শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রতি পাঠকের আস্থা বাড়ছে

ঢাকাপ্রকাশ-এর স্লোগান ‘সততাই শক্তি সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’। এই স্লোগান নিয়ে এক বছর পূর্বে যাত্রা শুরু হয় ঢাকাপ্রকাশ-এর। সেই সূচনালগ্ন থেকেই আমি ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে যুক্ত আছি। ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে আমাদের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে ঢাকাপ্রকাশ-এ আমার গল্প উপন্যাস ছাপা হয়েছে। প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে পত্রিকাটি। ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম বর্ষপূর্তিতে এর সঙ্গে সংযুক্ত প্রকাশক, সাংবাদিক, কলাকুশলী এবং অগণিত পাঠক, যারা দেশে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।

আমি মনে করি যে, একটি পত্রিকার ভবিষ্যৎ কী হবে সেটার জন্য শুরুটা দেখতে হয়। ঢাকাপ্রকাশ তাদের প্রথম বছর অত্যন্ত সফলতার সঙ্গেই পার করেছে। প্রথম বছর সফলভাবে অতিক্রম করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে। বর্তমান সময়ে দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা কম নয়। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম গণমাধ্যমের সমাহার আমরা লক্ষ্য করছি। সেখানে এই কঠিন সময়ে ঢাকাপ্রকাশ আত্মপ্রকাশ করেছে। পাঠক সমাজের মাঝে, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবার মাঝে বিশেষ স্থান দখল করে রাখতে পেরেছে। এক বছরের মধ্যেই পত্রিকাটি একটি সুদৃঢ় অবস্থান করে নিয়েছে একইসঙ্গে পাঠকের আস্থার একটি জায়গা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

পত্রিকাটির মূল আদর্শ, ‘সততাই শক্তি ও সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে সত্যনিষ্ঠ না হলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঢাকাপ্রকাশ যেটুকুই এগিয়েছে, তার কারণ সততা ও সুসাংবাদিকতাগুণেই। সততা ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না। আমি মনে করি, সেদিক বিবেচনা করে ঢাকাপ্রকাশ-এর শক্তিই হচ্ছে সত্য অন্বেষণ করা। এটি একটি সুসম্পাদিত গণমাধ্যম। ঢাকাপ্রকাশ-এর সম্পাদক মোস্তফা কামাল আমার স্নেহাস্পদ ও কাছের একজন। তার পত্রিকাটি সুসম্পাদিত হয়ে পাঠকের কাছে পোঁছায় এটি আমি দেখেছি। সুসম্পাদনা যেহেতু সাংবাদিকতার প্রাণ, কাজেই সুসাংবাদিকতায় মুক্তি এ কথাটি যুক্ত করার যে গুরুত্ব ও তাৎপর্য সেটি আমরা উপলব্ধি করি। সেদিক থেকে আমি মনে করি, ঢাকাপ্রকাশ-এর যে সুদক্ষ কর্মীবাহিনীর সমন্বয় ঘটেছে, সেখান থেকেই সুসম্পাদিত হয়ে যে খবরগুলো আমাদের কাছে আসে, সেগুলি আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথটুকু মসৃণ করে দেয়। আমাদের প্রেরণা দেয়, আমাদের আলোর পথ দেখায়।

একজন সাংবাদিক, একজন সম্পাদক হিসেবে মোস্তফা কামাল সবসময়ই চেষ্টা করে চলেছেন,তার গণমাধ্যমটি সুসম্পাদিত অবস্থায় প্রকাশিত হোক। সেই বিবেচনায় ঢাকাপ্রকাশ অনেকদূর এগিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সফলতা। আমাদের দেশের মানুষের যে নূন্যতম তথ্য চাহিদা আছে, সেই তথ্য চাহিদা পূরণে এই মাধ্যমটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সম্পাদনার দায়িত্বে যারা আছেন, প্রকাশনার দায়িত্বে যারা আছেন তারা এক বছরের মাধ্যমে সেই চাহিদাগুলো সঠিকভাবে পালন করে চলেছেন। মানুষের চাহিদাগুলো গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন।পাঠককে ও দর্শককে সঠিক তথ্য জানাতে পারছেন। তথ্যগুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌঁছানোই সুসাংবাদিকতার মূল কথা। আমি মনে করি, ঢাকাপ্রকাশ সেদিক থেকে সফলভাবে, সুস্থ ও সুন্দরভাবে তাদের সাংবাদিকতা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ সফলতার সঙ্গে আরও গঠনমূলক সংবাদ প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে, আমাদের সেটিই প্রত্যাশা। আমি আশা করি, আগামী দিনগুলোতে ঢাকাপ্রকাশ আরও উজ্জ্বলতরভাবে পাঠকের চাহিদা মিটাবে এবং সামনের দিকে উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল।

লেখক: বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনার পর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে একাধিকবার গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে আতঙ্কিত ভারতীয়রা বাঙ্কার পরিষ্কার ও প্রস্তুত করে সেগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, জম্মু-কাশ্মিরের পুঞ্চ বিভাগে পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত। বিশেষ করে সালোত্রি গ্রামে গোলাগুলির পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এখানকার বাসিন্দারা সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে মাটির ১০ ফুট নিচে তৈরি শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ বাঙ্কারগুলোতে আশ্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তানি সেনারা ছোট অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনারাও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সালোত্রির এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা সীমান্ত এলাকায় বাস করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের জন্য যেসব বাঙ্কার নির্মাণ করেছেন, সেগুলো খুবই শক্তিশালী ও নিরাপদ। এ ধরনের হামলার সময় আমরা এসব বাঙ্কারে আশ্রয় নিই।"

তিনি আরও বলেন, "পেহেলগামে নিরীহ হিন্দু ভাইদের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত কাপুরুষোচিত। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া প্রয়োজন। ভারতীয় সেনারা জবাব দেবে, আর আমরা নিরাপদ স্থানে থেকে প্রস্তুত থাকবো।"

উল্লেখ্য, কারগিল যুদ্ধের সময় হুন্দারমান গ্রামের ২১৭ বাসিন্দা একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা এখনো সেই বাঙ্কারটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তবে সালোত্রি গ্রামে তখন কোনো বাঙ্কার ছিল না। বর্তমানে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য নিজ গ্রামেই নিরাপদ বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো