শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

'বাংকারের ভেতর কত সোনা গহনা দামী দামী জিনিস পড়েছিল'

বীরাঙ্গনা ললিতা নমশুদ্রের দুর্বিষহ জীবন

ললিতাদের বাড়িতে যেতে হলে আগে সিলেট যেতে হবে। সিলেট থেকে যেতেই বারটা বেজে যায়। প্রথমে ঘন্টা দুই গড়িতে করে যাই। রাস্তা বেশ ভাল। রাস্তায় নেমে চা নাস্তা খেয়ে আবারও রওনা দিলাম। পিচ করা রাস্তা। কোথাও একটুও ভাঙ্গা নেই। বুঝাই যাচ্ছে, নতুন করেছে রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে বড় বড় পুরনো গাছ ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেইসব ডালপালা পাতার ছায়ায় ঝলমল আলোর মাঝে বেশ লাগছে সামনে দেখতে। গাড়িও চালাচ্ছে ভাল। আর রাস্তার দু’পাশে যত দূর চোখ যায় সবুজসহ নানান ধরনের সবজি ক্ষেত দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে একটা চমৎকার সময় পার করছি। ঘন্টা দুই দেখতে দেখতে চলে গিয়েছে। হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার সাহেব বললেন, এখন নামতে হবে। কেন? গাড়ি আর যাবে না। আমরা গাড়ি থেকে নেমে মিনিট পাঁচেক হাটার পর দেখি নদী। এই নদী পার হতে হবে। নৌকা একটা ভিরে গিয়েছে। আর একটা নৌকা ঐপারে। আমরা ঘাটে দাঁড়িয়ে আছি। নদীর মৃদু বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গিয়েছে। এমন সময় চোখ পড়েছে একটা চায়ের দোকানের দিকে। গেলাম সেই দোকানে। দোকানে আরও বেশ ক’জন দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। বিস্কুট, কলাসহ টুকটাক আরও কিছু আছে দোকানে। কিন্তু চা’য়ের সঙ্গে বিস্কুট আর কলা চলছে বেশি। দোকানদারের কাছে আমরাও একটা চা চাইলাম। দোকানদার খুব দ্রুত কমপক্ষে আট দশ রকমের নাম বলে ফেলেছেন। অনেক রকমের চা প্রতিদিনই বানায়। আমরা খেতে খেতে নৌকা ঘাটে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা নৌকায় উঠি। নদী পার হয়ে অটোতে করে আবার কিছুদূর যাওয়ার পর নেমে হাঁটতে থাকি। এবার হাঁটা ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা নেই। ঘন্টাখানেক হাঁটার পর পৌঁছাই একটা ছোট বাজারের রাস্তার ওপর। সেখানে বসে আবার চা খেয়ে কিছুদূর হাটার পর ললিতাদের বাড়ি পৌঁছালাম। গিয়ে দেখি, যে ললিতার খোঁজে এসেছি এটা সেই ললিতা নয়। আমরা ভুল করে অন্য গ্রামে চলে এসেছি। তখন আবার ফিরে যাই ললিতার খোঁজে। অনেক খোঁজার পর আসল ললিতার খোঁজ পেলাম।

ললিতা থাকেন একটি বস্তিতে। বস্তিটা বেশ বড়, এক-দেড়শ পরিবার থাকে। বস্তির পরিবেশটা খুবই খারাপ। ঐ বস্তিতে ছোট মাঝারি সাইজের বাচ্চা ৮০/৯০ টিরও বেশি হবে। সব বাচ্চাই অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের জামা কাপড় খুবই নোংরা। প্রতিটি ঘরই নোংরা, ময়লায় ভর্তি। সেই ময়লা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এক কথায় বলা যায়, মানুষ থাকার মতন না। আমরা গিয়ে দেখি, ললিতা রান্না করছে। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য একজনকে বললেন তার রান্নাটা দেখার জন্য। ললিতা আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলছেন। তিনি নিজে থেকেই বলছেন, এখানে বসে কথা বলা যাবে না। একে তো সবসময় বাচ্চাদের কান্নাকাটি লেগেই থাকে, অনেক বাচ্চা তো, তাই একটা বাচ্চা কান্না থামালে আরেকটা বাচ্চা কান্না শুরু করে দেয়। কেউ তো আর তাদেরকে আদর করে থামাতে আসবে না। একবার কান্না শুরু করে দিয়েছে তো কান্না করতেই থাকে, কে কাকে থামাবে সারাদিন। কান্না করতে করতে কাহিল হয়ে গেলে তখন সে নিজে থেকেই থামে। এরই মধ্যে ললিতা ইশারা দিলেন তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা খালি জায়গা। সেখানে লোকজন নেই। কিন্তু একটু দূরেই শত শত কয়লার গাড়ি। কয়লা উঠানামা করছে। তাই ঐখানে বসে কথা বলা সম্ভব হ’ল না। ললিতা তখন অন্য একটা জায়গায় নিয়ে গেলেন। ঐখানের জায়গাটা ভাল, ভাল পরিবেশ আছে। কিন্তু যাকে বলে কাঠ ফাটা রোদ। নেই কোন বাতাস। কি আর করা, সুযোগ খুঁজতে খুঁজতে আমাদের সময় চলে যাচ্ছে। কড়া রোদ, সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, কোন দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ঝলমল রোদ এসে চোখে ধাক্কা দিচ্ছে আর ঘেমে, ভিজে চুপচুপ। তার পরও ললিতার সঙ্গে কথা শেষ করিনি__

আমার নাম ললিতা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স আনুমানিক ১৩/১৪ বছর। আমার জীবনে খুব কম সময়ই কেটেছে সুখে। বিয়ের আগের দিনগুলোই ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। যখন ছোট ছিলাম তখন তো কিছুই বুঝতাম না। যখন থেকে বুঝতে শুরু করেছি, তখনকার দিনগুলো ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের। আমাদের তেমন ধনসম্পদ, অর্থ ছিল না। কিন্তু অনেক সুখের ও সুন্দর ছিল জীবনটা। আমাদের ছিল যৌথ পরিবার। আমার কাকা ছিল সাতজন আর পিসি ছিল আট/নয়জন, সঠিক মনে নেই। ঠামির ঘরে মোট ১৫ জন সন্তান জন্মেছিল। মরতে মরতে বড় হয়েছিল পাঁচজন। তার মধ্যে তিনজন ছিল পিসি আর ২ জন বাবা আর কাকা। ঠামি আমাদেরকে অনেক আদর করতেন। আমরা একটু বড় হতে না হতেই ঠামি আমাদের সবাইকে তার সঙ্গে রাখতেন। রাতে ঘুমানো থেকে শুরু করে ঠামি যখন যেখানে যেতেন তখন সেখানেই তাঁর সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। রাতে ঘুমানোর সময় ঠামি প্রতিদিনই কত সুন্দর গল্প শোনাতেন। শ্লোক দিয়ে দিয়ে কথা বলতেন। কত মজার মজার কথা বলতেন। মোট কথা ঠামির সঙ্গে থাকার সময়টা খুব উপভোগ করতাম। এমন করে ঠামি গল্প বলতেন যে, হাসির গল্প হলে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যেতো। আর কষ্টের গল্প হলে নিজের অজান্তে চোখের জলে বালিশ ভিজে যেতো। শব্দ হবে দেখে ডুকরে ডুকরে কাঁদতাম। তারপরও শুনতে চাইতাম। যদি গল্প বলা বন্ধ করে দিতেন তাহলে কান্না কান্না কন্ঠে সবাই এক সঙ্গে চিৎকার করে না, না বলে উঠতাম। তখন ঠামি আস্তে আস্তে মধুর সুরে বলতেন, বাহিরে কারা যেন কান্না করছে তা শুনে আমি গল্প ভুলে গিয়েছি, এই জাতীয় কিছু বলে আমাদেরকে শান্ত করে দিতেন।

শুধু ঠামি না। আমাদের বাড়ির পরিবেশটাই ছিল খুব সুন্দর। বাড়ির সবার সঙ্গে সবার ভাল সম্পর্ক ছিল। সবাই সবাইকে সম্মান করতেন, ভাল কথাবার্তা বলতেন। গল্প, হাসি-ঠাট্টা করতো কাজের ফাঁকে ফাঁকে। এগুলো ছিল বলেই জীবনটা সুন্দর ও মধুময় ছিল। বাড়িতে যদি কারো বিয়ে বা পূঁজো হতো তখন যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। আমাদের বাড়ির এমন আনন্দ উল্লাস দেখে আশপাশের বাড়ি থেকেও লোকজন এসে যোগ দিতেন। আমাদের পুরো গ্রামেই ছিল হিন্দু। কোন মুসলমান ছিল না আমার জানামতে।

১৯৭১ সালের যুদ্ধের অনেক আগেই আমার বিয়ে হয়েছিল। আসলে তখন বা এখন কত বয়স তা বলতে পারবো না সঠিক করে। তখন কি বয়স হিসাব করে রেখেছি না-কি। আমার তো মনে হয় আমার মা-ও সঠিক করে বলতে পারবে না আমার সঠিক বয়স কত, দিন তারিখ মাস বলবে দূরের কথা। তবে এটা বলতে পারি, আমার যখন বিয়ে হয়েছে তখনও আমার মাসিক শুরু হয়নি। বিয়ের পাঁচ বছর পর স্বামীর বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু হয়। তখন আস্তে আস্তে আমার শরীর ও মনের পরিবর্তন আসতে থাকে। যতদিন আমি নিজ থেকে সবকিছু বুঝতে পারিনি ততদিন আমাকে স্বামীর ঘরে দেয়নি। শ্বশুর বাড়িতে গেলে শ্বাশুড়ি-ননদের সঙ্গে রাখতেন।

যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন বা তার কিছুদিন আগে বা পরে আমার পেটে বাচ্চা আসে। আগেই তো বলেছি, দিন তারিখ মাস আমি এত কিছুর হিসাব রাখিনি, রাখতেও পারতাম না। যখন আমি ধরা পড়ি তখন মনে হয় আমার পেটে বাচ্চা ছিল। যাই হোক, দেশে যখন তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে তখন তো সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তখন সকল মানুষের একটা মাত্র কাজ, আর তা হ’ল, নিজের জান মান বাঁচানো। তাই সব সময়ই আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হতো। যখনই শুনি মিলিটারি আসছে তখনই সকল কাজকর্ম খাওয়া দাওয়া ফেলে, এমনকি গোসল করছি সেই ভেজা কাপড়েই দিতে হতো দৌড়। যার যার নিরাপদ জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হতো।

আমি তো বাড়ির বউ, তাই আমাকে সবকিছু জিজ্ঞাসা করেই করতে হতো। তখন এটাই ছিল নিয়ম। আমি আমার স্বামীর বাড়ির কাউকে দোষ দেই না। যখনই শুনতাম গ্রামে মিলিটারি ঢুকেছে তখনই স্বামীর বাড়ির অন্যদের সঙ্গে গিয়ে লুকিয়ে পড়তাম। এভাবে কত দিন কত জায়গায় যে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে তা বলে শেষ করতে পারবো না। এমন করে প্রায় দিনই লুকিয়ে থাকতে হতো। এরই মাঝে একদিন শুনি মিলিটারি এসেছে। সেই দিন স্বামীও বাড়িতে ছিল। যখনই শুনেছি মিলিটারি এসেছে, তখনই স্বামী শ্বাশুড়ি সহ বাড়ির সবাই তড়িঘড়ি করে যার যার নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে যায়। আমাকে আমার স্বামী হাত ধরে নিয়ে গিয়েছে, সঙ্গে শ্বাশুড়ি ছিল। জঙ্গলের ভেতর পালিয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পর স্বামী বা শ্বাশুড়ি বলছে, এখানে বেশি নিরাপদ না, অন্য জায়গায় যেতে হবে। এই বলে আমার স্বামী আমার হাতটা ধরে আর সঙ্গে শ্বাশুড়ি জঙ্গল থেকে বাহির হলাম অন্য জায়গায় পালাব বলে। যেই না জঙ্গল থেকে বাহির হলাম সঙ্গে সঙ্গে একদল মিলিটারি এসে আমাকে ধরে ফেলে। তখনই আমার শ্বাশুড়ি এক দিকে দৌড়ে যায়, আর আমার স্বামী আমার হাতটা ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সেই যে স্বামী পালিয়ে গিয়েছে, সে আর ফিরে আসেনি। আজও গিয়েছে-কালও গিয়েছে। চিরকালের জন্য আমার স্বামী আমার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে আমি আর কোন দিন আমার স্বামীকে দেখিনি। অনেক খুঁজেছি কিন্তু আর পাওয়া যায়নি।

আমাকে যখন ধরে নিয়ে যায়, তখন আমি মিলিটারিদের সঙ্গে খুব জোরাজুরি করি। তখন কেমন করে যেন আমার ডান হাতটা ভেঙ্গে যায়। তখন তো আর এসব বলতে পারবো না যে, কখন কিভাবে হাত ভেঙ্গেছে। তখন মাথায় একটাই চিন্তা ছিল যে, কিভাবে মান-ইজ্জত রক্ষা করা যায়। মরতে হলে মরবো তবুও মান দিব না।

এখনো ললিতার ডান হাতটা অনেকটা-ই বাঁকা এবং তাতে দাগ আছে।

তিনি বলতে থাকেন, তারপর হাত কিভাবে, কেমন করে ভাল হয়েছে তা তো আর বলতে পারবো না। আমার হাত ভাঙ্গার ব্যাথার চেয়ে আরও বেশি ব্যাথা ছিল শত শত মিলিটারিদের নির্যাতনের ব্যাথা। যতক্ষণ মিলিটারিরা আমার উপর নির্যাতন চালাত, ততক্ষণই আমার হাত ভাঙ্গার চেয়ে বেশি ব্যাথা পেতাম। শত শত বার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এই ছোট শরীর কিভাবে যে এত নির্যাতন সহ্য করেছে তা আমি জানি না, আমার শরীরই জানে। এখনও সেই দিনগুলো মনে হলে শরীর শিহরিত হয়ে উঠে, ভয়ে থর থর করে কাঁপতে থাকি। পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে তারা আঘাত করেছে। কি বলি আর এসব লজ্জা-শরমের কথা, মুখ দিয়ে আসে না। কিন্তু মনের ভেতর তো কথাগুলো দৌড়াদৌড়ি করে। তাদের নির্যাতনের কারণে সারা শরীর পেঁকে টসটসা হয়ে গিয়েছিল। একটু ধরলেই-ছুঁইলেই মনে হতো অনেক বড় আঘাত করছে। দল বেঁধে শত শত মিলিটারি মাসের পর মাস নির্যাতন করেছে। এগুলো কি আর বলা যায়? এগুলো মনে হলে এখনও মাথায় রক্ত উঠে যায়।

এই কথাগুলো বলার সময় বেশ উত্তেজিত হয়ে গেছেন ললিতা। তার চোখ, মুখ রাগে ফেটে যাচ্ছে। একটা সময় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ললিতা। তাকে শান্ত করতে আমার অনেক সময় লেগে যায়।

এরপর তিনি বলেন, আমাকে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় ক্যাম্পে। ঐ ক্যাম্পে শত শত মহিলাকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তাদের শরীরে যে কত শক্তি ছিল তা একমাত্র ভগবানই জানেন। একেকজন একই রাতে বার বার করেছে। সারা শরীরে অত্যাচার করত। একজনের এসব করা দেখলে অন্যদের তো আনন্দের শেষ নেই আর আমার জান যায় আর আসে। বাংকারের ভেতরের প্রতিটা মুহুর্ত ছিল একটা যুগের মতন।

তারা এত কষ্ট দিয়ে দিয়ে নির্যাতন করেছে যা বুঝানোর মতন ক্ষমতা আমার নেই। তার পরও ‘টু’ শব্দটা করতে দিত না। অতিরিক্ত কষ্ট হলে যদি নড়াচড়া করতাম, তখন মারত। এমন সব জায়গায় মারত যেখানে আঘাত করলে বেশি ব্যাথা পাব। আর যদি কান্নাকাটি করতাম, তাহলে মুখের ভেতরে কাপড় ঢুকিয়ে দিত, জল খেতে চাইলে মুখের ভেতর প্রস্রাব করে দিত।

আহা! কত বড় বড় ঘরের বউ ঝি ধরে ধরে এনেছে। আনার সময় তাদের পরনে কত দামী দামী পোষাক ছিল। সেই পোষাক খুলে উলঙ্গ করে রেখেছে। বাংকারের ভেতর কত মোটা মোটা বালা, গলার মালা, কানের দুল পড়েছিল, কে নেয়? তখন তো জান নিয়ে টানাটানি। এসব কে কারটা ধরে? যে কেউ ইচ্ছে করলে নিয়ে আসতে পারতো।

দেশ স্বাধীন হলে, মুক্তিবাহিনী গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে। বাংকার থেকে উদ্ধার করার পর স্বামীর বাড়িতে যাই। তারা আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে, এমন বউ আমরা বাড়িতে রাখবো না, আরও কত কথা। যাই বাবার বাড়িতে। গিয়ে দেখি, বাবার বাড়িতে কেউ নেই, সবাই ভারত চলে গিয়েছে। গ্রামেও থাকতে দেয়নি আমাকে। তখন আমি মুসলমানদের বাড়িতে গিয়ে থাকতাম আর ক্ষেতে খামারে কাজ করে চলতাম। আবার বেশি ভারি কাজও করতে পারি না, ডান হাতটা ভাঙ্গা। কোন চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই হাড় জোড়া লেগেছে। তাই ত্যাঁড়া ব্যাঁকা, শক্তি পাই কম। এভাবেই দিন পার হচ্ছে।

আমার জীবন আর দশজন নারীর মতন হ’ল না। না পেলাম স্বামীর আদর ভালবাসা, না থাকতে পারলাম স্বামীর সংসারে। রাস্তাঘাটে, যেখানে সেখানে কত কষ্ট করে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে গেলাম। জীবন থেমে থাকেনি, পার হয়েছে কিন্তু খুব কষ্টে।

লেখক: মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও প্রাবন্ধিক

/এএস

Header Ad
Header Ad

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সেদিন নাকানিচুবানি খেয়েছিল ব্রাজিল। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে পেরে ওঠেনি সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের বড় হারও এসেছিল। ওইদিনে ব্রাজিলের ভক্তদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঘটনার জল হয়ত গড়াতে যাচ্ছে বহুদূর!

মার্চের ২৫ তারিখের ওই ঘটনার জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ফিফার মাধ্যমে এএফএকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সিবিএফ ইতোমধ্যে প্রমাণসমূহ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

গণমাধ্যমটি সিবিএফ এর বরাতে জানিয়েছে, সেলেসাওদের একজন ভক্তকে একজন আর্জেন্টাইন দর্শক ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই ঘটনাটি ওই দর্শক রেকর্ড করেন। লিওনেল মেসিদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এটি হতে পারে বড় প্রমাণ। টিওয়াইসি জানিয়েছে, এমন ঘটনার মাঝ দিয়ে গেছে আরও বেশ কিছু ব্রাজিলিয়ান দর্শক।

জুনের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি শুনতে পারে আর্জেন্টিনা। বারবার এমন বর্ণবাদী আচরণ হওয়ায় হয়ত ওই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। টিওয়াইসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে দর্শকশূন্য রেখেই খেলতে হতে পারে মেসি-লাউতারোদের। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

কদিন আগে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়েছিল চিলি। ম্যাচ দেরিতে শুরু করার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে দর্শকদের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। দর্শকদের উগ্র আচরণের কারণে একই সমস্যায় পড়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

তবে, ফিফা আপিল কমিটি শাস্তির মাত্রা ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্ক তৈরির বেলায় বয়স বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে বয়স বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। তাই আজকাল নিজের বয়সের চেয়ে কম বয়সের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তরুণ–তরুণীরা।

পুরুষের ক্ষেত্রে এমন সম্পর্ক সমাজে স্বাভাবিক হলেও নারীর ক্ষেত্রে নয়। তবে আজকাল অনেক নারীই সঙ্গী বাছাই করার সময় বয়সের ফারাককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না। তাই তাঁরা এখন প্রেমিক বা দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কম বয়সীদের। ডেটিং অ্যাপের ট্রেন্ড বলছে, নারীরা পছন্দের ক্ষেত্রে সুন্দর মন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা, আত্মবিশ্বাসী সঙ্গীকে খুঁজে নিতে চান। যেকোনো সম্পর্কে ভারসাম্য ও গতিশীলতাকে গুরুত্ব দেন।

ডেটিং ট্রেন্ডে নারীরা

মনোবিদেরা মনে করেন, এখনকার নারীরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ সচেতন। যেকোনো বিষয়কে সহজভাবে নিতে পারার মানসিকতা বেড়েছে, বিশেষত অগ্রসর বিশ্বে তাঁরা কোনো বিষয়ে ভীত নন। সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার সময় আত্মবিশ্বাস ও আত্মসচেতনতায় গুরুত্ব দেন তাঁরা। ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষকে একচেটিয়াভাবে সফল কিংবা শক্তিশালী হিসেবে মেনে নিতে তাঁরা নারাজ। সঙ্গীর প্রতি আনুগত্যের চেয়ে নারীরা নিজের সুখ ও সামগ্রিক মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এসব কারণেই অনেক নারী কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ডেটিং করছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পছন্দকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক, সামাজিক চাহিদাসহ অন্যান্য প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন।

নানা কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন

নিজের চেয়ে কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সান্নিধ্যে আসায় নারীদের মধ্যে নিজেদের আরও তরুণ ভাবার একধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কম বয়সী তরুণেরা নিজেদের সম্পর্কে সচেতন, নিজের স্বাস্থ্য ও রুচির বিষয়েও সজাগ। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা কম বয়সীদের পৃথিবীকে নতুন করে জানার সুযোগ দেয়। এসব কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন। নারীরা এখন আগের চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য ছুটছেন। পারিবারিক বা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বয়স্ক সঙ্গী খোঁজার প্রথাগত নিয়মে তাঁরা আর বিশ্বাসী নন। ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা, মানসিক সংযোগ ও আকর্ষণকে অগ্রাধিকার দিতেই নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বেছে নিচ্ছেন।

বয়স কোনো বিষয় না

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে এখন নারীদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ নমনীয়। তরুণদের তুলনায় নারীরা মধ্যবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক চিন্তা করছেন। মধ্যবয়সী বা সমবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক রীতিনীতি বা লোকদেখানোর আচারকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মনে করেন নারীরা। সম্পর্ক নিয়ে পুরোনো সামাজিক নিয়মগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাঁরা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রফতানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রফতানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রফতানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রফতানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল - জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!