শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শান্তির জন্য সুশিক্ষার বিকল্প নাই

আসন্ন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ আমাদের জন্য নতুন আশা, শান্তি,সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসুক আজকের দিনে এটিই আমাদের কামনা। বর্তমান সময়টিতে যে সংকটের মাঝে দিয়ে আমরা অতিক্রম করছি, বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, সারা পৃথিবীর মুদ্রাস্ফীতি, জলবায়ুর নানা পরিবর্তন কাটিয়ে উঠার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে নেতাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং পৃথিবীবাসীর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনকালে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে তার নেতা-কর্মীদের বলেছেন। আজকের পৃথিবীকে শান্তির পৃথিবী হিসেবে আমরা দেখতে চাই। শান্তির জন্য সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। “Education breeds confidence. Confidence breeds hope. Hope breeds peace.”

আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ তারিখে জাতিসংঘ সদস্যপদ গ্রহণ করতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতেও তিনি বড় দেশগুলোকে অস্ত্রপাচার বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজকের পৃথিবীকে শান্তির পৃথিবী হিসেবে আমরা দেখতে চাই। শান্তির জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সারাজীবনই বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করে গেছেন এবং সেখানে শিক্ষাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। শান্তি নিকেতনের সার্বিক কার্যক্রম তারই প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ একজনের জন্য আমাদের অতিদ্রুত স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম প্রবর্তন করা জরুরি।

একটি স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের মাঝে দিয়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠবে তারাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম। একটি স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের মাঝে দিয়ে যে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে তারাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট সিটিজেন। এই স্মার্ট সিটিজেনের মাঝে থেকেই আমরা পাবো জনপ্রতিনিধি, আমলা বিভিন্ন পেশার মানুষ যারা স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলবেন। এই স্মার্ট নাগরিকদের থেকেই কেউ কেউ উদ্যোক্তা হবেন, শিক্ষক হবেন, শিল্পপতি হবেন এবং তারা স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলবেন।

কৃষিক্ষেত্রে কার্যক্রম যখন সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে তখন আমাদের সমাজ আরও সুন্দর হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমার মনে হয়, সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষের কথা বলেছিলেন, আমাদের আজ সেই সোনার মানুষ গড়ার প্রয়োজন। যারা সত্যিকার অর্থেই সৎ, দেশপ্রেমিক, স্মার্ট নাগরিক অর্থই হবে, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ একজন দেশপ্রেমিক এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক একজন নাগরিক। যিনি প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জীবন যাপন করবেন এবং দেশবাসীর কল্যাণে নিয়োজিত থাকবেন। উৎসর্গচিত্তে কখনো পিছু পা হবেন না। সময়ের বিবর্তনে, সমাজের নানা পরিবর্তনে এটি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু পরিবর্তনকে মানবকল্যাণে যুক্ত করাই হচ্ছে, একজন স্মার্ট নাগরিকের দায়িত্ব।

মানুষ সবসময়ই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় নিজেকে যুক্ত করতে চায়। আজকের বাংলাদেশে নানামুখি চ্যালেঞ্জ আমরা লক্ষ্য করি। আমরা সাড়ে ষোল কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অসম্ভব কিছু হবে না। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ শুধু বাংলাদেশের জনগণকে নয়, সারা পৃথিবীর মানুষকে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করবে এটিই হলো নতুন বছরে আমার প্রত্যয় ও বাসনা।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনার পর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে একাধিকবার গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে আতঙ্কিত ভারতীয়রা বাঙ্কার পরিষ্কার ও প্রস্তুত করে সেগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, জম্মু-কাশ্মিরের পুঞ্চ বিভাগে পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত। বিশেষ করে সালোত্রি গ্রামে গোলাগুলির পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এখানকার বাসিন্দারা সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে মাটির ১০ ফুট নিচে তৈরি শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ বাঙ্কারগুলোতে আশ্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তানি সেনারা ছোট অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনারাও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সালোত্রির এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা সীমান্ত এলাকায় বাস করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের জন্য যেসব বাঙ্কার নির্মাণ করেছেন, সেগুলো খুবই শক্তিশালী ও নিরাপদ। এ ধরনের হামলার সময় আমরা এসব বাঙ্কারে আশ্রয় নিই।"

তিনি আরও বলেন, "পেহেলগামে নিরীহ হিন্দু ভাইদের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত কাপুরুষোচিত। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া প্রয়োজন। ভারতীয় সেনারা জবাব দেবে, আর আমরা নিরাপদ স্থানে থেকে প্রস্তুত থাকবো।"

উল্লেখ্য, কারগিল যুদ্ধের সময় হুন্দারমান গ্রামের ২১৭ বাসিন্দা একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা এখনো সেই বাঙ্কারটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তবে সালোত্রি গ্রামে তখন কোনো বাঙ্কার ছিল না। বর্তমানে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য নিজ গ্রামেই নিরাপদ বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো