শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আইনগত প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা দরকার

বাংলাদেশে দুর্নীতি অনেক গভীর এবং ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর ব্যাপকতা খুব বেড়েছে। এটি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। এটির পেছনে অন্যতম কারণ হলো, যারা দুর্নীতি করেন তারা মূলত নিজেদেরকে বিচারহীনতার মধ্যে বিবেচনা করেন। দুর্নীতি করে পার পাওয়া যায় এ রকম একটি বিশ্বাস তাদের মধ্যে ছিল। এই অবস্থান থেকে তারা মূলত অবারিতভাবেই দুর্নীতির মধ্যে নিমজ্জিত থাকছে।

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের যে আইনগত প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আছে, আমি মনে করি সেটি পর্যাপ্ত। তবে সেই সক্ষমতাটুকু কেন ব্যবহার করা হয় না, এটি আমাদের প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শূন্য সহিষ্ণুতা সেটি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে তারা কিন্তু দুর্নীতিতে আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে দুর্নীতি, ঘুষ ইত্যাদি অন্যায়গুলো বিস্তার লাভ করছে।

এখন এটি নিয়ন্ত্রণের উপায় হলো যে, যারা দুর্নীতি করেন, আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে আইন আছে, দুর্নীতি দমনকারী যে সংস্থাগুলো আছে, তার কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে যারা দুর্নীতি করেন তাদেরকে যেকোনোভাবেই হোক জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ২০২১ সালের ‘দুর্নীতির ধারণা সূচকে’ বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশে এক ধাপ এগিয়েছে। সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম হলেও এই বছর হয়েছে ১৩তম।

আর বিশ্বের কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় আগের বছর বাংলাদেশ ১৪৮তম দেশ হলেও এই বছর হয়েছে ১৪৭। তালিকার অবস্থানে পরিবর্তন হলেও আসলে বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারণ, বাংলাদেশের স্কোরের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অন্য দেশের ভালো-খারাপ করার কারণে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের অতি সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে।

পৃথিবীর সবদেশেই কমবেশি দুর্নীতি হয়। আইনের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, কঠোরতা ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রিত হয় না। অন্য যেকোনো অপরাধের মধ্যে দুর্নীতি একটি অপরাধ। যে অপরাধের বিচার হয় না, যে অপরাধীরা বিচারহীনতা উপভোগ করে, সেই অপরাধের অর্থাৎ অপরাধীদের বিস্তার ঘটবে এটিই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে সেটিই হচ্ছে।

কাজেই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় হচ্ছে যে, যারা দুর্নীতি করেন, তাদের কঠোরভাবে শাস্তি দিতে হবে যে শাস্তি হবে দৃষ্টান্তমূলক। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, শুধুমাত্র আইনের ব্যবহারই শেষ কথা নয়। আমরা মনে করি যে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যারা সুদ ঘুষের বাণিজ্য করে তাদেরকে প্রতিবাদ করতে হবে। অনেকে বাধ্য হয়ে, অনেকে নিজেদের সুবিধা চরিতার্থ করতে ঘুষ দেন তাদেরকেও আমাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে ঘুষ দেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।

সার্বিকভাবে পুরো সমাজব্যবস্থার মধ্যেই একটি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। যারা অপরাধ করে এবং নিজেদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে মনে করেন তাদেরকে বিচার, শাসনের ভেতর নিয়ে আসা জরুরি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় সেটি সবাইকে বুঝাতে হবে। আইনের ফাকফোকড় দিয়ে এরা যেন কোনোভাবেই বেরিয়ে যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক