মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শান্তির জন্য সুশিক্ষার বিকল্প নাই

আসন্ন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ আমাদের জন্য নতুন আশা, শান্তি,সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসুক আজকের দিনে এটিই আমাদের কামনা। বর্তমান সময়টিতে যে সংকটের মাঝে দিয়ে আমরা অতিক্রম করছি, বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, সারা পৃথিবীর মুদ্রাস্ফীতি, জলবায়ুর নানা পরিবর্তন কাটিয়ে উঠার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে নেতাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং পৃথিবীবাসীর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনকালে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে তার নেতা-কর্মীদের বলেছেন। আজকের পৃথিবীকে শান্তির পৃথিবী হিসেবে আমরা দেখতে চাই। শান্তির জন্য সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। “Education breeds confidence. Confidence breeds hope. Hope breeds peace.”

আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ তারিখে জাতিসংঘ সদস্যপদ গ্রহণ করতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতেও তিনি বড় দেশগুলোকে অস্ত্রপাচার বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজকের পৃথিবীকে শান্তির পৃথিবী হিসেবে আমরা দেখতে চাই। শান্তির জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সারাজীবনই বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করে গেছেন এবং সেখানে শিক্ষাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। শান্তি নিকেতনের সার্বিক কার্যক্রম তারই প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ একজনের জন্য আমাদের অতিদ্রুত স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম প্রবর্তন করা জরুরি।

একটি স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের মাঝে দিয়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠবে তারাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম। একটি স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের মাঝে দিয়ে যে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে তারাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট সিটিজেন। এই স্মার্ট সিটিজেনের মাঝে থেকেই আমরা পাবো জনপ্রতিনিধি, আমলা বিভিন্ন পেশার মানুষ যারা স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলবেন। এই স্মার্ট নাগরিকদের থেকেই কেউ কেউ উদ্যোক্তা হবেন, শিক্ষক হবেন, শিল্পপতি হবেন এবং তারা স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলবেন।

কৃষিক্ষেত্রে কার্যক্রম যখন সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে তখন আমাদের সমাজ আরও সুন্দর হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমার মনে হয়, সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষের কথা বলেছিলেন, আমাদের আজ সেই সোনার মানুষ গড়ার প্রয়োজন। যারা সত্যিকার অর্থেই সৎ, দেশপ্রেমিক, স্মার্ট নাগরিক অর্থই হবে, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ একজন দেশপ্রেমিক এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক একজন নাগরিক। যিনি প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জীবন যাপন করবেন এবং দেশবাসীর কল্যাণে নিয়োজিত থাকবেন। উৎসর্গচিত্তে কখনো পিছু পা হবেন না। সময়ের বিবর্তনে, সমাজের নানা পরিবর্তনে এটি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু পরিবর্তনকে মানবকল্যাণে যুক্ত করাই হচ্ছে, একজন স্মার্ট নাগরিকের দায়িত্ব।

মানুষ সবসময়ই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় নিজেকে যুক্ত করতে চায়। আজকের বাংলাদেশে নানামুখি চ্যালেঞ্জ আমরা লক্ষ্য করি। আমরা সাড়ে ষোল কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অসম্ভব কিছু হবে না। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ শুধু বাংলাদেশের জনগণকে নয়, সারা পৃথিবীর মানুষকে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করবে এটিই হলো নতুন বছরে আমার প্রত্যয় ও বাসনা।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad
Header Ad

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়নি এবং এখনো কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জামায়াত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে কারো শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি নির্ধারিত হতো। তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে জাতি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যদি সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শাসন জাতির ওপর এত শক্তভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য প্রকাশ করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতার মূল নীতি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসন এই নীতিকে ব্যাহত করেছিল, যার কিছু প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী