শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ | ১৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পক্ষপাতদুষ্ট

সুষ্ঠু নির্বাচনের সবচেয়ে বড় বাধা হলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষপাতদুষ্টতা। একটি নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশীজন থাকে। এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না তা নির্ভর করছে এ সব অংশীজন অথবা স্টেক হোল্ডারের উপর। জনগণের ভোটেই নির্বাচন হওয়া উচিত। জনগণের মতামতই প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমাদের আশা সেটিই। একইসঙ্গে এই নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের হতাশাও আছে।

জনগণের মতামত প্রতিফলিত হওয়ার ক্ষেত্রে কতগুলো প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কিংবা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের একটি হলো নির্বাচন কমিশন অন্যটি হলো সরকার। সরকার মানে প্রশাসন অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার ও নির্বাচন কমিশন স্বার্থপর হয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না হয়ে যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, যদি কোনো দলের প্রতি অনুগত হয়, তখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ফলাফলকে ভণ্ডুল করতে পারে। আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনমনীয়তা দেখাচ্ছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং করছেন। আমার কথা হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা আছেন, তারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন নিশ্চিত করতে পারে, আবার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধাও সৃষ্টি করতে পারে।

জনগণের মতামত বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে নাগরিক সমাজ। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ তাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। তারা জেনে শুনে বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার কথা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তারা যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, কোনো দলের পক্ষে যদি তাদের অবস্থান হয়, তাহলে কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তেমনিভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর হবে না। সেক্ষত্রে জনগণের মতামত কার্যকর হবে না।

আমাদের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর থেকে নির্বাচন কমিশনে দলীয়করণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন রকম কৌশলের মাধ্যমে। সেই কৌশলের মাধ্যমে পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বহু কথা বলা যায়। তারা সম্প্রতি যে ধরনের কর্মকাণ্ড করছে সেটি দুঃখজনক। ইভিএম নিয়ে যদিও ব্যাপক জন অসন্তোষ আছে। তাদের ভাষা এরকম যে, সবার অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন তাদের দায়িত্ব নয়। তাদের দায়িত্ব হল, ইচ্ছুক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন করা। এটিতো কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন মানেই হচ্ছে বেছে নেওয়া। নির্বাচন কমিশন তাদের রোডম্যাপের মাধ্যমেই তারা যে সবার অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে চায় না, এটি সুস্পষ্ট। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চরম পক্ষপাতদুষ্ট এবং আমাদের ২০১৮ সালের নির্বাচনে মধ্যরাতে যে ভোট হয়েছে, এই মধ্যরাতের ভোটের সবচেয়ে মূল ভূমিকা পালন করেছে নির্বাচন কমিশন। যেগুলো হচ্ছে আমাদের পরবর্তী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথে বাধা। এইসব বাধা দূর করতে না পারলে সমস্যা হবে এবং এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কখনো দেশ ও জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।

বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

আরএ/

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

ফাইল ছবি

এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে, তাহলে ঈদের জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সভায় জানানো হয়, যদি আবহাওয়া ভাল থাকে, তবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত আয়োজন করা হবে। কিন্তু, যদি আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে, তাহলে ঈদ জামাত বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, যদি আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে ওঠে, তবে ঈদের জামাতের স্থান পরিবর্তন করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, এসএসএফ, ডিএমপি কমিশনার, আবহাওয়া অধিদপ্তর, স্পারসো এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হবে।

কমিটি নির্ধারিত সময়ের আগে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম মসজিদে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেবে।

এছাড়া, এবার প্রধান জামাতের প্রথম কাতারটি গত বছরের তুলনায় দীর্ঘ করা হবে যাতে ভিআইপিরা প্রথম কাতারে দাঁড়াতে পারেন। ঈদগাহ মাঠে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান

সন‌্জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি সংস্কৃতির প্রখর আলো ছড়িয়ে যাওয়ার এক অমূল্য প্রতীক, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন‌্জীদা খাতুন তার জীবনাবসানের পরও বাঙালির জন্য এক মহান দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল দেহ দান, যা অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে।

তার মৃত্যুর পর, সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ জানিয়েছেন, “এটি ছিল সন‌্জীদা খাতুনের ২৭ বছর আগের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা, তার পরিবার, মরদেহ দান করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি এবং আজকের দিনে (বৃহস্পতিবার) মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।”

এমন একজন কিংবদন্তি, যিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্যের জন্য কাজ করেছেন, সন‌্জীদা খাতুন ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। গানে গানে, সুরে সুরে তিনি বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন‌্জীদা খাতুন। মৃত্যুর পর, সেদিন রাতে তার মরদেহ রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। পরের দিন, বুধবার দুপুরে তার কফিন ছায়ানট ভবনে নেওয়া হয়, যেখানে গানে গানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এরপর, তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, যেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরবর্তীতে, সন‌্জীদা খাতুনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয় এবং সেখানে শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানান।

বৃহস্পতিবার, সন‌্জীদা খাতুনের পরিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এটি তার শেষ মহৎ কর্ম, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার

গ্রেফতার জাকিরুল। ছবি: সংগৃহীত

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জাকিরুল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বইল গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার আলীর ছেলে। তিনি কামদিয়া ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, জাকিরুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এবং তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের নজরে ছিলেন।

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল বলেন, "জাকিরুলকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারছি না। এ ঘটনায় আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান
গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার
কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ এক নারী পোশাককর্মীর
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের কোমরে মিলল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার স্বর্ণ
জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে: বিষ্ণোইয়ের হুমকি প্রসঙ্গে সালমান খান
গুলশানে কয়েদির বেশে দেখা মিলল আফরান নিশোর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এখন থেকে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ’
পিএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেলেন লিটন-নাহিদ-রিশাদ
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো মার্চে
ব্যাটারিচালিত ভ্যানে শোডাউন দিয়ে নিজ এলাকায় আখতার হোসেন
আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এবার এমপি পদ ফেরত চাইলেন হিরো আলম
মেসিকে বিশ্বকাপ নিয়ে বিরক্ত না করার অনুরোধ স্কালোনির
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলেন ট্রাম্প
মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না, সেটা দলীয় বিষয়: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের বডিগার্ড পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ১
ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও জুনে চলে যায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর