বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিড়ম্বনা ও বৈষম্য নিরসনের মাইলফলক হতে পারে মেট্রোরেল

অনেক প্রতীক্ষার পর মহানগরী ঢাকাতে মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হয়েছে। বিলম্বে হলেও এটি আমাদের জন্য একটি আনন্দের খবর। মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। যানজট নিরসনের পাশাপাশি জনমানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আংশিক হলেও সুন্দর ও সহজ হলো।

গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা সবসময়ই আমরা লক্ষ্য করেছি। এখানে সেবার মান নিয়েও নানা প্রশ্ন  আছে। সেক্ষেত্রে মানুষের বিড়ম্বনা ও বৈষম্য নিরসনের মাইলফলক হতে পারে মেট্রোরেল। 

এটি যথাযথভাবে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে নগরীর সাধারণ মানুষ সুফল পাবেন। আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। মেট্রোরেল ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সেই পথে আরও এক ধাপ অগ্রসর হলাম এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

বহিঃবিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাহিদা অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু ঢাকায় যাত্রীদের ঘিরে এর অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মেট্রোরেল পরিকল্পিতভাবে করতে না পারলে ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্টেশনের কাছে ছোট পরিবহন পৌঁছার ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। আবার স্টেশনে নেমে যাতে সেখান থেকেই গন্তব্যে যেতে পরিবহন পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। 

যদি স্টেশনে নেমে গাড়ি পেতে অনেক দূর যেতে হয়, তাহলে গণপরিবহন ব্যবস্থার সেই উন্নয়নকে সার্বিকভাবে কার্যকর বলা যাবে না। স্টেশনের কাছে যাতে ছোট পরিবহন দাঁড়াতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত স্থান রাখতে হবে। এটা করা না গেলে যাত্রী ক্ষুব্ধ হবেন। নিচের সড়কেও যাতে যানজট না হয়, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সার্বিক বিষয়ে নিবিড় নজরদারির মাধ্যমে বসবাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলা সম্ভব।

আমাদের কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সরকার সরাসরি সেবা দিতে পারে না। পাটকল, রেল ও বিমান খাতের দিকে তাকালে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান সরাসরি পরিচালনার দায়িত্ব নিলে তা টেকসই হয় না। এ জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে ছেড়ে দিলে মেট্রোরেলের সুফল বেশি আসবে। সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্তরা অবহেলার সুযোগ খোঁজেন। স্টেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম দেখা যায়। মেট্রোরেলের স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং নামার পর গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব একসঙ্গে দিতে পারলে ভালো হতো। মেট্রোরেলের ভাড়া সহনশীল রেখে এটিকে আমজনতার বাহনে রূপ দেওয়া দরকার। তাই তাদের কথা চিন্তা করে ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত। 

প্রসঙ্গত বলতে চাই যে, একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করাই শেষ কথা নয়। সেটি সঠিকভাবে পরিচালনা করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রসঙ্গত, হাতিরঝিল প্রকল্পটি আমার করা ছিল। কিন্তু কাজটি হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটিকে পরিচ্ছন সুন্দর জনবান্ধব রাখার যে প্রচেষ্টা, সেখানে ঘাটতি দেখা যায়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পানিশোধনসহ সকল কাজের জন্য লোক আছে। এরা বেতনও নিচ্ছে কিন্তু দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। সঠিক মনিটরিং হচ্ছে না। কাজেই আমি মনে করি, সার্ভেভিত্তিক ও টেকসই জনমুখী উন্নয়ন জরুরি। 

ড. শামসুল হক: গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ; অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪