বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তোমাদের ত্যাগেই কষ্টার্জিত আমাদের বিজয়

‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’ হিসেবে স্বীকৃত কুষ্টিয়া জেলা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘অস্থায়ী রাজধানী’ হিসেবে স্বীকৃত বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মুজিবনগর- দুটো নামের মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ১৬ ডিসেম্বর বাংলার আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়লো বিজয়ের আনন্দ। কুয়াশার পর্দা সরিয়ে সবুজ বনানীর বুক চিরে রক্তাক্ত বলয়টা ধীরে ধীরে সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়াল। সুদীর্ঘ নয় মাসের বন্দি জীবনে মুক্তির উচ্ছাস। শিশিরে ভেজা উন্মুক্ত খোলা প্রাঙ্গণে পা রেখে প্রভাতী সূর্যের সোনালী আলোয় বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলো বাংলার মানুষ। বিজয় উল্লাসে মত্ত অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধাদের রোষানল থেকে বাঁচাতে সুহৃদ প্রজ্ঞাবান সদ্য বিজয়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের কণ্ঠ ‘স্বাধীন বাংলা বেতার’ থেকে যখন ভেসে আসে- ‘দেশবাসীর কাছে আবেদন, বিচারের পর শাস্তি হবে। তাই আইন ও শৃঙ্খলার ভার নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না’, তখন মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার সম্প্রচার যন্ত্রটি এক অসাধ্য সাধন করেছিলো বলেই মনে হয়েছিলো। গর্বের বিষয় এই যে, কুষ্টিয়া অঞ্চলের বহু শিল্পী ও কর্মী শব্দযুদ্ধে ভাষা সৈনিকের ভ‚মিকা গ্রহণ করেছিলেন। আব্দুল জব্বার, রাজু আহমেদ, কল্যাণ মিত্র, সুশীল বসু, শাহীন সামাদ, তিমির নন্দী, প্রসেনজিৎ বসু, বাবুয়া, মান্না হক, রঞ্জু, গণেশ, জমির প্রমুখ কণ্ঠসৈনিকদের অংশ গ্রহণের প্রভাবেই জাতি সেদিন একটি ফুলকে বাঁচাতে যুদ্ধ করতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১টি সেক্টরের মধ্যে কুষ্টিয়া ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেত্বত্বে পরিচালিত হয় এবং পরবর্তীতে মেজর মঞ্জুর এই সেক্টরের নেত্বত্ব গ্রহণ করেন। কুষ্টিয়ার তৎকালীন বাঙালি জেলা প্রশাসক মো. শামসুল হক জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিলের দক্ষিণ-পশ্চিম ১ নম্বর জোনে স্বার্থক দায়িত্ব পালন করেছিলেন।



‘সুন্দর কুষ্টিয়া’ আয়োজিত শিল্পী ইতি খানের শিল্পকর্ম ‘শত্রু’ সুভ্যেনিরে প্রকাশিত গীতিকার ও নাট্যকার দুলাল জুবাইদ রচিত ‘অসুন্দরের বিপক্ষে’ কবিতায়-

হে মানুষ
নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই নিকৃষ্টতম
যার হাত প্রতিবেশীর রক্তে রঞ্জিত
যার চোখে কিশোরী ধর্ষণের লোলুপতা
যার দ্বারা মানবতা লাঞ্চিত।
এবং নিশ্চয়ই তার প্রতি অযুত কণ্ঠে বর্ষিত হোক
ঘৃণা! ঘৃণা! এবং ঘৃণা!...

আমাদের দুঃখী দেশটি আমাদের বড় ভালোবাসার দেশ, বড় মমতার দেশ। যারা জীবন বাজি রেখে এই স্বাধীন দেশটি আমাদের এনে দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আর যেসব স্বাধীনতা বিরোধী, বিশ্বাসঘাতক, যুদ্ধপরাধী এই স্বাধীন রাষ্ট্রটিকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করছে তাঁদের জন্যে রয়েছে অন্তহীন ঘৃণা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে বলতে চাই- যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে, এই দেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধী, বিশ্বাসঘাতক, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করবে না।

কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল স্মৃতিচারণে বলেন: “আমি, মারফত সহ বেশকিছু মুক্তিযোদ্ধা কুষ্টিয়া শহরে প্রবেশ করে দেখি শুধু লাশ আর লাশ, বিভীষিকাময় অবস্থা। কুষ্টিয়া পৌর বাজারের উত্তর বোমের আঘাতে বিরাট পুকুর হয়ে গেছে। পাকপিকচার সিনেমা হল আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রন্থ। প্রায় বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়িতে এসে দেখি পোড়া বাড়ি, বাড়িতে কেউ নেই। ...। আমার মা-বাবা, ভাইবোনেরা নদীর ওপারে হরিপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এর মধ্যে শামসুল হাদী, মির্জা জিয়াউল বারী নোমান, শেখ দলিল, শামসুল হুদা তাঁদের স্ব স্ব গ্রুপ ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পর কুষ্টিয়া শহরে চারপাশ থেকে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কুষ্টিয়ার আকাশ বাতাসকে মুখরিত করে তোলে এবং আমাদের স্বাগত জানায়। শামসুল হক, এমপিএ আব্দুর রউফ চৌধুরী, জোনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডিসি শামসুল হক ডিসি কোর্টে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রশাসনিক কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে আমি, শামসুল হাদী, মির্জা জিয়াউল বারী নোমান, শেখ দলিল নবী বক্সের হোটেলে (বর্তমান লাভলি টাওয়ার) স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা অফিস চালু করি।”

মুক্তিযোদ্ধারা ৩১ মার্চের মধ্যেই কুষ্টিয়া শহর শত্রুমুক্ত করায় এ সম্পর্কে ভারতীয় দৈনিক পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়: “Kushtia is one of the few districts completely liberated from the Pakistan Army. The Kushtia town was taken by the Mukti Bahini after a three prolonged assault on the Army on March 29.” [গুটিকয়েক জেলার মধ্যে কুষ্টিয়া অন্যতম যেটাকে পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা হয়েছে, মার্চের ২৯ তারিখ (প্রকৃত পক্ষে তারিখটা ছিলো মার্চের ৩০ তারিখ) মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে যুগপৎ আক্রমণ করে কুষ্টিয়া শহরকে অধিকার করেছে।]

‘টাইম’ ম্যাগাজিনের ১৯ এপ্রিল এ প্রকাশিত ‘দ্য ব্যাটল অব কুষ্টিয়া’ প্রতিবেদনটি ছিলো সাড়া জাগানো। ম্যাগাজিনের ডেন কগিন ‘PAKISTAN: The Battle of Kushtia’ প্রতিবেদনটি বন্তুনির্ভর প্রামাণ্য দলিল হিসেবে আজও বর্তমান। প্রতিবেদনটির উল্লেখযোগ্য অংশের বাংলা তরজমা: “৩১ মার্চ (প্রকৃতপক্ষে তারিখটি ৩০ মার্চ) ভোর ৪.৩০ মিনিটে প্রায় ৫০০০ কৃষক ও পুলিশ সদস্যের একটি দল কুষ্টিয়াকে মুক্ত করার জন্য একটি অভিযান শুরু করে। হাজার হাজার নগরবাসী ‘জয় বাংলা (বাংলার বিজয়)’ বলে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, সৈন্যরা স্পষ্টতই এতো হাজার প্রতিবাদী বাঙালির দ্বারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। পাকিস্তান বাহিনীর নায়েক সুবেদার (সিনিয়র সার্জেন্ট) মোহাম্মদ আইয়ুব ধরা পড়ার পর শোক প্রকাশ করে এবং আক্ষেপ করে বলে যে: ‘আমরা খুব অবাক হয়েছিলাম এবং ভেবেছিলাম যে বাঙালি বাহিনী আমাদের মতো একটি বাহিনী (কোম্পানি)’র আকার নিয়েছিলো, যাঁরা আমাদের আক্রমণ করবে। আমরা জানতাম না যে শহরবাসীর প্রত্যেকেই আমাদের বিপক্ষে ছিলো।’ কুষ্টিয়ার যুদ্ধে সর্বশেষ জীবিত আত্মগোপনে থাকা ও অস্ত্র ফেলে দেওয়া ১৩ পাকসৈন্য রেডিও ভবনে সারারাত কাটিয়ে পরদিন ভোর হওয়ার আগে পালিয়ে অচেনা পথে অজানা গন্তব্যে যাত্রা শুরু করে এবং দুই বাঙালি অস্ত্রধারী মিলিশিয়া তাঁদের বন্দি করে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ফিরিয়ে আনার আগে ১৪ মাইল পথ পর্যন্ত তাঁরা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছিলো। এই ১৩ জনই ডেল্টা কোম্পানির ১৪৭ জন পুরুষের একমাত্র পরিচিত জীবিত ছিলো। পশ্চিম পাকিস্তানি নিহতদের মধ্যে নাসিম ওয়াকার ছিলেন ২৯ বছর বয়সী পাঞ্জাবী যিনি জানুয়ারিতে (১৯৭১) কুষ্টিয়ার সহকারী জেলা প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা যখন তাঁর মৃতদেহটি পেয়েছিলো তাঁরা এটি শহরের রাস্তায় আধা মাইল দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় এবং রাস্তার পাশেই মাটিচাপা দিয়ে দেয়।”

কুষ্টিয়ার ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পিটার কারগিলের অন্যতম সহকারী অ্যানডং হেজিডেন ১৯৭১ সালের ২৮ মে কুষ্টিয়া ভ্রমণ করে এক রিপোর্ট প্রদান করেন। রিপোর্টে তিনি এক ভয়াবহ ধ্বংসচিত্রের বর্ণনায় বলেন: ‘শহরটি (কুষ্টিয়া) দেখাইতেছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বোমার আঘাতে বিধ্বংস জার্মানির শহরগুলির অনুরূপ। শহরের প্রায় ৯০ ভাগ বাড়ি, দোকান, ব্যাংক প্রভৃতি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হইয়াছে। আমরা যখন শহর প্রদক্ষিণ করিলাম স্থানীয় সকলেই তখন পালাইতেছিলো। অবস্থাটি ছিলো পারমাণবিক হামলার পারফিনের ন্যায়। আমি একজনকে একটি খাবারের দোকান দেখাইয়া দিতে বলিলাম। কিন্তু ৯০ মিনিট খোঁজ করিয়াও কোনো খাবারের দোকান পাওয়া গেলো না। সেখানকার জনসংখ্যা ছিল ৪০ হাজার।’...

সদ্য স্বাধীন কুষ্টিয়াকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখা একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সব থেকে বিধ্বস্ত ভিয়েতনামের মাইলাই শহরের সাথে কুষ্টিয়া শহরকে তুলনা করেন। অনেক প্রাণ, অনেক ত্যাগ, অনেক ঈজ্জত-সম্ভ্রম এর বিনিময়ে ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে কুষ্টিয়া পাকিস্তান হানাদার মুক্ত হয়। ঐ সময়ে এই যুদ্ধ বিজয়ের ঘটনাটি বিবিসি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হয়। ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত থাকার কারণে দেশবরেণ্য অনেক নেতৃবৃন্দই কুষ্টিয়া হয়ে ভারত সীমান্তে বৈদ্যনাথতলাতে যেতে সক্ষম হন এবং ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী মুজিব সরকারের শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়। ৯ ডিসেম্বর জেলা শহর ছাড়া সমগ্র কুষ্টিয়া শত্রু মুক্ত হয়। কুষ্টিয়া শহর মুক্ত করতে মিত্রবাহিনীর বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ চলে। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও বিমান ধ্বংস এবং বহু পাকসেনা ও মিত্রবাহিনীর সৈনিক নিহত হয়। অবশেষে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধ এবং উপর্যুপরি আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে ১১ ডিসেম্বর ভোরে পাকসেনারা কুষ্টিয়া ছেড়ে ভেড়ামারা-পাকশী ফেরিঘাট পার হয়ে ঢাকার দিকে চলে যাওয়ার পর কুষ্টিয়া জেলা সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী রাইফেল-এসএলআর এর গুলি ফুটিয়ে কুমারখালী থানায় গিয়ে বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করে কুমারখালী শহর মুক্ত ঘোষণা করেন। ৮ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাকে শত্রু মুক্ত ঘোষণা করেন। ৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন বয়সের হাজারও নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। সেই থেকে এই দিনটি মিরপুর থানা পাকহানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়। ৮ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানা হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী। ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানা মুক্ত হয়।



কুষ্টিয়া সম্পর্কে ‘পূর্বদেশ’ প্রতিনিধি ১৯৭২ সালেই লিখেছেন: “...বর্বর পাকসেনা ও তাঁদের অনুচরেরা গড়াই নদীর ধার দিয়ে গঙ্গা-কপোতাক্ষ ঘাট থেকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত দেড় মাইল এলাকার মধ্যে প্রায় পাঁচ-ছয় হাজার বাঙালি নর-নারীকে হত্যা করে তাদেরকে নদীতে ফেলে দিয়েছিলো। সেই সমস্ত হতভাগ্য মানব সন্তানের হাড়গোর এখনো নদীতে গোসল করতে গেলে মাঝে মাঝে মানুষের পায়ে বাঁধে। কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ায় বিমান নন্দীর বাড়ি বলে পরিচিত একটি বাড়িতে বর্বরতা স্থাপন করেছিলো বধ্যভূমি। এখনো সেটা জনসাধারণের কাছে ‘ফাঁসি ঘর’ বলে পরিচিত। সেখানে হত্যার নিদর্শন ফাঁসির দড়ি বেশকিছুদিন আগেও ঝুলছিলো। শহরের আর একটি বধ্যভূমি হচ্ছে কুষ্টিয়া হাউজিং কলোনি। পার্শ্ববর্তী-দূরবর্তী সব গ্রাম থেকে কিশোরী-তরুণী সমস্ত বয়সের মেয়েদের ধরে নিয়ে সেখানে তাঁদের আটকে রেখে চালাতো অমানবিক পাশবিক অত্যাচার। তাঁদের এই অত্যাচারের হাত থেকে বিধবা, পঙ্গু মেয়েরাও বাদ পড়েনি। এমনকি মাত্র চারদিনের প্রসূতিও তাঁদের পাশবিকতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। নারী নির্যাতনের আরো একটি স্থান ছিলো পুলিশ লাইনের উত্তরে ও রেণউইক কোম্পানির পশ্চিমে অবস্থিত সিঅ্যান্ডবি’র একটি হলুদ রঙের একতলা বাড়ি- সেখান থেকে ভেসে আসতো অসহায় নারীর করুণ আর্তনাদ। শহরে আরো একটি বধ্যভ‚মি কোর্টপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান আক্কাস এমএনএ এর বাড়ি, যে বাড়িটি রাজাকারেরা দখল করে রেখেছিলো। এই বাড়ির মধ্যে একটি কুয়া আছে এবং তাঁর পাশেই লম্বা একটা ঘর। যে ঘরে হতভাগ্য মানুষদের মাটিতে শুইয়ে গোরু-ছাগলের মতো জবাই করে লাশগুলোকে ফেলতো ঐ কুয়ায়। কুয়াটি এখনো অজস্র কঙ্কালে ভরাট। গঙ্গা-কপোতাক্ষ অফিসের পাশের বাঁধানো ঘাটে হতভাগ্য মানুষদের ধরে নিয়ে এবং গলায় পাইকারিভাবে ছুরি চালিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হতো। তাঁরা খেয়াল খুশি মতো ট্রেন থেকে লোক নামিয়ে প্রকাশ্যে মানুষের সামনেই বেয়নেট চার্জ করে পেট ফেড়ে ফেলতো।” স্বাধীনতা পরবর্তীতে জন স্টোন হাউজ ও ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলামের উপস্থিতিতে দুই পিকআপ বোঝাই মানুষের কঙ্কাল, মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। কুষ্টিয়া জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যতগুলো বৃহৎ বধ্যভূমি রয়েছে বিত্তিপাড়া বধ্যভূমি তাঁর মধ্যে অন্যতম।

১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এসব বীরের চূড়ান্ত তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে ৬৭৬ (বর্তমানে ৬৭৯) জনকে খেতাব দেওয়া হয়। তারমধ্যে কুষ্টিয়ার খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা ১১ জন। তাঁরা হলেন- শহিদ শরফুদ্দীন আহমেদ বীরউত্তম, শহিদ আবু তালেব বীরউত্তম, শহিদ খালেদ সাইফুদ্দীন তারিক বীরবিক্রম, শহিদ দিদার আলী বীরপ্রতীক, শহিদ কে এম রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, শহিদ আবদুল আলিম বীরপ্রতীক, এজাজুল হক খান বীরপ্রতীক, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বীরপ্রতীক, শহিদ হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, শহিদ শামসুদ্দীন আহমেদ বীরপ্রতীক, আতাহার হোসেন বীরপ্রতীক, মোসলেম উদ্দিন বীরপ্রতীক।

স্বাধীনতার পর শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন ও তাঁদের গৌরবময় স্মৃতি রক্ষায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের নিমিত্তে নির্মিত ২০০০ সালের বিজয় দিবসে। এটিই বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত ভাস্কর্য। পৃথিবীর অনেক দেশেই স্বাধীনতার স্মৃতিকে অম্লান রেখে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস শিক্ষা দেওয়া হয়, যদিও আমরা এ থেকে বঞ্চিত জাতি! যুদ্ধ মানুষের ক্ষয় করে কিন্তু কোনো কোনো যুদ্ধ সৃষ্টির আনন্দে ভাস্বর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এমনই এক দৃপ্ত ইতিহাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাঁদের সেই দেশপ্রেম, সাহস ও বীরত্বের কথা আমরা ৫০ বছরেও যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এই বীরদের মুখে বা কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দিলেও তাঁদের কথা আমরা আজ মনে রাখিনি। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারেনি যে তাঁরা কতো বড়ো বীরের জাতি! দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে তাঁদের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের সেই উজ্জ্বল আত্মত্যাগ ও বীরত্বের ইতিহাস তুলে ধরা ছিলো একটি জাতীয় কর্তব্য। বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অগণিত সাধারণ মানুষের অসাধারণ যোদ্ধায় পরিণত হওয়ার রুদ্ধশ্বাস কাহিনি। এ যুদ্ধ তীর ধনুক নিয়ে কিংবা ঢাল তলোয়ার দিয়েও নয়; এ যুদ্ধ থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও বাঙালির বাঁশের লাঠি এবং আপামর দেশবাসীর যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে অত্যাধুনিক কামান ও আধুনিক মরণাস্ত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও মুক্তির যুদ্ধ। এরকম একটি যুদ্ধে আমাদের পূর্বপুরুষরা যদি অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়তেন তবে আমরা এ রকম একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই দেশ-মাতৃকার ডাকে শত্রæর বিরুদ্ধে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। ১৯৭১ সালে তাঁরা প্রশিক্ষিত ও অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেভাবে যুদ্ধ করেছিলেন, তা অবিশ্বাস্য। অনেক ঘটনা গল্প-কাহিনির চেয়েও রোমাঞ্চকর। মুক্তিযুদ্ধ যেমন শোক ও বেদনার, তেমনি বীরত্ব ও গৌরবের। এই ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া