শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সময়োচিত বাজেটে ও মুদ্রানীতিই পথ দেখাবে আগামী অর্থবছরে

সারাবিশ্ব যখন দুই বছরব্যাপী করোনা সংকট থেকে বের হয়ে এসে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই শুরু হয়ে গেল রুশ-ইউক্রেন অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ। বৈশ্বিক এই সংকটের কারণে আমাদের মতো দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আমদানি ও রপ্তানির সার্বিক মূল্যে ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতির হাত ধরে চলতি হিসেবেও ঘাটতি বেড়ে চলছে। খুব স্বাভাবকি নিয়মেই দেশীয় মুদ্রার মানের ওপর চাপ পড়তে শুরু করছে। চাপ সামলাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিচ্ছে। তবে তারও তো একটা সীমা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন বাজেটের মাধ্যমইে সব অংশীজনকে স্থিতিশিীলতা রক্ষা করার পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা দিতে হবে । র্অথনীতিতে ডলারের প্রবাহ বাড়ানো এবং অপচয় রোধে সরকার ইতোমধ্যে কিছুটা সংকোচনমুখী নীতি গ্রহণের আভাস দিয়েছে। তবে এই সংকোচনের ধারার মধ্যেও টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে মাথায় রেখে আসন্ন বছরের আর্থিক পরকিল্পনা সাজাতে হবে।

বাজেটের কাটছাঁট যেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজকি সুরক্ষার মতো খাতগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নশ্চিতি করতে হব। স্বাস্থ্যখাতে গতানুগতিকভাবে বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ না দিয়ে এই অনুপাত আসন্ন অর্থবছরে অন্তত ৮ শতাংশ করতে হবে। এর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় বিশেষত চর্তুথ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে যথাযথ মানবসম্পদ উন্নয়ন খুবই জরুরি। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আসছে অর্থবছরের বাজেটেরে ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করতে হবে (চলতি বছরে রয়েছে ১৬ শতাংশ)। বিদ্যমান অবস্থায় কম আয়ের পরিবারগুলো বেশি চাপে পড়ছে। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে নতুন নতুন সুরক্ষা র্কমসূচি নিতে হবে। চলতি বছরে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মাথায় রেখেই সামাজকি নিরাপত্তা বাবদ বাজেটের ১৮ শতাংশ রাখা হয়েছে। আসন্ন র্অথবছরেও এই ধারাবাহকিতা বজায় রাখা চাই এবং সম্ভব হলে ২০ শতাংশে উন্নীত করা চাই।

ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে কৃষি ও শিল্প-এই দুপায়ে এগিয়ে যাওয়ার যে নীতি বাংলাদেশে গত এক যুগের বেশি সময় ধরে অনুসরণ করছে এবং সাফল্য দেখছে-এবং সেই ধারাবাহকিতাও বজায় রাখা চাই। প্রথমেই আসে কৃষি খাত।

র্বতমান সরকার ধারাবাহিকভাবে কৃষিখাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে তা খুবই র্কাযকর ও সময়োচিত বিনিয়োগ। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষক যেন চাপে না পড়ে, সেজন্য আসছে র্অথবছরে এ খাতে ভর্তুকি তিন গুণ করে ৩০ হাজার কোটি টাকা করা দরকার। অন্যদিকে ‘মেড ইন বাংলাদেশে’ অভিযানকে আরও গতি দিতে দেশি শিল্পায়নে দেওয়া বাজটের সুবধিাগুলো আরও কিছু বছর চালু রাখতে হব। আমদানি কৃত শিল্পায়নে কর ছাড়ে কার্পণ্য ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে যে, আমাদরে প্রবৃদ্ধরি ৬০ শতাংশেরও বেশি আসে অভ্যন্তরীণ ভোগ থেকে। আর তা মোটেও এসব শিল্প। বাড়ন্ত মধ্য ও উচ্চ আয়ের ভোক্তাদরে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের জোগানদাতা এসব শিল্পকে বাজেটে সমর্থন দিয়ে যেতেইে হবে।

বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরইে লিখে এবং বলে আসছি যে ২০২২-২৩ র্অথবছরের বাজেটে কী হতে হবে ‘আয় বুঝে ব্যয়’ করার বাজেট। সে বিবেচনায় এতোক্ষণ ব্যয় পরকিল্পনা নিয়ে যে পরার্মশগুলো এলো সেগুলো বাস্তবায়্নের মতো যথাযথ আয় যেন সরকারকে হয় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে আসন্ন বাজেটেই। আসন্ন অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে এটি জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় জিডিপির ১১ শতাংশের কিছু বেশি। র্অথাৎ জিডিপিরি শতাংশ হিসাবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আসলে কমতে পারে। এমনতিওে বাংলাদেশের মতো একটি অর্থনীতির দেশের জন্য কর-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের আশপাশে হওয়াটি কাম্য নয়। এই অনুপাত বাংলাদেশের জন্য ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হওয়া চাই। এ জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে আলাদা নজর দেওয়া দরকার।

জাতীয় বাজেটে দেশের অর্থনীতি কী এর পাশাপাশি মনিটরিং পলিসি তথা মুদ্রানীতি যদি তার সম্পূরক ভূমিকাটি পালন করতে পারে তবেই আসছে বছরে উল্লিখিত বড় চ্যালেঞ্জে মোকাবলিা করেও বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন প্রাণসঞ্চার ঘটতে পারে।

আগেই বলছে টাকার অবমূল্যায়নের চাপ ঠেকাতে যে কৌশল কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতদিন অনুসরণ করছে কিছুকাল কাজে দিয়েছি। কিন্তু এরও একটি সীমা আছ।গোটা বিশ্বরে অ্ধিকাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার কমবেশি অবমূল্যায়ন করছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি আমাদের কন্দ্রেীয় ব্যাংকের তরফ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার বৈদেশিক নিয়মিতভাবে প্রয়োজনবোধে ভ্যালু্য়েশন করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটিকে স্বাগত জানাতেই হবে। পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়েও ভাবা চাই। যে কোনো মূ্ল্যেই ডলারের যথেচ্ছা ব্যবহার বা উল্টাপাল্টা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সব ধরনের বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের সময় এসেছে। আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে করণীয় আছে।

অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানি শিল্পের প্রসারকে উৎসাহতি করার এখনও প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে দ্রুত বদলে যাওয়া বিশ্ববাণিজ্যের এই সংকটকালে কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। এজন্যে এনবআির আর বাংলাদেশে ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে বিলাসী পণ্যের মার্জিন আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। দরকারবোধে এটাকে ৮০ থেকে ১০০ পারসেন্ট র্পযন্ত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখনও টাকার ফ্রি ফল (অবাধে পতন) হচ্ছনা। তবে তা যাতে না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।

স্বদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং এশীয় ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের উতরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে চলমান সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তর খুবই সম্ভব বলে মনে হয়। কারণ সংকটকালেও স্বদেশি অর্থনীতি পরিচালনার বিরল অভিজ্ঞতার অধিকারি আমরা। তবে এ জন্য সময়োচিত বাজেটেও মুদ্রানীতি গ্রহণ এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। র্সবোচ্চ নীতিনির্ধারণী র্পযায় থেকে সে র্বাতাটইি আসছে । এখন সময় সকল অংশীজন সমন্বতিভাবে সেই নির্দেশনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার।

লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

Header Ad
Header Ad

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সেদিন নাকানিচুবানি খেয়েছিল ব্রাজিল। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে পেরে ওঠেনি সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের বড় হারও এসেছিল। ওইদিনে ব্রাজিলের ভক্তদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঘটনার জল হয়ত গড়াতে যাচ্ছে বহুদূর!

মার্চের ২৫ তারিখের ওই ঘটনার জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ফিফার মাধ্যমে এএফএকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সিবিএফ ইতোমধ্যে প্রমাণসমূহ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

গণমাধ্যমটি সিবিএফ এর বরাতে জানিয়েছে, সেলেসাওদের একজন ভক্তকে একজন আর্জেন্টাইন দর্শক ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই ঘটনাটি ওই দর্শক রেকর্ড করেন। লিওনেল মেসিদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এটি হতে পারে বড় প্রমাণ। টিওয়াইসি জানিয়েছে, এমন ঘটনার মাঝ দিয়ে গেছে আরও বেশ কিছু ব্রাজিলিয়ান দর্শক।

জুনের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি শুনতে পারে আর্জেন্টিনা। বারবার এমন বর্ণবাদী আচরণ হওয়ায় হয়ত ওই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। টিওয়াইসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে দর্শকশূন্য রেখেই খেলতে হতে পারে মেসি-লাউতারোদের। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

কদিন আগে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়েছিল চিলি। ম্যাচ দেরিতে শুরু করার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে দর্শকদের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। দর্শকদের উগ্র আচরণের কারণে একই সমস্যায় পড়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

তবে, ফিফা আপিল কমিটি শাস্তির মাত্রা ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্ক তৈরির বেলায় বয়স বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে বয়স বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। তাই আজকাল নিজের বয়সের চেয়ে কম বয়সের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তরুণ–তরুণীরা।

পুরুষের ক্ষেত্রে এমন সম্পর্ক সমাজে স্বাভাবিক হলেও নারীর ক্ষেত্রে নয়। তবে আজকাল অনেক নারীই সঙ্গী বাছাই করার সময় বয়সের ফারাককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না। তাই তাঁরা এখন প্রেমিক বা দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কম বয়সীদের। ডেটিং অ্যাপের ট্রেন্ড বলছে, নারীরা পছন্দের ক্ষেত্রে সুন্দর মন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা, আত্মবিশ্বাসী সঙ্গীকে খুঁজে নিতে চান। যেকোনো সম্পর্কে ভারসাম্য ও গতিশীলতাকে গুরুত্ব দেন।

ডেটিং ট্রেন্ডে নারীরা

মনোবিদেরা মনে করেন, এখনকার নারীরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ সচেতন। যেকোনো বিষয়কে সহজভাবে নিতে পারার মানসিকতা বেড়েছে, বিশেষত অগ্রসর বিশ্বে তাঁরা কোনো বিষয়ে ভীত নন। সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার সময় আত্মবিশ্বাস ও আত্মসচেতনতায় গুরুত্ব দেন তাঁরা। ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষকে একচেটিয়াভাবে সফল কিংবা শক্তিশালী হিসেবে মেনে নিতে তাঁরা নারাজ। সঙ্গীর প্রতি আনুগত্যের চেয়ে নারীরা নিজের সুখ ও সামগ্রিক মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এসব কারণেই অনেক নারী কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ডেটিং করছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পছন্দকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক, সামাজিক চাহিদাসহ অন্যান্য প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন।

নানা কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন

নিজের চেয়ে কম বয়সী পুরুষ সঙ্গীর সান্নিধ্যে আসায় নারীদের মধ্যে নিজেদের আরও তরুণ ভাবার একধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কম বয়সী তরুণেরা নিজেদের সম্পর্কে সচেতন, নিজের স্বাস্থ্য ও রুচির বিষয়েও সজাগ। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা কম বয়সীদের পৃথিবীকে নতুন করে জানার সুযোগ দেয়। এসব কারণে সম্পর্কে জড়ানোর সময় নারীরা কম বয়সীদের গুরুত্ব দেন। নারীরা এখন আগের চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য ছুটছেন। পারিবারিক বা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বয়স্ক সঙ্গী খোঁজার প্রথাগত নিয়মে তাঁরা আর বিশ্বাসী নন। ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা, মানসিক সংযোগ ও আকর্ষণকে অগ্রাধিকার দিতেই নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বেছে নিচ্ছেন।

বয়স কোনো বিষয় না

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে এখন নারীদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ নমনীয়। তরুণদের তুলনায় নারীরা মধ্যবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক চিন্তা করছেন। মধ্যবয়সী বা সমবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক রীতিনীতি বা লোকদেখানোর আচারকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মনে করেন নারীরা। সম্পর্ক নিয়ে পুরোনো সামাজিক নিয়মগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাঁরা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রফতানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রফতানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রফতানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রফতানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল - জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!