ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রতি পাঠকের আস্থা বাড়ছে
ঢাকাপ্রকাশ-এর স্লোগান ‘সততাই শক্তি সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’। এই স্লোগান নিয়ে এক বছর পূর্বে যাত্রা শুরু হয় ঢাকাপ্রকাশ-এর। সেই সূচনালগ্ন থেকেই আমি ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে যুক্ত আছি। ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে আমাদের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে ঢাকাপ্রকাশ-এ আমার গল্প উপন্যাস ছাপা হয়েছে। প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে পত্রিকাটি। ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম বর্ষপূর্তিতে এর সঙ্গে সংযুক্ত প্রকাশক, সাংবাদিক, কলাকুশলী এবং অগণিত পাঠক, যারা দেশে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
আমি মনে করি যে, একটি পত্রিকার ভবিষ্যৎ কী হবে সেটার জন্য শুরুটা দেখতে হয়। ঢাকাপ্রকাশ তাদের প্রথম বছর অত্যন্ত সফলতার সঙ্গেই পার করেছে। প্রথম বছর সফলভাবে অতিক্রম করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে। বর্তমান সময়ে দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা কম নয়। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম গণমাধ্যমের সমাহার আমরা লক্ষ্য করছি। সেখানে এই কঠিন সময়ে ঢাকাপ্রকাশ আত্মপ্রকাশ করেছে। পাঠক সমাজের মাঝে, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবার মাঝে বিশেষ স্থান দখল করে রাখতে পেরেছে। এক বছরের মধ্যেই পত্রিকাটি একটি সুদৃঢ় অবস্থান করে নিয়েছে একইসঙ্গে পাঠকের আস্থার একটি জায়গা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
পত্রিকাটির মূল আদর্শ, ‘সততাই শক্তি ও সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে সত্যনিষ্ঠ না হলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঢাকাপ্রকাশ যেটুকুই এগিয়েছে, তার কারণ সততা ও সুসাংবাদিকতাগুণেই। সততা ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না। আমি মনে করি, সেদিক বিবেচনা করে ঢাকাপ্রকাশ-এর শক্তিই হচ্ছে সত্য অন্বেষণ করা। এটি একটি সুসম্পাদিত গণমাধ্যম। ঢাকাপ্রকাশ-এর সম্পাদক মোস্তফা কামাল আমার স্নেহাস্পদ ও কাছের একজন। তার পত্রিকাটি সুসম্পাদিত হয়ে পাঠকের কাছে পোঁছায় এটি আমি দেখেছি। সুসম্পাদনা যেহেতু সাংবাদিকতার প্রাণ, কাজেই সুসাংবাদিকতায় মুক্তি এ কথাটি যুক্ত করার যে গুরুত্ব ও তাৎপর্য সেটি আমরা উপলব্ধি করি। সেদিক থেকে আমি মনে করি, ঢাকাপ্রকাশ-এর যে সুদক্ষ কর্মীবাহিনীর সমন্বয় ঘটেছে, সেখান থেকেই সুসম্পাদিত হয়ে যে খবরগুলো আমাদের কাছে আসে, সেগুলি আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথটুকু মসৃণ করে দেয়। আমাদের প্রেরণা দেয়, আমাদের আলোর পথ দেখায়।
একজন সাংবাদিক, একজন সম্পাদক হিসেবে মোস্তফা কামাল সবসময়ই চেষ্টা করে চলেছেন,তার গণমাধ্যমটি সুসম্পাদিত অবস্থায় প্রকাশিত হোক। সেই বিবেচনায় ঢাকাপ্রকাশ অনেকদূর এগিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সফলতা। আমাদের দেশের মানুষের যে নূন্যতম তথ্য চাহিদা আছে, সেই তথ্য চাহিদা পূরণে এই মাধ্যমটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সম্পাদনার দায়িত্বে যারা আছেন, প্রকাশনার দায়িত্বে যারা আছেন তারা এক বছরের মাধ্যমে সেই চাহিদাগুলো সঠিকভাবে পালন করে চলেছেন। মানুষের চাহিদাগুলো গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন।পাঠককে ও দর্শককে সঠিক তথ্য জানাতে পারছেন। তথ্যগুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌঁছানোই সুসাংবাদিকতার মূল কথা। আমি মনে করি, ঢাকাপ্রকাশ সেদিক থেকে সফলভাবে, সুস্থ ও সুন্দরভাবে তাদের সাংবাদিকতা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকাপ্রকাশ সফলতার সঙ্গে আরও গঠনমূলক সংবাদ প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে, আমাদের সেটিই প্রত্যাশা। আমি আশা করি, আগামী দিনগুলোতে ঢাকাপ্রকাশ আরও উজ্জ্বলতরভাবে পাঠকের চাহিদা মিটাবে এবং সামনের দিকে উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল।
লেখক: বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক