শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জ্বালানি খাতে টেকসই উন্নয়ন জরুরি

বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট দ্বিমুখী। একদিকে জ্বালানি ভোক্তাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের ভর্তুকি বেড়ে গেছে। সংকটটা চলে আসছিল আগে থেকেই। কয়েক মাস আগে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে যখন বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) গণশুনানির আহ্বান করল, আমরা সেখানে এর প্রতিবাদ করেছি। আমরা বলেছি, সংকট সমাধানে সরকার চাইলে সীমিত পর্যায়ে লোডশেডিং করতে পারে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৪১৬ কোটি ইউনিট নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ উৎপাদন কমালেও তরল জ্বালানি ব্যয়ের একটি বড় সাশ্রয় হবে। আমরা বলেছি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হবে আত্মঘাতী।

জ্বালানি সংকট বর্তমান সময়ে অনেক বড় সংকট হিসেবে বিবেচিত। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে বেসরকারিকরণ। এটি বর্তমানে বেসরকারি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা দিতে হচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মানসম্মত জ্বালানি উন্নয়ন হচ্ছে না। যেন তেন নন প্রফেশনাল ব্যবসায়ীরা এখন এসব জায়গায় ঢুকে পড়েছেন। উন্নয়নের নামে লুণ্ঠন হচ্ছে। সুতরাং এইসব প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলার চেষ্টা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এ সংকট হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, সরকারের ভুল নীতির কারণেই এটি হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করেই দেশের গ্যাসসম্পদ নতুন করে অনুসন্ধান ও আহরণের চেষ্টা করেনি। এক সময় বলা হতো দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে। ২০১৬ সালের পর সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলতে শুরু করলেন, মাটির নিচে গ্যাস নেই। দুটোই অসত্য। এখনো আমাদের বিদ্যুতের ৬০ শতাংশের বেশি আসে দেশীয় উৎস থেকে। সরকার যদি বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে না। দুর্ভাগ্য হলো সরকার পুরো বিষয়টি দেখছে রাজস্ব ঘাটতির দৃষ্টিভঙ্গিতে। ভোক্তার স্বার্থের কথা তারা ভাবছে না।

জ্বালানি খাতে এখন যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি অসম এবং সামঞ্জস্যহীন। কিন্তু আমরা বলেছি, টেকসই উন্নয়ন হতে হবে। টেকসই উন্নয়ন হলে ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ই লাভবান হবে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো ব্যয় বাড়াল। আবার এসব প্রতিষ্ঠানকে বলে দেওয়া হলো এত ভাগ লাভ করতে হবে। ফলে সেই লাভ ধরে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ানো হলো। ভোক্তা দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা না করার বিষয়টি মানুষের কাছে স্পষ্ট। কিন্তু এর বাইরে কিছু অস্পষ্ট বিষয় আছে, যেগুলো সাধারণ মানুষ দেখছে না। সিঙ্গেল সাইকেলের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা কম, গ্যাস খরচ হয় বেশি, বিদ্যুৎ কম দেয় আর কম্বাইন্ড সাইকেলে গ্যাস কম খরচ হয়, বিদ্যুৎ বেশি দেয়। সিঙ্গেল সাইকেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসে ব্যয় হয় দেড় টাকা করে, আর কম্বাইন্ড সাইকেলে সেই খরচ ১ টাকা ১০ পয়সা। যে গ্যাস সিঙ্গেল সাইকেলে ব্যয় করা হচ্ছে, তা যদি কম্বাইন্ড সাইকেলে ব্যয় করা হত, তাহলে দেড় গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হত। এখন পিডিবির যে কম্বাইন্ড সাইকেলের বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার খরচ অনেক কম, সেগুলোর সক্ষমতার মাত্র ৩৬ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। ভোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে সবচেয়ে কম খরচ হয়, অথচ সেটির ক্ষমতা ব্যবহার হয় মাত্র ৩৮ শতাংশ। এখন সেটি যদি ৭৪-৭৫ শতাংশ করা যায়, তাহলে গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ২ টাকার নিচে নেমে আসে। ভোলার কম্বাইন্ড সাইকেলের সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নাকি গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে। এভাবে নানা ধরনের সমীকরণ এখানে ঘটেছে।

কারণ, সরকার ব্যবসা করার মডেলে ঢুকে গেছে, যাতে মানুষেরই সর্বনাশ ঘটছে। এখানে সরকারের ব্যবসা করা, করপোরেট কালচার তৈরি করে কর্মকর্তাদের সুবিধা গ্রহণ আর কিছু মানুষের পকেট ভারী করা--এ তিন কারণেই মূলত বর্তমান জ্বালানি সংকট। কিন্তু সরকার তো ইউক্রেন যুদ্ধকে এর জন্য দায়ী করছে। অবশ্যই ইউক্রেন যুদ্ধ এখানে মুখ্য নয়। সেটির প্রভাবও অস্বীকার করা যাবে না। তারপরও আমাদের যে নিজস্ব জ্বালানি আছে, তা দিয়ে এখনো আমরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি। জ্বালানি খাতের বিশৃঙ্খলার জন্য যে কারণগুলোর কথা আমি বললাম, সেগুলো না থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আমরা এড়াতে সক্ষম হব।

লেখক: জ্বালানি উপদেষ্টা, ক্যাব

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক