বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জেলা প্রশাসকদের দায়িত্বশীল হতে হবে

আমি মনে করি, ডিসি সম্মেলন একটি ভালো উদ্যোগ এবং সম্মেলনটি প্রতিবছরই হয়ে থাকে। এটি সরকারের একটি নিয়মিত কর্মসূচি। কাজেই এটি নিয়ে আলাদা করে অর্থাৎ বিশেষভাবে বলার কিছু নেই। এই সম্মেলনগুলো মূলত পুলিশের ক্ষেত্রে, ডিসিদের ক্ষেত্রে এ রকম বিভিন্ন ক্ষেত্রেই প্রতিবছর হয়ে থাকে। সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ও মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে একটি যোগসূত্র স্থাপিত হয় এবং এর মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারকরা সরকারের বিভিন্ন নির্দেশাবলি জেলা প্রশাসকদের জানাতে পারেন।

এক্ষেত্রে সরকারের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর মনোভাব প্রদর্শন এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসন শক্তিশালী হলে বিভিন্ন সেবা পেতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয় বটে, কিন্তু এতে দুর্নীতির সুযোগ কম থাকে। স্থানীয় প্রশাসনকে জনমুখী করার লক্ষ্যে আমলাতন্ত্রের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতাবান করার সরকারি উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা লক্ষণীয়।

এসব দিক বিবেচনায় প্রতিবছরই ঘটা করে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত ও তা সমাধানে সুপারিশ উত্থাপনের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয় তা হলো, মুখে বলা মাত্রই কিন্তু সমস্যাগুলোর সমাধান একবারে হয়ে যায় না। সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সেসবের যাচাই বাছাই ও পর্যালোচনা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এবারের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রায় ২৫টির মতো নির্দেশনা এসেছে দেখেছি। অনেকগুলো টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনের সঙ্গে জড়িত এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভবপর বিষয়গুলো সমাধানের একটি চেষ্টা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে করা হয়।

কাজেই আমাদের এমনটি আশা করা ঠিক হবে না যে, কোনো কিছু চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তার সুফল পেয়ে যাব।এখানে আইনগত বিষয় আছে। দ্বিতীয়ত আর্থিক বিষয় আছে। দুর্নীতি রোধ, এ রকম বেশকিছু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন আছে। যেগুলো পর্যালোচনাসহ যাচাই বাছাই করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছাড়াও এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা জেলা প্রশাসকদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। স্থানীয় প্রশাসন চালাতে এগুলো তাদের সাহায্য করে এবং করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। জেলায় সরকারের মুখপাত্র জেলা প্রশাসকরাই মুখ্য দায়িত্ব পালন করেন।

সেক্ষেত্রে ডিসিদের এই বৈঠক সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এবারের ডিসি সম্মেলনে সরকারের পরিকল্পনা বা ইশতেহার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি। দেশে মাঠ পর্যায়ে নানা ধরণের সমস্যা আছে। তারা সেগুলো তুলে ধরতে পারেন। দেশ জুড়ে ডিসিদের মাধ্যমেই সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয় বলে ডিসি সম্মেলন নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। ডিসিরা কাজ করতে গেলে যেখানে বাধাপ্রাপ্ত হন সেখানেই তারা কিছু প্রস্তাব পাঠান। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার পর কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সরকার দেশের কল্যাণ বয়ে আনে বলে বলে আমি মনে করি।

ড.আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব

Header Ad
Header Ad

৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তন ঘটে। এসময় পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি ৭০০ অপরাধীকে, যাদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গিও রয়েছে। এ ছাড়া, দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রতিটি ঘটনাকে আলাদাভাবে পর্যালোচনা করে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার সংস্কার দরকার জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে, এগুলো দ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কোনো আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর আর কোনো দায় থাকে না কারা কর্তৃপক্ষের। কোনো কয়েদিকেই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আর যারা ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য, তাদের তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্যে উঠে আসে, ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের আগে ও পরে বিভিন্ন কারাগার থেকে ২২শ’ আসামি পালিয়ে যায়, যাদের ১৫শ’ জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৭০ জন ফাঁসি ও আলোচিত মামলার আসামি এখনও পলাতক।

এদিকে, কারারক্ষী কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Header Ad
Header Ad

ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি

পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই এই চিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি দেশে আসছে।

কয়েক দশক পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনলো ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।

গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।

থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করেছে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চলা গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে। এ সময় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে এজলাসে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়রকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের।

গত ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে আদালতে এদিন হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে কামরুল ইসলামকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

এরও আগে গত ৬ নভেম্বর পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমুকে গ্রেপতার করে ডিবি পুলিশ। একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ
ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ