশেষ ধর্মে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রাণীকে কোনাে জাতীয় বোর্ড ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এভাবে বাড়তি গুরুত্ব দিতে পারে কি?

Header Ad
Header Ad

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান

ছবি: সংগৃহীত

নাসার পার্কার সোলার প্রোভ মহাকাশযান সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে সক্রিয় অবস্থায় থেকে ইতিহাস গড়েছে। সূর্যের চরম তাপ ও বিকিরণ সহ্য করে মহাকাশযানটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) এটি সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান থেকে সংকেত পাঠিয়েছে।

সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরত্বে পৌঁছেছে পার্কার সোলার প্রোভ। তুলনামূলকভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। নাসা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং এটি নিরাপদ রয়েছে।

সূর্যের কার্যপদ্ধতি, সৌরঝড়, এবং সূর্যের শক্তিকণা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’ কেন এত উত্তপ্ত, তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন।

মহাকাশযানটি ১,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সহ্য করেছে। এটি বিশেষ কার্বন ঢাল (১১.৫ সেন্টিমিটার) এবং তাপ সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। দ্রুত গতির জন্য এটি মহাকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে তার গতি বাড়ায়। পার্কার সোলার প্রোভ এত দ্রুত চলে যে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে এর সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

নাসার বিজ্ঞান গবেষণার প্রধান ড. নিকোল ফক্স বলেন, “সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ না করলে এর প্রকৃতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়।” মহাকাশযানটি ইতিমধ্যেই সূর্যকে ২১ বার প্রদক্ষিণ করেছে এবং প্রতিবার আরও কাছে পৌঁছাচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য মহাকাশযানটিকে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’-তে পাঠানো। করোনার উচ্চ তাপমাত্রার কারণ এবং সূর্যঝড়ের বিষয়ে নতুন তথ্য উদঘাটন করার প্রত্যাশা করছেন তারা।

ড. জেনিফার মিলার্ড বলেন, “করোনা এত উত্তপ্ত কেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি জানি না। আশা করি, এই মিশন রহস্যের জট খুলে দেবে।”

সূর্য এবং তার কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহে পার্কার সোলার প্রোভ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‌‘বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। একইসাথে ব্যাংক সেক্টরও আস্তে আস্তে সচল করছে। কিন্তু জাতির প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ও মাওলানা আজীজুর রহমান, জামায়াতের ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও নড়াইল জেলা শাখার আমিরসহ যশোর জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশকে নাকি তারা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়ে রোল মডেল বানিয়েছিল। অথচ এখন চারদিকে হাহাকার। মিল, ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা তাদের কর্মচারিদের বেতন দিতে পারছে না। সরকারি ইন্ডাস্ট্রি সব লেআউট হয়ে পড়ে আছে। সৎ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। সমস্ত ব্যাংক ফোকলা করে পেট খালি করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’

প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের রিজার্ভ বাড়ানো ও ব্যাংক সেক্টরকে সচল করার প্রশংসা করলেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য ও সিন্ডিকেট বিদ্যমান থাকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন আগুন, মানুষ পেট ভরছে আগুন দিয়ে’। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আগের সিন্ডিকেটগুলো এখনও ভাঙতে পারেনি সরকার। ক্ষেত্রবিশেষে সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে। একজন চাঁদাবাজি করে পেট ভরে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ এসে চাঁদাবাজিতে লেগে যাক সেটা আমরা চাই না। কিন্তু দেশ এখনও চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, জুলুমমুক্ত হয়নি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান নয়, সমতা নয়, ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে জামায়াত।’ তিনি বলেন, ‘অধিকারের জন্য কাউকে হাহাকার করতে হবে না। বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড সোজা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও দ্বিতীয় কোন চোখে দেখবে না সেই বিচারবিভাগ। ইনসাফ কায়েম করতে পারলে কাউকে অধিকার চাইতে হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে খুঁজে খুঁজে যার যার দায়িত্ব তার তার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’

দেশের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার। মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে যুবক-যুবতীরা দ্বারে দ্বারে চাকরির জন্য ঘুরছে, কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। শিক্ষার যে নৈতিক মান হওয়া, তা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে একেবারে বিদায় নিয়েছে।’

স্বৈরাচার হটানো আন্দোলনে সকল দলের শহীদ, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, জেল খাটা ও মামলার শিকার হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দুই হাজারেরও বেশি সন্তান বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাদের উন্মুক্ত পরিবেশ দিয়ে গেছে। তাদের রক্তের সাথে যেন আমরা বেইমানী, বিশ্বাসঘাতকতা, গাদ্দারি না করি। তারা বৈষম্য, দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ দিয়েছে। এখন যদি একই কাজ কেউ করেন, নিঃসন্দেহে তারা ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।’

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এক জটিল রাজনৈতিক সময় পার করছে। এই সময়ে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণে রাজনৈতিক কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের উপযোগী করতে হবে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন, জাতীয় সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের বারবার বলতে হচ্ছে, ‘এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে।’ কারণ, গণতন্ত্র চর্চা ছাড়া গড়ে ওঠে না। ১৯৭১ সালের সংগ্রাম এবং পরবর্তী গণতান্ত্রিক লড়াইগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “২০১২ সাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং হত্যা করা হয়েছে। তবুও আমরা থেমে নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা এখনও সোচ্চার।”

সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয় যে ‘বিএনপি সংস্কার চায় না,’ তা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার চাই এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনই হচ্ছে মূল দরজা। ১৯৯৬ সালের কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারই উদাহরণ।”

তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে উঠে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক তাত্ত্বিক নই। আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করেছি। জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন বা পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

অতীতের সংগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপরে গণতান্ত্রিক লড়াইগুলোর আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের চেতনা ধারণ করেই আমাদের ভবিষ্যতের পথ রচনা করতে হবে।”

তিনি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। জনগণই সব পরিবর্তনের মূল শক্তি।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন